Ajker Patrika

নেদারল্যান্ডসে গাঁজা উৎপাদন কেন্দ্রকে গন্ধ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ২২: ৩০
ছবি: সিএনএন
ছবি: সিএনএন

নেদারল্যান্ডসে বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ বৈধ গাঁজা উৎপাদন কেন্দ্রকে তীব্র গন্ধ নিয়ন্ত্রণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় পরিবেশ সংস্থা জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানটি যদি নির্ধারিত সময়ের মধ্যে গন্ধ কমাতে না পারে, তবে জরিমানা কিংবা স্থায়ীভাবে বন্ধ হওয়ার ঝুঁকিতে পড়বে।

বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) সিএনএন জানিয়েছে, ‘ক্যানআডেলার’ কোম্পানি পরিচালিত এই ফার্মটি নেদারল্যান্ডসের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর রটারডামের পশ্চিমে অবস্থিত। ২০২৩ সালে সরকারি অনুমোদনের আওতায় কয়েকটি কোম্পানিকে কঠোর শর্তে গাঁজা চাষের অনুমতি দেওয়া হয়। তারই অংশ হিসেবে এই বিশাল ফার্মটি চালু হয়। তবে উদ্বোধনের পর থেকেই পার্শ্ববর্তী শত শত বাসিন্দার কাছ থেকে গন্ধজনিত অভিযোগ জমা পড়তে থাকে।

পরিবেশ সুরক্ষা সংস্থা ডিসিএমআর জানিয়েছে, চলতি বছরের আগস্ট পর্যন্ত প্রায় ৩০০ বাসিন্দার কাছ থেকে মোট দুই হাজারের বেশি অভিযোগ এসেছে। সংস্থার পরিদর্শকেরা একাধিকবার ওই ফার্মে গিয়ে গন্ধজনিত সমস্যা পর্যবেক্ষণ করেছেন এবং তাঁরা দেখেছেন—প্রতিষ্ঠানটি সব সময় নিয়ম মানছে না। ফলে স্থানীয় পৌর কর্তৃপক্ষ গন্ধ নিয়ন্ত্রণে বিশেষ বিধি জারি করেছে।

গতকাল বুধবার রটারডামের আদালত প্রাথমিক রায়ে জানান, বিধিগুলো বহাল থাকবে এবং কোম্পানিকে এক সপ্তাহের মধ্যে কার্যকর ব্যবস্থা নিতে হবে। তা না হলে কার্যক্রম বন্ধ করতে হবে। আদালত আরও উল্লেখ করেন, ২০২৩ সাল থেকে গন্ধের সমস্যা গুরুতর আকারে বিরাজ করছে এবং ক্যানআডেলার যে ব্যবস্থা নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা স্বল্প সময়ে পর্যাপ্ত উন্নতি আনবে কি না, সেই বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে।

বিধি না মানলে কোম্পানির বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ ৪১ লাখ ডলার পর্যন্ত জরিমানা আরোপ হতে পারে। কোম্পানিটির পরিচালক নেদারল্যান্ডসের সরকারি সম্প্রচারমাধ্যম এনওএসকে বলেছেন, ‘আমরা চলতি মাসের শুরু থেকে এয়ার ফিল্টার বসানো শুরু করেছি এবং আরও বসানো হবে। আমরা সমস্যার সমাধানের পথে আছি বলে বিশ্বাস করি।’

ক্যানআডেলার বর্তমানে নেদারল্যান্ডসের সবচেয়ে বড় বৈধ গাঁজা উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান। তাদের গ্রিনহাউস কমপ্লেক্সের আয়তন প্রায় সাতটি ফুটবল মাঠের সমান বলে এনওএস জানিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট শারার ওপর জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার, সোমবার হোয়াইট হাউসে বৈঠক

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি সংগৃহীত
সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আল-শারার সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি সংগৃহীত

সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নিয়েছে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ। আগামী সোমবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের ঠিক আগে গতকাল বৃহস্পতিবার এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের খসড়া করা এই প্রস্তাবে সিরিয়ার অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী আনাস খাত্তাবের ওপর থেকেও নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হয়েছে। ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদে প্রস্তাবটির পক্ষে ১৪টি ভোট পড়ে, তবে চীন ভোটদানে বিরত ছিল।

ওয়াশিংটন কয়েক মাস ধরে ১৫ সদস্যের নিরাপত্তা পরিষদকে সিরিয়ার ওপর নিষেধাজ্ঞা শিথিল করার জন্য তাগিদ দিচ্ছিল। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প গত মে মাসে যখন সিরিয়ার ওপর থেকে মার্কিন নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দেন, তখনই যুক্তরাষ্ট্রের নীতিতে একটি বড় পরিবর্তন আসে।

গতকাল বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি মনে করি, শারা দারুণ কাজ করছেন। অঞ্চলটি কঠিন, তিনিও কঠিন প্রকৃতির মানুষ, কিন্তু তাঁর সঙ্গে আমার খুব ভালো সম্পর্ক গড়ে উঠেছে। আমরা সিরিয়া নিয়ে অনেক দূর এগিয়েছি।’

ট্রাম্প আরও বলেন, ‘আমরা সিরিয়ার ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছি, যাতে তারা নিজেদের ভবিষ্যতের জন্য নতুনভাবে লড়াইয়ের সুযোগ পায়।’

১৩ বছরের বিধ্বংসী গৃহযুদ্ধের পর গত ডিসেম্বরে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ বিদ্রোহী জোটের আকস্মিক হামলায় ক্ষমতাচ্যুত হন। ইসলামপন্থী সংগঠন হায়াত তাহরির আল-শাম (এইচটিএস) নেতৃত্ব দেয় সেই হামলায়।

এইচটিএস একসময় আল-কায়েদার সিরীয় শাখা নুসরা ফ্রন্ট নামে পরিচিত ছিল। ২০১৬ সালে তারা আনুষ্ঠানিকভাবে আল-কায়েদার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে। ২০১৪ সালের মে মাস থেকে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের আল-কায়েদা ও আইএস-সম্পর্কিত নিষেধাজ্ঞার তালিকায় রয়েছে এই সংগঠন।

এইচটিএসের একাধিক সদস্যের ওপর জাতিসংঘের ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা, সম্পদ জব্দ এবং অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে। তবে এবার প্রেসিডেন্ট শারা ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী খাত্তাবের বিরুদ্ধে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলো।

জাতিসংঘের নিষেধাজ্ঞা বিষয়ে পর্যবেক্ষকেরা জানিয়েছেন, চলতি বছর আল-কায়েদা ও এইচটিএসের মধ্যে কোনো সক্রিয় সম্পর্কের প্রমাণ পাওয়া যায়নি। বিষয়টি নিয়ে জুলাইয়ে রয়টার্সের হাতে আসা জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনেও এমন তথ্যের উল্লেখ ছিল।

নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোটদানে বিরত থাকে চীন। জাতিসংঘে নিযুক্ত দেশটির রাষ্ট্রদূত ফু কং বলেন, ‘খসড়া প্রস্তাবটিতে সিরিয়ার সন্ত্রাসবিরোধী ও নিরাপত্তা পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের উদ্বেগ যথাযথভাবে বিবেচনায় নেওয়া হয়নি।’

চীন দীর্ঘদিন ধরে সিরিয়ায় ইস্টার্ন তুর্কিস্তান ইসলামিক মুভমেন্টের (ইটিআইএম) কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে আসছে। এই সংগঠনে চীন ও মধ্য এশিয়া থেকে আসা উইঘুর যোদ্ধারা যুক্ত রয়েছে।

তবে নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাবে ভোট দিয়েছে রাশিয়া। দেশটির জাতিসংঘে নিযুক্ত রাষ্ট্রদূত ভাসিলি নেবেনজিয়া বলেন, মস্কো এই সংক্ষিপ্ত প্রস্তাবকে সমর্থন করেছে; কারণ, এটি ‘সিরীয় জনগণের নিজস্ব স্বার্থ ও আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে।’

গৃহযুদ্ধ চলাকালীন রাশিয়া বারবার জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদে সিরিয়ার আসাদ সরকারের পক্ষে ভেটো দেয়। এ সময় চীনও রাশিয়ার পাশে ছিল। প্রসঙ্গত, যুদ্ধকালীন সিরিয়া ইস্যুতে রাজনৈতিক, মানবিক ও রাসায়নিক অস্ত্রবিষয়ক আলোচনার জন্য পরিষদ মাসে একাধিকবার বৈঠকে বসত।

এদিকে, দীর্ঘ বিভাজনের পর নিরাপত্তা পরিষদের সিদ্ধান্তকে স্বাগত জানিয়েছে সিরিয়ার জাতিসংঘ প্রতিনিধি ইব্রাহিম ওলাবি। তিনি বলেন, ‘এটি সিরিয়ার নারী-পুরুষদের জন্য মাতৃভূমি পুনর্গঠন এবং জীবন পুনঃস্থাপনে আশার সঞ্চার করবে।’

ইব্রাহিম ওলাবি আরও বলেন, ‘নতুন সিরিয়া হবে এক সাফল্যের গল্প। এটি প্রমাণ করবে যে আন্তর্জাতিক সম্পর্কের সর্বোত্তম পথ হলো ইতিবাচক সম্পৃক্ততা ও গঠনমূলক সহযোগিতা। যদি কারও কোনো উদ্বেগ থাকে, সিরিয়া তা সমাধানে সদিচ্ছাসহ পারস্পরিক সম্মানের ভিত্তিতে কাজ করতে প্রস্তুত।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইসলামবিদ্বেষী ডানপন্থীদের হারিয়ে নেদারল্যান্ডসের প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হচ্ছেন রব জেটেন

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
৩৮ বছর বয়সী মধ্যপন্থী নেতা রব জেটেন। ছবি: সংগৃহীত
৩৮ বছর বয়সী মধ্যপন্থী নেতা রব জেটেন। ছবি: সংগৃহীত

নেদারল্যান্ডসের নির্বাচনে ৩৮ বছর বয়সী মধ্যপন্থী নেতা রব জেটেনকে আনুষ্ঠানিকভাবে জয়ী ঘোষণা করা হয়েছে। আজ শুক্রবার (স্থানীয় সময়) দেশটির নির্বাচন কমিশন এই ফলাফল ঘোষণা করে। ফলে ইউরোপীয় ইউনিয়নের পঞ্চম বৃহত্তম অর্থনীতির দেশটির ইতিহাসে সবচেয়ে কম বয়সী ও প্রথম সমকামী প্রধানমন্ত্রী হতে যাচ্ছেন জেটেন।

কমিশনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, ইসলামবিরোধী ও কট্টর ডানপন্থী নেতা গির্ট উইল্ডার্সকে মাত্র ২৯ হাজার ৬৬৮ ভোটের ব্যবধানে হারিয়ে এ জয় পেয়েছেন জেটেন। সাম্প্রতিক এই নির্বাচন ইউরোপে ডানপন্থী উত্থানের এক সূচক হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল।

ফলাফল ঘোষণার পর জেটেন বলেন, ‘আমরা ইউরোপ ও বিশ্বের কাছে প্রমাণ করেছি—একটি ইতিবাচক বার্তা নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে জনতাবাদী (পপুলিস্ট) আন্দোলনকে পরাজিত করা সম্ভব।’

তবে প্রধানমন্ত্রী হওয়ার আগে জেটেনকে এখন জোট সরকার গঠন করতে হবে, যা নেদারল্যান্ডসের রাজনৈতিক প্রথা অনুযায়ী কয়েক মাস সময় নিতে পারে। দেশটির ১৫০ আসনের সংসদে কোনো দলই একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। ফলে সরকার গঠনের জন্য সমঝোতা ও আলোচনাই মূল চাবিকাঠি।

নির্বাচন কমিশনের হিসাবে, জেটেনের দল ডি৬৬ পেয়েছে ২৬টি আসন, যা নেদারল্যান্ডসের ইতিহাসে নির্বাচনে বিজয়ী কোনো দলের জন্য সবচেয়ে কম সংখ্যা। ডানপন্থী উইল্ডার্সের পিভিভি দলও পেয়েছে ২৬টি আসন।

এই নির্বাচনে মোট ১৫টি দল সংসদে প্রতিনিধিত্ব পেয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে প্রাণী অধিকার রক্ষায় কাজ করা একটি দল এবং ৫০ বছরের বেশি বয়সীদের স্বার্থ রক্ষাকারী একটি সংগঠনভিত্তিক দল।

যদিও উইল্ডার্স ২০২৩ সালের নির্বাচনের তুলনায় ১১টি আসন হারিয়েছেন, তবু নেদারল্যান্ডসে ডানপন্থীদের উপস্থিতি এখনো শক্ত অবস্থানে রয়েছে।

উদাহরণস্বরূপ, ডানপন্থী ফোরাম ফর ডেমোক্রেসি দলের আসন বেড়ে হয়েছে সাতটি (আগে ছিল তিনটি) আর কট্টর ডানপন্থী জে-এ২১ দল পেয়েছে ৯টি আসন, যা ২০২৩ সালের নির্বাচনে ছিল মাত্র একটি।

জেটেনের পছন্দ হলো চারদলীয় একটি জোট—যেখানে রাজনৈতিকভাবে ভিন্নমুখী দলগুলো একত্র হবে। তিনি চান মধ্য-ডানপন্থী সিডিএ (১৮ আসন), ডানপন্থী উদারপন্থী ভিডিভি (২২ আসন) এবং বামপন্থী গ্রিন/লেবার (২০ আসন) পার্টি তাঁর সঙ্গে যুক্ত হোক। এতে তাঁর মোট আসন দাঁড়াবে ৮৬, যা সংসদে তাঁকে সংখ্যাগরিষ্ঠতা দেবে।

তবে ভিডিভি নেতা দিলান ইয়েসিলগোজ ইতিমধ্যে জানিয়েছেন, তিনি গ্রিন/লেবারের সঙ্গে কোনো জোটে যাবেন না। তাঁর পছন্দ হলো ডানমুখী জোট, যাতে থাকবে সিডিএ, জে-এ২১ ও জেটেনের ডি৬৬। কিন্তু এ জোটে আসন হবে ঠিক ৭৫টি, যা ন্যূনতম সীমা এবং এটি ভবিষ্যতে সরকারকে অস্থিতিশীল করে তুলতে পারে।

জেটেন যদিও বলেছেন, সংখ্যালঘু সরকার তাঁর পছন্দ নয়, তবে সেটিও এখন একটি সম্ভাব্য বিকল্প হিসেবে আলোচনায় আছে।

এদিকে পরাজয় মেনে নিয়ে উইল্ডার্স জেটেনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। এর পাশাপাশি তিনি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভোট জালিয়াতির অভিযোগও তুলেছেন। তবে দেশটির নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, এ ধরনের অভিযোগের কোনো ভিত্তি নেই।

কমিশনের চেয়ারম্যান উইম কুইকেন জানান, এই নির্বাচনের ফলাফল নির্ভরযোগ্য। নেদারল্যান্ডসে ভোট গ্রহণ ও ফল ঘোষণার একটি অত্যন্ত সুপরিকল্পিত ও নির্ভরযোগ্য প্রক্রিয়া বিদ্যমান।

উইল্ডার্স প্রস্তাব দিয়েছেন, তিনি জোটে যোগ দিতে আগ্রহী। তবে নির্বাচনের আগে মূলধারার সব দল তাঁর সঙ্গে কাজ না করার ঘোষণা দিয়েছিল।

উল্লেখ্য, উইল্ডার্সের দলই গত বছর সরকারের জোট থেকে সরে এসে এই আগাম নির্বাচন ডেকে আনে। কারণ, তিনি দাবি করেছিলেন, সরকার ‘ইতিহাসের সবচেয়ে কঠোর অভিবাসননীতি’ বাস্তবায়নে ধীরগতি দেখাচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিপুল অর্থ ঢেলেছেন ২৬ বিলিয়নিয়ার, তারপরও মামদানিকে হারানো যায়নি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ০৭ নভেম্বর ২০২৫, ২১: ১৭
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব নেবেন মামদানি। ছবি: সংগৃহীত
২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব নেবেন মামদানি। ছবি: সংগৃহীত

নিউইয়র্ক সিটির মেয়র নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক সমাজতান্ত্রিক প্রার্থী জোহরান মামদানির প্রকাশ্য বিরোধিতা করেছিলেন অন্তত ২৬ জন বিলিয়নিয়ার। শুধু তা-ই নয়, মামদানিকে হারাতে তাঁরা সম্মিলিতভাবে প্রায় ২২ মিলিয়ন ডলারের তহবিল দিয়েছিলেন। তবে এত কিছু করেও আটকানো যায়নি মামদানির বিজয়। জীবনযাত্রার ব্যয় কমানো, নগর পরিচালিত মুদিদোকান, বিনা মূল্যে গণপরিবহন এবং সর্বজনীন শিশুযত্নের মতো প্রগতিশীল নীতি নিয়ে প্রচারণা চালিয়ে নির্বাচনে বাজিমাত করেছেন তিনি।

ধনিক শ্রেণির প্রবল বিরোধিতার মুখেও মামদানির এই জয় মার্কিন রাজনীতিতে এক নতুন দৃষ্টান্ত। ফোর্বস-এর তথ্য অনুযায়ী, নিউইয়র্কের সাবেক মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গ, হেজ ফান্ড ম্যানেজার বিল অ্যাকম্যান, এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা জো গেবিয়া এবং ইস্টি লন্ডারের উত্তরাধিকারী লডার পরিবারসহ নিউইয়র্কের অন্তত ২৬ জন ধনকুবের মিলে মামদানির প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যান্ড্রু কুমোকে সমর্থন দেন এবং কুমোর নির্বাচনী প্রচারণায় ২২ মিলিয়ন ডলারের বেশি ব্যয় করেন।

এর মধ্যে ব্লুমবার্গ একাই দেন ৮.৩ মিলিয়ন ডলার, অ্যাকম্যান দেন ১.৭৫ মিলিয়ন, লডার পরিবার ২.৬ মিলিয়ন এবং জন হেজ ১ মিলিয়ন ডলার অনুদান দেন। মোট এই তহবিলের অর্ধেকের বেশি, প্রায় ১৩.৬ মিলিয়ন ডলার দেওয়া হয়েছিল মামদানির ডেমোক্রেটিক মনোনয়ন ঠেকাতেই।

মামদানি এক সমাবেশে বলেন, ‘বিল অ্যাকম্যান ও রোনাল্ড লডারের মতো বিলিয়নিয়াররা এই নির্বাচনে মিলিয়ন ডলার ঢেলেছেন। কারণ, তাঁরা বলেন, ‘আমরা তাঁদের অস্তিত্বের হুমকি। আমি স্বীকার করি, তাঁরা ঠিকই বলেছেন।’

তবে সবচেয়ে মজার বিষয় হলো, যাঁরা আগে মামদানির বিরোধিতা করেছিলেন, তাঁদের কয়েকজন এখন তাঁকে সমর্থনের বার্তা দিচ্ছেন। এর মধ্যে মামদানির উদ্দেশে সামাজিক মাধ্যমে অ্যাকম্যান লিখেছেন, ‘এখন আপনার বড় দায়িত্ব। নিউইয়র্কের কল্যাণে যদি কিছু করতে পারি, জানাবেন।’

অন্যদিকে ‘জেপি-মরগান চেস’-এর সিইও জেমি ডাইমন একসময় মামদানিকে ‘সোশ্যালিস্টের চেয়ে বেশি মার্ক্সবাদী’ বলেছিলেন। তবে অবস্থান পাল্টে এখন বলছেন, তিনি নতুন মেয়রের সঙ্গে আলোচনায় আগ্রহী এবং প্রয়োজনে সহায়তাও করতে প্রস্তুত।

জোহরান মামদানি ২০২৬ সালের ১ জানুয়ারি নিউইয়র্কের মেয়রের দায়িত্ব গ্রহণ করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইন্দোনেশিয়ায় জুমার নামাজে বিস্ফোরণ, আহত অর্ধশতাধিক—এক ছাত্রকে সন্দেহ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
বিস্ফোরণের পর পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে
বিস্ফোরণের পর পুলিশ এলাকাটি ঘিরে ফেলে। ছবি: রয়টার্সের সৌজন্যে

ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তায় আজ শুক্রবার জুমার নামাজ চলাকালে একটি মসজিদে পরপর দুটি বিস্ফোরণে অন্তত ৫৫ জন আহত হয়েছেন। পুলিশ জানিয়েছে, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকে দগ্ধ হয়েছেন এবং শরীরে গুরুতর আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।

ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আনতারা জানিয়েছে, ঘটনাস্থলে পরপর দুটি বিস্ফোরণ ঘটে। স্থানীয় কর্তৃপক্ষ ঘটনাটি সম্ভাব্য হামলা হিসেবে তদন্ত করছে। এর মধ্যে ১৭ বছর বয়সী এক ছাত্রকে সন্দেহভাজন হামলাকারী হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে।

পুলিশ জানায়, ঘটনাস্থলটি ছিল রাজধানীর কেলাপা গ্যাডিং এলাকার একটি স্কুল কমপ্লেক্সের ভেতরের মসজিদ। বিস্ফোরণের সময় মসজিদের ভেতরে শতাধিক মানুষ ছিলেন।

স্কুলের ক্যানটিনে কাজ করছিলেন লুসিয়ানা (৪৩)। তিনি বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে বলেন, ‘হঠাৎ প্রচণ্ড শব্দ হলো। আমাদের হৃদ্‌স্পন্দন বেড়ে গেল, কেউ ঠিকমতো শ্বাস নিতে পারছিল না। সবাই দৌড়ে বাইরে বেরিয়ে গেল। একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছিল, জানালার কাচ ভেঙে যায়, সবাই আতঙ্কে পালাতে শুরু করে।’

লুসিয়ানা আরও বলেন, ‘প্রথমে ভেবেছিলাম হয়তো বিদ্যুতের তারে শর্টসার্কিট হয়েছে বা সাউন্ড সিস্টেম বিস্ফোরিত হয়েছে। কিন্তু ঠিক কী ঘটেছে—বুঝে ওঠার আগেই মসজিদ থেকে সাদা ধোঁয়া উঠতে শুরু করে।’

ইন্দোনেশিয়ার জাতীয় সংসদের ডেপুটি স্পিকার সুফমি দাসকো আহমাদ হাসপাতাল পরিদর্শনের পর সাংবাদিকদের জানান, আহত ব্যক্তিদের মধ্যে সন্দেহভাজন ওই ছাত্রও রয়েছে। তাকে বর্তমানে অস্ত্রোপচারের জন্য হাসপাতালে রাখা হয়েছে। তবে তিনি হামলার উদ্দেশ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানাননি।

ইন্দোনেশিয়ার পুলিশপ্রধান লিস্টিও সিগিট প্রাবোও জানান, সন্দেহভাজন কিশোরটি ওই স্কুলেরই ছাত্র। তার পরিচয়, আগে এ ধরনের কোনো কর্মকাণ্ডে সে সম্পৃক্ত কি না ও হামলার সম্ভাব্য উদ্দেশ্য অনুসন্ধানে তদন্ত চলছে। তিনি বলেন, ‘আমরা সন্দেহভাজনকে চিহ্নিত করেছি এবং তার পরিচয়, পারিপার্শ্বিক অবস্থা, বাড়িঘরসহ সবকিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’

বিস্ফোরণের পর পুলিশ মসজিদ ও স্কুল কমপ্লেক্সটি ঘিরে ফেলে এবং এলাকাটি অপরাধস্থল (ক্রাইম সিন) হিসেবে ঘোষণা করে। কালো পোশাক পরা পুলিশ সদস্যরা স্বয়ংক্রিয় রাইফেল হাতে পাহারায় ছিলেন। রাস্তাজুড়ে ছিল অ্যাম্বুলেন্স ও সাঁজোয়া যানবাহন।

জানা গেছে, মসজিদটি নৌবাহিনীর মালিকানাধীন এলাকায় অবস্থিত এবং সেখানে বহু সামরিক কর্মকর্তা ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য বাস করেন। স্থানীয় বাসিন্দা ইমানুয়েল তারিগান বলেন, ‘আমার বাচ্চারা ওই স্কুলেই পড়ে। বিস্ফোরণের পর আমি তাদের খুঁজতে গিয়েছিলাম। প্রচণ্ড ভিড় ছিল, অনেক আহত মানুষকে মেঝেতে পড়ে থাকতে দেখেছি। কারও কারও মুখ পুরোপুরি বিকৃত হয়ে গিয়েছিল।’

ইন্দোনেশিয়ায় চার্চ ও কিছু পশ্চিমা স্থাপনায় হামলার ইতিহাস থাকলেও মসজিদে হামলার ঘটনা অত্যন্ত বিরল। সাম্প্রতিক বছরগুলোতে দেশটিতে জঙ্গি তৎপরতা বেড়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

গাজায় শিগগির ২০ হাজার সদস্যের আন্তর্জাতিক বাহিনী মোতায়েন, থাকছে কোন কোন দেশ

‘জাহানারা মুখ খুলেছে, জুনিয়ররা অ্যাবিউজ হলে কি মুখ খুলতে পারবে’

চট্টগ্রামে বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে গুলিতে বাবলা নিহতের ঘটনায় দুজন গ্রেপ্তার

পোড়া কার্গো ভিলেজ থেকে মোবাইল ফোন চুরি, আনসার সদস্য বরখাস্ত

২০২৬ বিশ্বকাপের ভেন্যুর তালিকা চূড়ান্ত করল আইসিসি, পাকিস্তান খেলবে কোথায়

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত