কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতে সম্প্রতি প্রণীত ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৪-এর বিতর্কিত ধারাগুলোর কার্যকারিতা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সংশোধিত আইনে ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর বোর্ডের বাড়তি ক্ষমতা, দীর্ঘমেয়াদি লিজের সুযোগ এবং সাধারণ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রায় বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব থাকায় শুরু থেকেই তা ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন, বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মহল।
ওয়াকফ সম্পত্তি বলতে বোঝায়, ধর্মীয় কিংবা দাতব্য কাজে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা জমি, ঘরবাড়ি বা অন্যান্য সম্পদ। ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা এই আইনে সর্বশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে একাধিক মৌলিক পরিবর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। সবচেয়ে আলোচিত ছিল বোর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি, যার ফলে তারা প্রয়োজনমতো যেকোনো সম্পত্তি পুনর্মূল্যায়ন করে ব্যবহার বদলে দেওয়ার অধিকার পেত।
পাশাপাশি করপোরেট বা ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের জন্য ভাড়ার মেয়াদ ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৯৯ বছর করার প্রস্তাবও ছিল। এ ছাড়া এই সংশোধনীতে ওয়াকফ-সংক্রান্ত মামলাগুলো বিশেষ ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনার সিদ্ধান্তে সাধারণ আদালতের দ্বারও বন্ধ হয়ে যেত।
সব নথি কেন্দ্রীয় ডেটাবেইসে ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণের প্রস্তাবও আইনটিতে ছিল। তবে এটি করলে জালিয়াতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সমালোচকেরা।
এই প্রস্তাবগুলো প্রকাশ্যে আসতেই একের পর এক আপত্তি জানায় বিভিন্ন সংগঠন, আইনজীবী মহল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। তাঁদের দাবি ছিল, আইন কার্যকর হলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের হাতে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা প্রায় ছিনিয়ে নেওয়া হতো। দীর্ঘমেয়াদি লিজের ফলে জমি কার্যত বড় করপোরেটের দখলে চলে যেত এবং বিচার প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ কমে যেত।
এই প্রেক্ষাপটেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের একাংশ। শুনানি শেষে আদালত জানিয়েছেন, সংশোধনী আইনের একাধিক ধারা সংবিধানের সমতা ও মৌলিক অধিকারের নীতির পরিপন্থী হতে পারে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেসব ধারা কার্যকর করা যাবে না।
রায় ঘোষণার পর সংখ্যালঘু সংগঠন ও মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁদের মতে, অন্তত আপাতত ওয়াকফ সম্পত্তি বাজারি দখল বা প্রশাসনিক একচেটিয়াকরণের হাত থেকে রক্ষা পেল। তবে আইনমন্ত্রীর যুক্তি, এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য ছিল অব্যবহৃত ওয়াকফ সম্পত্তিকে আধুনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং কার্যকরভাবে ব্যবহার করা। সরকারের দাবি, বহু জমি বছরের পর বছর অযত্নে পড়ে আছে, সেগুলোকে পুনরায় কাজে লাগাতেই নতুন আইন আনা হয়েছিল।
কয়েক মাস পরে শীর্ষ আদালতের পরবর্তী শুনানিতে চূড়ান্ত রায়ে ঠিক হবে, এই আইন বহাল থাকবে নাকি স্থায়ীভাবে বাতিল হবে। আপাতত আদালতের স্থগিতাদেশে স্বস্তিতে আছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
ভারতে সম্প্রতি প্রণীত ওয়াকফ সংশোধনী আইন, ২০২৪-এর বিতর্কিত ধারাগুলোর কার্যকারিতা স্থগিত রাখার নির্দেশ দিয়েছে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট। সংশোধিত আইনে ওয়াকফ সম্পত্তির ওপর বোর্ডের বাড়তি ক্ষমতা, দীর্ঘমেয়াদি লিজের সুযোগ এবং সাধারণ আদালতের হস্তক্ষেপ প্রায় বন্ধ করে দেওয়ার প্রস্তাব থাকায় শুরু থেকেই তা ঘিরে তীব্র বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। আদালতের এই নির্দেশে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন ভারতের বিভিন্ন ধর্মীয় ও সামাজিক সংগঠন, বিশেষত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি মহল।
ওয়াকফ সম্পত্তি বলতে বোঝায়, ধর্মীয় কিংবা দাতব্য কাজে ব্যবহারের জন্য নির্দিষ্ট করা জমি, ঘরবাড়ি বা অন্যান্য সম্পদ। ব্রিটিশ আমল থেকে চলে আসা এই আইনে সর্বশেষ সংশোধনীর মাধ্যমে একাধিক মৌলিক পরিবর্তনের প্রস্তাব রাখা হয়েছিল। সবচেয়ে আলোচিত ছিল বোর্ডের ক্ষমতা বৃদ্ধি, যার ফলে তারা প্রয়োজনমতো যেকোনো সম্পত্তি পুনর্মূল্যায়ন করে ব্যবহার বদলে দেওয়ার অধিকার পেত।
পাশাপাশি করপোরেট বা ব্যক্তিগত বিনিয়োগকারীদের জন্য ভাড়ার মেয়াদ ৩০ বছর থেকে বাড়িয়ে ৯৯ বছর করার প্রস্তাবও ছিল। এ ছাড়া এই সংশোধনীতে ওয়াকফ-সংক্রান্ত মামলাগুলো বিশেষ ট্রাইব্যুনালের আওতায় আনার সিদ্ধান্তে সাধারণ আদালতের দ্বারও বন্ধ হয়ে যেত।
সব নথি কেন্দ্রীয় ডেটাবেইসে ডিজিটাল আকারে সংরক্ষণের প্রস্তাবও আইনটিতে ছিল। তবে এটি করলে জালিয়াতি বাড়ার শঙ্কা রয়েছে বলে মনে করেন সমালোচকেরা।
এই প্রস্তাবগুলো প্রকাশ্যে আসতেই একের পর এক আপত্তি জানায় বিভিন্ন সংগঠন, আইনজীবী মহল এবং নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি। তাঁদের দাবি ছিল, আইন কার্যকর হলে স্থানীয় সম্প্রদায়ের হাতে সম্পত্তি ব্যবস্থাপনার ক্ষমতা প্রায় ছিনিয়ে নেওয়া হতো। দীর্ঘমেয়াদি লিজের ফলে জমি কার্যত বড় করপোরেটের দখলে চলে যেত এবং বিচার প্রক্রিয়ার সীমাবদ্ধতার কারণে সাধারণ মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার সুযোগ কমে যেত।
এই প্রেক্ষাপটেই আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন আইনজীবী ও নাগরিক সমাজের একাংশ। শুনানি শেষে আদালত জানিয়েছেন, সংশোধনী আইনের একাধিক ধারা সংবিধানের সমতা ও মৌলিক অধিকারের নীতির পরিপন্থী হতে পারে। তাই পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত সেসব ধারা কার্যকর করা যাবে না।
রায় ঘোষণার পর সংখ্যালঘু সংগঠন ও মানবাধিকারকর্মীদের মধ্যে স্বস্তি ছড়িয়ে পড়েছে। তাঁদের মতে, অন্তত আপাতত ওয়াকফ সম্পত্তি বাজারি দখল বা প্রশাসনিক একচেটিয়াকরণের হাত থেকে রক্ষা পেল। তবে আইনমন্ত্রীর যুক্তি, এই সংশোধনীর উদ্দেশ্য ছিল অব্যবহৃত ওয়াকফ সম্পত্তিকে আধুনিক ব্যবস্থার আওতায় আনা এবং কার্যকরভাবে ব্যবহার করা। সরকারের দাবি, বহু জমি বছরের পর বছর অযত্নে পড়ে আছে, সেগুলোকে পুনরায় কাজে লাগাতেই নতুন আইন আনা হয়েছিল।
কয়েক মাস পরে শীর্ষ আদালতের পরবর্তী শুনানিতে চূড়ান্ত রায়ে ঠিক হবে, এই আইন বহাল থাকবে নাকি স্থায়ীভাবে বাতিল হবে। আপাতত আদালতের স্থগিতাদেশে স্বস্তিতে আছে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়।
নেপালের অন্তর্বর্তী প্রধানমন্ত্রীর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করেছে দেশটির একদল তরুণ। গতকাল রোববার রাতে বালুওয়াতারে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবনের সামনে বিক্ষোভ ও স্লোগান দেয় জেন-জি আন্দোলনের অন্যতম নেপথ্য নায়ক সুদান গুরুংয়ের নেতৃত্বাধীন একটি দল। অভিযোগ, প্রধানমন্ত্রী তাদের সঙ্গে পরামর্শ না করেই মন্ত্র
৮ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘের পারমাণবিক বিষয়ক বৈশ্বিক সংস্থা আন্তর্জাতিক আণবিক শক্তি সংস্থার (আইএইএ) ৬৯তম সাধারণ সম্মেলনে পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা নিষিদ্ধে প্রস্তাব আনতে যাচ্ছে ইরান। কাতারি সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদন অনুযায়ী, আজ সোমবার থেকে ভিয়েনায় শুরু হওয়া এ সম্মেলন চলবে শুক্রবার পর্যন্ত।
৮ ঘণ্টা আগে১৯৫০ সালে ভারতের সুপ্রিম কোর্ট গঠনের পর ৭৫ বছরে সুপ্রিম কোর্টে এখন পর্যন্ত বিচারপতির সংখ্যা ২৮৭ হলেও তাঁদের মধ্যে নারী মাত্র ১১ জন, যা ৩ দশমিক ৮ শতাংশেরও কম।
৮ ঘণ্টা আগেগাজায় ফিলিস্তিনিদের হত্যায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা পরিচালিত স্বয়ংক্রিয় আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করছে ইসরায়েল। আর এই অস্ত্রগুলো যৌথভাবে তৈরি করেছে ইসরায়েলের ইসরায়েল ওয়েপনস ইন্ডাস্ট্রিজ ও ভারতের আদানি ডিফেন্স অ্যান্ড অ্যারোস্পেস। মধ্যপ্রাচ্যকেন্দ্রিক সংবাদমাধ্যম মিডল ইস্ট আইয়ের এক বিস্তারিত অনুসন্ধানী...
৯ ঘণ্টা আগে