কোভিড টিকার অপ্রতুলতা এবং টিকা নিতে মানুষের মধ্যে দ্বিধার কারণে ওমিক্রনের মতো ধরন তৈরি হচ্ছে। এমন দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া করোনার টিকার ট্রায়াল চলার সময়ই ধনী দেশগুলো আগাম ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখছে। তারা প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টিকা সংগ্রহ করছে। এতে বিপাকে পড়ছে উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশগুলো। এই আচরণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনৈতিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড বলেন, ‘সম্ভবত ধরনটি (ওমিক্রন) অন্য কোনো দেশে আবির্ভূত হয়েছে। তবে শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। খুব ভালো জিন সিকোয়েন্স করায় এটি শনাক্ত করা গেছে। সাব-সাহারা অঞ্চলে মহামারির কারণে এই ধরন তৈরি হতে পারে কারণ। ওই অঞ্চলগুলোতে টিকা দেওয়ার হার কম। এ ছাড়া জিন সিকোয়েন্স সেখানে তেমন হয় না।
বিশ্বজুড়ে টিকা প্রয়োগের গতি কম হওয়ার কারণে এই নতুন ধরনের তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন মাইকেল হেড। ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের এই জ্যেষ্ঠ গবেষক মনে করেন, অনিয়ন্ত্রিত মহামারি এবং বিশাল এলাকাজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়লে নতুন ধরন তৈরির ক্ষেত্র তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ তিনি গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত আলফা ধরন এবং ফেব্রুয়ারিতে ভারতে পাওয়া ডেলটা ধরনের উল্লেখ করেন।
গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন ধরন শনাক্তের খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানায়। পরে বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং ও ইসরায়েলে এই ধরন শনাক্ত হয়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হচ্ছে করোনার এই নতুন ধরন।
এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কোভিড টিকা প্রয়োগের হারের বিশাল পার্থক্যকে দায়ী করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য গবেষণা সংস্থা ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক জেরেমি ফারার টুইট বার্তায় বলেন, নতুন ধরনগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মহামারি শেষ হয়নি। কোভিড টিকার বৈষম্য মহামারিকে প্রসারিত করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ মানুষ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। যেখানে ধনী দেশগুলো ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ পেয়েছেন। ইউরোপীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার কমপক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন।
টিকার প্রয়োগ কম হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বিধা।
জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড বলেন, ধনী দেশগুলো প্রকৃতপক্ষে যা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি ডোজ মজুত করে রেখেছে। তারা জাতিসংঘের টিকা বিতরণ উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বা সরাসরি নিজেদের টিকা দান করার প্রতিশ্রুতি ঠিকঠাক রক্ষা করছে না।
উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার সমবণ্টন নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্স কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গত মাসের হিসাব অনুযায়ী, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৫৩ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা ১৪৪টি দেশে বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে বিশ্বে এ পর্যন্ত ৭৯০ কোটি ডোজ টিকা বিক্রি করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. রিচার্ড লেসেলস বলেন, ‘নতুন ধরন আবিষ্কার করার খবরে ধনী বিশ্বের প্রতিক্রিয়া তাদের স্বার্থপরতার উদাহরণ। আমি এটিকে ঘৃণ্য এবং সত্যিই কষ্টদায়ক বলে মনে করছি। যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি সবচেয়ে বাজে প্রতিক্রিয়া।’
এদিকে গতকাল শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, করোনার নতুন ধরন শনাক্ত করায় আমাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
কোভিড টিকার অপ্রতুলতা এবং টিকা নিতে মানুষের মধ্যে দ্বিধার কারণে ওমিক্রনের মতো ধরন তৈরি হচ্ছে। এমন দাবি করেছেন বিশেষজ্ঞরা। এ ছাড়া করোনার টিকার ট্রায়াল চলার সময়ই ধনী দেশগুলো আগাম ক্রয়াদেশ দিয়ে রাখছে। তারা প্রয়োজনের চেয়ে কয়েকগুণ বেশি টিকা সংগ্রহ করছে। এতে বিপাকে পড়ছে উন্নয়নশীল এবং দরিদ্র দেশগুলো। এই আচরণকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনৈতিক বলে আখ্যায়িত করেছে।
মার্কিন সম্প্রচারমাধ্যম সিএনএনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ইংল্যান্ডের ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড বলেন, ‘সম্ভবত ধরনটি (ওমিক্রন) অন্য কোনো দেশে আবির্ভূত হয়েছে। তবে শনাক্ত হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকায়। খুব ভালো জিন সিকোয়েন্স করায় এটি শনাক্ত করা গেছে। সাব-সাহারা অঞ্চলে মহামারির কারণে এই ধরন তৈরি হতে পারে কারণ। ওই অঞ্চলগুলোতে টিকা দেওয়ার হার কম। এ ছাড়া জিন সিকোয়েন্স সেখানে তেমন হয় না।
বিশ্বজুড়ে টিকা প্রয়োগের গতি কম হওয়ার কারণে এই নতুন ধরনের তৈরি হয়েছে বলেও মনে করেন মাইকেল হেড। ইউনিভার্সিটি অব সাউদাম্পটনের এই জ্যেষ্ঠ গবেষক মনে করেন, অনিয়ন্ত্রিত মহামারি এবং বিশাল এলাকাজুড়ে করোনা ছড়িয়ে পড়লে নতুন ধরন তৈরির ক্ষেত্র তৈরি হয়। উদাহরণস্বরূপ তিনি গত ডিসেম্বরে যুক্তরাজ্যে শনাক্ত আলফা ধরন এবং ফেব্রুয়ারিতে ভারতে পাওয়া ডেলটা ধরনের উল্লেখ করেন।
গত বুধবার দক্ষিণ আফ্রিকা ওমিক্রন ধরন শনাক্তের খবর বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থাকে (ডব্লিউএইচও) জানায়। পরে বতসোয়ানা, বেলজিয়াম, হংকং ও ইসরায়েলে এই ধরন শনাক্ত হয়। এরপর থেকে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে শনাক্ত হচ্ছে করোনার এই নতুন ধরন।
এ নিয়ে বিশেষজ্ঞরা কোভিড টিকা প্রয়োগের হারের বিশাল পার্থক্যকে দায়ী করছেন। যুক্তরাজ্যভিত্তিক দাতব্য গবেষণা সংস্থা ওয়েলকাম ট্রাস্টের পরিচালক জেরেমি ফারার টুইট বার্তায় বলেন, নতুন ধরনগুলো আমাদের স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে যে, মহামারি শেষ হয়নি। কোভিড টিকার বৈষম্য মহামারিকে প্রসারিত করবে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের দরিদ্র দেশগুলোর মাত্র সাড়ে ৭ শতাংশ মানুষ টিকার একটি ডোজ পেয়েছেন। যেখানে ধনী দেশগুলো ৬৩ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ একটি ডোজ পেয়েছেন। ইউরোপীয় এবং যুক্তরাষ্ট্রের প্রায় ৭০ শতাংশ মানুষ টিকার কমপক্ষে এক ডোজ পেয়েছেন।
টিকার প্রয়োগ কম হওয়ার আরেকটি কারণ হলো এটি নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে দ্বিধা।
জ্যেষ্ঠ গবেষক মাইকেল হেড বলেন, ধনী দেশগুলো প্রকৃতপক্ষে যা প্রয়োজন তার চেয়ে বেশি ডোজ মজুত করে রেখেছে। তারা জাতিসংঘের টিকা বিতরণ উদ্যোগ কোভ্যাক্সের মাধ্যমে বা সরাসরি নিজেদের টিকা দান করার প্রতিশ্রুতি ঠিকঠাক রক্ষা করছে না।
উন্নয়নশীল ও দরিদ্র দেশগুলোর মধ্যে করোনাভাইরাসের টিকার সমবণ্টন নিশ্চিত করতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা কোভ্যাক্স কর্মসূচি হাতে নিয়েছে। গত মাসের হিসাব অনুযায়ী, কোভ্যাক্সের মাধ্যমে ৫৩ কোটি ৭০ লাখ ডোজ টিকা ১৪৪টি দেশে বিতরণ করা হয়েছে। যেখানে বিশ্বে এ পর্যন্ত ৭৯০ কোটি ডোজ টিকা বিক্রি করা হয়েছে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কোয়াজুলু-নাটাল বিশ্ববিদ্যালয়ের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ ড. রিচার্ড লেসেলস বলেন, ‘নতুন ধরন আবিষ্কার করার খবরে ধনী বিশ্বের প্রতিক্রিয়া তাদের স্বার্থপরতার উদাহরণ। আমি এটিকে ঘৃণ্য এবং সত্যিই কষ্টদায়ক বলে মনে করছি। যুক্তরাজ্য এবং ইউরোপ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে। এটি সবচেয়ে বাজে প্রতিক্রিয়া।’
এদিকে গতকাল শনিবার দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, করোনার নতুন ধরন শনাক্ত করায় আমাদের শাস্তি দেওয়া হচ্ছে। বেশ কয়েকটি দেশ দক্ষিণ আফ্রিকার ওপর ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা বা বিধিনিষেধ আরোপের সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর এই বিবৃতি দেওয়া হয়।
চলমান যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনকে রাশিয়ার সঙ্গে একটি চুক্তি করার আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাঁর যুক্তি, ‘রাশিয়া খুবই বড় শক্তি, ইউক্রেন নয়। তাই যুদ্ধ এড়িয়ে টিকে থাকতে হলে চুক্তি ছাড়া ইউক্রেনের কোনো গতি নেই।’ এই মন্তব্য ট্রাম্পের আলাস্কা বৈঠকের পর এসেছে...
৬ ঘণ্টা আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি ক্ষমতায় থাকাকালে চীন কখনোই তাইওয়ানে আক্রমণ করবে না। চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিং তাঁকে এ বিষয়ে আশ্বস্ত করেছেন। রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বৈঠকের আগে ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এ মন্তব্য করেন ট্রাম্প। খবর রয়টার্সের।
৭ ঘণ্টা আগেবোল্টন বলেছেন, ‘এই বৈঠকের পর ট্রাম্প কিছুই পাননি। যা পেয়েছেন তা হলো, আরও কিছু বৈঠকের প্রতিশ্রুতি। অন্যদিকে পুতিন ‘সম্পর্ক পুনঃপ্রতিষ্ঠা করতে অনেক দূর এগিয়ে গেছেন, যা আমি সব সময় তাঁর প্রধান লক্ষ্য বলে মনে করেছি।’
৯ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি হয়তো আশা করেছিলেন, এই বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধের বিষয়ে একটি চুক্তি হবে। কিন্তু এমন কোনো কিছুই হয়নি। তাই ট্রাম্পের সঙ্গে সরাসরি আলোচনার জন্য সোমবার ওয়াশিংটনে যাচ্ছেন জেলেনস্কি।
৯ ঘণ্টা আগে