প্রতিনিধি, কলকাতা
লড়াই দিয়েই শুরু। এখনও লড়াকু ইমেজই তাঁর পুঁজি। এবারের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে নিজের ৬৬ বছর বয়সেও লড়াইটা যে তিনি ছাড়েননি সেটা ভালো করেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আজ নন্দীগ্রামে 'অগ্নিকন্যা'র অগ্নিপরীক্ষা। জিতুন বা হারুন, বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের তারকা নেতাদের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে পুরোদমে নিজের ইমেজ বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছেন মমতা।
তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাদের পাশাপাশি হাতে গড়া নিজের দলের নেতারাও কোমর বেঁধে নেমেছেন। তাতেও পরোয়া নেই। একা লড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের সরকার রক্ষায়।
মমতা নিজেই বলেছেন, ২৯৪ আসনে এবার তিনিই প্রার্থী। তাঁকে দেখেই ভোট দিতে বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে। সম্প্রতি পা ভেঙেছে। সেই ভাঙা পা নিয়েই গোটা রাজ্যে তিনিই প্রচারের একমাত্র তারকা মুখ।
নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে প্রচারের গ্লামারের অভাব নেই বিজেপির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নন্দীগ্রামে এসেছেন। অমিত শাহ থেকে মিঠুন চক্রবর্তী, সকলেই মরিয়া 'দিদি'কে হারাতে। তিনি একাই দূর্গ আগলে রেখেছেন।
আসলে মমতার উত্থানই তো টালির চালা ঘর থেকে লড়াইয়ের মাধ্যমেই। সাতের দশকে ভারতের প্রবাদপ্রতিম জননেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ির ব্রেনেডে নেচে প্রচারের আলোয় আসেন তিনি।
১৯৮৪ সালে সিপিএমের হেভিওয়েট নেতা সোমনাথ চ্যাটার্জিকে বামদূর্গ বলে পরিচিত যাদবপুরে হারিয়ে পাকা জায়গা করে নেন পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে। কিন্তু লড়াইটা তিনি ছাড়েননি। ১৯৮৯ সালে যাদপুরে হারলেও লড়াইয়ে ফিরে এসেছেন স্বদর্পে।
সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আঘাত এসেছে বহুবার। দমেননি। কংগ্রেসে থেকে লড়াইয়ে বাধা এসেছে। তিনি নিজেই গঠন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সাল থেকে তাঁর দলই ক্ষমতায়।
আজ নন্দীগ্রামের দিকে তাকিয়ে গোটা ভারত। এমনকী, আন্তর্জাতিক দুনিয়ারও নজর নন্দীগ্রামে। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী ভোটে লড়ছেন এখানে। এই সেই নন্দীগ্রাম যেখান থেকে তৃণমূলের উত্তরণ শুরু।
২০০৭ সালে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনে পুলিশি গুলিচালনায় ১৪ জনের মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। সঙ্গে যুক্ত হয় সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন। সেই আন্দোলনেই পতন ঘটে ৩৫ বছরের বাম শাসনের।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে স্থানীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবার বিজেপি শিবিরে। গতবার নন্দীগ্রাম থেকেই তৃণমূলের টিকিটে জিতে মমতার মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এখন বদলবদল করে তিনিই মরিয়া সাবেক নেত্রীকে হারাতে।
হার অবশ্য মমতার একবারই হয়েছিল। সেই ২০১৯-এ। এবার কী হবে, বোঝা যাবে ২ মে। সেদিনই গণনা। আজ হচ্ছে ভোট। দু-পক্ষই কিন্তু লড়াউয়ের ময়দানে রয়েছে। রয়েছেন বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের প্রার্থী মিনাক্ষী মুখার্জিও।
কিন্তু তিনি মমতা ব্যানার্জি। নিজে গত দিন দশকে একটি নির্বাচনেও হারেননি। এবার নন্দীগ্রামে হারলে অবশ্যই নতুন রেকর্ড হবে। তিনি নিজেও সেটা জানেন। তাই ভোটের আগে থেকেই মাটি কামড়ে পড়ে আছেন নন্দীগ্রামে।
কলকাতার ভবানীপুর মমতার নিজের কেন্দ্র। সেখান থেকেই তিনি প্রতিবার জয়লাভ করেন। এমনকী, লোকসভায় বহুবার সদস্য হয়েছে দক্ষিণ কলকাতা থেকেই। এবারই ব্যতিক্রম।
কলকাতা থেকে ৭০ কিমি দুরে নন্দীগ্রামে নিজেই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ তিনি মমতা ব্যানার্জি। ক্ষমতায় থেকেও লড়াই তাঁর মজ্জাগত। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই বিজেপিকে তাঁর বার্তা, 'ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে খেলা হবে।'
ভাঙা পা দেখিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে খেলছেন তিনি। যেই জিতুক, লড়াইয়ে কিন্তু খামতি নেই মমতার।
লড়াই দিয়েই শুরু। এখনও লড়াকু ইমেজই তাঁর পুঁজি। এবারের পশ্চিমবঙ্গ নির্বাচনে নিজের ৬৬ বছর বয়সেও লড়াইটা যে তিনি ছাড়েননি সেটা ভালো করেই বুঝিয়ে দিচ্ছেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
আজ নন্দীগ্রামে 'অগ্নিকন্যা'র অগ্নিপরীক্ষা। জিতুন বা হারুন, বিজেপির মতো সর্বভারতীয় দলের তারকা নেতাদের বিরুদ্ধে ভোটযুদ্ধে পুরোদমে নিজের ইমেজ বাজি রেখে লড়ে যাচ্ছেন মমতা।
তাঁর বিরুদ্ধে বিজেপির সর্বভারতীয় নেতাদের পাশাপাশি হাতে গড়া নিজের দলের নেতারাও কোমর বেঁধে নেমেছেন। তাতেও পরোয়া নেই। একা লড়ে যাচ্ছেন তৃণমূলের সরকার রক্ষায়।
মমতা নিজেই বলেছেন, ২৯৪ আসনে এবার তিনিই প্রার্থী। তাঁকে দেখেই ভোট দিতে বলেছেন পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে। সম্প্রতি পা ভেঙেছে। সেই ভাঙা পা নিয়েই গোটা রাজ্যে তিনিই প্রচারের একমাত্র তারকা মুখ।
নন্দীগ্রামে তাঁকে হারাতে প্রচারের গ্লামারের অভাব নেই বিজেপির। খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি নন্দীগ্রামে এসেছেন। অমিত শাহ থেকে মিঠুন চক্রবর্তী, সকলেই মরিয়া 'দিদি'কে হারাতে। তিনি একাই দূর্গ আগলে রেখেছেন।
আসলে মমতার উত্থানই তো টালির চালা ঘর থেকে লড়াইয়ের মাধ্যমেই। সাতের দশকে ভারতের প্রবাদপ্রতিম জননেতা জয়প্রকাশ নারায়ণের গাড়ির ব্রেনেডে নেচে প্রচারের আলোয় আসেন তিনি।
১৯৮৪ সালে সিপিএমের হেভিওয়েট নেতা সোমনাথ চ্যাটার্জিকে বামদূর্গ বলে পরিচিত যাদবপুরে হারিয়ে পাকা জায়গা করে নেন পশ্চিমবঙ্গের গণমাধ্যমে। কিন্তু লড়াইটা তিনি ছাড়েননি। ১৯৮৯ সালে যাদপুরে হারলেও লড়াইয়ে ফিরে এসেছেন স্বদর্পে।
সিপিএমের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়ে আঘাত এসেছে বহুবার। দমেননি। কংগ্রেসে থেকে লড়াইয়ে বাধা এসেছে। তিনি নিজেই গঠন করেছেন তৃণমূল কংগ্রেস। ২০১১ সাল থেকে তাঁর দলই ক্ষমতায়।
আজ নন্দীগ্রামের দিকে তাকিয়ে গোটা ভারত। এমনকী, আন্তর্জাতিক দুনিয়ারও নজর নন্দীগ্রামে। পশ্চিমবঙ্গের প্রথম নারী মুখ্যমন্ত্রী ভোটে লড়ছেন এখানে। এই সেই নন্দীগ্রাম যেখান থেকে তৃণমূলের উত্তরণ শুরু।
২০০৭ সালে ভূমি উচ্ছেদ কমিটির আন্দোলনে পুলিশি গুলিচালনায় ১৪ জনের মৃত্যুর অভিযোগকে ঘিরে রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়ে ওঠে। সঙ্গে যুক্ত হয় সিঙ্গুরের জমি আন্দোলন। সেই আন্দোলনেই পতন ঘটে ৩৫ বছরের বাম শাসনের।
নন্দীগ্রাম আন্দোলনে স্থানীয় নেতা শুভেন্দু অধিকারী এবার বিজেপি শিবিরে। গতবার নন্দীগ্রাম থেকেই তৃণমূলের টিকিটে জিতে মমতার মন্ত্রী হয়েছিলেন তিনি। এখন বদলবদল করে তিনিই মরিয়া সাবেক নেত্রীকে হারাতে।
হার অবশ্য মমতার একবারই হয়েছিল। সেই ২০১৯-এ। এবার কী হবে, বোঝা যাবে ২ মে। সেদিনই গণনা। আজ হচ্ছে ভোট। দু-পক্ষই কিন্তু লড়াউয়ের ময়দানে রয়েছে। রয়েছেন বাম-কংগ্রেস-আইএসএফ জোটের প্রার্থী মিনাক্ষী মুখার্জিও।
কিন্তু তিনি মমতা ব্যানার্জি। নিজে গত দিন দশকে একটি নির্বাচনেও হারেননি। এবার নন্দীগ্রামে হারলে অবশ্যই নতুন রেকর্ড হবে। তিনি নিজেও সেটা জানেন। তাই ভোটের আগে থেকেই মাটি কামড়ে পড়ে আছেন নন্দীগ্রামে।
কলকাতার ভবানীপুর মমতার নিজের কেন্দ্র। সেখান থেকেই তিনি প্রতিবার জয়লাভ করেন। এমনকী, লোকসভায় বহুবার সদস্য হয়েছে দক্ষিণ কলকাতা থেকেই। এবারই ব্যতিক্রম।
কলকাতা থেকে ৭০ কিমি দুরে নন্দীগ্রামে নিজেই ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। কারণ তিনি মমতা ব্যানার্জি। ক্ষমতায় থেকেও লড়াই তাঁর মজ্জাগত। নন্দীগ্রামে দাঁড়িয়েই বিজেপিকে তাঁর বার্তা, 'ইঞ্চিতে ইঞ্চিতে খেলা হবে।'
ভাঙা পা দেখিয়েই বিজেপির বিরুদ্ধে খেলছেন তিনি। যেই জিতুক, লড়াইয়ে কিন্তু খামতি নেই মমতার।
ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন ১০০ দিন হলো। সম্প্রতি তিনি বেশ জমকালোভাবেই তাঁর ১০০তম দিন পূর্তি উদ্যাপন করেছেন। অনুষ্ঠানে তিনি অভিযোগ করেছেন, তাঁর ক্ষমতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। তবে কোনো কিছুই তাঁকে ‘থামাতে পারবে না।’
২৫ মিনিট আগেএকজন স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠাতা সম্প্রতি ভারতে একটি পাসপোর্ট অফিসে গিয়েছিলেন। সেখানে থ্রি–কোয়ার্টার পরার কারণে এক যুবককে ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি বলে একটি ভিডিও তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন। এরপরই এ নিয়ে আলোচনা–সমালোচনার ঝড় বয়ে যাচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেগত ১২ বছরেরও বেশি সময় ধরে খেমকাকে মূলত ‘লো–প্রোফাইল’ বা কম গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত দপ্তরগুলোতেই পদায়ন করা হয়েছে। কর্মজীবনে তিনি চারবার শুধু রাজ্য সরকারের আর্কাইভস দপ্তরেই কাজ করেছে। চারবারের তিনবারই বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের আমলে।
১ ঘণ্টা আগেজম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলায় ২৬ জন নিহত হওয়ার পর ভারত এবং পাকিস্তান পাল্টাপাল্টি কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে। দুই দেশের বাণিজ্য বন্ধ। কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করা হয়েছে। সিন্দু পানি বণ্টন চুক্তি স্থগিত করেছে ভারত, অপর দিকে সিমলা চুক্তি স্থগিত করেছে পাকিস্তান।
৩ ঘণ্টা আগে