Ajker Patrika

‘চিকেনস নেক’ এলাকায় ভারতের সামরিক মহড়া, লক্ষ্য কি বাংলাদেশ

অনলাইন ডেস্ক
আপডেট : ১৫ মে ২০২৫, ২১: ৪৩
‘তিস্তা প্রহার’ সামরিক মহড়ার একটি দৃশ্য। ছবির উৎস: Chicken’s neck MoD INDIA
‘তিস্তা প্রহার’ সামরিক মহড়ার একটি দৃশ্য। ছবির উৎস: Chicken’s neck MoD INDIA

পশ্চিমবঙ্গে তিস্তা নদীর অববাহিকায় ‘যুদ্ধকালীন প্রস্তুতির অংশ’ হিসেবে সম্প্রতি ভারতের সামরিক বাহিনী পূর্ণাঙ্গ সামরিক মহড়া দেখিয়েছে। গত সপ্তাহে তিন দিন ধরে (৮ থেকে ১০ মে) তিস্তা ফিল্ড ফায়ারিং রেঞ্জে ‘তিস্তা প্রহার’ নামে এই মহড়া হয়।

মহড়ার জায়গাটি ভারতের তথাকথিত ‘চিকেনস নেক’ বা শিলিগুড়ি করিডরের খুব কাছে। উত্তর-পূর্ব ভারতকে বাকি দেশের সঙ্গে সংযুক্ত করা মাত্র ১৭ কিলোমিটার চওড়া সরু অংশটিকে চিকেনস নেক বলা হয়।

ভারতীয় সেনাবাহিনীর মুখপাত্র গুয়াহাটিতে আজ বৃহস্পতিবার এক অনুষ্ঠানে বলেন, ‘তিস্তা প্রহার মহড়ায় নদীবিধৌত অঞ্চলের চ্যালেঞ্জিং পরিবেশে বাহিনীর ‘যৌথ কম্ব্যাট স্ট্র্যাটেজি’ ও (যুদ্ধের) প্রস্তুতি দেখানো হয়েছে।’

সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি দাবি করেন, এই মহড়ায় আরও একবার ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের আধুনিক অস্ত্রশস্ত্র, ট্যাকটিক্যাল ড্রিল ও খুব দ্রুত অভিযান চালানোর ক্ষমতা দেখিয়েছে, যা তাদের উৎকর্ষ ও আধুনিকায়নের প্রমাণ।

সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে ‘তিস্তা প্রহার’ ঘিরে যেসব ভিডিও ও ছবি প্রকাশ করা হয়েছে, তাতে এই মহড়ায় আর্টিলারি ট্যাংক, হেলিকপ্টার, সারফেস-টু-এয়ার মিসাইল ও অত্যাধুনিক ড্রোন ব্যবহার করা হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে।

দিল্লিতে সেনাবাহিনীর একটি সূত্র বিবিসিকে বলে, এই মহড়াকে ঠিক ‘রুটিন এক্সারসাইজ’ বলা যাবে না, কারণ তিস্তার অববাহিকায় এই মাপের সামরিক মহড়া কিন্তু সাম্প্রতিককালের মধ্যে কখনোই হয়নি।

লন্ডনভিত্তিক ভূরাজনৈতিক বিশ্লেষক প্রিয়জিৎ দেব সরকার মনে করছেন, এই সামরিক মহড়ার মধ্যে দিয়ে ওই অঞ্চলের প্রতিবেশী দেশগুলোকে ভারত একটা বার্তা দিতে চেয়েছে।

বিবিসিকে প্রিয়জিৎ বলেন, এর মধ্যে একটা সূক্ষ্ণ প্ররোচনার উপাদানও হয়তো আছে, যেটা অবশ্যই বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূসের অন্তর্বর্তী সরকারকে খুশি করবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত