অনলাইন ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আজ রোববার (৩ আগস্ট) লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী একটি বিক্ষোভে। ‘মার্চ ফর হিউম্যানিটি’ নামে এই বিক্ষোভ মিছিল বিখ্যাত সিডনি হারবার ব্রিজের ওপর অবস্থান নেয়। অস্ট্রেলিয়ার সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের ভিত্তিতে শেষ মুহূর্তে এই মিছিলের বৈধতা দেয় প্রশাসন।
বিবিসি জানিয়েছে, এবার ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলটি ছিল ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড প্রাইড আয়োজনের পর হারবার ব্রিজে জনসমাবেশের প্রথম ঘটনা। আয়োজকেরা একে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড বহন করেন এবং যুদ্ধ বন্ধে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। ‘লজ্জা লজ্জা ইসরায়েল, লজ্জা লজ্জা আমেরিকা’ এবং ‘আমরা কী চাই? যুদ্ধবিরতি। আমরা এটা কখন চাই? এখনই’—এমন সব স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ব্রিজের পরিবেশ।
এই মিছিলে ছোট শিশুদের নিয়েও অংশ নেয় বহু পরিবার। অ্যালেক বেভিল নামের মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি বলেন, ‘গাজায় শিশুদের যে দুর্দশা, তা আমার তিন বছরের ছেলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
আরও এক বিক্ষোভকারী জারা উইলিয়ামস তাঁর সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন বিক্ষোভে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। একটি জনগোষ্ঠীকে যখন অনাহারে মারা হচ্ছে, আমরা তখন চুপচাপ থাকতে পারি না।’
উল্লেখ্য, বিক্ষোভ শুরুর দুই ঘণ্টা পর নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ একটি বার্তায় জানায়, জননিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলটি বন্ধ করতে হবে এবং সবাইকে শান্তভাবে শহরের দিকে ফিরতে অনুরোধ করা হয়। ব্রিজজুড়ে মোতায়েন করা হয় দাঙ্গা দমন বাহিনী।
এই সমাবেশের আয়োজক প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপ গত সপ্তাহে হারবার ব্রিজে মিছিলের জন্য আবেদন করেছিল। তবে পুলিশ যথাযথ ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার অভাব ও ভিড়জনিত নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অনুমোদন দেয়নি এবং আদালতে নিষেধাজ্ঞা চায়। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি বেলিন্ডা রিগ পুলিশের উদ্বেগকে যুক্তিসংগত বললেও তিনি জানান—গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের কারণে কেন এই বিক্ষোভ জরুরি, তা ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন আয়োজক জোশ লিস। তাই তিনি নিষেধাজ্ঞার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং সড়ক বন্ধ করে জনসমাবেশের অনুমতি দেন।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ফেডারেল এমপি এড হুসিক ও নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বব কারসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও এই মিছিলে অংশ নেন।
এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসের ইহুদি উপদেষ্টা বোর্ড আদালতের এই সিদ্ধান্তে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। কারণ, ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া তিনি অন্য দেশের প্রভাবে এই সিদ্ধান্ত নেবেন না।
অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে প্রবল বৃষ্টিকে উপেক্ষা করে আজ রোববার (৩ আগস্ট) লাখো মানুষ অংশ নিয়েছেন ফিলিস্তিনপন্থী একটি বিক্ষোভে। ‘মার্চ ফর হিউম্যানিটি’ নামে এই বিক্ষোভ মিছিল বিখ্যাত সিডনি হারবার ব্রিজের ওপর অবস্থান নেয়। অস্ট্রেলিয়ার সুপ্রিম কোর্টের অনুমোদনের ভিত্তিতে শেষ মুহূর্তে এই মিছিলের বৈধতা দেয় প্রশাসন।
