আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ফ্রান্সের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলামপন্থীদের ‘অনুপ্রবেশ’ জাতীয় ঐক্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিবেদন সতর্ক করেছে। আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর কাছে পেশ করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, বিশেষ করে স্কুল ও স্থানীয় সরকারে পরিকল্পিতভাবে ঢুকে পড়ছে।
বিবিসির তথ্যমতে, প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন দুজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, মুসলিম ব্রাদারহুড এখন ‘এন্ট্রিইজম’ কৌশলের মাধ্যমে ফরাসি প্রজাতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে ঢুকে তা ভেতর থেকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে মাখোঁ তাঁর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারকে আগামী মাসের শুরুতেই নতুন প্রস্তাবনা দিতে বলেছেন।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি ‘সেপারেটিজম’ থেকে ভিন্ন একটি নতুন প্রবণতা। আগে মুসলিমরা আলাদা সমাজে বাস করত। এখন তারা মূল কাঠামোতে ঢুকে এটিকেই বদলে দিতে চায়। এটি নিচ থেকে ওপরের দিকে কাজ করে এবং আত্মপ্রকাশ না করে সংগঠিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ফেডারেশন অব মুসলিমস অব ফ্রান্স’ (এফএমএফ) হলো মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান ফরাসি শাখা। এই সংগঠনটি ফ্রান্সে ১৩৯টি মসজিদ নিয়ন্ত্রণ করে এবং আরও ৬৮টি তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই হিসেবে ফ্রান্সের মোট মসজিদের প্রায় ৭ শতাংশের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তারা খেলাধুলা, শিক্ষা, দাতব্যসহ বিভিন্ন খাতে ২৮০টি সংগঠন এবং ২১টি স্কুল পরিচালনা করে। তাদের লক্ষ্য হলো—মুসলিমদের জীবন ‘জন্ম থেকে মৃত্যু’ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট ইসলামি কাঠামোর মধ্য দিয়ে পরিচালিত করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংগঠনের নেতারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ধীরে ধীরে হিজাব, দাঁড়ি, পোশাক, রোজার মতো সামাজিক নিয়ম চাপিয়ে দেন। মেয়েদের মধ্যে ধর্মীয় পোশাক পরার প্রবণতা বাড়ছে। এমনকি অনেকেই মাত্র ৫-৬ বছর বয়সেই হিজাব পরছে।
তবে এফএমএফ এসব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে বলেছে, ‘আমাদের বিদেশি রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা বা এন্ট্রিইজম কৌশলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলা একটি ভিত্তিহীন অপবাদ। ইসলামকে রাজনৈতিক ইসলাম ও উগ্রবাদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা বিপজ্জনক এবং প্রজাতন্ত্রের জন্যই ক্ষতিকর।’
ফরাসি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ব্রুনো রেটাইলো এই প্রতিবেদনের আলোকে ইসলামপন্থীদের ‘ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এর লক্ষ্য একসময় পুরো সমাজকে শরিয়া আইনের অধীন আনতে চাওয়া। আগামী বছর ফ্রান্সে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তিনি আশঙ্কা করছেন, সেখানে ইসলামি প্রার্থীতালিকাও দেখা যাবে।
অন্যদিকে বাম নেতা জ্যঁ-লুক মেলাঁশোঁ এই প্রতিবেদনকে ‘ইসলামোফোবিয়ার চরম রূপ’ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সরকারের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ডান ও অতি ডানপন্থীদের ভ্রান্ত তত্ত্ব অনুসরণ করছে।
প্রতিবেদনের লেখকেরা ইউরোপের চারটি দেশ ও ফ্রান্সের দশটি অঞ্চলে ঘুরে দেখেছেন। তাঁদের মতে, মুসলিম ব্রাদারহুড মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব হারিয়ে এখন ইউরোপে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে তুরস্ক ও কাতারের আর্থিক সহায়তায়। ইউরোপীয় সংস্কৃতির মুখোশ পরে তারা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়—যার ভেতরে একটি মৌলবাদী ও বিপজ্জনক প্রবণতা লুকিয়ে আছে।
ফ্রান্সের সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোতে ইসলামপন্থীদের ‘অনুপ্রবেশ’ জাতীয় ঐক্যের জন্য হুমকি সৃষ্টি করছে বলে একটি গুরুত্বপূর্ণ সরকারি প্রতিবেদন সতর্ক করেছে। আজ বুধবার প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁর কাছে পেশ করা এই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে—মুসলিম ব্রাদারহুড সংগঠনটি বিভিন্ন সরকারি সংস্থা, বিশেষ করে স্কুল ও স্থানীয় সরকারে পরিকল্পিতভাবে ঢুকে পড়ছে।
বিবিসির তথ্যমতে, প্রতিবেদনটি তৈরি করেছেন দুজন জ্যেষ্ঠ সরকারি কর্মকর্তা। তাঁরা অভিযোগ করেছেন, মুসলিম ব্রাদারহুড এখন ‘এন্ট্রিইজম’ কৌশলের মাধ্যমে ফরাসি প্রজাতান্ত্রিক কাঠামোর ভেতরে ঢুকে তা ভেতর থেকে বদলে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
বিষয়টির গুরুত্ব উপলব্ধি করে মাখোঁ তাঁর নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা বৈঠকে সরকারকে আগামী মাসের শুরুতেই নতুন প্রস্তাবনা দিতে বলেছেন।
প্রেসিডেন্ট প্রাসাদের এক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি ‘সেপারেটিজম’ থেকে ভিন্ন একটি নতুন প্রবণতা। আগে মুসলিমরা আলাদা সমাজে বাস করত। এখন তারা মূল কাঠামোতে ঢুকে এটিকেই বদলে দিতে চায়। এটি নিচ থেকে ওপরের দিকে কাজ করে এবং আত্মপ্রকাশ না করে সংগঠিত হয়।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ‘ফেডারেশন অব মুসলিমস অব ফ্রান্স’ (এফএমএফ) হলো মুসলিম ব্রাদারহুডের প্রধান ফরাসি শাখা। এই সংগঠনটি ফ্রান্সে ১৩৯টি মসজিদ নিয়ন্ত্রণ করে এবং আরও ৬৮টি তাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত। এই হিসেবে ফ্রান্সের মোট মসজিদের প্রায় ৭ শতাংশের ওপর তাদের নিয়ন্ত্রণ রয়েছে। তারা খেলাধুলা, শিক্ষা, দাতব্যসহ বিভিন্ন খাতে ২৮০টি সংগঠন এবং ২১টি স্কুল পরিচালনা করে। তাদের লক্ষ্য হলো—মুসলিমদের জীবন ‘জন্ম থেকে মৃত্যু’ পর্যন্ত একটি নির্দিষ্ট ইসলামি কাঠামোর মধ্য দিয়ে পরিচালিত করা।
প্রতিবেদনে বলা হয়, সংগঠনের নেতারা স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং ধীরে ধীরে হিজাব, দাঁড়ি, পোশাক, রোজার মতো সামাজিক নিয়ম চাপিয়ে দেন। মেয়েদের মধ্যে ধর্মীয় পোশাক পরার প্রবণতা বাড়ছে। এমনকি অনেকেই মাত্র ৫-৬ বছর বয়সেই হিজাব পরছে।
তবে এফএমএফ এসব অভিযোগ জোরালোভাবে অস্বীকার করে বলেছে, ‘আমাদের বিদেশি রাজনৈতিক কর্মসূচির সঙ্গে যুক্ত করা বা এন্ট্রিইজম কৌশলের সঙ্গে সম্পৃক্ত বলা একটি ভিত্তিহীন অপবাদ। ইসলামকে রাজনৈতিক ইসলাম ও উগ্রবাদের সঙ্গে গুলিয়ে ফেলা বিপজ্জনক এবং প্রজাতন্ত্রের জন্যই ক্ষতিকর।’
ফরাসি অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী ব্রুনো রেটাইলো এই প্রতিবেদনের আলোকে ইসলামপন্থীদের ‘ছদ্মবেশে অনুপ্রবেশ’ সম্পর্কে সতর্ক করেছেন। তাঁর মতে, এর লক্ষ্য একসময় পুরো সমাজকে শরিয়া আইনের অধীন আনতে চাওয়া। আগামী বছর ফ্রান্সে পৌর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এবং তিনি আশঙ্কা করছেন, সেখানে ইসলামি প্রার্থীতালিকাও দেখা যাবে।
অন্যদিকে বাম নেতা জ্যঁ-লুক মেলাঁশোঁ এই প্রতিবেদনকে ‘ইসলামোফোবিয়ার চরম রূপ’ বলে সমালোচনা করেছেন। তিনি দাবি করেছেন, সরকারের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা ডান ও অতি ডানপন্থীদের ভ্রান্ত তত্ত্ব অনুসরণ করছে।
প্রতিবেদনের লেখকেরা ইউরোপের চারটি দেশ ও ফ্রান্সের দশটি অঞ্চলে ঘুরে দেখেছেন। তাঁদের মতে, মুসলিম ব্রাদারহুড মধ্যপ্রাচ্যে প্রভাব হারিয়ে এখন ইউরোপে প্রভাব বিস্তারের চেষ্টা করছে তুরস্ক ও কাতারের আর্থিক সহায়তায়। ইউরোপীয় সংস্কৃতির মুখোশ পরে তারা মূলত মধ্যপ্রাচ্যের রক্ষণশীল মতাদর্শ প্রতিষ্ঠা করতে চায়—যার ভেতরে একটি মৌলবাদী ও বিপজ্জনক প্রবণতা লুকিয়ে আছে।
নতুন করে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্ত। আফগান সরকারের দাবি, গত শনিবার রাতে তাঁদের প্রতিশোধমূলক হামলায় পাকিস্তানের ৫৮ সেনাসদস্যকে হত্যা করা হয়েছে। পাকিস্তানের তরফে তাদের ২৩ সেনা নিহত ও ২৯ জন আহতের কথা স্বীকার করা হয়েছে। একই সঙ্গে দেশটি বলছে, তাদের পাল্টা অভিযানে ‘দুই শতাধিক...
১ ঘণ্টা আগেভারত সফররত তালেবান সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকির সংবাদ সম্মেলনে নারী সাংবাদিকদের প্রবেশে বাধা দেওয়ার পর এবার বিপরীত ঘটনা ঘটল। রোববার (১২ অক্টোবর) ভারতের নয়াদিল্লিতে আরও একটি সংবাদ সম্মেলনে অংশ নিয়েছেন মুত্তাকি, যেখানে উপস্থিত ছিলেন নারী সাংবাদিকেরাও। শুধু তা-ই নয়, নারী নিয়ে তিনি বেশ...
১ ঘণ্টা আগেছত্তিশগড়ের খৈরাগড় জেলার সারাগোন্ডি গ্রামের বৃদ্ধা দেবলা বাই। নিঃসন্তান এই নারী দুই দশক আগে নিজের উঠানে একটি ছোট অশ্বত্থগাছ লাগিয়েছিলেন। স্থানীয়দের ভাষ্য, তিনি গাছটিকে নিজের সন্তানের মতো যত্ন করতেন। নিয়মিত পানি দিতেন, পরিচর্যা করতেন। কিন্তু সম্প্রতি সেই গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে...
২ ঘণ্টা আগেবর নেই, কনেও নেই, কন্যাদান বা সাতপাকের অনুষ্ঠানেরও কোনো নজির নেই—তবু হচ্ছে বিয়ের উৎসব। আলোকসজ্জা, গান, গাঁদা ফুলের মালা, ঝলমলে পোশাক আর অন্তহীন নাচ-গানই এই উৎসবের প্রধান আকর্ষণ। দিল্লির বিভিন্ন বাড়ির ছাদ থেকে শুরু করে হায়দরাবাদের ক্লাব—সর্বত্র এ ধরনের ভুয়া বিয়ের উৎসবে মেতেছে ভারতের তরুণ প্রজন্ম।
৩ ঘণ্টা আগে