Ajker Patrika

ষড়যন্ত্রের অভিযোগ থালাপতি বিজয়ের, তদন্তে সিবিআইকে চান

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২০: ০২
২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গড়েন দক্ষিণি তারকা থালাপতি বিজয়। ছবি: পিটিআই
২০২৪ সালের ২ ফেব্রুয়ারি ‘তামিলাগা ভেটরি কাজাগম’ নামে একটি রাজনৈতিক দল গড়েন দক্ষিণি তারকা থালাপতি বিজয়। ছবি: পিটিআই

অভিনেতা ও রাজনীতিবিদ থালাপাতি বিজয়ের দল তামিলাগা ভেটরি কাজাগম (টিভিকে) অভিযোগ করেছে, তাঁদের র‍্যালিতে পদদলনের ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। গতকাল শনিবার তামিলনাড়ুর কারুর জেলার এ ঘটনায় ৪০ জন নিহত এবং প্রায় ১০০ জন আহত হয়েছেন। টিভিকের আইনজীবী আরিবালাগাম এনডিটিভিকে জানিয়েছেন, তাঁর দল মাদ্রাজ হাইকোর্টে একটি আবেদন করেছে। এই আবেদনে আদালতকে একটি স্পেশাল ইনভেস্টিগেশন টিম (এসআইটি) গঠন ও এই মামলা সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন বা সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তরের জন্য অনুরোধ জানানো হয়েছে।

আরিবালগাম এনডিটিভিকে বলেন, ‘আমরা আগামীকাল হাইকোর্টের মাদুরাই বেঞ্চে বিষয়টি উত্থাপন করব। কারুরের ঘটনাটি একটি ষড়যন্ত্র। তাই আমরা সম্মানিত হাইকোর্টের কাছে অনুরোধ করেছি, যাতে কোনো রাষ্ট্রীয় সংস্থা নয়, বরং স্বাধীনভাবে এ ঘটনার তদন্ত করা হয়।’ তিনি আরও বলেন, ‘আদালতের উচিত একটি বিশেষ তদন্ত কমিশন গঠন করা, অথবা মামলাটি তামিলনাড়ু পুলিশের কাছ থেকে সিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা উচিত।’

টিভিকে রাজ্য পুলিশের তদন্তের ওপর বিশ্বাস করে না কেন, এমন প্রশ্নের জবাবে আরিবালগাম বলেন, ‘এটি একটি ষড়যন্ত্র। আমরা স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে নির্ভরযোগ্য তথ্য পেয়েছি এবং আমাদের কাছে কিছু সিসিটিভি ফুটেজও রয়েছে। এগুলো যাচাই করলেই বোঝা যাবে, ক্ষমতাসীন দল আমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে এ ঘটনা ঘটিয়েছে।’

এদিকে, অল ইন্ডিয়া আন্না দ্রাবিড়া মুনেত্রা কাজাগম (এআইএডিএমকে) দলের প্রধান এডাপ্পাডি কে পলানিস্বামীও (ইপিএস) অভিনেতা থালাপাতি বিজয়ের র‍্যালিতে পদদলিত হয়ে মৃত্যুর পেছনে ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দিয়েছেন। আজ রোববার এ ঘটনায় হতাহতদের দেখতে তিনি হাসপাতালে যান। সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এই সন্দেহ প্রকাশ করেন।

পলানিস্বামী বলেন, ‘কিছু সংবাদমাধ্যমে এমন রিপোর্টও হয়েছে যে পদদলনের ঘটনা ঘটার আগেই ঘটনাস্থলে বেশ কিছু অ্যাম্বুলেন্সকে ছুটে আসতে দেখা গিয়েছিল। আবার র‍্যালিতে বিজয় তাঁর বক্তব্য শুরু করার কিছুক্ষণ পরেই লাইট বন্ধ হয়ে যায়। এই ব্যাপারগুলো বেশ অস্বাভাবিক। তাই এর পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত এবং জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।’

ছবি: এএফপি
ছবি: এএফপি

এডাপ্পাডি কে পলানিস্বামী এমন সময়ে এই বক্তব্য দিলেন, যখন বিভিন্ন ভারতীয় গণমাধ্যমে খবর এসেছে, ‘বিজয় যখন মঞ্চে দাঁড়িয়ে ডিএমকে সরকারের সমালোচনা করছিলেন, ঠিক সেই সময়েই তিনি অ্যাম্বুলেন্সগুলোকে ঘটনাস্থলে আসতে দেখেন।’ তখন তিনি সন্দেহ পোষণ করে জিজ্ঞেস করেন, ‘এগুলো কী, অ্যাম্বুলেন্সের ওপরে আমাদের পতাকা কেন?’ তবে কর্তৃপক্ষ এখনো নিশ্চিত করেনি, অ্যাম্বুলেন্সগুলো পদদলনের আগে না পরে এসেছিল।

এদিকে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য উইকের এক প্রতিবেদনে থেকে জানা গেছে, কারুরের ট্রাফিক জ্যামে আটকে পড়া অ্যাম্বুলেন্সচালকদের ওপর স্থানীয় জনতা হামলা করেছিল এবং তাঁদের চাবি ছিনিয়ে নেয়। ওয়ান ইন্ডিয়া তামিলের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এ ঘটনায় তিনজন চালক আহত হয়েছেন এবং তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

একজন অ্যাম্বুলেন্সচালক জানান, তাঁরা লোকজনকে উদ্ধার করতে এসেছিলেন, কিন্তু জনতা তাঁদের থামিয়ে দেয়। তিনি বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম মানুষ এখানে জীবন বাঁচাতে লড়াই করছে, কিন্তু তারা যদি আমাদের থামিয়ে দেয় এবং মারধর করে, তাহলে আমরা কী করব? পুলিশ এসে ভিড় নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছিল, কিন্তু তারা পুলিশের কথাও শোনেনি। তারা সাতটি অ্যাম্বুলেন্সের চাবি ছিনিয়ে নেয়।’

রাজ্য সরকারের সূত্র থেকে জানা গেছে, র‍্যালির স্থানে ধারণক্ষমতা ১০ হাজার হলেও প্রায় ২৭ হাজার মানুষ জড়ো হয়েছিল। সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো আরও দাবি করে, র‍্যালিতে ভিড় বাড়ানোর জন্য বিজয় ইচ্ছে করেই দুপুর থেকে সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত প্রায় সাত ঘণ্টা দেরি করে এসেছিলেন।

তবে এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে টিভিকের আইনজীবী আরিবালাগাম বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে দেরি হয়নি। রাস্তায় প্রচুর জ্যাম ছিল। সে কারণেই আমরা সময়মতো গন্তব্যে পৌঁছতে পারিনি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

দুর্গাপূজায় অপ্রীতিকর ঘটনার আশঙ্কা নিয়ে বিএনপি নেতার বিতর্কিত মন্তব্য

শিশুকে হত্যা করে সেপটিক ট্যাংকে ফেলে রাখেন স্কুলশিক্ষক চাচি: পুলিশ

হাজি সেলিমের আজিমপুরের বাড়িতে যৌথ বাহিনীর অভিযান, ৬টি বিলাসবহুল গাড়ি উদ্ধার

গ্যালারিতে বসে দেখার দিন শেষ, আমরা এখন নিজে খেলব: প্রধান উপদেষ্টা

সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেলের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা, যুবদল নেতা গ্রেপ্তার

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত