আবারও বাধার মুখে ভারতের উত্তরাখন্ডের টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ। গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও বাধাগ্রস্ত হয় উদ্ধারকাজ। এবার বিপদের মাত্রা একটু বেশিই। কারণ, যে অগার মেশিন দিয়ে ড্রিল করা হচ্ছিল, সেই মেশিনই এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ধসের পর পেরিয়ে গেছে ১৩ দিন।
শুরুর দিন থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে গতকাল উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আর মাত্র ১০ থেকে ১২ মিটার খুঁড়তে পারলেই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
উদ্ধারকারীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, মাত্র দুই দিনের মধ্যে পরপর দুটি বাধা পাওয়ার বিষয়টি আশা করা হয়নি। দ্বিতীয় বাধাটি এতটাই শক্ত যে, ড্রিলকারী অগার মেশিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে অগার মেশিনটি মেরামতের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়। আপাতত উদ্ধারকাজ স্থগিত রয়েছে।
এদিকে, উদ্ধারকাজ বন্ধ হওয়ার আগে ধসে পড়া অংশে ৪৬ দশমিক ৮ মিটার পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৩ মিটার ব্যাসের একটি লোহার পাইপ প্রবেশ করানো হয়। তবে শ্রমিকদের সামনে টানেলে বিধ্বস্ত অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ মিটার। ফলে আরও বেশ কিছু পরিমাণ পথ পাড়ি দিতে হবে পাইপটি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপের মাধ্যমে খাবার, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। এই পাইপকে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ৫৭ মিটার পাড়ি দিতে হয়েছে।
এর আগে টানেল ধসে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে বড় পাইপের মাধ্যমে স্ট্রেচার দিয়ে উদ্ধার করা হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা। পাইপটি এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ড্রিলের কাজ চলছে। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল।
উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের হামাগুড়ির মাধ্যমে বের করে আনার বিকল্পও চিন্তা করেছিল। তবে তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় এই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। কারওয়াল পিটিআইকে বলেন, এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরা প্রথমে পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবেন। তারপর একে একে শ্রমিকদের স্ট্রেচারে শুইয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বের করে আনবেন। শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছাতে অগার মেশিনের মাধ্যমে ড্রিল করার পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ বসানো হচ্ছে। একটি পাইপ সম্পূর্ণ বসে গেলে অন্যটি এটিতে ঢালাই করা হয়। এভাবে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
কারওয়াল বলেন, পরবর্তী পাইপটি এখন ঢালাই করা হচ্ছে। আমরা এখন আরও দুটি পাইপ ড্রিল করার পরিকল্পনা করছি, যাতে আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত পাইপটি ৮০০ মিলিমিটার ব্যাসের এবং প্রশস্তে প্রায় ৩২ ইঞ্চি। এটি শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া পাইপটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন স্ট্রেচার চলাচলের পথে কোনো বাধা না পড়ে। পাশাপাশি এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরাও ইতিমধ্যে মহড়া চালিয়েছেন।
আবারও বাধার মুখে ভারতের উত্তরাখন্ডের টানেলে আটকে পড়া শ্রমিকদের উদ্ধারকাজ। গত বৃহস্পতিবার রাতের পর গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় আবারও বাধাগ্রস্ত হয় উদ্ধারকাজ। এবার বিপদের মাত্রা একটু বেশিই। কারণ, যে অগার মেশিন দিয়ে ড্রিল করা হচ্ছিল, সেই মেশিনই এবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গত ১২ নভেম্বর সকালে ব্রহ্মখাল-য়ামুনোত্রী মহাসড়কে নির্মাণাধীন টানেলে এই ধসের ঘটনা ঘটে। এই টানেলের দৈর্ঘ্য প্রায় সাড়ে চার কিলোমিটার। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, ভূমিধসের কারণে এই টানেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সেই ধসের পর পেরিয়ে গেছে ১৩ দিন।
শুরুর দিন থেকেই শ্রমিকদের উদ্ধারে ধ্বংসস্তূপের মধ্য দিয়ে সুড়ঙ্গ খুঁড়ে এগিয়ে যাচ্ছেন উদ্ধারকর্মীরা। কিন্তু এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হয়নি। তবে গতকাল উদ্ধারকাজের সঙ্গে যুক্ত ভারত সরকারের এক শীর্ষ কর্মকর্তা জানিয়েছিলেন, আর মাত্র ১০ থেকে ১২ মিটার খুঁড়তে পারলেই আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানো সম্ভব হবে।
উদ্ধারকারীরা শুক্রবার সন্ধ্যায় জানিয়েছেন, মাত্র দুই দিনের মধ্যে পরপর দুটি বাধা পাওয়ার বিষয়টি আশা করা হয়নি। দ্বিতীয় বাধাটি এতটাই শক্ত যে, ড্রিলকারী অগার মেশিনটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পরে অগার মেশিনটি মেরামতের জন্য সরিয়ে নেওয়া হয়। আপাতত উদ্ধারকাজ স্থগিত রয়েছে।
এদিকে, উদ্ধারকাজ বন্ধ হওয়ার আগে ধসে পড়া অংশে ৪৬ দশমিক ৮ মিটার পর্যন্ত প্রায় পৌনে ৩ মিটার ব্যাসের একটি লোহার পাইপ প্রবেশ করানো হয়। তবে শ্রমিকদের সামনে টানেলে বিধ্বস্ত অংশের দৈর্ঘ্য প্রায় ৬০ মিটার। ফলে আরও বেশ কিছু পরিমাণ পথ পাড়ি দিতে হবে পাইপটি শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য। তবে আটকে পড়া শ্রমিকদের কাছে ৬ ইঞ্চি ব্যাসের একটি পাইপের মাধ্যমে খাবার, পানি ও অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী পাঠানো হচ্ছে। এই পাইপকে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ৫৭ মিটার পাড়ি দিতে হয়েছে।
এর আগে টানেল ধসে আটকে পড়া ৪১ শ্রমিককে বড় পাইপের মাধ্যমে স্ট্রেচার দিয়ে উদ্ধার করা হবে বলে জানান এক কর্মকর্তা। পাইপটি এখনো তাঁদের কাছে পৌঁছানোর জন্য ড্রিলের কাজ চলছে। ভারতের বার্তা সংস্থা পিটিআইকে এ তথ্য জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের (এনডিআরএফ) মহাপরিচালক অতুল কারওয়াল।
উদ্ধারকারীরা শ্রমিকদের হামাগুড়ির মাধ্যমে বের করে আনার বিকল্পও চিন্তা করেছিল। তবে তাঁদের স্বাস্থ্যের অবস্থা বিবেচনায় এই পরিকল্পনা বাদ দেওয়া হয়। কারওয়াল পিটিআইকে বলেন, এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরা প্রথমে পাইপের মাধ্যমে শ্রমিকদের কাছে পৌঁছাবেন। তারপর একে একে শ্রমিকদের স্ট্রেচারে শুইয়ে দড়ি দিয়ে টেনে বের করে আনবেন। শ্রমিকদের কাছে পাইপ পৌঁছাতে অগার মেশিনের মাধ্যমে ড্রিল করার পাশাপাশি ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে পাইপ বসানো হচ্ছে। একটি পাইপ সম্পূর্ণ বসে গেলে অন্যটি এটিতে ঢালাই করা হয়। এভাবে আটকে পড়া শ্রমিকদের বের করে আনার পথ তৈরি করা হচ্ছে।
কারওয়াল বলেন, পরবর্তী পাইপটি এখন ঢালাই করা হচ্ছে। আমরা এখন আরও দুটি পাইপ ড্রিল করার পরিকল্পনা করছি, যাতে আমরা ধ্বংসস্তূপ সরিয়ে ৬০ মিটার দৈর্ঘ্য পর্যন্ত পৌঁছাতে পারি। তিনি আরও বলেন, শ্রমিকদের উদ্ধারকাজে ব্যবহৃত পাইপটি ৮০০ মিলিমিটার ব্যাসের এবং প্রশস্তে প্রায় ৩২ ইঞ্চি। এটি শ্রমিকদের বের করে আনার জন্য যথেষ্ট। এ ছাড়া পাইপটি এমনভাবে তৈরি করা হচ্ছে, যেন স্ট্রেচার চলাচলের পথে কোনো বাধা না পড়ে। পাশাপাশি এনডিআরএফের উদ্ধারকারীরাও ইতিমধ্যে মহড়া চালিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
২ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
১ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
১ ঘণ্টা আগেইরানের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর যুক্তরাষ্ট্রের হামলার পর প্রথম প্রকাশ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাকচি। তিনি এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন, জাতিসংঘ সনদ এবং পারমাণবিক অস্ত্র বিস্তার রোধ চুক্তির (এনপিটি) গুরুতর লঙ্ঘন বলে আখ্যা দিয়েছেন। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন—এই
২ ঘণ্টা আগে