আজকের পত্রিকা ডেস্ক

২০০৬ সাল। দিল্লির অদূরে নয়ডার এক বাংলোর পাশের নর্দমায় পাওয়া গেল হাড় ও দেহাংশ। এরপর আরও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো প্রায় ১৯ জন নারী-শিশুর কঙ্কাল ও দেহাংশ। আটক করা হয় ওই বাংলোর মালিক ও গৃহকর্মীকে। প্রকাশ্যে আসে প্রায় দুই বছর ধরে নিঠারি বস্তি থেকে একের পর এক শিশু ও নারী নিখোঁজের তথ্য। এই ঘটনা নাড়িয়ে দেয় পুরো ভারতকে।

বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের ও গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলির বিরুদ্ধে হত্যা, নরমাংস ভক্ষণ ও মৃতদেহের প্রতি বিকৃত আচরণের অভিযোগ ওঠে। ১৩টি মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকারও করেন তারা। কারাগারে ঠাঁই হয় তাদের। দুইজনকেই ধর্ষণ ও হত্যার দণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় বছরের পর বছর কাটতে থাকে তাদের।
এর প্রায় ২০ বছর পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে ‘নিঠারি হত্যাকাণ্ড’।
২০০৬ সালে ডিসেম্বরে হওয়া ওই মামলায় তথ্যপ্রমাণের অপর্যাপ্ততা উল্লেখ করে মালিক মনিন্দরকে ২০২৩ সালে খালাস করা হয়। এবার একই কারণ দেখিয়ে গত ১২ নভেম্বর বেকসুর খালাস দেওয়া হলো গৃহকর্মী সুরিন্দরকে। আদালতে সুরিন্দর দাবি করেন, নির্যাতন করে তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল। এই দাবিকে গ্রাহ্য করে এবং তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় খালাস পান তিনি।

এই বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে নিঠারিবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘যদি মনিন্দর আর সুরিন্দর দোষী না-ই হয়, তাহলে আমাদের সন্তানদের হত্যা করল কে?’
নিঠারির বাসিন্দারা সমাজের হতদরিদ্র বা দিনমজুর সমাজের মানুষ। এই বিভীষিকা ভুলতে নিঠারি বস্তি ছেড়ে অনত্র চলে গিয়েছেন অনেকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে কিছু বলার মতো বা মামলায় লড়াই করার মতোও তাদের এখন আর সামর্থ্যে কুলাচ্ছে না।
২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিখোঁজ হয় নিঠারির বাসিন্দা ১০ বছর বয়সী জ্যোতি। নয়ডার ওই বাংলোর পাশে পাওয়া কঙ্কাল ও দেহাংশর ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় জ্যোতিও এই হত্যাকাণ্ডের শিকার। রায় শুনে তার মা সুনীতা কানৌজিয়া অশ্রুসজল চোখে প্রশ্ন করেন, ‘তারা যদি নির্দোষই হয়ে থাকে, তাহলে কেন ১৮ বছর জেলে থাকতে হলো? তিনি বলতে থাকেন, ‘যারা আমার জ্যোতিকে হত্যা করেছে, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করবেন না।’
জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লাল কানৌজিয়া এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শুরু থেকে সাহায্য করেছিলেন। সুরিন্দরের খালাসের খবর শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। এত বছর ধরে মামলার জন্য সংগ্রহ করা সব তথ্যপ্রমাণ জ্বালিয়ে দেন।

মেয়ের নিখোঁজের পর ১৫ মাস ধরে নিয়মিত থানায় ধরনা দিয়েছেন ঝাব্বু লাল। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ সংগ্রহ করতে বছরের পর বছর মনিন্দরের বাংলোর পাশে কাপড় ইস্ত্রি করার কাজ করেছেন তিনি।
ঝাব্বু লাল বলেন, ‘কেউ হারিয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না। এটা সারাজীবনের ক্ষত হয়ে থেকে যায়। আর যন্ত্রণা দিয়ে যায়। সবসময় মাথায় ঘুরতে থাকে, তারা কোথায় আছে, কেমন আছে?’
তাঁর মনে এখন বারবার এই প্রশ্নই আসে, ‘যদি তারা দোষী না হয়, তাহলে দোষী কে? আর আমাদের সন্তানদের ভাগ্যে তখন কি ঘটেছিল?’
দোষী সাব্যস্ত দুজনেরই এমনভাবে মুক্তি মানসিক শান্তি কেড়ে নিয়েছে জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লালের। পুরনো ক্ষতগুলো আবারও যেন রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আর কোনো লড়াই বাকি আছে কি না জানি না। আমি এক বৃদ্ধ মানুষ। ভেঙে পড়েছি আমি।’
সুরিন্দরকে খালাসের আদেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘নিঠারিতে সংঘটিত অপরাধগুলো ছিল নৃশংস। পরিবারগুলোর যন্ত্রণার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা করা যায় না।’
২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। অন্যদিকে গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর থেকে একবারও প্রকাশ্যে আসেননি। এ নিয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি।
সুরিন্দরের খালাসের রায় দেওয়ার সময় বিচারকেরা বলেন, তার স্বীকারোক্তি থেকে ‘মনে হচ্ছিল, তাকে টিউটর করা হচ্ছে।’ হেফাজতে রাখার ৬০ দিন পর এই জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত সব প্রমাণই ছিল সাজানো বলে দাবি করেন তার আইনজীবী যুগ মোহিত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘১৯ বছর পার হয়েছে। যে ১৩টি মামলায় সুরিন্দরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ১২টিতেই তিনি ইতিমধ্যে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। একটি মামলা বাকি ছিল, যাতে পাঁচটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।’
সুরিন্দরের আইনজীবী পিটিআইকে বলেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলায় আগের চার-পাঁচটি রায়ও বাতিল করে দিয়েছে। অভিযোগগুলো ছিল অত্যন্ত গুরুতর, কিন্তু সব প্রমাণই সাজানো ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য এই অসহায় মানুষটিকে ফাঁসানো হয়েছিল। প্রতিটি প্রমাণ ছিল জাল। একটি প্রমাণও এমন ছিল না যা দিয়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যেত।’
যুগ মোহিত চৌধুরী আরও বলেন, ‘আপনাদের এ প্রশ্ন সিবিআইকে (ফেডারেল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) করা উচিত। কারণ এটা স্পষ্ট, সিবিআই আসল অপরাধী কে সেটা জানার পরও নির্দোষ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করে ফাঁসিয়েছে। সিবিআইকে এই প্রশ্নগুলো করুন।’
আদেশে তদন্তকারীরা তদন্তের নির্দেশনা অনুসরণ করেননি উল্লেখ করে আদালতও পুলিশ এবং তদন্ত সংস্থাগুলোকে সমালোচনা করেন। আদেশে বলা হয়, তদন্তকারীরা ‘সহজ পথ বেছে নিয়ে বাড়ির দরিদ্র গৃহকর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং তাকে ভয়ংকর রূপে উপস্থাপন করেছেন।’
জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লাল বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এমন পুলিশকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে না, ততক্ষণ আমরা ন্যায়ের সন্ধান পাব না।’
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের কাছে নিঠারির নিখোঁজ শিশু বিশেষ করে মেয়েদের অভিভাবকেরা যতবারই গিয়েছিলেন, তারা একই উত্তর দিয়েছেন যে তাদের মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে।
নিঠারির বাসিন্দা পাপ্পু লালের মেয়ে রচনা ২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল দাদা-দাদীকে দেখতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। পাপ্পু লাল জানান, মনিন্দরের বাংলোর দুই বাড়ি পরে থাকতেন রচনার দাদা-দাদি। ৮ বছরের ওই শিশুটির খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ বলে, তাদের মেয়ে হয়তো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে।
রচনার খোঁজে অন্যান্য শহর ও রাজ্যে গিয়েছেন পাপ্পু লাল। এর তাঁর এই খোঁজের অবসান ঘটে আট মাস পর, মনিন্দরের বাংলোর পেছনের গলি থেকে রচনার কাপড় ও জুতো উদ্ধারের মাধ্যমে।
পাপ্পু লাল বলেন, ‘যদি পুলিশ সময়মতো পদক্ষেপ নিত, রচনাকে বাঁচানো যেত। আরও অনেক শিশুকেও বাঁচানো যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখনো সেই দিনগুলো ভুলতে পারছি না। আমি পুলিশে গিয়ে নতুন অভিযোগ করব। তাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমাদের সন্তানদের কে হত্যা করেছে।’
ন্যায়বিচারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়াই এখন সরকারের সঙ্গে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদেরও আছে। আমাদের সন্তানরা কি ভারতের সন্তান নয়?’
তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সহায়তা করে আসা বেটার ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন চ্যারিটির অনুপম নাগোলিয়া মনে করছেন, এখন আর এই পরিবারগুলোর লড়াইয়ের পথ নেই। তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বেঞ্চ থেকে রায়টি এসেছে। এখন তাদের আপিল করার মতো আর কোনো জায়গা আমি দেখি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর হারানোর সদস্যদের কথা মনে করে কাঁদা ও শোক পালন করা আর কিছুই করার নেই।’
তবে কিছু আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, পরিবারগুলোর সামনে এখনো একটি শেষ বিকল্প আছে। তারা সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় তদন্তের নির্দেশনার জন্য আবেদন করতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি মদন লোকুর বলেন, ‘এই পথেও ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এতটা দিন পেরিয়ে গেছে। প্রমাণগুলো নিশ্চয়ই হারিয়ে গেছে। আর পুনরায় তদন্তের সম্ভাবনাও কার্যত অসম্ভব।’
আর নয়ডার ওই বাংলো এখন যেন পরিণত হয়েছে ‘হরর হাউস’-এ। ইট ও কাদামাটি দিয়ে দেয়াল তৈরি করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রবেশদ্বার। বোগেনভেলিয়া গাছের জঙ্গলে ছেয়ে গেছে স্যাঁতসেঁতে দেয়ালগুলো। গোলাপি বোগেনভেলিয়ায় সেজে থাকা পরিত্যক্ত বাংলোর পাশের সেই নর্দমায় এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগ-বোতল-কাদা আর বাতাসে তীব্র দুর্গন্ধ।
২০০৬ সালে ডিসেম্বরের তীব্র শীতের দিনে এই নর্দমায় আরও অনেকের সঙ্গে কঙ্কাল, হাড় ও দেহাংশ উদ্ধারের জন্য নেমেছিলেন জ্যোতির বাবা ঝাব্বুলাল। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত খুলি ছিল ১৯টির চেয়েও অনেক বেশি।
সূত্র: বিবিসি

২০০৬ সাল। দিল্লির অদূরে নয়ডার এক বাংলোর পাশের নর্দমায় পাওয়া গেল হাড় ও দেহাংশ। এরপর আরও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো প্রায় ১৯ জন নারী-শিশুর কঙ্কাল ও দেহাংশ। আটক করা হয় ওই বাংলোর মালিক ও গৃহকর্মীকে। প্রকাশ্যে আসে প্রায় দুই বছর ধরে নিঠারি বস্তি থেকে একের পর এক শিশু ও নারী নিখোঁজের তথ্য। এই ঘটনা নাড়িয়ে দেয় পুরো ভারতকে।

বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের ও গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলির বিরুদ্ধে হত্যা, নরমাংস ভক্ষণ ও মৃতদেহের প্রতি বিকৃত আচরণের অভিযোগ ওঠে। ১৩টি মামলা হয় তাদের বিরুদ্ধে। আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকারও করেন তারা। কারাগারে ঠাঁই হয় তাদের। দুইজনকেই ধর্ষণ ও হত্যার দণ্ডে দণ্ডিত করা হয় এবং মৃত্যুদণ্ডের অপেক্ষায় বছরের পর বছর কাটতে থাকে তাদের।
এর প্রায় ২০ বছর পর আবারও আলোচনায় উঠে এসেছে ‘নিঠারি হত্যাকাণ্ড’।
২০০৬ সালে ডিসেম্বরে হওয়া ওই মামলায় তথ্যপ্রমাণের অপর্যাপ্ততা উল্লেখ করে মালিক মনিন্দরকে ২০২৩ সালে খালাস করা হয়। এবার একই কারণ দেখিয়ে গত ১২ নভেম্বর বেকসুর খালাস দেওয়া হলো গৃহকর্মী সুরিন্দরকে। আদালতে সুরিন্দর দাবি করেন, নির্যাতন করে তাদের স্বীকারোক্তি আদায় করা হয়েছিল। এই দাবিকে গ্রাহ্য করে এবং তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় খালাস পান তিনি।

এই বেকসুর খালাস পাওয়ার খবরে নিঠারিবাসীর মনে এখন একটাই প্রশ্ন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে, ‘যদি মনিন্দর আর সুরিন্দর দোষী না-ই হয়, তাহলে আমাদের সন্তানদের হত্যা করল কে?’
নিঠারির বাসিন্দারা সমাজের হতদরিদ্র বা দিনমজুর সমাজের মানুষ। এই বিভীষিকা ভুলতে নিঠারি বস্তি ছেড়ে অনত্র চলে গিয়েছেন অনেকে। এই রায়ের বিরুদ্ধে কিছু বলার মতো বা মামলায় লড়াই করার মতোও তাদের এখন আর সামর্থ্যে কুলাচ্ছে না।
২০০৫ সালের গ্রীষ্মে নিখোঁজ হয় নিঠারির বাসিন্দা ১০ বছর বয়সী জ্যোতি। নয়ডার ওই বাংলোর পাশে পাওয়া কঙ্কাল ও দেহাংশর ডিএনএ পরীক্ষায় নিশ্চিত হয় জ্যোতিও এই হত্যাকাণ্ডের শিকার। রায় শুনে তার মা সুনীতা কানৌজিয়া অশ্রুসজল চোখে প্রশ্ন করেন, ‘তারা যদি নির্দোষই হয়ে থাকে, তাহলে কেন ১৮ বছর জেলে থাকতে হলো? তিনি বলতে থাকেন, ‘যারা আমার জ্যোতিকে হত্যা করেছে, ঈশ্বর তাদের ক্ষমা করবেন না।’
জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লাল কানৌজিয়া এই হত্যাকাণ্ডের তদন্তে শুরু থেকে সাহায্য করেছিলেন। সুরিন্দরের খালাসের খবর শুনে হতাশায় ভেঙে পড়েন তিনি। এত বছর ধরে মামলার জন্য সংগ্রহ করা সব তথ্যপ্রমাণ জ্বালিয়ে দেন।

মেয়ের নিখোঁজের পর ১৫ মাস ধরে নিয়মিত থানায় ধরনা দিয়েছেন ঝাব্বু লাল। এমনকি এই হত্যাকাণ্ডের প্রমাণ সংগ্রহ করতে বছরের পর বছর মনিন্দরের বাংলোর পাশে কাপড় ইস্ত্রি করার কাজ করেছেন তিনি।
ঝাব্বু লাল বলেন, ‘কেউ হারিয়ে গেলে আর কিছু করার থাকে না। এটা সারাজীবনের ক্ষত হয়ে থেকে যায়। আর যন্ত্রণা দিয়ে যায়। সবসময় মাথায় ঘুরতে থাকে, তারা কোথায় আছে, কেমন আছে?’
তাঁর মনে এখন বারবার এই প্রশ্নই আসে, ‘যদি তারা দোষী না হয়, তাহলে দোষী কে? আর আমাদের সন্তানদের ভাগ্যে তখন কি ঘটেছিল?’
দোষী সাব্যস্ত দুজনেরই এমনভাবে মুক্তি মানসিক শান্তি কেড়ে নিয়েছে জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লালের। পুরনো ক্ষতগুলো আবারও যেন রক্তাক্ত হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন, ‘আর কোনো লড়াই বাকি আছে কি না জানি না। আমি এক বৃদ্ধ মানুষ। ভেঙে পড়েছি আমি।’
সুরিন্দরকে খালাসের আদেশে সুপ্রিম কোর্ট বলেন, ‘নিঠারিতে সংঘটিত অপরাধগুলো ছিল নৃশংস। পরিবারগুলোর যন্ত্রণার সঙ্গে কোনো কিছুর তুলনা করা যায় না।’
২০২৩ সালে মুক্তি পাওয়ার পর বাংলোর মালিক মনিন্দর সিং পান্ধের বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে বারবার নিজেকে নির্দোষ দাবি করেছেন। অন্যদিকে গৃহকর্মী সুরিন্দর কোলি কারাগার থেকে বের হওয়ার পর থেকে একবারও প্রকাশ্যে আসেননি। এ নিয়ে কোনো মন্তব্যও করেননি।
সুরিন্দরের খালাসের রায় দেওয়ার সময় বিচারকেরা বলেন, তার স্বীকারোক্তি থেকে ‘মনে হচ্ছিল, তাকে টিউটর করা হচ্ছে।’ হেফাজতে রাখার ৬০ দিন পর এই জবানবন্দি নেওয়া হয়েছিল।
তার বিরুদ্ধে উপস্থাপিত সব প্রমাণই ছিল সাজানো বলে দাবি করেন তার আইনজীবী যুগ মোহিত চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘১৯ বছর পার হয়েছে। যে ১৩টি মামলায় সুরিন্দরকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছিল, তার মধ্যে ১২টিতেই তিনি ইতিমধ্যে নির্দোষ প্রমাণিত হয়েছেন। একটি মামলা বাকি ছিল, যাতে পাঁচটি আদালত তাকে দোষী সাব্যস্ত করে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছিল।’
সুরিন্দরের আইনজীবী পিটিআইকে বলেন, ‘আজ সুপ্রিম কোর্ট ওই মামলায় আগের চার-পাঁচটি রায়ও বাতিল করে দিয়েছে। অভিযোগগুলো ছিল অত্যন্ত গুরুতর, কিন্তু সব প্রমাণই সাজানো ছিল।’
তিনি আরও বলেন, ‘কোনো প্রভাবশালী ব্যক্তিকে রক্ষা করার জন্য এই অসহায় মানুষটিকে ফাঁসানো হয়েছিল। প্রতিটি প্রমাণ ছিল জাল। একটি প্রমাণও এমন ছিল না যা দিয়ে তাকে দোষী সাব্যস্ত করা যেত।’
যুগ মোহিত চৌধুরী আরও বলেন, ‘আপনাদের এ প্রশ্ন সিবিআইকে (ফেডারেল সেন্ট্রাল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন) করা উচিত। কারণ এটা স্পষ্ট, সিবিআই আসল অপরাধী কে সেটা জানার পরও নির্দোষ মানুষদের বিরুদ্ধে মিথ্যা প্রমাণ তৈরি করে ফাঁসিয়েছে। সিবিআইকে এই প্রশ্নগুলো করুন।’
আদেশে তদন্তকারীরা তদন্তের নির্দেশনা অনুসরণ করেননি উল্লেখ করে আদালতও পুলিশ এবং তদন্ত সংস্থাগুলোকে সমালোচনা করেন। আদেশে বলা হয়, তদন্তকারীরা ‘সহজ পথ বেছে নিয়ে বাড়ির দরিদ্র গৃহকর্মীকে দোষী সাব্যস্ত করার চেষ্টা করেছেন এবং তাকে ভয়ংকর রূপে উপস্থাপন করেছেন।’
জ্যোতির বাবা ঝাব্বু লাল বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত এমন পুলিশকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হবে না, ততক্ষণ আমরা ন্যায়ের সন্ধান পাব না।’
অভিযোগ রয়েছে, পুলিশের কাছে নিঠারির নিখোঁজ শিশু বিশেষ করে মেয়েদের অভিভাবকেরা যতবারই গিয়েছিলেন, তারা একই উত্তর দিয়েছেন যে তাদের মেয়ে প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে।
নিঠারির বাসিন্দা পাপ্পু লালের মেয়ে রচনা ২০০৬ সালের ১০ এপ্রিল দাদা-দাদীকে দেখতে যাওয়ার পথে নিখোঁজ হয়। পাপ্পু লাল জানান, মনিন্দরের বাংলোর দুই বাড়ি পরে থাকতেন রচনার দাদা-দাদি। ৮ বছরের ওই শিশুটির খোঁজ না পেয়ে পুলিশের কাছে অভিযোগ দিতে গেলে পুলিশ বলে, তাদের মেয়ে হয়তো প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়েছে।
রচনার খোঁজে অন্যান্য শহর ও রাজ্যে গিয়েছেন পাপ্পু লাল। এর তাঁর এই খোঁজের অবসান ঘটে আট মাস পর, মনিন্দরের বাংলোর পেছনের গলি থেকে রচনার কাপড় ও জুতো উদ্ধারের মাধ্যমে।
পাপ্পু লাল বলেন, ‘যদি পুলিশ সময়মতো পদক্ষেপ নিত, রচনাকে বাঁচানো যেত। আরও অনেক শিশুকেও বাঁচানো যেত।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি এখনো সেই দিনগুলো ভুলতে পারছি না। আমি পুলিশে গিয়ে নতুন অভিযোগ করব। তাদের খুঁজে বের করতে হবে, আমাদের সন্তানদের কে হত্যা করেছে।’
ন্যায়বিচারের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের সঙ্গে দেখা করতে চান তিনি। তিনি বলেন, ‘আমাদের লড়াই এখন সরকারের সঙ্গে। অপরাধীদের শাস্তি নিশ্চিত করার দায়িত্ব তাদেরও আছে। আমাদের সন্তানরা কি ভারতের সন্তান নয়?’
তবে ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর সহায়তা করে আসা বেটার ওয়ার্ল্ড ফাউন্ডেশন চ্যারিটির অনুপম নাগোলিয়া মনে করছেন, এখন আর এই পরিবারগুলোর লড়াইয়ের পথ নেই। তিনি বলেন, ‘দেশের সর্বোচ্চ আদালতের সর্বোচ্চ বেঞ্চ থেকে রায়টি এসেছে। এখন তাদের আপিল করার মতো আর কোনো জায়গা আমি দেখি না।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখন ভুক্তভোগী পরিবারগুলোর হারানোর সদস্যদের কথা মনে করে কাঁদা ও শোক পালন করা আর কিছুই করার নেই।’
তবে কিছু আইন বিশেষজ্ঞ বলছেন, পরিবারগুলোর সামনে এখনো একটি শেষ বিকল্প আছে। তারা সুপ্রিম কোর্টে পুনরায় তদন্তের নির্দেশনার জন্য আবেদন করতে পারে।
অবসরপ্রাপ্ত সুপ্রিম কোর্ট বিচারপতি মদন লোকুর বলেন, ‘এই পথেও ফল পাওয়ার সম্ভাবনা কম। কারণ এতটা দিন পেরিয়ে গেছে। প্রমাণগুলো নিশ্চয়ই হারিয়ে গেছে। আর পুনরায় তদন্তের সম্ভাবনাও কার্যত অসম্ভব।’
আর নয়ডার ওই বাংলো এখন যেন পরিণত হয়েছে ‘হরর হাউস’-এ। ইট ও কাদামাটি দিয়ে দেয়াল তৈরি করে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে প্রবেশদ্বার। বোগেনভেলিয়া গাছের জঙ্গলে ছেয়ে গেছে স্যাঁতসেঁতে দেয়ালগুলো। গোলাপি বোগেনভেলিয়ায় সেজে থাকা পরিত্যক্ত বাংলোর পাশের সেই নর্দমায় এখনো ভেসে বেড়াচ্ছে প্লাস্টিকের ব্যাগ-বোতল-কাদা আর বাতাসে তীব্র দুর্গন্ধ।
২০০৬ সালে ডিসেম্বরের তীব্র শীতের দিনে এই নর্দমায় আরও অনেকের সঙ্গে কঙ্কাল, হাড় ও দেহাংশ উদ্ধারের জন্য নেমেছিলেন জ্যোতির বাবা ঝাব্বুলাল। স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, উদ্ধারকৃত খুলি ছিল ১৯টির চেয়েও অনেক বেশি।
সূত্র: বিবিসি
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
২১ মিনিট আগে
পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।
চাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।

ভারতের হরিয়ানার গুরুগ্রামের দীনেশ বৈরাগী। ‘পূর্ণকালীন’ চাকরির অফার দিয়ে নারীবন্ধু খুঁজেছেন লিংকডইনে। ওই বিজ্ঞাপনের বিবরণে সম্ভাব্য ‘গার্লফ্রেন্ড’-এর জন্য প্রয়োজনীয় নানা গুণাবলির কথাও উল্লেখ করেছেন দীনেশ।
টেক মাহিন্দ্রার সাবেক সিনিয়র অ্যাসোসিয়েট দীনেশ চাকরির বিজ্ঞাপনে লিখেছেন, ‘গুরগাঁওয়ে পূর্ণকালীন গার্লফ্রেন্ডের পদ খালি আছে। সরাসরি দেখা করা এবং দূর থেকে দায়িত্ব পালন দুটোই করতে হবে।’
প্রযুক্তিখাতে অভিজ্ঞ এই যুবক চাকরির বিজ্ঞাপনে আরও লিখেছেন, ‘এই ভূমিকায় শক্তিশালী আবেগগত সম্পর্ক গড়ে তোলা ও তা বজায় রাখা, অর্থবহ কথোপকথনে অংশ নেওয়া, সঙ্গ দেওয়া, পারস্পরিক সমর্থন এবং সঙ্গীর সঙ্গে বিভিন্ন কার্যক্রম বা শখে যুক্ত থাকার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
তিনি আরও লেখেন, ‘সক্রিয় যোগাযোগ, পারস্পরিক সম্মান ও বোঝাপড়া এই ভূমিকাটির ভিত্তি হবে। পাশাপাশি যৌথ সিদ্ধান্ত গ্রহণ এবং ইতিবাচক ও সহায়ক সম্পর্কের পরিবেশ গড়ে তোলাও এর অন্তর্ভুক্ত।’
দীনেশ চাকরিপ্রার্থীর যোগ্যতার ক্ষেত্রে উচ্চমাত্রার আবেগগত বুদ্ধিমত্তা, শোনার সক্ষমতা, সহমর্মিতা ও আন্তঃব্যক্তিক দক্ষতার কথা উল্লেখ করেছেন। এ ছাড়া তিনি জানান, এমন একজনকে তিনি খুঁজছেন, যাঁর মধ্যে রসবোধ, দয়া এবং ইতিবাচক মানসিকতা থাকবে।
তিনি আরও যোগ করেন, ‘সম্পর্কের ক্ষেত্রে ব্যক্তিগত ও যৌথ লক্ষ্যগুলোর মধ্যে ভারসাম্য রক্ষা করার সক্ষমতা থাকতে হবে। শখ, কার্যক্রমে আগ্রহ বা একসঙ্গে নতুন অভিজ্ঞতা গড়ে তোলার মানসিকতারও প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি সম্পর্কের ভেতরে পারস্পরিক সমর্থন ও বিকাশে আগ্রহী হতে হবে।’
লিংকডইনে দেওয়া এই চাকরি খোঁজার মতো করে গার্লফ্রেন্ড খোঁজার পোস্টটি দ্রুতই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। এটি নিয়ে রসিকতার বন্যা বইয়ে দেন নেটিজেনরা। অনেকেই এই অদ্ভুত চাকরির বিজ্ঞাপন নিয়ে ঠাট্টা–মশকরা করেন, আবার কেউ কেউ সরাসরি পারিশ্রমিক বা বেতন প্যাকেজ সম্পর্কে জানতে চান।
একজন ব্যবহারকারী লিখেছেন, ‘ওহ, এখন সব পরিষ্কার! তাহলে আমার প্রাক্তন আমার সঙ্গে ছয় মাস গার্লফ্রেন্ড হিসেবে ইন্টার্নশিপ করেছিল, এরপর অন্য কোথাও ফুলটাইম গার্লফ্রেন্ডের চাকরি পেয়ে চলে গেছে।’
আরেকজন মন্তব্য করেন, ‘আপনি যদি আসলেই ভারতীয় হন, তাহলে যেকোনো অ্যাপই ডেটিং অ্যাপ বানিয়ে ফেলবেন।’
তৃতীয় একজন লিখেছেন, ‘পদের বিবরণ দেখে বেশ চমকপ্রদই লাগছে, কিন্তু স্যালারি কত?’
একজন ব্যবহারকারী প্রশ্ন করেন, ‘তিনি কি লিংকডইনের পোস্টের মাধ্যমে কোনো পরীক্ষা চালাচ্ছেন?’ উত্তরে দীনেশ বলেন, ‘একেবারেই না। এটি একটি প্রকৃত শূন্যপদ। প্রোফাইলটি ভালোভাবে বোঝার জন্য আমি চাকরির বিবরণ দেখার পরামর্শ দিচ্ছি। এছাড়া কেউ যদি আগ্রহী ও যোগ্য হন, তাদেরও নির্দেশনা দেওয়া যেতে পারে।’
শেষ আপডেট অনুযায়ী দীনেশ জানিয়েছেন, এই ‘চাকরির’ জন্য এরইমধ্যে ২৬ জন আবেদন করেছেন। এখন নতুন কোনো আবেদন গ্রহণ করা হচ্ছে না বলেও জানান তিনি।

