আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, সহিংস আন্দোলন কোনো সুফল আনে না। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, গত মাসে নেপালে জেনারেশন জেডের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার পতন হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। একইভাবে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালে, আর বাংলাদেশের ২০২৪ সালের আন্দোলনে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটলেও স্থিতি ফেরেনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আরএসএস প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন ভাগবত। আরএসএস–কে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শগত অভিভাবক হিসেবে ধরা হয়। সেখানে ভাগবত বলেন, ‘সহিংস আন্দোলন অরাজকতা ডেকে আনে।’ তাঁর দাবি, এ ধরনের সহিংস আন্দোলন ‘বিদেশি শক্তিগুলোকে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে অস্থিতিশীলতা আর অশান্তি তৈরি হচ্ছে। এগুলো আমাদের অঞ্চলের বিষয়, আমাদের সঙ্গেই জড়িয়ে। কারণ, অনেকেই একসময় ভারতের অংশ ছিল। তাই বিষয়টি শুধু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নয়, আমাদের আত্মপরিচয় আর সম্পর্কের জায়গা থেকেও উদ্বেগের বিষয়।’
মোহন ভাগবত আরও বলেন, ‘পাশের দেশে অশান্তি ভালো লক্ষণ নয়। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর নেপালে জনতার সহিংস রোষে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের। ভারতের ভেতরে আর বাইরে থেকেও এমন অশান্তি তৈরির চেষ্টায় নানা শক্তি সক্রিয় আছে।’ ফ্রান্সের ইতিহাস টেনে ভাগবত বলেন, ‘সেখানে রাজাকে সরানো হয়েছিল, পরে নেপোলিয়ন সম্রাট হন। বহু সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু সেই দেশগুলো এখন পুঁজিবাদী।’
আরএসএস প্রধান বলেন, ভারতের ঐতিহ্য হলো বৈচিত্র্য। এ বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করাই দেশের শক্তি। তাঁর ভাষায়, ‘ভিন্নতা কখনো মতবিরোধও তৈরি করতে পারে। তবে এসব ভিন্নতা আইনের ভেতরে থেকেই প্রকাশ করতে হবে। উসকানি দিয়ে সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনকে ন্যায়সংগত হতে হবে। তবে তরুণদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করতে হবে। অরাজকতার ব্যাকরণ থামাতে হবে।’
মোহন ভগবতের ‘বৈচিত্র্যের মধ্যকার ঐক্য’ বিষয়ক বক্তব্যের ঠিক একদিন আগে, গতকাল বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের হুমকিতে দেশের জনসংখ্যার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। এতে সামাজিক সম্প্রীতি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে।’
আরও খবর পড়ুন:
ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপির আদর্শিক সংগঠন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (আরএসএস) প্রধান মোহন ভাগবত আজ বৃহস্পতিবার বলেছেন, সহিংস আন্দোলন কোনো সুফল আনে না। তিনি উদাহরণ টেনে বলেন, গত মাসে নেপালে জেনারেশন জেডের নেতৃত্বে হওয়া আন্দোলনে দুর্নীতিগ্রস্ত সরকার পতন হলেও স্থায়ী সমাধান হয়নি। একইভাবে শ্রীলঙ্কায় ২০২২ সালে, আর বাংলাদেশের ২০২৪ সালের আন্দোলনে রাজনৈতিক পালাবদল ঘটলেও স্থিতি ফেরেনি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির খবরে বলা হয়েছে, আরএসএস প্রতিষ্ঠার শতবর্ষ উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ভাষণ দেন ভাগবত। আরএসএস–কে ভারতীয় জনতা পার্টির (বিজেপি) আদর্শগত অভিভাবক হিসেবে ধরা হয়। সেখানে ভাগবত বলেন, ‘সহিংস আন্দোলন অরাজকতা ডেকে আনে।’ তাঁর দাবি, এ ধরনের সহিংস আন্দোলন ‘বিদেশি শক্তিগুলোকে হস্তক্ষেপের সুযোগ করে দেয়।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের পার্শ্ববর্তী দেশে অস্থিতিশীলতা আর অশান্তি তৈরি হচ্ছে। এগুলো আমাদের অঞ্চলের বিষয়, আমাদের সঙ্গেই জড়িয়ে। কারণ, অনেকেই একসময় ভারতের অংশ ছিল। তাই বিষয়টি শুধু জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নয়, আমাদের আত্মপরিচয় আর সম্পর্কের জায়গা থেকেও উদ্বেগের বিষয়।’
মোহন ভাগবত আরও বলেন, ‘পাশের দেশে অশান্তি ভালো লক্ষণ নয়। শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ আর নেপালে জনতার সহিংস রোষে সরকার পরিবর্তন হয়েছে। এটা আমাদের জন্য উদ্বেগের। ভারতের ভেতরে আর বাইরে থেকেও এমন অশান্তি তৈরির চেষ্টায় নানা শক্তি সক্রিয় আছে।’ ফ্রান্সের ইতিহাস টেনে ভাগবত বলেন, ‘সেখানে রাজাকে সরানো হয়েছিল, পরে নেপোলিয়ন সম্রাট হন। বহু সমাজতান্ত্রিক আন্দোলন হয়েছে, কিন্তু সেই দেশগুলো এখন পুঁজিবাদী।’
আরএসএস প্রধান বলেন, ভারতের ঐতিহ্য হলো বৈচিত্র্য। এ বৈচিত্র্যকে আলিঙ্গন করাই দেশের শক্তি। তাঁর ভাষায়, ‘ভিন্নতা কখনো মতবিরোধও তৈরি করতে পারে। তবে এসব ভিন্নতা আইনের ভেতরে থেকেই প্রকাশ করতে হবে। উসকানি দিয়ে সমাজে বিভাজন তৈরির চেষ্টা গ্রহণযোগ্য নয়। প্রশাসনকে ন্যায়সংগত হতে হবে। তবে তরুণদেরও সচেতন থাকতে হবে এবং প্রয়োজনে হস্তক্ষেপ করতে হবে। অরাজকতার ব্যাকরণ থামাতে হবে।’
মোহন ভগবতের ‘বৈচিত্র্যের মধ্যকার ঐক্য’ বিষয়ক বক্তব্যের ঠিক একদিন আগে, গতকাল বুধবার ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছিলেন, ‘অনুপ্রবেশকারীদের হুমকিতে দেশের জনসংখ্যার চিত্র পাল্টে যাচ্ছে। এতে সামাজিক সম্প্রীতি ও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়ছে।’
আরও খবর পড়ুন:
ইসরায়েলি নৌবাহিনী গাজা উপত্যকার উদ্দেশে যাওয়া আন্তর্জাতিক সহায়তা বহর গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা আক্রমণ করেছে। এ সময় অন্তত ৩১৭ জন কর্মীকে আটক করা হয়েছে বলে বৃহস্পতিবার জানিয়েছে ফ্লোটিলার আয়োজকেরা। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সি এ তথ্য জানিয়েছে।
১৯ মিনিট আগেযুক্তরাজ্যভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য টেলিগ্রাফ জানিয়েছে, হামলার পর সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গুলি করে পুলিশ। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তিনি এখনো জীবিত আছেন।
২০ মিনিট আগেতাইওয়ান গতকাল বুধবার অভিযোগ করেছে, বেইজিং ‘এক চীন নীতি’র পুনরুল্লেখ করে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদের একটি প্রস্তাবকে ব্যবহার করে ‘ভবিষ্যতে সামরিক আগ্রাসনের আইনি ভিত্তি তৈরি’ করতে চাইছে। তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
৩৮ মিনিট আগেইসরায়েলি বাহিনী গাজায় সাহায্য নিয়ে যাওয়া গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলার অন্তত ৩৯টি নৌযান আটক করেছে। এসব নৌকায় ছিলেন বিদেশি ফিলিস্তিনপন্থী অধিকারকর্মী। তাঁদের মধ্যে সুইডিশ জলবায়ু কর্মী গ্রেটা থুনবার্গও ছিলেন। আয়োজকেরা বৃহস্পতিবার জানিয়েছেন, বর্তমানে শুধু একটি নৌযান এখনো ফিলিস্তিনি উপকূলের দিকে যাত্রা করছে।
১ ঘণ্টা আগে