একটি উন্নত দেশ হিসেবে স্বাধীনতার শত বছর উদ্যাপন করবে ভারত। ভারতে কোনো দুর্নীতি, বর্ণপ্রথা ও সাম্প্রদায়িকতার জায়গা থাকবে না। ভারত হবে বাকি বিশ্বের সত্যিকারের মানব উন্নয়নের পথপ্রদর্শক।
আজ রোববার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘২০৪৭ সাল নাগাদ ভারত একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে; আমাদের জাতীয় জীবনে দুর্নীতি, বর্ণপ্রথা ও সাম্প্রদায়িকতার কোনো জায়গা থাকবে না।’
নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি২০ সম্মেলন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন দিক নির্দেশনার জন্য ভারতের দিকে চেয়ে আছে। বিশ্বের জিডিপি কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এখন মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আর ভারত এ পরিবর্তনে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের বক্তব্য ও লক্ষ্যকে ভবিষ্যতের পথ নির্দেশক হিসেবে দেখে, এটা শুধুই ধারণা নয়।’
ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে বদলে যাচ্ছে তা বোঝাতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে ভারতকে কেবল এক শ কোটি ক্ষুধার্ত পেটের দেশ হিসেবে দেখা হতো। এখন, এটি এক শ কোটি উচ্চাভিলাষী মন ও দুইশ কোটি দক্ষ হাতের দেশ।’
তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ভারত তার বিশাল জনসংখ্যার সুফল পাবে এবং জনগণ দেশটিকে এক বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত করবে। ভারতীয়দের আজ আগামী এক হাজার বছর পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করার বিশাল সুযোগ আছে। এক সময় কেবল বৃহৎ বাজার হিসেবে দেখা ভারত এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ভূমিকা রাখে।’
বিজেপি প্রচারিত ‘বিনা মূল্যে দেওয়ার সংস্কৃতি’ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা প্রশ্নে মোদি কটাক্ষ করে বলেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থনৈতিক নীতি ও সস্তা জনপ্রিয়তা স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক সফলতা এনে দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে সেটির জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হয়।’ সাবেক সরকার ব্যবস্থার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘তাঁদের দিল্লির বাইরে সফলভাবে বৈশ্বিক সম্মেলন করার জন্য অন্যান্য প্রদেশের জনগণের ওপর আস্থা কম ছিল।’
ভারত জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হওয়ায় তৃতীয় বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বীজ বুনে দিয়েছে। জি২০ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমেই ভারত আগামী কয়েক বছরে বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বা বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো কী ভূমিকা রাখবে তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমনটাই মনে করেন নরেন্দ্র মোদি।
জি২০ সম্মেলনে ভারতের থিম হলো ‘বাসুদেবা কুটুম্বাকম’ বা ‘পৃথিবী একটি পরিবার’। ‘এটি শুধু স্লোগান নয় বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে পাওয়া একটি সামগ্রিক দর্শন’ বলে উল্লেখ করেন মোদি।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য সংলাপ ও কূটনীতিই একমাত্র উপায়।’
এ যুদ্ধে কোনো পক্ষের সমর্থন না করায় ও বারবার সংলাপের ওপর জোর দেওয়ায় সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। এমনকি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতের রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে পশ্চিমের কয়েকটি দেশ তীব্র সমালোচনা করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এস জয়শংকর এ সিদ্ধান্তের সমর্থনে বারবার বলেছেন, প্রত্যেকটি দেশ তার জনগণের জন্য সম্ভাব্য সেরাটাই করার চেষ্টা করে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জি ২০–এর আয়োজক হিসেবে হোক বা না হোক, আমরা বিশ্বজুড়ে শান্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা করব।’
জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নত দেশগুলোকে আরও বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কোনো একক সমাধান নেই।’
একটি উন্নত দেশ হিসেবে স্বাধীনতার শত বছর উদ্যাপন করবে ভারত। ভারতে কোনো দুর্নীতি, বর্ণপ্রথা ও সাম্প্রদায়িকতার জায়গা থাকবে না। ভারত হবে বাকি বিশ্বের সত্যিকারের মানব উন্নয়নের পথপ্রদর্শক।
আজ রোববার বার্তা সংস্থা পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
সাক্ষাৎকারে প্রধানমন্ত্রী মোদি বলেন, ‘২০৪৭ সাল নাগাদ ভারত একটি উন্নত রাষ্ট্রে পরিণত হবে; আমাদের জাতীয় জীবনে দুর্নীতি, বর্ণপ্রথা ও সাম্প্রদায়িকতার কোনো জায়গা থাকবে না।’
নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠেয় জি২০ সম্মেলন নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বিশ্ব এখন দিক নির্দেশনার জন্য ভারতের দিকে চেয়ে আছে। বিশ্বের জিডিপি কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি এখন মানবকেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গিতে রূপান্তরিত হচ্ছে। আর ভারত এ পরিবর্তনে প্রভাবকের ভূমিকা পালন করছে।’
তিনি বলেন, ‘বিশ্ব আমাদের বক্তব্য ও লক্ষ্যকে ভবিষ্যতের পথ নির্দেশক হিসেবে দেখে, এটা শুধুই ধারণা নয়।’
ভারতের প্রতি বিশ্বের দৃষ্টিভঙ্গি কীভাবে বদলে যাচ্ছে তা বোঝাতে গিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দীর্ঘকাল ধরে ভারতকে কেবল এক শ কোটি ক্ষুধার্ত পেটের দেশ হিসেবে দেখা হতো। এখন, এটি এক শ কোটি উচ্চাভিলাষী মন ও দুইশ কোটি দক্ষ হাতের দেশ।’
তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক দশকের মধ্যে ভারত তার বিশাল জনসংখ্যার সুফল পাবে এবং জনগণ দেশটিকে এক বৃহৎ অর্থনীতির দেশে পরিণত করবে। ভারতীয়দের আজ আগামী এক হাজার বছর পর্যন্ত স্মরণীয় হয়ে থাকার মতো উন্নয়নের ভিত্তি স্থাপন করার বিশাল সুযোগ আছে। এক সময় কেবল বৃহৎ বাজার হিসেবে দেখা ভারত এখন বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবিলায় ভূমিকা রাখে।’
বিজেপি প্রচারিত ‘বিনা মূল্যে দেওয়ার সংস্কৃতি’ নিয়ে বিরোধীদের সমালোচনা প্রশ্নে মোদি কটাক্ষ করে বলেন, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন অর্থনৈতিক নীতি ও সস্তা জনপ্রিয়তা স্বল্পমেয়াদি রাজনৈতিক সফলতা এনে দিলেও দীর্ঘ মেয়াদে সেটির জন্য সামাজিক ও অর্থনৈতিক মূল্য দিতে হয়।’ সাবেক সরকার ব্যবস্থার নিন্দা করে তিনি বলেন, ‘তাঁদের দিল্লির বাইরে সফলভাবে বৈশ্বিক সম্মেলন করার জন্য অন্যান্য প্রদেশের জনগণের ওপর আস্থা কম ছিল।’
ভারত জি ২০ সম্মেলনের আয়োজক দেশ হওয়ায় তৃতীয় বিশ্বের অন্য দেশগুলোর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের বীজ বুনে দিয়েছে। জি২০ সম্মেলন আয়োজনের মাধ্যমেই ভারত আগামী কয়েক বছরে বৈশ্বিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে তৃতীয় বিশ্বের দেশগুলো বা বৈশ্বিক দক্ষিণের দেশগুলো কী ভূমিকা রাখবে তার ইঙ্গিত দিচ্ছে। এমনটাই মনে করেন নরেন্দ্র মোদি।
জি২০ সম্মেলনে ভারতের থিম হলো ‘বাসুদেবা কুটুম্বাকম’ বা ‘পৃথিবী একটি পরিবার’। ‘এটি শুধু স্লোগান নয় বরং সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য থেকে পাওয়া একটি সামগ্রিক দর্শন’ বলে উল্লেখ করেন মোদি।
রাশিয়া–ইউক্রেন যুদ্ধে ভারতের অবস্থান নিয়ে ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘দ্বন্দ্ব মেটানোর জন্য সংলাপ ও কূটনীতিই একমাত্র উপায়।’
এ যুদ্ধে কোনো পক্ষের সমর্থন না করায় ও বারবার সংলাপের ওপর জোর দেওয়ায় সমালোচনার মুখোমুখি হয়েছে ভারত। এমনকি ইউরোপ ও যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার পরও ভারতের রাশিয়া থেকে জ্বালানি তেল কেনার সিদ্ধান্ত নিয়ে পশ্চিমের কয়েকটি দেশ তীব্র সমালোচনা করে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এস জয়শংকর এ সিদ্ধান্তের সমর্থনে বারবার বলেছেন, প্রত্যেকটি দেশ তার জনগণের জন্য সম্ভাব্য সেরাটাই করার চেষ্টা করে। ভারতও এর ব্যতিক্রম নয়।
ভারতের প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জি ২০–এর আয়োজক হিসেবে হোক বা না হোক, আমরা বিশ্বজুড়ে শান্তি নিশ্চিত করতে সব ধরনের প্রচেষ্টা করব।’
জলবায়ু পরিবর্তনে উন্নত দেশগুলোকে আরও বেশি এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে নরেন্দ্র মোদি বলেন, ‘জলবায়ু সংকট মোকাবিলায় কোনো একক সমাধান নেই।’
যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালী বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
৬ মিনিট আগেইরানে পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলাকে ‘অসাধারণ এবং ব্যাপক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আকাশপথে নিঃশব্দ ও প্রায় অদৃশ্য এই যুদ্ধযান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
২ ঘণ্টা আগেইরানে থাকা ‘বন্ধুদের’ তথ্যের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিনা মূল্যে চালু করার জন্য স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল।
৩ ঘণ্টা আগে