যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘এখনই যুদ্ধ বন্ধ করে মীমাংসায় আস।’ পরিস্থিতি কেবলই খারাপের দিকেই যাচ্ছে। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প এই কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করেন, তাহলে তাঁর দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ এবং আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চাপ প্রয়োগ করে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বড় উপকার করছেন।’
এর আগে, ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরু করবেন। রাশিয়ার কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আহ্বানের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা করার সুযোগ এখনো আছে।
পুতিন বারবার বলেছেন, তিনি যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ইউক্রেনকে মাঠের পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ, রাশিয়ার ২০১৪ সালের ক্রিমিয়া দখলকে মেনে নিতে হবে এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া ২০২২ সালের পর যে পরিমাণ ভূমি দখল করেছে তাও রাশিয়ার বলে মেনে নিতে হবে। একই সঙ্গে, ইউক্রেনকে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আশাও ত্যাগ করতে হবে।
কিয়েভ অবশ্য এখনো ভূখণ্ড ছাড়ের বিষয়টি মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দেওয়া বক্তব্যে এই বিষয়টি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি শিগগির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। একই সঙ্গে তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া আলোচনার টেবিলে না আসলে তিনি দেশটির ওপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। তবে তাঁর সর্বশেষ পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়ার অর্থনীতি ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। এই অবস্থা যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়ে আমি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং তাঁর দেশের প্রতি বড় ধরনের অনুগ্রহই করতে যাচ্ছি।’
পুতিনের উদ্দেশে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এখনই মীমাংসা কর এবং এই হাস্যকর যুদ্ধ বন্ধ কর। এটি কেবলই খারাপের দিকেই যাচ্ছে। যদি শিগগির আমরা একটি চুক্তি না করতে পারি, তাহলে আমাদের উচ্চ শুল্ক, কর এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলোতে রাশিয়ার পণ্য বিক্রি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
একই পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি যদি (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে এই যুদ্ধ শুরুই হতে পারত না। তাই চল, এই যুদ্ধ শেষ করি। আমরা এটা সহজ বা কঠিনভাবে শেষ করতে পারি। তবে সহজ পথ বেছে নেওয়াটাই সব সময় ভালো। এখনই একটি চুক্তি করার ভালো সময়।’
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি এর আগে রয়টার্সকে বলেছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে যাবে, কোনো সমস্যা নেই। তবে তার আগে জানতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে কী চান।
এদিকে, মঙ্গলবার ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বলেছেন, যেকোনো চুক্তির অধীনে কমপক্ষে ২ লাখ শান্তিরক্ষীর প্রয়োজন হবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার হাত থেকে রক্ষায়। তিনি ব্লুমবার্গকে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাস্তবসম্মত প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তাঁর দেশে যেকোনো শান্তিরক্ষী বাহিনীতে মার্কিন সেনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এটা সম্ভব নয়...এমনকি কিছু ইউরোপীয় বন্ধু যদি মনে করে যে এটা হতে পারে। না, এটা হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কেউ এই ধরনের পদক্ষেপের ঝুঁকি নেবে না।’
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনকে উদ্দেশ্য করে বলেছেন, ‘এখনই যুদ্ধ বন্ধ করে মীমাংসায় আস।’ পরিস্থিতি কেবলই খারাপের দিকেই যাচ্ছে। নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে শেয়ার করা এক পোস্টে ট্রাম্প এই কথা বলেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট যদি ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ না করেন, তাহলে তাঁর দেশের ওপর উচ্চ শুল্ক আরোপ এবং আরও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হবে বলে কিছুদিন আগেই জানিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। পাশাপাশি বলেছেন, ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে চাপ প্রয়োগ করে তিনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্টকে ‘বড় উপকার করছেন।’
এর আগে, ট্রাম্প বলেছিলেন, তিনি ক্ষমতায় আসার পর ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে শুরু হওয়া ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে আলোচনা শুরু করবেন। রাশিয়ার কর্মকর্তারা ট্রাম্পের আহ্বানের বিষয়ে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো মন্তব্য করেননি। তবে জানিয়েছেন, মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি আলোচনা করার সুযোগ এখনো আছে।
পুতিন বারবার বলেছেন, তিনি যুদ্ধ বন্ধে আলোচনার জন্য প্রস্তুত। কিন্তু ইউক্রেনকে মাঠের পরিস্থিতি মেনে নিতে হবে। অর্থাৎ, রাশিয়ার ২০১৪ সালের ক্রিমিয়া দখলকে মেনে নিতে হবে এবং পূর্ব ইউক্রেনে রাশিয়া ২০২২ সালের পর যে পরিমাণ ভূমি দখল করেছে তাও রাশিয়ার বলে মেনে নিতে হবে। একই সঙ্গে, ইউক্রেনকে ন্যাটোয় যোগ দেওয়ার আশাও ত্যাগ করতে হবে।
কিয়েভ অবশ্য এখনো ভূখণ্ড ছাড়ের বিষয়টি মেনে নিতে প্রস্তুত নয়। তবে, সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির দেওয়া বক্তব্যে এই বিষয়টি মেনে নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।
গত মঙ্গলবার ট্রাম্প এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, তিনি শিগগির পুতিনের সঙ্গে কথা বলবেন। একই সঙ্গে তিনি হুমকি দিয়ে বলেছেন, রাশিয়া আলোচনার টেবিলে না আসলে তিনি দেশটির ওপর আরও কড়া নিষেধাজ্ঞা আরোপ করবেন। তবে তাঁর সর্বশেষ পোস্টে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়ার অর্থনীতি ব্যর্থ হতে যাচ্ছে। এই অবস্থা যুদ্ধবিরতির উদ্যোগ নিয়ে আমি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন এবং তাঁর দেশের প্রতি বড় ধরনের অনুগ্রহই করতে যাচ্ছি।’
পুতিনের উদ্দেশে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘এখনই মীমাংসা কর এবং এই হাস্যকর যুদ্ধ বন্ধ কর। এটি কেবলই খারাপের দিকেই যাচ্ছে। যদি শিগগির আমরা একটি চুক্তি না করতে পারি, তাহলে আমাদের উচ্চ শুল্ক, কর এবং নিষেধাজ্ঞা আরোপ ছাড়া আর কোনো পথ থাকবে না। সে ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য দেশগুলোতে রাশিয়ার পণ্য বিক্রি বন্ধ হয়ে যেতে পারে।’
একই পোস্টে ডোনাল্ড ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমি যদি (যুক্তরাষ্ট্রের) প্রেসিডেন্ট থাকতাম তাহলে এই যুদ্ধ শুরুই হতে পারত না। তাই চল, এই যুদ্ধ শেষ করি। আমরা এটা সহজ বা কঠিনভাবে শেষ করতে পারি। তবে সহজ পথ বেছে নেওয়াটাই সব সময় ভালো। এখনই একটি চুক্তি করার ভালো সময়।’
জাতিসংঘে নিযুক্ত রাশিয়ার উপরাষ্ট্রদূত দিমিত্রি পলিয়ানস্কি এর আগে রয়টার্সকে বলেছিলেন, রাশিয়া যুদ্ধবিরতিতে যাবে, কোনো সমস্যা নেই। তবে তার আগে জানতে হবে ডোনাল্ড ট্রাম্প এই চুক্তি থেকে কী চান।
এদিকে, মঙ্গলবার ভলোদিমির জেলেনস্কি ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামে বলেছেন, যেকোনো চুক্তির অধীনে কমপক্ষে ২ লাখ শান্তিরক্ষীর প্রয়োজন হবে ইউক্রেনকে রাশিয়ার হাত থেকে রক্ষায়। তিনি ব্লুমবার্গকে বলেছেন, রাশিয়ার বিরুদ্ধে বাস্তবসম্মত প্রতিরোধ গড়ে তোলার জন্য তাঁর দেশে যেকোনো শান্তিরক্ষী বাহিনীতে মার্কিন সেনা অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। তিনি বলেন, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া এটা সম্ভব নয়...এমনকি কিছু ইউরোপীয় বন্ধু যদি মনে করে যে এটা হতে পারে। না, এটা হবে না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ছাড়া অন্য কেউ এই ধরনের পদক্ষেপের ঝুঁকি নেবে না।’
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ও তাঁর বর্তমান স্ত্রী জিল বাইডেনের কন্যা অ্যাশলি বাইডেন তাঁর ১৩ বছরের দাম্পত্যজীবনের ইতি টানতে বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (১১ আগস্ট) ৪৪ বছর বয়সী অ্যাশলি ফিলাডেলফিয়ার কোর্ট অব কমন প্লিসে এই আবেদন দাখিল করেন।
১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের তিন দিনের মালয়েশিয়া সফরকে কেন্দ্র করে দেশটির প্রধানমন্ত্রী দাতো সেরি আনোয়ার ইব্রাহিম এক্স মাধ্যমে পরপর তিনটি পোস্ট দিয়েছেন। এসব পোস্টে তিনি দুই দেশের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ও কৌশলগত সহযোগিতা জোরদারের অঙ্গীকার ব্যক্ত করেছেন।
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের সীমানা জোর করে পরিবর্তন করা যাবে না বলে সতর্ক করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নেতারা। এই সতর্কতা এসেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের মধ্যে ইউক্রেন ইস্যুতে আসন্ন আলাস্কা সম্মেলনের তিন দিন আগে।
২ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধের কারণে শ্রমিক সংকট মোকাবিলায় হাজার হাজার উত্তর কোরিয়ানকে রাশিয়ায় পাঠানো হয়েছে। তবে বিবিসির প্রতিবেদনে উঠে এসেছে, রাশিয়ায় পৌঁছানোর পর দাসের মতো শর্তে কাজ করানো হচ্ছে উত্তর কোরিয়ার শ্রমিকদের।
৩ ঘণ্টা আগে