ভারতের বাংলাদেশসংলগ্ন রাজ্য আসামে পুড়িয়ে মারা হয়েছে স্থানীয় এক আদিবাসী নারীকে। উত্তর আসামের সোনিতপুর জেলায় একদল লোক তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনা ঘটে গত ২৪ ডিসেম্বর। মূলত ডাইনি সন্দেহে ওই নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহত ওই নারীর নাম সংগীতা কাপি। তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান রয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য। গত রোববার সন্ধ্যায় একদল লোক সংগীতার বিরুদ্ধে ডাইনিবিদ্যা চর্চার অভিযোগ তুলে তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর করে। সংগীতার স্বামী রাম কাপি জানান, ঘটনার সময় সংগীতা রান্না করছিলেন। সেখানেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণকারীরা।
রাম কাপি বলেন, ‘তারা তাঁকে ডাইনি আখ্যা দিয়ে মারধর করতে থাকে। এ সময় সংগীতা তাদের মারধর বন্ধ করতে বলেন এবং অনুরোধ করেন বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য পরদিন সকালে আসতে। কিন্তু তারা কথা শোনেনি।’ সংগীতার স্বামী জানান, আক্রমণকারীরা তাঁকেও মারধর করেছে।
এ সময় রাম নিজেই আক্রমণকারীদের প্রতি অনুরোধ জানান যেন, তারা মারধর বন্ধ করে পরদিন সকালে আসে। কিন্তু রামের করুণ অনুরোধ থোড়াই কেয়ার করে আক্রমণকারীরা সংগীতাকে মারধর করতে থাকে। রাম সংগীতাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সংগীতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আক্রমণকারীরা।
পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার সবাই সংগীতারই গ্রামের বাসিন্দা। আটক ব্যক্তিরা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
প্রসঙ্গত, ডাইনি শিকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর আইন রয়েছে ভারতের যেসব রাজ্যে, তার মধ্যে আসাম একটি। ২০১৮ সালে এই আইন পাস করা হয়। তবু রাজ্যটিতে ডাইনি আখ্যা দিয়ে নারীদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া বা মেরে ফেলার উদাহরণ এখনো রয়েছে। আসাম সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ডাইনি শিকারের ঘটনায় আসামে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন।
ভারতের বাংলাদেশসংলগ্ন রাজ্য আসামে পুড়িয়ে মারা হয়েছে স্থানীয় এক আদিবাসী নারীকে। উত্তর আসামের সোনিতপুর জেলায় একদল লোক তাঁকে জীবন্ত অবস্থায় পুড়িয়ে হত্যা করে। এ ঘটনা ঘটে গত ২৪ ডিসেম্বর। মূলত ডাইনি সন্দেহে ওই নারীর গায়ে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ওয়্যারের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
নিহত ওই নারীর নাম সংগীতা কাপি। তাঁর স্বামী ও তিন সন্তান রয়েছে। তিনি স্থানীয় একটি আদিবাসী গোষ্ঠীর সদস্য। গত রোববার সন্ধ্যায় একদল লোক সংগীতার বিরুদ্ধে ডাইনিবিদ্যা চর্চার অভিযোগ তুলে তাঁর বাড়িঘর ভাঙচুর করে। সংগীতার স্বামী রাম কাপি জানান, ঘটনার সময় সংগীতা রান্না করছিলেন। সেখানেই তাঁর ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে আক্রমণকারীরা।
রাম কাপি বলেন, ‘তারা তাঁকে ডাইনি আখ্যা দিয়ে মারধর করতে থাকে। এ সময় সংগীতা তাদের মারধর বন্ধ করতে বলেন এবং অনুরোধ করেন বিষয়টি নিয়ে কথা বলার জন্য পরদিন সকালে আসতে। কিন্তু তারা কথা শোনেনি।’ সংগীতার স্বামী জানান, আক্রমণকারীরা তাঁকেও মারধর করেছে।
এ সময় রাম নিজেই আক্রমণকারীদের প্রতি অনুরোধ জানান যেন, তারা মারধর বন্ধ করে পরদিন সকালে আসে। কিন্তু রামের করুণ অনুরোধ থোড়াই কেয়ার করে আক্রমণকারীরা সংগীতাকে মারধর করতে থাকে। রাম সংগীতাকে বাঁচাতে গেলে তাঁকেও মারধর করা হয়। একপর্যায়ে সংগীতার গায়ে আগুন ধরিয়ে দেয় আক্রমণকারীরা।
পুলিশ এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। গ্রেপ্তার সবাই সংগীতারই গ্রামের বাসিন্দা। আটক ব্যক্তিরা বর্তমানে পুলিশের হেফাজতে আছে। পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।
প্রসঙ্গত, ডাইনি শিকারের বিরুদ্ধে সবচেয়ে কঠোর আইন রয়েছে ভারতের যেসব রাজ্যে, তার মধ্যে আসাম একটি। ২০১৮ সালে এই আইন পাস করা হয়। তবু রাজ্যটিতে ডাইনি আখ্যা দিয়ে নারীদের এলাকা থেকে তাড়িয়ে দেওয়া বা মেরে ফেলার উদাহরণ এখনো রয়েছে। আসাম সরকারের তথ্য অনুযায়ী, ২০১১ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে ডাইনি শিকারের ঘটনায় আসামে ১০৭ জন নিহত হয়েছেন।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় যুক্তরাষ্ট্রের হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে উত্তর কোরিয়া। উত্তর কোরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, এই হামলা জাতিসংঘ সনদের লঙ্ঘন এবং মধ্যপ্রাচ্যের বর্তমান উত্তেজনার জন্য ইসরায়েলের ‘অবিরাম যুদ্ধবাজ পদক্ষেপ ও আঞ্চলিক সম্প্রসারণ’ দায়ী।
৪ মিনিট আগেইরানে যুক্তরাষ্ট্রের সরাসরি হামলায় ব্যাপক ক্ষোভ ছড়িয়েছে ইরানিদের মধ্যে। ইরান এই হামলার মোক্ষম জবাব দেবে বলে আশা করছেন তারা। গতকাল রোববার হাজার হাজার ক্ষুব্ধ জনতা রাজপথে নেমে আসেন। ইরানের পতাকা ও বিভিন্ন স্লোগান সংবলিত প্ল্যাকার্ড নিয়ে রাজধানী তেহরানের ইনকিলাব স্কয়ারে জড়ো হন তারা।
২৬ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও ক্রেমলিন সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে।
৩২ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন, এমন সময় তিনি তাঁর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন গণমাধ্যমকে জানাতে যে, তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। এই নির্দেশনার পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, প্রকৃত পরিকল্পনা গোপন রাখা।
১ ঘণ্টা আগে