কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালুরুতে বাঁশের ডালায় করে কমলা ফেরি করেন হরেকালা হাজাব্বা। আজ সোমবার রাজধানী দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী সম্মাননা পেলেন তিনি।
৬৬ বছর বয়সী কমলা বিক্রেতা হরেকালা নিউপাদপু গ্রামে একটি স্কুল তৈরি করে গ্রামীণ শিক্ষায় বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন। সেটির স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হলো। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে গ্রামের ১৭৫ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
হাজাব্বা ১৯৭৭ সাল থেকে ম্যাঙ্গালুরুর বাস ডিপোতে কমলা বিক্রি করেন। তিনি লেখাপড়া জানেন না। জীবনে কখনো তাঁর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
১৯৭৮ সালে এক বিদেশি তাঁর কাছে কমলার দাম জানতে চান। কিন্তু ভাষার আগামাথা কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি হাজাব্বা। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতাই তাঁকে গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার তীব্র বাসনা তৈরি করে দেয়।
পদ্মশ্রী হাজাব্বা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, আমি ওই বিদেশির কথার কিছুই বুঝিনি। খুব খারাপ লেগেছিল সেদিন। তখনই গ্রামে একটি স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
তিনি বলেন, আমি শুধু কন্নড় জানি, ইংরেজি বা হিন্দি কোনোটাই বুঝি না। বিদেশির কথার জবাব দিতে না পারায় আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমি আমার গ্রামে একটি স্কুল করার বিষয়ে ভাবছিলাম।
সেই স্কুল নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয় ওই ঘটনার দুই দশক পর।
প্রয়াত বিধায়ক ফরিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হাজাব্বা। ২০০০ সালে স্কুল নির্মাণের বরাদ্দ আনিয়ে দেন বিধায়ক। বহু সমাজ হিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য হাজাব্বাকে ‘অক্ষরা সান্তা’ খেতাবসহ বহু সম্মাননা দেয় রাজ্য সরকার।
মাত্র ২৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয়েছিল হাজাব্বার সেই স্কুল। এখন সেখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭৫ জন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে।
হাজাব্বা পদ্মশ্রী পুরস্কারের অর্থ ও জমানো টাকা দিয়ে নিজ গ্রামে আরও স্কুল নির্মাণ করতে চান।
তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য কী জানতে চাইলে হাজাব্বা বলেন, আমার লক্ষ্য, এতোদিনে বিভিন্ন পুরস্কারের জমানো টাকা দিয়ে আমার গ্রামে আরও স্কুল-কলেজ তৈরি করা। অনেকে অর্থ দান করেছেন এবং আমিও জমি কেনার জন্য টাকা জমিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার গ্রামে একটি কলেজ নির্মাণের জন্য অনুরোধ করেছি।
ভারতের কেন্দ্র সরকার ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে। কিন্তু কোভিড ১৯-এর স্বাস্থ্যবিধির কারণে পুরস্কার হস্তান্তর করা হলো আজ।
কর্ণাটক রাজ্যের ম্যাঙ্গালুরুতে বাঁশের ডালায় করে কমলা ফেরি করেন হরেকালা হাজাব্বা। আজ সোমবার রাজধানী দিল্লিতে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে ভারতের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক পুরস্কার পদ্মশ্রী সম্মাননা পেলেন তিনি।
৬৬ বছর বয়সী কমলা বিক্রেতা হরেকালা নিউপাদপু গ্রামে একটি স্কুল তৈরি করে গ্রামীণ শিক্ষায় বিপ্লব ঘটিয়ে দিয়েছেন। সেটির স্বীকৃতি স্বরূপ তাঁকে এই সম্মাননা দেওয়া হলো। বিদ্যালয়টিতে বর্তমানে গ্রামের ১৭৫ জন সুবিধাবঞ্চিত শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে।
হাজাব্বা ১৯৭৭ সাল থেকে ম্যাঙ্গালুরুর বাস ডিপোতে কমলা বিক্রি করেন। তিনি লেখাপড়া জানেন না। জীবনে কখনো তাঁর স্কুলে যাওয়ার সুযোগ হয়নি।
১৯৭৮ সালে এক বিদেশি তাঁর কাছে কমলার দাম জানতে চান। কিন্তু ভাষার আগামাথা কিছুই বুঝে উঠতে পারেননি হাজাব্বা। সেই তিক্ত অভিজ্ঞতাই তাঁকে গ্রামে শিক্ষার আলো ছড়িয়ে দেওয়ার তীব্র বাসনা তৈরি করে দেয়।
পদ্মশ্রী হাজাব্বা বার্তা সংস্থা এএনআইকে বলেন, আমি ওই বিদেশির কথার কিছুই বুঝিনি। খুব খারাপ লেগেছিল সেদিন। তখনই গ্রামে একটি স্কুল করার সিদ্ধান্ত নিয়ে ফেলি।
তিনি বলেন, আমি শুধু কন্নড় জানি, ইংরেজি বা হিন্দি কোনোটাই বুঝি না। বিদেশির কথার জবাব দিতে না পারায় আমি খুব হতাশ হয়ে পড়েছিলাম। আমি আমার গ্রামে একটি স্কুল করার বিষয়ে ভাবছিলাম।
সেই স্কুল নির্মাণের স্বপ্ন বাস্তবে রূপ নেয় ওই ঘটনার দুই দশক পর।
প্রয়াত বিধায়ক ফরিদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন হাজাব্বা। ২০০০ সালে স্কুল নির্মাণের বরাদ্দ আনিয়ে দেন বিধায়ক। বহু সমাজ হিতৈষী কর্মকাণ্ডের জন্য হাজাব্বাকে ‘অক্ষরা সান্তা’ খেতাবসহ বহু সম্মাননা দেয় রাজ্য সরকার।
মাত্র ২৮ জন শিক্ষার্থী নিয়ে শুরু হয়েছিল হাজাব্বার সেই স্কুল। এখন সেখানে দশম শ্রেণি পর্যন্ত ১৭৫ জন শিক্ষার্থীর পড়াশোনার ব্যবস্থা রয়েছে।
হাজাব্বা পদ্মশ্রী পুরস্কারের অর্থ ও জমানো টাকা দিয়ে নিজ গ্রামে আরও স্কুল নির্মাণ করতে চান।
তাঁর পরবর্তী লক্ষ্য কী জানতে চাইলে হাজাব্বা বলেন, আমার লক্ষ্য, এতোদিনে বিভিন্ন পুরস্কারের জমানো টাকা দিয়ে আমার গ্রামে আরও স্কুল-কলেজ তৈরি করা। অনেকে অর্থ দান করেছেন এবং আমিও জমি কেনার জন্য টাকা জমিয়েছি।
তিনি বলেন, আমি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে আমার গ্রামে একটি কলেজ নির্মাণের জন্য অনুরোধ করেছি।
ভারতের কেন্দ্র সরকার ২০২০ সালের জানুয়ারিতে পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করে। কিন্তু কোভিড ১৯-এর স্বাস্থ্যবিধির কারণে পুরস্কার হস্তান্তর করা হলো আজ।
ইসরায়েলের পক্ষে অবস্থান নিয়ে যুক্তরাষ্ট্র ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় বিমান হামলা চালিয়েছে। এই পদক্ষেপ শুধু মধ্যপ্রাচ্যের শক্তির ভারসাম্যকেই নাড়িয়ে দেয়নি, বরং এর প্রভাব ছড়িয়ে পড়েছে বিশ্ব রাজনীতিতেও। মস্কো থেকে এর প্রতিক্রিয়া এসেছে দ্রুত ও তীব্রভাবে।
১ ঘণ্টা আগেমিছিলে অংশ নেন শতাধিক দলীয় কর্মী, সমর্থক, ছাত্র, যুব ও শ্রমিক সংগঠনের প্রতিনিধি। ‘আমেরিকার সাম্রাজ্যবাদ নিপাত যাক’, ‘ইরানে বোমাবাজি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগানে মুখর হয় গোটা এলাকা। এ সময় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কুশপুত্তলিকা দাহ করা হয়।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৪ ঘণ্টা আগে