চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের বিকিরণ প্রতিরক্ষা স্তরে রাশিয়ার একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। হামলার ফলে সেখানে আগুন ধরে গেলেও পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনাস্থল হিসেবে পরিচিত চেরনোবিল। সেখানে হামলার পর শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, চেরনোবিলের ভেতরে ও বাইরে বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য চেরনোবিলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মস্কোর দাবি, তাদের সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায় না এবং এই ধরনের যে কোনো দাবি ‘বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়’।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর সংস্থাটি ‘উচ্চ সতর্কতা’ বজায় রেখেছে। সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে বিশাল পরিমাণে বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট এবং স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই বিশাল প্রতিরক্ষা স্তরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি দেখিয়েছেন, যেখানে ড্রোন হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিম স্মিথ ১৯৯০ সাল থেকে চেরনোবিলের পরিণতি নিয়ে গবেষণা করছেন। ড্রোন হামলার ঘটনাটিকে তিনি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ভয়াবহ হামলা’ বলে বর্ণনা করলেও বিকিরণ ঝুঁকি নিয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নন।
বিবিসিকে স্মিথ জানান, চুল্লিটির প্রতিরক্ষা স্তরের নিচে পুরু কংক্রিটের একটি ‘সার্কোফেগাস’ রয়েছে, যা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট বিকিরণ কণাগুলো আটকে রাখে। তিনি বলেন, ‘একটি ড্রোন হামলা এই প্রতিরক্ষা স্তর ভেদ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।’
এদিকে জেলেনস্কি মত দিয়েছেন—এই হামলা প্রমাণ করে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনার জন্য মোটেও প্রস্তুত নন।
হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন পুতিন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো ও শহরগুলোতে এ ধরনের হামলা চালায়।’ তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে ‘সম্মিলিত চাপ’ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
প্রায় চার দশক আগে চেরনোবিল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাব অনুযায়ী, বিস্ফোরণে তৎক্ষণাৎ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে জাতিসংঘের হিসাব মতে, সরাসরি বিকিরণের কারণে ৫০ জন মারা গিয়েছিলেন।
২০০৫ সালে জাতিসংঘ অনুমান করেছিল, ভবিষ্যতে চেরনোবিলের বিকিরণজনিত কারণে আরও ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশের বিকিরণ প্রতিরক্ষা স্তরে রাশিয়ার একটি ড্রোন আঘাত হেনেছে বলে দাবি করেছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলদিমির জেলেনস্কি। হামলার ফলে সেখানে আগুন ধরে গেলেও পরে তা নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে বলে জানান তিনি।
শুক্রবার বিবিসি জানিয়েছে, বিশ্বের সবচেয়ে ভয়াবহ পারমাণবিক দুর্ঘটনাস্থল হিসেবে পরিচিত চেরনোবিল। সেখানে হামলার পর শুক্রবার সকালে জাতিসংঘের পারমাণবিক পর্যবেক্ষক সংস্থা আইএইএ জানিয়েছে, চেরনোবিলের ভেতরে ও বাইরে বিকিরণ মাত্রা স্বাভাবিক এবং স্থিতিশীল রয়েছে।
রাশিয়া অবশ্য চেরনোবিলে হামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। মস্কোর দাবি, তাদের সামরিক বাহিনী ইউক্রেনের পারমাণবিক অবকাঠামোতে হামলা চালায় না এবং এই ধরনের যে কোনো দাবি ‘বাস্তবতার সঙ্গে সংগতিপূর্ণ নয়’।
আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থা (আইএইএ) জানিয়েছে, বিস্ফোরণের পরপরই অগ্নিনির্বাপক কর্মীরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছান। কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। ঘটনার পর সংস্থাটি ‘উচ্চ সতর্কতা’ বজায় রেখেছে। সংস্থার মহাপরিচালক রাফায়েল মারিয়ানো গ্রোসি বলেন, ‘এ ধরনের পরিস্থিতিতে আত্মতুষ্টির কোনো সুযোগ নেই।’
১৯৮৬ সালে চেরনোবিলের পারমাণবিক চুল্লিতে ভয়াবহ বিস্ফোরণের ফলে বিশাল পরিমাণে বিকিরণ ইউরোপজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছিল। বিস্ফোরণে চুল্লিটির ছাদ উড়ে গিয়েছিল। এ অবস্থায় যেন বিকিরণ না ছড়ায়, সে জন্য চুল্লির ক্ষতিগ্রস্ত অংশটির ওপর কংক্রিট এবং স্টিলের তৈরি একটি প্রতিরক্ষা স্তর সংযুক্ত করা হয়েছিল।
জেলেনস্কি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা একটি ভিডিওতে ওই বিশাল প্রতিরক্ষা স্তরের ক্ষতিগ্রস্ত অংশটি দেখিয়েছেন, যেখানে ড্রোন হামলার ঘটনাটি ঘটেছে।
যুক্তরাজ্যের পোর্টসমাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক জিম স্মিথ ১৯৯০ সাল থেকে চেরনোবিলের পরিণতি নিয়ে গবেষণা করছেন। ড্রোন হামলার ঘটনাটিকে তিনি ‘অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামোর ওপর ভয়াবহ হামলা’ বলে বর্ণনা করলেও বিকিরণ ঝুঁকি নিয়ে ততটা উদ্বিগ্ন নন।
বিবিসিকে স্মিথ জানান, চুল্লিটির প্রতিরক্ষা স্তরের নিচে পুরু কংক্রিটের একটি ‘সার্কোফেগাস’ রয়েছে, যা বিস্ফোরণের ফলে সৃষ্ট বিকিরণ কণাগুলো আটকে রাখে। তিনি বলেন, ‘একটি ড্রোন হামলা এই প্রতিরক্ষা স্তর ভেদ করার জন্য যথেষ্ট শক্তিশালী নয়।’
এদিকে জেলেনস্কি মত দিয়েছেন—এই হামলা প্রমাণ করে, রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শান্তি আলোচনার জন্য মোটেও প্রস্তুত নন।
হামলাটি এমন এক সময়ে ঘটল, যখন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঘোষণা দিয়েছেন, যুদ্ধ অবসানের জন্য আলোচনা শুরু করতে সম্মত হয়েছেন পুতিন।
জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রতিদিন রাতে রাশিয়া ইউক্রেনের অবকাঠামো ও শহরগুলোতে এ ধরনের হামলা চালায়।’ তিনি মস্কোর বিরুদ্ধে ‘সম্মিলিত চাপ’ প্রয়োগের আহ্বান জানান।
প্রায় চার দশক আগে চেরনোবিল দুর্ঘটনায় মৃত্যুর প্রকৃত সংখ্যা নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত হিসাব অনুযায়ী, বিস্ফোরণে তৎক্ষণাৎ ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছিল। তবে জাতিসংঘের হিসাব মতে, সরাসরি বিকিরণের কারণে ৫০ জন মারা গিয়েছিলেন।
২০০৫ সালে জাতিসংঘ অনুমান করেছিল, ভবিষ্যতে চেরনোবিলের বিকিরণজনিত কারণে আরও ৪ হাজার মানুষের মৃত্যু হতে পারে।
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলা ঘিরে প্রতিবেশী দুই দেশ ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বেড়েই চলেছে। একের পর এক হুমকি দিয়ে যাচ্ছেন দুই দেশের নেতারা। কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) দুই দেশের সামরিক বাহিনীর মধ্যে টানা পাঁচ রাতে গোলাগুলির ঘটনা ঘটেছে।
৮ ঘণ্টা আগেকানাডার ফেডারেল নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নির নেতৃত্বাধীন লিবারেল পার্টি প্রচারণার শেষ সপ্তাহে অপ্রত্যাশিতভাবে ঘুরে দাঁড়িয়ে টানা চতুর্থবারের মতো জয়লাভ করেছে। এর মাধ্যমে দলটি আরও চার বছরের জন্য দেশটির শাসনভার গ্রহণ করতে চলেছে। এই ঐতিহাসিক জয়ের পর প্রধানমন্ত্রী মার্ক কার্নি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট
৯ ঘণ্টা আগেভারতের গুজরাটে গত শনিবার (২৬ এপ্রিল) ভোররাত থেকে সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাত পর্যন্ত ৬ হাজার ৫০০ মানুষকে আটক করেছে পুলিশ, যাদের তারা বাংলাদেশি নাগরিক বলে সন্দেহ করছে। তবে রাজ্য পুলিশের মহানির্দেশক বিকাশ সহায় সোমবার জানিয়েছেন, নথিপত্রের ভিত্তিতে নিশ্চিতভাবে ৪৫০ জন বাংলাদেশিকে তাঁরা চিহ্নিত করতে পেরেছেন
১০ ঘণ্টা আগেউত্তর-পূর্ব চীনের একটি রেস্তোরাঁয় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনায় অন্তত ২২ জন নিহত ও ৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম। আজ মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে এ ঘটনা ঘটে বলে জানা গেছে।
১০ ঘণ্টা আগে