ভারতের কর্নাটক রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করে যে আইন করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করার আইন বাতিলে কোনো অসুবিধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যার যা খুশি সে তা-ই পরবে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার মাইসোরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করার আইন প্রসঙ্গে সিদ্ধারামাইয়া বলেন, ‘হিজাব নিষিদ্ধ আইন এখন আর কার্যকর নেই। (নারীরা) এখন চাইলে হিজাব পরতে পারবেন এবং যেখানে খুশি যেতে পারবেন। আমি এই আইন তুলে নেওয়ার আদেশ দিয়েছি।’
এ সময় কর্নাটকের এই মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তির পোশাক পরার স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আপনি কী খাবেন, কী পরবেন—এগুলো একান্তই আপনাদের নিজস্ব মর্জি। এখানে আমি আপনাদের বাধা দেওয়ার কে?’ এ সময় তিনি জানান, তাঁর রাজ্যের বাসিন্দারা যখন যেখানে খুশি যেতে পারবে।
কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্নাটকের মানুষের খাওয়া-পরার স্বাধীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘তাই পরিধান করুন, যা আপনাদের মন চায়। তাই খান, যা আপনার মন চায়। আমরাও যা খেতে মন চায়, আমি তাই খাব; আপনার যা খেতে মন চাইবে, আপনি তাই খাবেন। আমার পছন্দ ধুতি, তাই আমি এটি পরি। আপনার পছন্দ প্যান্ট-শার্ট, আপনি তাই পরবেন। এতে ভুলের কী আছে?’
এর আগে ২০২২ সালের শুরুতে তৎকালীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করে। যার ফলে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়। সে বছরের জানুয়ারিতে উদুপির একটি স্কুলের ছাত্রীরা শিক্ষকদের নির্দেশ থাকার পরও হিজাব ব্যবহার বাদ দিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন থেকেই এই হিজাব বিতর্ক শুরু। এরপর পাঁচ শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আদালত সরকারের অবস্থান বহাল রাখে।
সে সময় কর্নাটক হাইকোর্ট তাঁর রায়ে বলেছিল, হিজাব পরা ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের ড্রেস কোড নির্ধারণের অধিকার রাখে। পরে বিষয়টি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। তবে সেখানেও একটি বিভক্ত রায় দেওয়া হয়। সেখানে বিচারকেরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ড্রেস কোড নির্ধারণের অধিকার রাখে, তবে পোশাক পছন্দ করা ব্যক্তির একান্ত অধিকার।
২০২২ সালের জুনে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে এনডিটিভিকে বলেছিলেন, বিজেপি সরকারের আনা ‘যেসব আইন’ ‘পশ্চাৎপসরণমূলক’ বলে বিবেচিত হয়েছে, তা নতুন রাজ্য সরকার বাতিল করবে। এ সময় তিনি বিজেপির আনা হিজাব নিষিদ্ধ ও গোহত্যাবিরোধী আইনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অর্থনৈতিকভাবে কর্নাটকের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং রাজ্যকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে—এমন যেকোনো আইন পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনে বাতিল করা হবে।
ভারতের কর্নাটক রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করে যে আইন করা হয়েছিল, তা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে রাজ্যের কংগ্রেস সরকার। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্ধারামাইয়া গতকাল শুক্রবার এ ঘোষণা দিয়েছেন। রাজ্যে হিজাব নিষিদ্ধ করার আইন বাতিলে কোনো অসুবিধা নেই উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘যার যা খুশি সে তা-ই পরবে।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার মাইসোরে এক জনসভায় ভাষণ দিতে গিয়ে হিজাব নিষিদ্ধ করার আইন প্রসঙ্গে সিদ্ধারামাইয়া বলেন, ‘হিজাব নিষিদ্ধ আইন এখন আর কার্যকর নেই। (নারীরা) এখন চাইলে হিজাব পরতে পারবেন এবং যেখানে খুশি যেতে পারবেন। আমি এই আইন তুলে নেওয়ার আদেশ দিয়েছি।’
এ সময় কর্নাটকের এই মুখ্যমন্ত্রী ব্যক্তির পোশাক পরার স্বাধীনতা প্রসঙ্গে আরও বলেন, ‘আপনি কী খাবেন, কী পরবেন—এগুলো একান্তই আপনাদের নিজস্ব মর্জি। এখানে আমি আপনাদের বাধা দেওয়ার কে?’ এ সময় তিনি জানান, তাঁর রাজ্যের বাসিন্দারা যখন যেখানে খুশি যেতে পারবে।
কংগ্রেস থেকে নির্বাচিত এই মুখ্যমন্ত্রী বলেন, কর্নাটকের মানুষের খাওয়া-পরার স্বাধীনতা রয়েছে। তিনি বলেন, ‘তাই পরিধান করুন, যা আপনাদের মন চায়। তাই খান, যা আপনার মন চায়। আমরাও যা খেতে মন চায়, আমি তাই খাব; আপনার যা খেতে মন চাইবে, আপনি তাই খাবেন। আমার পছন্দ ধুতি, তাই আমি এটি পরি। আপনার পছন্দ প্যান্ট-শার্ট, আপনি তাই পরবেন। এতে ভুলের কী আছে?’