২০০৬ সাল। দিল্লির অদূরে নয়ডার এক বাংলোর পাশের নর্দমায় পাওয়া গেল হাড় ও দেহাংশ। এরপর আরও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো প্রায় ১৯ জন নারী-শিশুর কঙ্কাল ও দেহাংশ। আটক করা হয় ওই বাংলোর মালিক ও গৃহকর্মীকে। প্রকাশ্যে আসে প্রায় দুই বছর ধরে নিঠারি বস্তি থেকে একের পর এক শিশু ও নারী নিখোঁজের তথ্য।
১৮ দিন আগে
পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৫ ঘণ্টা আগেঅস্ট্রেলিয়ার বন্ডি বিচে বন্দুকধারীদের গুলি, নিহত অন্তত ১০
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বন্ডি বিচে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।
পুলিশের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হামলাকারী বা বন্দুকধারীও রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন সাধারণ নাগরিক, দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’ এবং এটি আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠের কাছে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
হামলার সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যারি জানান, তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে হানুক্কার অনুষ্ঠানে ছিলেন, তখনই গুলির শব্দ শুরু হয়। তিনি দেখতে পান, দুজন ব্যক্তি একটি ব্রিজের ওপর থেকে জনসমাবেশের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। তিনি ঘটনাস্থলে একাধিক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি সন্তানদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বন্ধুর গাড়িতে পালিয়ে যান। ব্যারি এ সময় অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে একটি ইহুদি অনুষ্ঠানে এমন হামলা হওয়াকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি ব্রোন্টে বিচে ছিলেন, তিনি প্রায় ২০টি গুলির শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ভেবেছিলেন, আতশবাজির শব্দ। পরে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে ও শুটিংয়ের খবর পেয়ে তিনি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারেন।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি বন্দুকধারীদের অস্ত্র নামিয়ে রাখার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তাঁরা সে কথায় কান দেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ও যাচাই করা ভিডিওগুলোতে বন্ডি বিচের ঘটনার পরের ভয়ংকর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাম্পবেল প্যারেডের কারপার্ক থেকে সমুদ্রসৈকতের দিকে যাওয়া একটি ছোট সেতু থেকে দুজন বন্দুকধারী গুলি চালাচ্ছেন। সেতুটি বন্ডি পার্ক প্লেগ্রাউন্ড থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত।
অন্য একটি যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়, একই সেতুর ওপর বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। একজনের বুকে সিপিআর দেওয়া হচ্ছে আর অন্য একজন চিৎকার করে বলছেন, ‘সে মারা গেছে, সে মারা গেছে।’ আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর পড়ে থাকা অন্য এক ব্যক্তির জামাকাপড় কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতে রক্তের দাগ, একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং কমপক্ষে আটটি গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি বিশেষ নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেছে এবং হাতে তৈরি বিস্ফোরক (আইইডি) নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষ দল ও সরঞ্জাম আনা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এই এক্সক্লুশন জোনের সঠিক অবস্থান এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

অস্ট্রেলিয়ার জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র বন্ডি বিচে ভয়াবহ গুলিবর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। পুলিশ জানিয়েছে, এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে পুলিশি হেফাজতে নেওয়া হয়েছে। ঘটনার পরপরই পুলিশ বন্ডি বিচ ও এর সংলগ্ন এলাকায় বড় আকারের অপারেশন শুরু করেছে।
নিউ সাউথ ওয়েলস পুলিশ ‘এক্স’ হ্যান্ডলে দেওয়া এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পুলিশি অভিযান এখনো চলছে এবং জনসাধারণকে ওই এলাকা এড়িয়ে চলার অনুরোধ করা হচ্ছে।
পুলিশের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বন্দুক হামলায় কমপক্ষে ১০ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন হামলাকারী বা বন্দুকধারীও রয়েছেন। এ ঘটনায় আরও অন্তত ১২ জন সাধারণ নাগরিক, দুজন পুলিশ কর্মকর্তাসহ ১৪ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, হামলার সময় বন্ডি বিচে ইহুদিদের অন্যতম প্রধান উৎসব হানুক্কার প্রথম দিনের একটি অনুষ্ঠান চলছিল। অনুষ্ঠানটির নাম ছিল ‘চানুকা বাই দ্য সি ২০২৫’ এবং এটি আজ রোববার স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা থেকে বিচসংলগ্ন শিশুদের খেলার মাঠের কাছে অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। চাবাদ অব বন্ডি নামের একটি ইহুদি কেন্দ্র এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল।
হামলার সময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকা প্রত্যক্ষদর্শী ব্যারি জানান, তিনি তাঁর সন্তানদের নিয়ে হানুক্কার অনুষ্ঠানে ছিলেন, তখনই গুলির শব্দ শুরু হয়। তিনি দেখতে পান, দুজন ব্যক্তি একটি ব্রিজের ওপর থেকে জনসমাবেশের দিকে গুলি চালাচ্ছেন। তিনি ঘটনাস্থলে একাধিক মৃতদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। তিনি সন্তানদের নিয়ে দ্রুত ঘটনাস্থল থেকে বন্ধুর গাড়িতে পালিয়ে যান। ব্যারি এ সময় অস্ট্রেলিয়ার মতো দেশে একটি ইহুদি অনুষ্ঠানে এমন হামলা হওয়াকে ‘অবিশ্বাস্য’ বলে বর্ণনা করেন।
আরেক প্রত্যক্ষদর্শী, যিনি ব্রোন্টে বিচে ছিলেন, তিনি প্রায় ২০টি গুলির শব্দ শুনতে পান। প্রথমে ভেবেছিলেন, আতশবাজির শব্দ। পরে হেলিকপ্টার উড়তে দেখে ও শুটিংয়ের খবর পেয়ে তিনি ঘটনার গুরুত্ব বুঝতে পারেন।
অন্য একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি বন্দুকধারীদের অস্ত্র নামিয়ে রাখার অনুরোধ করেছিলেন, কিন্তু তাঁরা সে কথায় কান দেননি।
সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রকাশিত ও যাচাই করা ভিডিওগুলোতে বন্ডি বিচের ঘটনার পরের ভয়ংকর দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্যাম্পবেল প্যারেডের কারপার্ক থেকে সমুদ্রসৈকতের দিকে যাওয়া একটি ছোট সেতু থেকে দুজন বন্দুকধারী গুলি চালাচ্ছেন। সেতুটি বন্ডি পার্ক প্লেগ্রাউন্ড থেকে মাত্র ৫০ মিটার দূরে অবস্থিত।
অন্য একটি যাচাই করা ভিডিওতে দেখা যায়, একই সেতুর ওপর বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্য রয়েছেন। একজনের বুকে সিপিআর দেওয়া হচ্ছে আর অন্য একজন চিৎকার করে বলছেন, ‘সে মারা গেছে, সে মারা গেছে।’ আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, নিথর পড়ে থাকা অন্য এক ব্যক্তির জামাকাপড় কাঁচি দিয়ে কেটে দেওয়া হচ্ছে। মেঝেতে রক্তের দাগ, একটি বুলেটপ্রুফ ভেস্ট এবং কমপক্ষে আটটি গুলির খোসা পড়ে থাকতে দেখা যায়।
পুলিশ নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দ্রুত ঘটনাস্থলে একটি বিশেষ নিরাপত্তাবেষ্টনী তৈরি করেছে এবং হাতে তৈরি বিস্ফোরক (আইইডি) নিষ্ক্রিয় করার জন্য বিশেষ দল ও সরঞ্জাম আনা হয়েছে। তবে নিরাপত্তার স্বার্থে এই এক্সক্লুশন জোনের সঠিক অবস্থান এখনো নিশ্চিত করা হয়নি।

২০০৬ সাল। দিল্লির অদূরে নয়ডার এক বাংলোর পাশের নর্দমায় পাওয়া গেল হাড় ও দেহাংশ। এরপর আরও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো প্রায় ১৯ জন নারী-শিশুর কঙ্কাল ও দেহাংশ। আটক করা হয় ওই বাংলোর মালিক ও গৃহকর্মীকে। প্রকাশ্যে আসে প্রায় দুই বছর ধরে নিঠারি বস্তি থেকে একের পর এক শিশু ও নারী নিখোঁজের তথ্য।
১৮ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
২১ মিনিট আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনটা গত শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, এইচ–১বি ভিসা আবেদনের ফি বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়া ও আরও উনিশটি রাজ্য মামলা করছে।
বনটা দাবি করেন, দক্ষ কর্মীদের জন্য নির্ধারিত এই ভিসার জন্য ফি বৃদ্ধি বেআইনি। কারণ, এটি কংগ্রেসে অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং এই কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করছে। মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল রাজ্যেই অ্যাটর্নি জেনারেলরা ডেমোক্র্যাট দলের।
সান ফ্রান্সিসকোতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বনটা সাফ বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টের প্রশাসন অভিবাসন আইনকে নতুন করে লিখতে পারে না। কোনো প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের মতো সরকারকে উপেক্ষা করতে পারেন না, সংবিধান বা আইনকেও এড়িয়ে যেতে পারেন না।’
এই ভিসার সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী হলো বড় টেক কোম্পানিগুলো, যারা দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়ে আসে। ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন ক্যাম্পেইনের রিপাবলিকান সমর্থকেরা অভিযোগ করছেন, কোম্পানিগুলো সস্তা শ্রমের জন্য আমেরিকানদের পাশ কাটিয়ে এই কর্মসূচির অপব্যবহার করছে। কিন্তু বনটা যুক্তি দেন, এই ফি আরোপের ফলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খাতেও শ্রমিকের ঘাটতি আরও বাড়বে। এতে চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষক, নার্স ও সরকারি সেবাকর্মীর মতো পদগুলো পূরণ করা আরও কঠিন হবে।
তিনি এও সতর্ক করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে এক নির্বাহী ঘোষণায় যে ১ লাখ ডলারের ফি ধার্য করেছেন, তা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোমের ইচ্ছানুযায়ী বেছে বেছে প্রয়োগ করা হতে পারে। দক্ষ অভিবাসন এবং বিশেষ করে এইচ–১বি ভিসা এর আগেও ট্রাম্পের জনতুষ্টিমূলক সমর্থক আর বিশ্বজুড়ে প্রতিভা আকর্ষণে চিন্তিত সিলিকন ভ্যালির মিত্রদের মধ্যে মতভেদের কারণ হয়েছিল।
এই নীতি ঘোষণার পর এবং প্রোগ্রামটি ব্যবহারকারী প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার পর প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থানে খানিকটা নমনীয় হয়েছেন বলেই মনে হয়। গত মাসে ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামের সঙ্গে এইচ–১বি ভিসা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি এই দাবি অস্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট প্রতিভাবান মানুষ রয়েছে; তিনি তখন বলেছিলেন যে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মীর প্রয়োজন এখনো আছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেইলর রজার্স গত শুক্রবার প্রশাসনের পদক্ষেপের পক্ষ নিয়ে বলেন, এটি কেবল আইনসম্মতই নয়, বরং এটি ‘এইচ–১বি প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় সংস্কারের দিকে একটি জরুরি, প্রাথমিক, ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ।’
মামলার জবাবে এক বিবৃতিতে রজার্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকান কর্মীদের প্রথম স্থানে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবং এইচ–১বি ভিসার ওপর তাঁর এই সাধারণ পদক্ষেপ সে কাজটাই করছে। এটি কোম্পানিগুলোকে সিস্টেমের অপব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং আমেরিকানদের মজুরি কমিয়ে দেওয়া থেকে বিরত রাখবে, আবার যে সকল নিয়োগকর্তার বিদেশ থেকে সেরা প্রতিভা আনার প্রয়োজন, তাঁদের কাছে নিশ্চয়তাও দেবে।’
বনটা শুক্রবার এইচ–১বি প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট কোনো সংস্কারের সুপারিশ করেননি, যদিও তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন যে যেকোনো প্রোগ্রাম বা নীতির মতোই এরও ‘সম্ভবত উন্নতির সুযোগ রয়েছে।’ চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউএস চেম্বার অব কমার্স একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে এই নতুন ফি-এর বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা দায়ের করেছিল। তাদের আপত্তি ছিল যে প্রশাসন এইচ–১বি প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী আইনের বিধানগুলো অগ্রাহ্য করেছে। এ ছাড়া, ভিন্ন ভিন্ন খাতের শ্রমিক সংগঠনসহ আরও বড় একটি গোষ্ঠী থেকেও আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নতুন মামলা ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হবে এবং এর নেতৃত্ব দেবেন বনটা ও বে স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল। এই নিয়ে বনটা চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৪৯ বারের মতো আদালতে গেলেন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
ক্যালিফোর্নিয়ার অ্যাটর্নি জেনারেল রব বনটা গত শুক্রবার ঘোষণা করেছেন, এইচ–১বি ভিসা আবেদনের ফি বাড়িয়ে ১ লাখ মার্কিন ডলার করায় ট্রাম্প প্রশাসনের নীতির বিরুদ্ধে ক্যালিফোর্নিয়া ও আরও উনিশটি রাজ্য মামলা করছে।
বনটা দাবি করেন, দক্ষ কর্মীদের জন্য নির্ধারিত এই ভিসার জন্য ফি বৃদ্ধি বেআইনি। কারণ, এটি কংগ্রেসে অনুমোদিত সীমা ছাড়িয়ে গেছে এবং এই কর্মসূচি প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তাদের মূল উদ্দেশ্যকে ক্ষুণ্ন করছে। মামলার সঙ্গে যুক্ত সকল রাজ্যেই অ্যাটর্নি জেনারেলরা ডেমোক্র্যাট দলের।
সান ফ্রান্সিসকোতে একটি সংবাদ সম্মেলনে বনটা সাফ বলেন, ‘কোনো প্রেসিডেন্টের প্রশাসন অভিবাসন আইনকে নতুন করে লিখতে পারে না। কোনো প্রেসিডেন্ট কংগ্রেসের মতো সরকারকে উপেক্ষা করতে পারেন না, সংবিধান বা আইনকেও এড়িয়ে যেতে পারেন না।’
এই ভিসার সবচেয়ে বড় ব্যবহারকারী হলো বড় টেক কোম্পানিগুলো, যারা দক্ষ বিদেশি কর্মীদের নিয়ে আসে। ট্রাম্পের মেক আমেরিকা গ্রেট অ্যাগেইন ক্যাম্পেইনের রিপাবলিকান সমর্থকেরা অভিযোগ করছেন, কোম্পানিগুলো সস্তা শ্রমের জন্য আমেরিকানদের পাশ কাটিয়ে এই কর্মসূচির অপব্যবহার করছে। কিন্তু বনটা যুক্তি দেন, এই ফি আরোপের ফলে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের অর্থনীতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ অন্যান্য খাতেও শ্রমিকের ঘাটতি আরও বাড়বে। এতে চিকিৎসক, গবেষক, শিক্ষক, নার্স ও সরকারি সেবাকর্মীর মতো পদগুলো পূরণ করা আরও কঠিন হবে।
তিনি এও সতর্ক করেছেন যে, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গত সেপ্টেম্বরে এক নির্বাহী ঘোষণায় যে ১ লাখ ডলারের ফি ধার্য করেছেন, তা হোমল্যান্ড সিকিউরিটি সেক্রেটারি বা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ক্রিস্টি নোমের ইচ্ছানুযায়ী বেছে বেছে প্রয়োগ করা হতে পারে। দক্ষ অভিবাসন এবং বিশেষ করে এইচ–১বি ভিসা এর আগেও ট্রাম্পের জনতুষ্টিমূলক সমর্থক আর বিশ্বজুড়ে প্রতিভা আকর্ষণে চিন্তিত সিলিকন ভ্যালির মিত্রদের মধ্যে মতভেদের কারণ হয়েছিল।
এই নীতি ঘোষণার পর এবং প্রোগ্রামটি ব্যবহারকারী প্রযুক্তি খাতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ার পর প্রেসিডেন্ট তাঁর অবস্থানে খানিকটা নমনীয় হয়েছেন বলেই মনে হয়। গত মাসে ফক্স নিউজের উপস্থাপক লরা ইনগ্রাহামের সঙ্গে এইচ–১বি ভিসা নিয়ে আলোচনার সময় তিনি এই দাবি অস্বীকার করেন যে, যুক্তরাষ্ট্রে যথেষ্ট প্রতিভাবান মানুষ রয়েছে; তিনি তখন বলেছিলেন যে কিছু নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কর্মীর প্রয়োজন এখনো আছে।
হোয়াইট হাউসের মুখপাত্র টেইলর রজার্স গত শুক্রবার প্রশাসনের পদক্ষেপের পক্ষ নিয়ে বলেন, এটি কেবল আইনসম্মতই নয়, বরং এটি ‘এইচ–১বি প্রোগ্রামের প্রয়োজনীয় সংস্কারের দিকে একটি জরুরি, প্রাথমিক, ক্রমবর্ধমান পদক্ষেপ।’
মামলার জবাবে এক বিবৃতিতে রজার্স বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প আমেরিকান কর্মীদের প্রথম স্থানে রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, এবং এইচ–১বি ভিসার ওপর তাঁর এই সাধারণ পদক্ষেপ সে কাজটাই করছে। এটি কোম্পানিগুলোকে সিস্টেমের অপব্যবহার করতে নিরুৎসাহিত করবে এবং আমেরিকানদের মজুরি কমিয়ে দেওয়া থেকে বিরত রাখবে, আবার যে সকল নিয়োগকর্তার বিদেশ থেকে সেরা প্রতিভা আনার প্রয়োজন, তাঁদের কাছে নিশ্চয়তাও দেবে।’
বনটা শুক্রবার এইচ–১বি প্রক্রিয়ায় সুনির্দিষ্ট কোনো সংস্কারের সুপারিশ করেননি, যদিও তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন যে যেকোনো প্রোগ্রাম বা নীতির মতোই এরও ‘সম্ভবত উন্নতির সুযোগ রয়েছে।’ চলতি বছরের শুরুর দিকে ইউএস চেম্বার অব কমার্স একটি গবেষণা বিশ্ববিদ্যালয় গোষ্ঠীকে সঙ্গে নিয়ে এই নতুন ফি-এর বিরুদ্ধে আলাদা একটি মামলা দায়ের করেছিল। তাদের আপত্তি ছিল যে প্রশাসন এইচ–১বি প্রোগ্রাম পরিচালনাকারী আইনের বিধানগুলো অগ্রাহ্য করেছে। এ ছাড়া, ভিন্ন ভিন্ন খাতের শ্রমিক সংগঠনসহ আরও বড় একটি গোষ্ঠী থেকেও আরেকটি মামলা দায়ের করা হয়েছে।
নতুন মামলা ম্যাসাচুসেটসের ফেডারেল আদালতে দায়ের করা হবে এবং এর নেতৃত্ব দেবেন বনটা ও বে স্টেটের অ্যাটর্নি জেনারেল আন্দ্রেয়া জয় ক্যাম্পবেল। এই নিয়ে বনটা চলতি বছর ট্রাম্প প্রশাসনের বিরুদ্ধে ৪৯ বারের মতো আদালতে গেলেন।

২০০৬ সাল। দিল্লির অদূরে নয়ডার এক বাংলোর পাশের নর্দমায় পাওয়া গেল হাড় ও দেহাংশ। এরপর আরও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো প্রায় ১৯ জন নারী-শিশুর কঙ্কাল ও দেহাংশ। আটক করা হয় ওই বাংলোর মালিক ও গৃহকর্মীকে। প্রকাশ্যে আসে প্রায় দুই বছর ধরে নিঠারি বস্তি থেকে একের পর এক শিশু ও নারী নিখোঁজের তথ্য।
১৮ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
২১ মিনিট আগে
পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
৫ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

ভারতের রাজধানী দিল্লির আকাশ ঘন ধোঁয়াশার চাদরে ঢাকা। শহরটির বাতাসের মান ‘সিভিয়ার বা গুরুতর’ শ্রেণিতেই আটকে আছে বেশ কয়েক দিন ধরে। আজ রোববার সকালের ভারতের কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (সিপিসিবি) জানায়, সকাল ৬টায় দিল্লির এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স বা একিউআই ছিল ৪৬২।
দিল্লির ৪০টি পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সব কটিতেই বাতাসের দূষণ নির্দেশক সূচক ‘লাল’, অর্থাৎ বাতাসের মান ‘গুরুতর’ পর্যায়ে রয়েছে। উত্তর-পশ্চিম দিল্লির রোহিণীতে একিউআই রেকর্ড করা হয়েছে ৪৯৯। সেখানে প্রধান দূষক ছিল পার্টিকুলেট ম্যাটার ২.৫ বা পিএম ২.৫ কণা। এর পরেই আছে জাহাঙ্গীরপুরী ও বিবেক বিহার, যেখানে একিউআই ছিল ৪৯৫।
স্মগ বা ধোঁয়াশার কারণে দিল্লির একাধিক এলাকায় দৃষ্টিসীমা কমে গেছে। পূর্ব দিল্লির পাটপারগঞ্জ থেকে পাওয়া দৃশ্যে দেখা যায়, সকাল ৬টায় সেখানে একিউআই ছিল ৪৮৮ এবং মানুষজন হেডলাইট জ্বালিয়ে ধীরে ধীরে গাড়ি চালাচ্ছেন।
একিউআই বা এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স হলো—জনস্বাস্থ্যের একটি সূচক, যার মাধ্যমে বাতাসে দূষণের মাত্রা বা বায়ুর গুণমান সম্পর্কে সাধারণ মানুষকে জানানো হয়। সিপিসিবির তথ্য অনুযায়ী, কোনো এলাকার একিউআই নির্ধারণে আটটি দূষককে প্রধান সূচক হিসেবে ধরা হয়। এগুলো হলো পার্টিকুলেট ম্যাটার (পিএস) ১০, পিএম ২.৫, ওজোন, সালফার ডাই-অক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড, সিসা এবং অ্যামোনিয়া।
সিপিসিবি জানায়, একিউআই যদি ০ থেকে ৫০—এর মধ্যে থাকে, তবে তা ‘ভালো।’ ৫১ থেকে ১০০ হলে ‘সন্তোষজনক’, ১০১ থেকে ২০০ ‘মাঝারি’, ২০১ থেকে ৩০০ ‘খারাপ’, ৩০১ থেকে ৪০০ ‘অত্যন্ত খারাপ’ এবং ৪০১ থেকে ৫০০ হলে তা ‘গুরুতর’ হিসেবে ধরা হয়। এই প্রতিটি স্তরই দূষণের মাত্রা এবং তার সঙ্গে যুক্ত স্বাস্থ্যঝুঁকির ইঙ্গিত দেয়। যেমন, একিউআই যদি ‘গুরুতর’ পর্যায়ে থাকে, তাহলে তা সুস্থ মানুষের জন্যও বিপজ্জনক। এ অবস্থায় বাইরে বের হওয়া বা খোলা জায়গায় শরীরচর্চা না করার পরামর্শ দেওয়া হয়।
এই অবস্থায় দিল্লির দূষণ বর্তমানে একিউআইয়ের সর্বোচ্চ সীমা ৫০০ ছাড়াতে পারে কী—এই প্রশ্নও সামনে এসেছে। ভারতের একিউআই স্কেল সর্বোচ্চ ৫০০ পর্যন্ত নির্ধারিত। অর্থাৎ ৫০০-এর বেশি হলে সেটিও ‘গুরুতর’ শ্রেণির মধ্যেই ধরা হয়, যা একটি জনস্বাস্থ্য জরুরি পরিস্থিতির ইঙ্গিত দেয়।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব অ্যাডভান্সড স্টাডিজের চেয়ার প্রফেসর অধ্যাপক ড. গুফরান বেগ বলেন, ‘৪০০-এর ওপরে একিউআই অত্যন্ত বিপজ্জনক। ধরে নেওয়া হয়, একিউআই ৫০০ আর একিউআই ৯০০-এর স্বাস্থ্যগত প্রভাব প্রায় একই। তাই বেশি সংখ্যা দেখিয়ে মানুষকে আতঙ্কিত করার প্রয়োজন নেই।’
তবে এনভায়রোক্যাটালিস্টসের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান বিশ্লেষক সুনীল দাহিয়া বলেন, একিউআই ৫০০-তে সীমাবদ্ধ রাখার পেছনে কোনো বৈজ্ঞানিক যুক্তি নেই, যদিও প্রযুক্তিগতভাবে এর চেয়েও বেশি মান নির্ণয় করা সম্ভব। তাঁর ভাষায়, ‘এটা ঠিক যে, দীর্ঘমেয়াদি প্রভাব তুলনামূলক কম ঘনত্বে বেশি হয় এবং খুব উচ্চ ঘনত্বে বাড়লেও তা ধীরে বাড়ে। কিন্তু তাৎক্ষণিক ঝুঁকি তখন অনেক বেশি হয়। বিশেষ করে দূষণ হঠাৎ খুব বেড়ে গেলে হৃদ্রোগী, শ্বাসকষ্টে ভোগা মানুষ এবং সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য তা হাসপাতালে ভর্তি হওয়া বা চিকিৎসাজনিত জরুরি অবস্থার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। খড় পোড়ানোর মৌসুম বা দীপাবলির সময় আমরা এমন পরিস্থিতি বারবার দেখেছি।’
দিল্লিতে বাড়তে থাকা বায়ুদূষণ নিয়ন্ত্রণে শনিবার বায়ু মান ব্যবস্থাপনা কমিশন গ্রেডেড রেসপন্স অ্যাকশন প্ল্যান বা গ্র্যাপ-এর তৃতীয় ধাপের বিধিনিষেধ জারি করে। পরে পরিস্থিতির অবনতি হওয়ায় সেটি আরও কঠোর করে গ্র্যাপ-৪ কার্যকর করা হয়।
একিউআই হঠাৎ খারাপ হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে সংস্থাটি জানায়, উত্তর-পশ্চিম ভারতে ধেয়ে আসা দুর্বল পশ্চিমা ঝঞ্ঝাই ছিল এর প্রধান কারণ, স্থানীয় নির্গমন নয়। কমিশনের বিবৃতিতে বলা হয়, বর্তমান আবহাওয়াজনিত পরিস্থিতিতে বাতাসের গতি উল্লেখযোগ্যভাবে কমে গেছে, অনেক সময় একেবারেই স্থির হয়ে পড়ছে। বাতাসের দিক পশ্চিম দিক থেকে পূর্ব দিকে ঘুরেছে এবং নিম্ন বায়ুমণ্ডলে আর্দ্রতার পরিমাণ বেড়েছে। শীতকালীন এ ধরনের পরিস্থিতি ধোঁয়াশা ও কুয়াশা তৈরির জন্য অনুকূল, ফলে দূষকগুলো সহজে ছড়িয়ে না পড়ে ভূপৃষ্ঠের কাছেই আটকে থাকে। এই বিরূপ আবহাওয়ার কারণেই হঠাৎ করে বায়ুর মানের অবনতি ঘটেছে।
গ্র্যাপ-৪-এর আওতায় একাধিক কঠোর বিধিনিষেধ জারি করা হয়েছে। দিল্লিতে অপ্রয়োজনীয় ট্রাকের প্রবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তবে যেসব ট্রাক জরুরি পণ্য বা পরিষেবা বহন করে, অথবা এলএনজি, সিএনজি, বিদ্যুৎ চালিত কিংবা বিএস-ফাইভ ডিজেলে চলে, সেগুলো এর বাইরে থাকবে। দিল্লিতে নিবন্ধিত মাঝারি ও ভারী পণ্যবাহী ডিজেলচালিত যানবাহন, বিশেষ করে বিএস-৪ ও তার আগের মানের যান, নিষিদ্ধ করা হয়েছে। শুধু জরুরি পরিষেবায় ব্যবহৃত যানবাহন এ ক্ষেত্রে ছাড় পাবে। দিল্লির বাইরে নিবন্ধিত হালকা বাণিজ্যিক যান, যেগুলো ইভি, সিএনজি বা বিএস-৬ ডিজেল মান পূরণ করে না, সেগুলোর প্রবেশও জরুরি প্রয়োজন ছাড়া বন্ধ থাকবে।
এ ছাড়া সব ধরনের নির্মাণ ও ভাঙচুর কার্যক্রম, এমনকি মহাসড়কের মতো সরকারি প্রকল্পও সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। দিল্লি ও ভারতের কেন্দ্রীয় রাজধানী অঞ্চল যেসব রাজ্যের মধ্যে পড়েছে সেসব রাজ্যের সরকারগুলোতে ষষ্ঠ থেকে নবম এবং একাদশ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য সশরীরে ক্লাসের বদলে অনলাইন ক্লাসে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। সরকারি, পৌর এবং বেসরকারি দপ্তরগুলোকে অন্তত ৫০ শতাংশ কর্মী দিয়ে ওয়ার্ক ফ্রম হোম চালুর সুপারিশ করা হয়েছে। পাশাপাশি অফিসের সময় ধাপে ধাপে নির্ধারণ করার কথাও বলা হয়েছে, যাতে ব্যস্ত সময়ের যানজট ও দূষণ কিছুটা কমানো যায়।

২০০৬ সাল। দিল্লির অদূরে নয়ডার এক বাংলোর পাশের নর্দমায় পাওয়া গেল হাড় ও দেহাংশ। এরপর আরও তল্লাশি চালিয়ে উদ্ধার হলো প্রায় ১৯ জন নারী-শিশুর কঙ্কাল ও দেহাংশ। আটক করা হয় ওই বাংলোর মালিক ও গৃহকর্মীকে। প্রকাশ্যে আসে প্রায় দুই বছর ধরে নিঠারি বস্তি থেকে একের পর এক শিশু ও নারী নিখোঁজের তথ্য।
১৮ দিন আগেচাকরি খোঁজার জনপ্রিয় প্ল্যাটফর্ম লিংকডইন। সেখানে কর্মীরা চাকরি খোঁজেন এবং অনেক প্রতিষ্ঠান সেখান থেকে কর্মীদের বাছাই করে থাকে। এই প্ল্যাটফর্মে এবার ‘গার্লফ্রেন্ড’ বা নারীবন্ধুর খোঁজে নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন ভারতের এক ব্যক্তি। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চলছে হাসি-ঠাট্টা ও বিদ্রুপ।
২১ মিনিট আগে
পুলিশ সূত্রের বরাতে বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এ ঘটনায় দুজন হামলাকারী জড়িত ছিলেন। নিহত ১০ জনের মধ্যে একজন বন্দুকধারী ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান। অন্য বন্দুকধারী আহত অবস্থায় রয়েছেন এবং তাঁকে পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসন দেশটিতে বিদেশি দক্ষ শ্রমশক্তি নিয়োগ দেওয়ার ভিসা এইচ–১ বি’র ফি বাড়িয়ে ১ লাখ ডলার করেছেন। তবে এই সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে ২০টি মার্কিন অঙ্গরাজ্য। মার্কিন সংবাদমাধ্যম পলিটিকোর প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে