Ajker Patrika

বিশ্বমঞ্চে ভারত কি সত্যিই ভারসাম্যের শক্তি, না সুবিধাবাদী

কলকাতা প্রতিনিধি  
আপডেট : ১৮ আগস্ট ২০২৫, ২২: ৪০
ছবি: পিটিআই
ছবি: পিটিআই

গত শুক্রবার আলাস্কার মাটিতে যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন মুখোমুখি হলেন, তখন গোটা বিশ্বের চোখ ছিল সে বৈঠকে। যুদ্ধবিরতির কোনো সমাধান না এলেও তার পরিণতি যে এত দ্রুত অন্য পথে গড়াবে, তা হয়তো কেউ ভাবেনি। মাত্র তিন দিন পরে পুতিন ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জানালেন, বৈঠকের আগে তাঁর দেওয়া পরামর্শ কতটা কাজে লেগেছে।

মোদির উত্তরও ছিল কূটনৈতিক—ভারত এখনো বিশ্বাস করে আলোচনার পথেই শান্তি সম্ভব। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে শক্ত বার্তা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যত স্বীকার করলেন, যুদ্ধ–শান্তির সমীকরণে ভারতের ভূমিকা অগ্রাহ্য করা যায় না।

তবে ভারতের অবস্থান নিয়ে বিভ্রান্তি বাড়ছে। যুক্তরাষ্ট্র খোলাখুলি অসন্তুষ্ট, কারণ, নয়াদিল্লি রাশিয়ার কাছ থেকে সস্তায় তেল কিনছে। ট্রাম্প তাই চাপিয়েছেন ৫০ শতাংশ শুল্ক। ভারত বলছে, এটি অযৌক্তিক। আবার একই সঙ্গে দেখা যাচ্ছে, ট্রাম্পও আলাস্কার বৈঠকের পরে ভারতের প্রতি খানিকটা নরম সুরে কথা বলছেন। ফলে প্রশ্ন উঠেছে—ভারত কি সত্যিই বৈশ্বিক ভারসাম্যের শক্তি, না সুবিধাবাদী অবস্থান নিচ্ছে?

দক্ষিণ–পূর্ব এশিয়ায় এ প্রশ্ন আরও জোরালো। চীনের বাড়তি প্রভাব, পাকিস্তানের সক্রিয় ভূমিকা—এসবের মাঝে ভারতকে একদিকে পশ্চিমা জোট, অন্যদিকে রাশিয়া–চীন জোট—দুই দিকেই গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখতে চাইছে বিশ্বশক্তি। কিন্তু এর মানে কি ভারত নিরপেক্ষ? নাকি প্রয়োজনমতো শিবির বদলে নিচ্ছে?

পুতিনের ফোন ভারতের কূটনৈতিক ওজন বাড়ালেও সাধারণ মানুষের চোখে স্পষ্ট হয়ে উঠছে দ্বিধা—ভারত কি শান্তির আসল দূত, না ক্ষমতার ভারসাম্য বজায় রেখে নিজের স্বার্থকেই আগে রাখছে?

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

আলাস্কা বৈঠকে পুতিনের দেহরক্ষীর হাতে ‘মলমূত্রবাহী স্যুটকেস’ কেন

সিলেটের ডিসি হলেন ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে শাস্তি পাওয়া সারওয়ার আলম

শেখ মুজিবকে শ্রদ্ধা জানিয়ে ছাত্রদল নেতার পোস্ট, শোকজ পেয়ে নিলেন অব্যাহতি

আমরা দখল করি লঞ্চঘাট-বাসস্ট্যান্ড, জামায়াত করে বিশ্ববিদ্যালয়: আলতাফ হোসেন চৌধুরী

মুচলেকা দিয়ে ক্যাম্পাস ছাড়লেন আনন্দ মোহন কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত