চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে দেশের উৎপাদন খাত শক্তিশালী করা যে প্রচেষ্টা নিয়েছিল ভারত তা ব্যর্থ হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ থেকে ভারত ফায়দা তুলতে না পারলেও দেশটির এশীয় অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিরা ঠিক ফায়দা তুলেছে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের তথ্য বলছে, ২০১৭-২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মোট আমদানির মধ্যে ভারতের অবদান দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। একই সময়ে চীনের অবদান প্রায় ৮ শতাংশ কমে ১৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক লড়াই থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছে ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির মোট আমদানি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এই দুই জায়ান্টের লড়াই থেকে তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়াও ভারতের চেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে দেশ দুটির রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১ শতাংশ পয়েন্ট এবং দশমিক ৭ শতাংশ।
এই গবেষণাটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের মুখোমুখি হওয়া কঠিন দিকটিকেই তুলে ধরে। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে দেশের পিছিয়ে থাকা উৎপাদন খাতকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও বিগত কয়েক দশক ধরে জিডিপিতে এই খাতের অবদান ১৭ শতাংশেই স্থবির হয়ে আছে। এই গবেষণা আরও ইঙ্গিত দেয় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরলে এবং চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি বাস্তবায়ন করলে ভারত হয়তো উল্লেখযোগ্য ভাবে লাভবান হতে পারে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ আলেকজান্ড্রা হারমান এক নোটে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এখন পর্যন্ত ভারতের রপ্তানি সম্ভাবনা খুব সামান্য পরিমাণেই বৃদ্ধি করেছে। এই বিষয়টি—এই লড়াই ভারতের পিছিয়ে থাকা উৎপাদন খাতকে প্রণোদনা দেবে বলে যে আশা নয়া দিল্লির ছিল সেটিকে ভেঙে দিয়েছে। ভারতের রপ্তানির শক্তি মূলত পুরোনো অর্থনীতির খাতগুলোতে, যেখানে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সীমিত এবং প্রতিযোগিতা তীব্র।’
গবেষণা বলছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রনিকস রপ্তানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে চীন থেকে এসব ইলেকট্রনিকস পণ্যের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাতে খুব বেশি মূল্য সংযোজন হয়নি। অক্সফোর্ডের মতে, ২০২৩ সালে ভারতের ইলেকট্রনিকস, যন্ত্রপাতি এবং রাসায়নিক-ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রয়োজনীয় উপাদানই চীন থেকে আমদানি হয়ে এসেছে। কিছু সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইসের ক্ষেত্রে ভারতের ৬৭ শতাংশ আমদানিই হয়েছে চীন থেকে।
অক্সফোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর ফলে ভারত মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ ছাড়া, চীনের দিকে বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগের প্রবাহ হ্রাস পেলেও ভারত নিজ দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ খুব একটা আকৃষ্ট করতে পারেনি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধকে কাজে লাগিয়ে দেশের উৎপাদন খাত শক্তিশালী করা যে প্রচেষ্টা নিয়েছিল ভারত তা ব্যর্থ হয়েছে। অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা থেকে এ তথ্য জানা গেছে। চীন-যুক্তরাষ্ট্র দ্বৈরথ থেকে ভারত ফায়দা তুলতে না পারলেও দেশটির এশীয় অঞ্চলের প্রতিদ্বন্দ্বিরা ঠিক ফায়দা তুলেছে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের তথ্য বলছে, ২০১৭-২০২৩ সালের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের মোট আমদানির মধ্যে ভারতের অবদান দশমিক ৬ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ২ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। একই সময়ে চীনের অবদান প্রায় ৮ শতাংশ কমে ১৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে।
চীন-যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্যিক লড়াই থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী হয়েছে ভিয়েতনাম। যুক্তরাষ্ট্রে দেশটির মোট আমদানি ১ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়ে ৩ দশমিক ৭ শতাংশে পৌঁছেছে। এই দুই জায়ান্টের লড়াই থেকে তাইওয়ান ও দক্ষিণ কোরিয়াও ভারতের চেয়ে বেশি অগ্রগতি লাভ করেছে। যুক্তরাষ্ট্রে দেশ দুটির রপ্তানি বেড়েছে যথাক্রমে ১ শতাংশ পয়েন্ট এবং দশমিক ৭ শতাংশ।
এই গবেষণাটি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সরকারের মুখোমুখি হওয়া কঠিন দিকটিকেই তুলে ধরে। তাঁর নেতৃত্বে বিজেপি সরকার দীর্ঘদিন ধরে দেশের পিছিয়ে থাকা উৎপাদন খাতকে এগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করলেও বিগত কয়েক দশক ধরে জিডিপিতে এই খাতের অবদান ১৭ শতাংশেই স্থবির হয়ে আছে। এই গবেষণা আরও ইঙ্গিত দেয় যে, ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ফিরলে এবং চীনা পণ্যের ওপর ৬০ শতাংশ হারে শুল্ক আরোপের হুমকি বাস্তবায়ন করলে ভারত হয়তো উল্লেখযোগ্য ভাবে লাভবান হতে পারে।
অক্সফোর্ড ইকোনমিকসের অর্থনীতিবিদ আলেকজান্ড্রা হারমান এক নোটে লিখেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-চীন বাণিজ্য যুদ্ধ এখন পর্যন্ত ভারতের রপ্তানি সম্ভাবনা খুব সামান্য পরিমাণেই বৃদ্ধি করেছে। এই বিষয়টি—এই লড়াই ভারতের পিছিয়ে থাকা উৎপাদন খাতকে প্রণোদনা দেবে বলে যে আশা নয়া দিল্লির ছিল সেটিকে ভেঙে দিয়েছে। ভারতের রপ্তানির শক্তি মূলত পুরোনো অর্থনীতির খাতগুলোতে, যেখানে প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা সীমিত এবং প্রতিযোগিতা তীব্র।’
গবেষণা বলছে, ভারত যুক্তরাষ্ট্রে ইলেকট্রনিকস রপ্তানির ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি করেছে। তবে চীন থেকে এসব ইলেকট্রনিকস পণ্যের কাঁচামাল আমদানি বেড়েছে। যা ইঙ্গিত দেয় যে, দেশের অভ্যন্তরীণ উৎপাদন খাতে খুব বেশি মূল্য সংযোজন হয়নি। অক্সফোর্ডের মতে, ২০২৩ সালে ভারতের ইলেকট্রনিকস, যন্ত্রপাতি এবং রাসায়নিক-ফার্মাসিউটিক্যালস খাতের প্রায় এক-তৃতীয়াংশ প্রয়োজনীয় উপাদানই চীন থেকে আমদানি হয়ে এসেছে। কিছু সেমিকন্ডাক্টর ডিভাইসের ক্ষেত্রে ভারতের ৬৭ শতাংশ আমদানিই হয়েছে চীন থেকে।
অক্সফোর্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এর ফলে ভারত মার্কিন বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞার ঝুঁকিতে পড়তে পারে। এ ছাড়া, চীনের দিকে বৈদেশিক সরাসরি বিনিয়োগের প্রবাহ হ্রাস পেলেও ভারত নিজ দেশে সরাসরি বিদেশি বিনিয়োগ খুব একটা আকৃষ্ট করতে পারেনি বলেও উল্লেখ করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
গত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
৭ মিনিট আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
২ ঘণ্টা আগেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ক্যাথলিক ধর্মের সর্বোচ্চ ধর্মগুরু পোপ হওয়ার আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমি পোপ হতে চাই।’ এই পর্যন্ত ঠিক আছে। বক্তব্য দেখে ঘাবড়ে যাবেন না। ট্রাম্প আন্তরিকভাবে এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেননি, রসিকতার ছলেই তিনি এই আকাঙ্ক্ষা পোষণ করেন।
২ ঘণ্টা আগেগতকাল মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৮টায় কলকাতার বড়বাজারের মেছুয়া ফলপট্টি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিসের অন্তত ১০টি ইউনিটের ৮ ঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আনন্দবাজারের সকাল ৭টার প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, তখনো আগুন পুরোপুরি নেভানো সম্ভব হয়নি।
৩ ঘণ্টা আগে