ভারত থেকে বিহারকে বাদ দিলে দেশ উন্নত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। বিহারের জেহানাবাদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাঁকে বিহার ও বিহারের বাসিন্দাদের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। ভিডিওটিতে ওই শিক্ষিকা বলেন, “তিনি জানেন না কোন ‘ভুল’ করার কারণে তাঁর ‘ভারতের সবচেয়ে খারাপ অঞ্চলে’ চাকরি হয়েছে। বিহারের মানুষদের ‘সামাজিক সচেতনতা নেই’। ভারত এখনো একটি উন্নয়নশীল দেশ কারণ বিহার এর অংশ, নাহলে উন্নত দেশ হয়ে যেত।
ভিডিওতে শিক্ষিকা আরও বলেন, ‘বিহারের এত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় আছে। কলকাতা অঞ্চলে মানুষ পছন্দ করে না, কিন্তু আমি সেখানে চাকরি করতেও প্রস্তুত ছিলাম। বাংলার কোথাও আমার কোনো সমস্যা ছিল না। আমার এক বন্ধু দার্জিলিংয়ে পোস্ট হয়েছে, তুমি কল্পনা করতে পারো? অন্য একজন সিলচারে পোস্ট হয়েছে, উত্তর-পূর্বে, বাহ...তাদের আমার সঙ্গে কী শত্রুতা ছিল যে আমাকে ভারতের সবচেয়ে খারাপ অঞ্চলটিতে পোস্ট দিল?’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাকে গোয়া, ওডিশা, হিমাচল প্রদেশ, দক্ষিণের কোথাও বা এমনকি সবচেয়ে কঠিন কাজের জায়গা লাদাখে দিতে পারত।’
ভিডিওটির আরেকটি অংশে দেখা যায় ওই শিক্ষিকা বলছেন, রাজ্যের মানুষদের ‘জিরো সিভিক সেন্স’ অর্থাৎ কোনো নাগরিক সচেতনতা নেই। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ভারত এখনো একটি উন্নয়নশীল দেশ শুধুমাত্র বিহার এর অংশ হওয়ার কারণে। যেদিন আমরা বিহারকে ভারত থেকে বাদ দেব, সেদিন এটি উন্নত দেশ হয়ে যাবে। মানুষদের কোনো নাগরিক সচেতনতা নেই, তারা ভারতীয় রেলওয়েকে নষ্ট করে ফেলেছে।’
ভিডিওটি এনডিটিভি যাচাই করে দেখেনি। তবে এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম দীপালি শাহ।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমস্থীপুরের সংসদ সদস্য শাম্ভাবী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের কমিশনারের কাছে ‘একজন শিক্ষিকার এমন অপমানজনক, অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক বক্তব্য’—উল্লেখ করে চিঠি পাঠান।
শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে এমপি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বিহারের জেহানাবাদের একজন শিক্ষিকা দীপালি শাহের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি আমার শক্ত বিরোধিতা প্রকাশ করতে লিখছি। তাঁর ভিডিওতে বিহার ও এর মানুষের সম্পর্কে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা হয়েছে। একজন শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মূল্যবোধ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। এ ঘটনা বিহারের মানুষের অনুভূতিকে গভীরভাবে আঘাত করেছে এবং প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস ও সততা বজায় রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন (কেভিএস) ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (ক্ল্যাসিফিকেশন, কন্ট্রোল অ্যান্ড আপিল) রুল, ১৯৬৫ এর নিয়ম ১০ অনুসারে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা (প্রবেশন) দীপালিকে কেভিএস (জেহানাবাদ) থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে শরণ জেলার মাশরাকের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’
ভারত থেকে বিহারকে বাদ দিলে দেশ উন্নত হয়ে যাবে বলে মন্তব্য করে বরখাস্ত হয়েছেন দেশটির কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকা। বিহারের জেহানাবাদে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত ছিলেন তিনি। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে তাঁকে বিহার ও বিহারের বাসিন্দাদের সমালোচনা করতে দেখা যায়।
আজ শুক্রবার এক প্রতিবেদনে এ খবর প্রকাশ করেছে এনডিটিভি। ভিডিওটিতে ওই শিক্ষিকা বলেন, “তিনি জানেন না কোন ‘ভুল’ করার কারণে তাঁর ‘ভারতের সবচেয়ে খারাপ অঞ্চলে’ চাকরি হয়েছে। বিহারের মানুষদের ‘সামাজিক সচেতনতা নেই’। ভারত এখনো একটি উন্নয়নশীল দেশ কারণ বিহার এর অংশ, নাহলে উন্নত দেশ হয়ে যেত।
ভিডিওতে শিক্ষিকা আরও বলেন, ‘বিহারের এত অঞ্চলে কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় আছে। কলকাতা অঞ্চলে মানুষ পছন্দ করে না, কিন্তু আমি সেখানে চাকরি করতেও প্রস্তুত ছিলাম। বাংলার কোথাও আমার কোনো সমস্যা ছিল না। আমার এক বন্ধু দার্জিলিংয়ে পোস্ট হয়েছে, তুমি কল্পনা করতে পারো? অন্য একজন সিলচারে পোস্ট হয়েছে, উত্তর-পূর্বে, বাহ...তাদের আমার সঙ্গে কী শত্রুতা ছিল যে আমাকে ভারতের সবচেয়ে খারাপ অঞ্চলটিতে পোস্ট দিল?’
তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাকে গোয়া, ওডিশা, হিমাচল প্রদেশ, দক্ষিণের কোথাও বা এমনকি সবচেয়ে কঠিন কাজের জায়গা লাদাখে দিতে পারত।’
ভিডিওটির আরেকটি অংশে দেখা যায় ওই শিক্ষিকা বলছেন, রাজ্যের মানুষদের ‘জিরো সিভিক সেন্স’ অর্থাৎ কোনো নাগরিক সচেতনতা নেই। তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি, ভারত এখনো একটি উন্নয়নশীল দেশ শুধুমাত্র বিহার এর অংশ হওয়ার কারণে। যেদিন আমরা বিহারকে ভারত থেকে বাদ দেব, সেদিন এটি উন্নত দেশ হয়ে যাবে। মানুষদের কোনো নাগরিক সচেতনতা নেই, তারা ভারতীয় রেলওয়েকে নষ্ট করে ফেলেছে।’
ভিডিওটি এনডিটিভি যাচাই করে দেখেনি। তবে এনডিটিভির প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই শিক্ষিকার নাম দীপালি শাহ।
ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার পর সমস্থীপুরের সংসদ সদস্য শাম্ভাবী কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠনের কমিশনারের কাছে ‘একজন শিক্ষিকার এমন অপমানজনক, অগ্রহণযোগ্য ও অযৌক্তিক বক্তব্য’—উল্লেখ করে চিঠি পাঠান।
শিক্ষিকার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করে এমপি বলেন, ‘কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ের বিহারের জেহানাবাদের একজন শিক্ষিকা দীপালি শাহের সাম্প্রতিক মন্তব্যের প্রতি আমার শক্ত বিরোধিতা প্রকাশ করতে লিখছি। তাঁর ভিডিওতে বিহার ও এর মানুষের সম্পর্কে আক্রমণাত্মক মন্তব্য করা হয়েছে। একজন শিক্ষককে শিক্ষার্থীদের জ্ঞান ও মূল্যবোধ দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতে হয়। তাঁর কাছ থেকে এ ধরনের মন্তব্য অত্যন্ত অযৌক্তিক ও অগ্রহণযোগ্য। এ ঘটনা বিহারের মানুষের অনুভূতিকে গভীরভাবে আঘাত করেছে এবং প্রতিষ্ঠানটির বিশ্বাস ও সততা বজায় রাখতে জরুরি পদক্ষেপ নিতে হবে।
কেন্দ্রীয় বিদ্যালয় সংগঠন (কেভিএস) ওই শিক্ষিকাকে বরখাস্ত করে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘কেন্দ্রীয় সিভিল সার্ভিসেস (ক্ল্যাসিফিকেশন, কন্ট্রোল অ্যান্ড আপিল) রুল, ১৯৬৫ এর নিয়ম ১০ অনুসারে, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষিকা (প্রবেশন) দীপালিকে কেভিএস (জেহানাবাদ) থেকে তাৎক্ষণিকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তাঁকে শরণ জেলার মাশরাকের কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়ে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’
সব জল্পনা-কল্পনা উড়িয়ে দিয়ে ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে জড়ালই যুক্তরাষ্ট্র। আজ রোববার, মধ্যপ্রাচ্যের স্থানীয় সময় ভোরে ইরানের তিনটি পারমাণবিক কেন্দ্র— ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা চালিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই স্থাপনাগুলোতে গত শুক্রবার ইসরায়েলও হামলা চালিয়েছিল।
১ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রকে কেন ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে জড়ানো হলো, প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের কাছে তার কৈফিয়ত চেয়েছেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর চাক শুমার। কংগ্রেসের অনুমোদন ছাড়া তিনি কীভাবে এই সিদ্ধান্ত নিয়েছেন তার স্পষ্ট জবাব জানতে চেয়েছেন ওই ডেমোক্র্যাট নেতা। মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন এ তথ্য জানিয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রের হামলার আগেই ইরানের ফোরদো পারমাণবিক স্থাপনা থেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান সুরক্ষিত স্থানে সরিয়ে নিয়েছে ইরান। স্যাটেলাইট চিত্র বিশ্লেষণ করে এমনটাই বলছেন বিশ্লেষকেরা। পাহাড়ের ভেতরে গড়ে ওঠা এই গোপন ও কড়া নিরাপত্তাবেষ্টিত পরমাণু জ্বালানি সমৃদ্ধকরণ কেন্দ্রের একাধিক প্রবেশপথে মাটি জমে থাকতে দেখা
৪ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ট্রুথ সোশ্যালে ইরানে তিনটি গুরুত্বপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনায় সামরিক হামলার ঘোষণা দেওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বিশ্বজুড়ে অচল হয়ে পড়ে। স্থানীয় সময় শনিবার রাত ৮টার দিকে এই বিভ্রাট শুরু হয়, যা চলে অনেকক্ষণ। তবে এখন আবার স্বাভাবিকভাবে চলছে প্ল্যাটফর্মটি।
৪ ঘণ্টা আগে