এর আগে ২০২২ সালের শুরুতে তৎকালীন বিজেপি সরকারের মুখ্যমন্ত্রী বাসবরাজ বোম্মাইয়ের নেতৃত্বের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধ করে। যার ফলে রাজ্যজুড়ে ব্যাপক বিক্ষোভ প্রতিবাদ শুরু হয়। সে বছরের জানুয়ারিতে উদুপির একটি স্কুলের ছাত্রীরা শিক্ষকদের নির্দেশ থাকার পরও হিজাব ব্যবহার বাদ দিতে অস্বীকৃতি জানান। তখন থেকেই এই হিজাব বিতর্ক শুরু। এরপর পাঁচ শিক্ষার্থী বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন। কিন্তু আদালত সরকারের অবস্থান বহাল রাখে।
সে সময় কর্নাটক হাইকোর্ট তাঁর রায়ে বলেছিল, হিজাব পরা ইসলামের বাধ্যতামূলক ধর্মীয় অনুশীলন নয় এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো তাদের শিক্ষার্থীদের ড্রেস কোড নির্ধারণের অধিকার রাখে। পরে বিষয়টি ভারতের সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ায়। তবে সেখানেও একটি বিভক্ত রায় দেওয়া হয়। সেখানে বিচারকেরা বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ড্রেস কোড নির্ধারণের অধিকার রাখে, তবে পোশাক পছন্দ করা ব্যক্তির একান্ত অধিকার।
২০২২ সালের জুনে কংগ্রেস সরকার ক্ষমতায় আসার পর কর্নাটকের মন্ত্রী প্রিয়াঙ্ক খাড়গে এনডিটিভিকে বলেছিলেন, বিজেপি সরকারের আনা ‘যেসব আইন’ ‘পশ্চাৎপসরণমূলক’ বলে বিবেচিত হয়েছে, তা নতুন রাজ্য সরকার বাতিল করবে। এ সময় তিনি বিজেপির আনা হিজাব নিষিদ্ধ ও গোহত্যাবিরোধী আইনের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, অর্থনৈতিকভাবে কর্নাটকের বৃদ্ধিকে বাধাগ্রস্ত করছে এবং রাজ্যকে পেছনের দিকে নিয়ে যাচ্ছে—এমন যেকোনো আইন পর্যালোচনা করা হবে এবং প্রয়োজনে বাতিল করা হবে।
যুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৭ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
২০ মিনিট আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন হামলার পর এবার সবার চোখ ইরানের দিকে। এই হামলার পাল্টা আঘাত হিসেবে কী করতে যাচ্ছে ইসলামি প্রজাতন্ত্রের এই দেশটি। ইসরায়েলি হামলায় শীর্ষ নেতাদের হারানো এবং নতুন করে দায়িত্ব সমর্পণ করে যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া খামেনি এবার মার্কিন আঘাতের পাল্টা জবাব কীভাবে দেবেন, সেটা দেখার অপেক্ষায় সবাই।
১ ঘণ্টা আগে