Ajker Patrika

কয়েক বছরের মধ্যেই কাশ্মীরে সিআরপিএফের প্রয়োজন হবে না

কয়েক বছরের মধ্যেই কাশ্মীরে সিআরপিএফের প্রয়োজন হবে না

ভারতের বৃহত্তম আধা সামরিক বাহিনী সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্সের (সিআরপিএফ) প্রশংসা করেছেন দেশটির স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। তিনি বলেছেন, আগামী কয়েক বছরের মধ্যেই জম্মু-কাশ্মীর ও ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিআরপিএফের উপস্থিতির প্রয়োজন পড়বে না। শনিবার জম্মুর শ্রীনগরে মাওলানা আজাদ স্টেডিয়ামে সিআরপিএফের ৮৩ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কুচকাওয়াজে উপস্থিত হয়ে অমিত শাহ এই মন্তব্য করেছেন।

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের এই মন্তব্যের মাধ্যমে দেশটির গুরুত্বপূর্ণ নিরাপত্তা বিধানের ক্ষেত্রগুলো থেকে সিআরপিএফ মোতায়েন বন্ধ করার ইঙ্গিত দেওয়া হলো। তাঁর এই মন্তব্য প্রথমবারের মতো ভারত সরকারের সর্বোচ্চ স্তর থেকে কাশ্মীরে ব্যাপক নিরাপত্তায় সিআরপিএফের মোতায়েন বন্ধের ইঙ্গিত বলে ধারণা করছেন বিশ্লেষকেরা। সরকারের পক্ষ থেকে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই বাহিনীর লক্ষ্য অর্জনের একটি সময়সীমাও নির্ধারণ করেছে। 

অমিত শাহ তাঁর বক্তব্যে বলেন, ‘কাশ্মীর, নকশাল অধ্যুষিত এলাকা এবং উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সিআরপিএফ যে সংকল্প নিয়ে কাজ করছে—আমি নিশ্চিত যে আগামী কয়েক বছরের মধ্যে এই তিন অঞ্চলে সিআরপিএফ ব্যবহারের প্রয়োজন নাও হতে পারে। সিআরপিএফ ছাড়াই এই তিন অঞ্চলে সম্পূর্ণ শান্তি বজায় রাখতে আত্মবিশ্বাসী আমরা। এবং এমনটি যদি ঘটে তবে পুরো কৃতিত্ব সিআরপিএফকেই দিতে হবে।’ 

অমিত শাহ বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিলের পর পর সবচেয়ে বড় অর্জন হলো—নিরাপত্তা বাহিনী সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলোর ওপর দারুণভাবে নিয়ন্ত্রণে কায়েম করেছে।’

ভারতের সংবিধানের ৩৭০ অনুচ্ছেদের দ্বারা জম্মু-কাশ্মীরকে বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়েছিল কিন্তু ২০১৯ সালের ৫ আগস্ট কেন্দ্রীয় সরকার ৩৭০ অনুচ্ছেদ বাতিল করে কেন্দ্র সরকার জম্মু-কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় এবং রাজ্যটিকে জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখ—তিনটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভক্ত করে। 

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ এই অঞ্চলের পরিস্থিতির উন্নতি হয়েছে উল্লেখ করে বলেন, তৃণমূল স্তরে গণতন্ত্র ও অবকাঠামো উন্নয়নে ৩৩ হাজার কোটি রুপি বিনিয়োগ করা হবে বলে উল্লেখ করেন। 

উল্লেখ্য, সিআরপিএফের মোট জনবলের চার ভাগের এক ভাগই কাশ্মীরে মোতায়েন করা হয়েছে সেখানকার ‘জঙ্গিবাদ’ ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি মোকাবিলায়। তবে সিআরপিএফ ছাড়াও জম্মু-কাশ্মীরে স্থানীয় পুলিশ, সেনাবাহিনী, ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফ, ইন্দো-টিবেটান বর্ডার পুলিশ (আইটিবিপি) এবং ভুটান ও নেপাল সীমান্তে মোতায়েন সীমান্তরক্ষী বাহিনী সশস্ত্র সীমা বল (এসএসবি) ও মোতায়েন করা হয়েছে। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত