বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। তাই তাঁকে প্রয়োজনে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন সাবেক কূটনীতিক, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মণি শংকর আইয়ার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রাতে মণি শংকর আইয়ার বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, গত মাসে (ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যা খুবই ইতিবাচক।
কলকাতায় ১৬তম আপিজয় সাহিত্য উৎসবে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণি শংকর আইয়ার বলেন, এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার এবং ভারতের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবির বিষয়ে আইয়ার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই একমত হব যে—শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমি খুশি যে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যত দিন তিনি থাকতে চান, এমনকি তা সারা জীবন হলেও, আমাদের তাঁকে অতিথি হিসেবে রাখা উচিত।’ ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান।
আইয়ার বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্যি, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা শেখ হাসিনার সমর্থকদের ওপর রাজনৈতিক হামলা। তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্য হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে সৃষ্ট।’
এর আগে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে আইয়ার বলেন, পাকিস্তানের মানুষ ভারতীয়দের মতোই, শুধু ভাগ্যের দোষে তারা আলাদা দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন তামিল, আমার স্ত্রী পাঞ্জাবি। আমাদের মধ্যে যে পার্থক্য, তার চেয়েও কম পার্থক্য আমার স্ত্রীর সঙ্গে একজন পাকিস্তানি পাঞ্জাবির।’
নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করে আইয়ার বলেন, ‘আমাদের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাহস আছে, কিন্তু এই সরকারের টেবিলে বসে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার সাহস নেই।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান একদিকে সন্ত্রাস ছড়ায়, অন্যদিকে নিজেরাও সন্ত্রাসের শিকার। তারা ভেবেছিল তালেবানকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আনতে পারবে। কিন্তু এখন তাদের সবচেয়ে বড় হুমকি আফগানিস্তানের সেই তালেবানই।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে গোপন আলোচনার পথ তৈরি করা। জেনারেল পারভেজ মোশাররফ একে চার দফা চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মনমোহন সিং দেখিয়েছিলেন সামরিক সরকারের সঙ্গেও আলোচনা সম্ভব। আমাদের উচিত তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।’
বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। তাই তাঁকে প্রয়োজনে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন সাবেক কূটনীতিক, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মণি শংকর আইয়ার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
গতকাল শনিবার রাতে মণি শংকর আইয়ার বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, গত মাসে (ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যা খুবই ইতিবাচক।
কলকাতায় ১৬তম আপিজয় সাহিত্য উৎসবে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণি শংকর আইয়ার বলেন, এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার এবং ভারতের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা।
বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবির বিষয়ে আইয়ার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই একমত হব যে—শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমি খুশি যে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যত দিন তিনি থাকতে চান, এমনকি তা সারা জীবন হলেও, আমাদের তাঁকে অতিথি হিসেবে রাখা উচিত।’ ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান।
আইয়ার বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্যি, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা শেখ হাসিনার সমর্থকদের ওপর রাজনৈতিক হামলা। তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্য হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে সৃষ্ট।’
এর আগে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে আইয়ার বলেন, পাকিস্তানের মানুষ ভারতীয়দের মতোই, শুধু ভাগ্যের দোষে তারা আলাদা দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন তামিল, আমার স্ত্রী পাঞ্জাবি। আমাদের মধ্যে যে পার্থক্য, তার চেয়েও কম পার্থক্য আমার স্ত্রীর সঙ্গে একজন পাকিস্তানি পাঞ্জাবির।’
নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করে আইয়ার বলেন, ‘আমাদের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাহস আছে, কিন্তু এই সরকারের টেবিলে বসে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার সাহস নেই।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান একদিকে সন্ত্রাস ছড়ায়, অন্যদিকে নিজেরাও সন্ত্রাসের শিকার। তারা ভেবেছিল তালেবানকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আনতে পারবে। কিন্তু এখন তাদের সবচেয়ে বড় হুমকি আফগানিস্তানের সেই তালেবানই।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে গোপন আলোচনার পথ তৈরি করা। জেনারেল পারভেজ মোশাররফ একে চার দফা চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মনমোহন সিং দেখিয়েছিলেন সামরিক সরকারের সঙ্গেও আলোচনা সম্ভব। আমাদের উচিত তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।’
ওয়াংচুকের কিছু দেশে ভ্রমণকেও সন্দেহজনক বলে আখ্যা দেন পুলিশপ্রধান। তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনি (ওয়াংচুক) পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডনের আমন্ত্রণে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিয়েছিলেন। এরপর তিনি বাংলাদেশেও গিয়েছিলেন।’
১ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বোমা মারার কথা বলেন ফক্স নিউজের উপস্থাপক জেসি ওয়াটার্স। তবে পরবর্তী সময় এই মন্তব্যের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ওয়াটার্স।
৩ ঘণ্টা আগেজাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে যোগ দিতে এসে আন্তসীমান্ত সন্ত্রাসী তৎপরতা নিয়ে এক ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নের মুখে পড়েন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। নিউইয়র্কে জাতিসংঘ সদর দপ্তরে প্রবেশ করার ঠিক আগে তাঁকে এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। পরে তাঁর ভাষণে তিনি কাশ্মীর, পানিবণ্টন চুক্তি এবং ভারতের..
৪ ঘণ্টা আগেপ্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে এনডিটিভি জানিয়েছে, গতকাল শুক্রবার একটি বাইকে এসে কালু সিং নামে এক বাসিন্দার বাড়িতে ঢোকেন মহেশ (২৫)। পরিবারটি তাঁকে আগে কখনো দেখেনি। কোনো কথা না বলে, মহেশ হঠাৎ বাড়িতে পড়ে থাকা কোদালের মতো ধারালো অস্ত্র দিয়ে বিকাশ নামের ওই শিশুর ওপর আক্রমণ করে তার ঘাড় থেকে মাথা বিচ্ছিন্ন...
৬ ঘণ্টা আগে