বিবিসি জানিয়েছে, এবার ফিলিস্তিনপন্থী মিছিলটি ছিল ২০২৩ সালের ওয়ার্ল্ড প্রাইড আয়োজনের পর হারবার ব্রিজে জনসমাবেশের প্রথম ঘটনা। আয়োজকেরা একে ‘ঐতিহাসিক সিদ্ধান্ত’ বলে অভিহিত করেন। সমাবেশে অংশগ্রহণকারীরা প্ল্যাকার্ড বহন করেন এবং যুদ্ধ বন্ধে রাজনৈতিক নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান। ‘লজ্জা লজ্জা ইসরায়েল, লজ্জা লজ্জা আমেরিকা’ এবং ‘আমরা কী চাই? যুদ্ধবিরতি। আমরা এটা কখন চাই? এখনই’—এমন সব স্লোগানে মুখর হয়ে ওঠে ব্রিজের পরিবেশ।
এই মিছিলে ছোট শিশুদের নিয়েও অংশ নেয় বহু পরিবার। অ্যালেক বেভিল নামের মিছিলে অংশগ্রহণকারী এক ব্যক্তি বলেন, ‘গাজায় শিশুদের যে দুর্দশা, তা আমার তিন বছরের ছেলের সঙ্গে মিলিয়ে দেখি। এটা আমাদের সবার দায়িত্ব।’
আরও এক বিক্ষোভকারী জারা উইলিয়ামস তাঁর সন্তানকে নিয়ে এসেছিলেন বিক্ষোভে। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার ইসরায়েলের বিরুদ্ধে কার্যকর কোনো নিষেধাজ্ঞা দেয়নি। একটি জনগোষ্ঠীকে যখন অনাহারে মারা হচ্ছে, আমরা তখন চুপচাপ থাকতে পারি না।’
উল্লেখ্য, বিক্ষোভ শুরুর দুই ঘণ্টা পর নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ একটি বার্তায় জানায়, জননিরাপত্তার স্বার্থে মিছিলটি বন্ধ করতে হবে এবং সবাইকে শান্তভাবে শহরের দিকে ফিরতে অনুরোধ করা হয়। ব্রিজজুড়ে মোতায়েন করা হয় দাঙ্গা দমন বাহিনী।
এই সমাবেশের আয়োজক প্যালেস্টাইন অ্যাকশন গ্রুপ গত সপ্তাহে হারবার ব্রিজে মিছিলের জন্য আবেদন করেছিল। তবে পুলিশ যথাযথ ট্র্যাফিক ব্যবস্থাপনার অভাব ও ভিড়জনিত নিরাপত্তা উদ্বেগের কারণে অনুমোদন দেয়নি এবং আদালতে নিষেধাজ্ঞা চায়। শেষ পর্যন্ত বিচারপতি বেলিন্ডা রিগ পুলিশের উদ্বেগকে যুক্তিসংগত বললেও তিনি জানান—গাজায় মানবিক বিপর্যয়ের কারণে কেন এই বিক্ষোভ জরুরি, তা ভালোভাবেই ব্যাখ্যা করেছেন আয়োজক জোশ লিস। তাই তিনি নিষেধাজ্ঞার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন এবং সড়ক বন্ধ করে জনসমাবেশের অনুমতি দেন।
উইকিলিকসের প্রতিষ্ঠাতা জুলিয়ান অ্যাসাঞ্জ, ফেডারেল এমপি এড হুসিক ও নিউ সাউথ ওয়েলসের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বব কারসহ বেশ কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিও এই মিছিলে অংশ নেন।
এদিকে নিউ সাউথ ওয়েলসের ইহুদি উপদেষ্টা বোর্ড আদালতের এই সিদ্ধান্তে ‘হতাশা’ প্রকাশ করেছে। ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নে অস্ট্রেলিয়া বর্তমানে আন্তর্জাতিক চাপের মুখে রয়েছে। কারণ, ফ্রান্স, কানাডা ও যুক্তরাজ্য ফিলিস্তিন রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্থনি আলবানিজ জানিয়েছেন, ইসরায়েলের নিরাপত্তার নিশ্চয়তা ছাড়া তিনি অন্য দেশের প্রভাবে এই সিদ্ধান্ত নেবেন না।
নানা অজুহাতে নিজে দেশের নাগরিকদেরই বাংলাদেশে ঠেলে পাঠাচ্ছে ভারতের বিজেপি সরকার। পশ্চিমবঙ্গ, আসামসহ বাঙালি অধ্যুষিত বিভিন্ন রাজ্যে এখন বাংলাদেশে ফেরত পাঠানোর আতঙ্কে আছেন বহু মানুষ। এই ভয়ে কলকাতায় এক ব্যক্তি আত্মহত্যা করেছেন।
২১ মিনিট আগেশাখা কাসেম ব্রিগেডের মুখপাত্র আবু ওবেইদা এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, হামাস যোদ্ধা এবং গাজার বেসামরিক নাগরিকেরা যা খায়, জিম্মিরাও তা-ই খায়। রেড ক্রসের আহ্বানকে স্বাগত জানালেও তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, গাজার সব মানুষ যেমন আছে জিম্মিরা তেমনই থাকবে। কোনো বিশেষ সুবিধা তাদের দেওয়া হবে না।
২৮ মিনিট আগেইয়েমেন উপকূলে নৌকা ডুবে অন্তত ৬৮ জন অভিবাসনপ্রত্যাশীর মৃত্যু হয়েছে এবং আরও ৭৪ জন নিখোঁজ রয়েছেন বলে জানিয়েছে জাতিসংঘের অভিবাসন সংস্থা। বিবিসির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, গতকাল রোববার বৈরী আবহাওয়ার...
১ ঘণ্টা আগেইরানের তেল, গ্যাস ও পেট্রোকেমিক্যাল স্থাপনাগুলোতে সাম্প্রতিক সময়ে ঘন ঘন অগ্নিকাণ্ড এবং বিস্ফোরণকে ‘অস্বাভাবিক ও বিপজ্জনক’ হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন দেশটির একজন জ্যেষ্ঠ সংসদ সদস্য। এসবের মধ্যে অন্তত কিছু ঘটনার জন্য তিনি ইসরায়েলের সম্ভাব্য তৎপরতাকে দায়ী করেছেন।
১১ ঘণ্টা আগে