হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত–কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এ তো গত বছরের কথা। এবার টরোন্টোতে একটি অনুষ্ঠানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সামনে খালিস্তানপন্থী স্লোগান নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপিনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার টরোন্টোতে একটি ইভেন্টে অংশ নেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান শুরু হয়। সেই ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো শিখদের ঐতিহ্যবাহী কমলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে ও একটি তলোয়ার হাতে মঞ্চে দাঁড়ানো। সেখানে তিনি শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন ও জনতা স্লোগান দিচ্ছে।
এ সময় ট্রুডো বলেন, ‘প্রায় ৮ লাখ শিখদের ঐতিহ্য কানাডার সঙ্গে জড়িত। আমরা সবসময় আপনাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা রক্ষা করব। আমরা সবসময় শিখ সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্য থেকে রক্ষা করব।’
ট্রুডো আরও বলেন, ‘কানাডার সবচেয়ে বড় শক্তিগুলোর একটি হলো এর বৈচিত্র্য। পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা শক্তিশালী নই, বরং বৈচিত্রময়তাই আমাদের শক্তিশালী করে তুলেছে। এমনকি আমরা যখন পার্থক্যগুলোর দিকে তাকাই তখন আমাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে—এই জাতীয় দিনে তা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রতিদিন স্মরণে রাখতে চাই, শিখদের মূল্যবোধ কানাডিয় মূল্যবোধ।’
এ ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার ভারতে অবস্থিত কানাডীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার স্টিউয়ার্ট হুইলকে তলব করেছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই ঘটনায় তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এর কঠোর প্রতিবাদ জানায়।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ট্রুডোর সামনে খালিস্তানপন্থী স্লোগান দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে কানাডা আবারও বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রবাদ ও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এই ঘটনা শুধু ভারত-কানাডার সম্পর্ককেই প্রভাবিত করে না, বরং কানাডার অভ্যন্তরে সহিংসতা ও অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
এর আগে কানাডার টরোন্টোতে ‘খালসা ডে’ অনুষ্ঠানের প্যারেডে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানগুলোতে সরকার আরও নিরাপত্তা বাড়াবে। কানাডার প্রায় ৮ লাখ শিখ রয়েছে। তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার পাশে থাকবে।
খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে পাল্টে গেছে ভারত-কানাডার দ্বিপক্ষীয় সমীকরণ। ঘটেছে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা, স্থগিত হয়েছে দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও।
বিবাদের শুরু গত বছর কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকে ঘিরে। কানাডার অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের হাত রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে থাকা ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি দিল্লিও। দেশটিতে নিযুক্ত কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়েছে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগের পর এই তিক্ততা আরও বাড়তে পারে। এর মধ্যেই আবারও তলবের ঘটনা ঘটল।
হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ড ইস্যুতে ভারত–কানাডা সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এ তো গত বছরের কথা। এবার টরোন্টোতে একটি অনুষ্ঠানে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডোর সামনে খালিস্তানপন্থী স্লোগান নিয়ে সেই দ্বন্দ্ব আবারও মাথাচাড়া দিয়েছে।
ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ইন্ডিপিনডেন্ট এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সোমবার টরোন্টোতে একটি ইভেন্টে অংশ নেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো। তিনি সেখানে ভাষণ দেওয়ার সময় ‘খালিস্তান জিন্দাবাদ’ বলে স্লোগান শুরু হয়। সেই ভিডিও প্রকাশিত হয়েছে রাষ্ট্রীয় টিভি চ্যানেলে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, ট্রুডো শিখদের ঐতিহ্যবাহী কমলা কাপড় মাথায় পেঁচিয়ে ও একটি তলোয়ার হাতে মঞ্চে দাঁড়ানো। সেখানে তিনি শিখদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছিলেন ও জনতা স্লোগান দিচ্ছে।
এ সময় ট্রুডো বলেন, ‘প্রায় ৮ লাখ শিখদের ঐতিহ্য কানাডার সঙ্গে জড়িত। আমরা সবসময় আপনাদের অধিকার এবং স্বাধীনতা রক্ষা করব। আমরা সবসময় শিখ সম্প্রদায়কে ঘৃণা ও বৈষম্য থেকে রক্ষা করব।’
ট্রুডো আরও বলেন, ‘কানাডার সবচেয়ে বড় শক্তিগুলোর একটি হলো এর বৈচিত্র্য। পার্থক্য থাকা সত্ত্বেও আমরা শক্তিশালী নই, বরং বৈচিত্রময়তাই আমাদের শক্তিশালী করে তুলেছে। এমনকি আমরা যখন পার্থক্যগুলোর দিকে তাকাই তখন আমাদের একটি বিষয় মনে রাখতে হবে—এই জাতীয় দিনে তা স্মরণ করিয়ে দিতে চাই, প্রতিদিন স্মরণে রাখতে চাই, শিখদের মূল্যবোধ কানাডিয় মূল্যবোধ।’
এ ঘটনার জেরে গতকাল সোমবার ভারতে অবস্থিত কানাডীয় দূতাবাসের ডেপুটি হাইকমিশনার স্টিউয়ার্ট হুইলকে তলব করেছে দিল্লি। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এই ঘটনায় তাঁরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন এবং এর কঠোর প্রতিবাদ জানায়।
মন্ত্রণালয় আরও বলেছে, ট্রুডোর সামনে খালিস্তানপন্থী স্লোগান দেওয়ার ঘটনা প্রমাণ করে কানাডা আবারও বিচ্ছিন্নতাবাদ, উগ্রবাদ ও সহিংসতাকে প্রশ্রয় দিচ্ছে। এই ঘটনা শুধু ভারত-কানাডার সম্পর্ককেই প্রভাবিত করে না, বরং কানাডার অভ্যন্তরে সহিংসতা ও অপরাধপ্রবণতা বৃদ্ধির পরিবেশ সৃষ্টি করে।
এর আগে কানাডার টরোন্টোতে ‘খালসা ডে’ অনুষ্ঠানের প্যারেডে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের তীর্থস্থানগুলোতে সরকার আরও নিরাপত্তা বাড়াবে। কানাডার প্রায় ৮ লাখ শিখ রয়েছে। তাদের অধিকার ও স্বাধীনতা রক্ষায় সরকার পাশে থাকবে।
খালিস্তানপন্থী শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকাণ্ডে পাল্টে গেছে ভারত-কানাডার দ্বিপক্ষীয় সমীকরণ। ঘটেছে পাল্টাপাল্টি কূটনীতিক বহিষ্কারের ঘটনা, স্থগিত হয়েছে দুই দেশের মুক্ত বাণিজ্য চুক্তিও।
বিবাদের শুরু গত বছর কানাডায় শিখ নেতা হরদীপ সিং নিজ্জার হত্যাকে ঘিরে। কানাডার অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডে ভারতের হাত রয়েছে। এর পরিপ্রেক্ষিতে দেশটিতে থাকা ভারতীয় এক কূটনীতিককে বহিষ্কার করা হয়েছে। পাল্টা জবাব দিতে দেরি করেনি দিল্লিও। দেশটিতে নিযুক্ত কানাডার এক জ্যেষ্ঠ কূটনীতিককে ভারত ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এরপর দুই দেশের মধ্যকার সম্পর্ক ক্রমেই তিক্ত হয়েছে। নির্বাচনে হস্তক্ষেপের অভিযোগের পর এই তিক্ততা আরও বাড়তে পারে। এর মধ্যেই আবারও তলবের ঘটনা ঘটল।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর বর্তমান স্ত্রী জিল বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি বাইডেন তাঁর ১৩ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) ৪৪ বছর বয়সী অ্যাশলি ফিলাডেলফিয়ার কোর্ট অব কমন প্লিসে এই আবেদন দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরকে কেন্দ্র করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম এক্স মাধ্যমে পরপর তিনটি পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও কৌশলগত সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সীমানা জোর করে পরিবর্তন করা যাবে না বলে সতর্ক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। এই সতর্কতা এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে আসন্ন আলাস্কা সম্মেলনের তিন দিন আগে।
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ানকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর দাসের মতো শর্তে কাজ করানো হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের।
৩ ঘণ্টা আগে