Ajker Patrika

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বোমা মারার হুমকি দিলেন ফক্স নিউজের উপস্থাপক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
নির্বাচনের আগে জেসি ওয়াটার্সের একটি শোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। ছবি: সংগৃহীত
নির্বাচনের আগে জেসি ওয়াটার্সের একটি শোতে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্স। ছবি: সংগৃহীত

জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের অধিবেশন চলাকালে বিড়ম্বনার শিকার হয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে জাতিসংঘের সদর দপ্তরে বোমা মারার হুমকি দিয়েছেন ফক্স নিউজের উপস্থাপক জেসি ওয়াটার্স। তবে পরবর্তী সময় এই মন্তব্যের জন্য ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চেয়েছেন ওয়াটার্স।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক জানান, ফক্স নিউজের উপস্থাপক জেসি ওয়াটার্সের মন্তব্যে তাঁরা ‘বিস্মিত’। তিনি বলেন, ‘টেকনিক্যাল কারণে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের এস্কেলেটর ও টেলিপ্রম্পটারে সমস্যা হয়েছিল। এ জন্য জাতিসংঘ সদর দপ্তরে বোমা হামলার হুমকি হতাশাজনক।’

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত মঙ্গলবার ফক্স নিউজের একটি অনুষ্ঠানে এই মন্তব্য করেন জেসি ওয়াটার্স। তাঁর এই মন্তব্যের পরেই ফক্স নিউজকে বিষয়টি অবহিত করে জাতিসংঘ। এরপর জাতিসংঘের বৈশ্বিক যোগাযোগপ্রধান মেলিসা ফ্লেমিংয়ের সঙ্গে গোপনে যোগাযোগ করে ক্ষমা চান জেসি ওয়াটার্স। তবে ফক্স নিউজ এখনো এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক সাংবাদিকদের বলেন, ‘বোমা মারা, গ্যাস ব্যবহার করা বা এই ভবন ধ্বংস করার কথা বলা কোনোভাবেই মজার বিষয় নয়। এই ধরনের ভাষা অগ্রহণযোগ্য।’

প্রসঙ্গত, জাতিসংঘের অধিবেশনে যোগ দেওয়ার পর ট্রাম্প চলন্ত সিঁড়ি বন্ধ হয়ে যাওয়া ও টেলিপ্রম্পটার কাজ না করায় অভিযোগ করেছিলেন। এতে ক্ষুব্ধ হন উপস্থাপক জেসি ওয়াটার্স। ফক্স নিউজের একটি অনুষ্ঠানে তিনি এই প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘আমাদের হয় জাতিসংঘ ছেড়ে দেওয়া উচিত অথবা এখানে বোমা মারা উচিত। অথবা গ্যাস ব্যবহার করা উচিত... এটিকে ধ্বংস করা দরকার।’

তবে লিফট বন্ধ হয়ে যাওয়া ও টেলিপ্রম্পটার কাজ না করার ব্যাখ্যা দিয়ে জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টেফান ডুজারিক একটি বিবৃতি দেন। এতে তিনি বলেন, এস্কেলেটরের সেন্ট্রাল প্রসেসিং ইউনিটের তথ্য থেকে দেখা যায়, এস্কেলেটরের ওপরের দিকে ‘কম্ব স্টেপ’-এর একটি নিরাপত্তাব্যবস্থা সক্রিয় হওয়ার পর এটি বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। তিনি আরও বলেন, ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের সঙ্গে প্রেসিডেন্টের আগমন যাতে ভালোভাবে ক্যামেরাবন্দী করা যায় সে উদ্দেশ্যে ট্রাম্পের ভিডিওগ্রাফার পেছনের দিকে হেঁটে এস্কেলেটরে উঠছিলেন। এতেই বিপত্তিটি ঘটে।

ডুজারিক বলেন, ভিডিওগ্রাফার অনিচ্ছাকৃতভাবে নিরাপত্তাব্যবস্থাটি সক্রিয় করে থাকতে পারেন। এই নিরাপত্তাব্যবস্থাটি এমনভাবে ডিজাইন করা হয়েছে, যাতে মানুষ বা অন্য কোনো বস্তু অসাবধানতাবশত গিয়ারে আটকে না যায় বা গিয়ার তাঁকে টেনে নিয়ে না যায়।

জাতিসংঘের একজন কর্মকর্তা জানান, হোয়াইট হাউস নিজস্ব টেলিপ্রম্পটার ব্যবহার করছিল। ট্রাম্পের বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের প্রেসিডেন্ট আন্নালেয়ানা বেয়ারবক বলেন, জাতিসংঘের টেলিপ্রম্পটারগুলো ঠিকঠাক কাজ করছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জাতিসংঘে নেতানিয়াহুর ভাষণের সময় ওয়াকআউট করল কোন কোন দেশ, বাংলাদেশও কি ছিল

প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ও ফার্স্ট লেডির সঙ্গে ড. ইউনূস, পাশে মেয়ে দীনা

জুনেও যুক্তরাষ্ট্রে গিয়েছিলাম, এবার বাধা দেওয়ায় বিস্মিত হয়েছি: সোহেল তাজ

ভারতীয় সাংবাদিকের প্রশ্নে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রীর জবাব ভাইরাল

বিএনপির চোখ জামায়াত ও চরমোনাইয়ের দিকে

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত