যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদন ও বিপণনের লাইসেন্স পেয়েছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই ভ্যাকসিনটির গবেষণার ৯৭ শতাংশ টাকাই এসেছে জনগণের দেওয়া ট্যাক্স অথবা দান থেকে। যুক্তরাজ্যের অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ইউনিভার্সিটিজ অ্যালায়েড ফর এসেনশিয়াল মেডিসিনস-এর একটি গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক গবেষণার টাকা যুক্তরাজ্যের সরকার, ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সায়েন্টিফিক ইনস্টিটিউট, দ্য ইউরোপিয়ান কমিশন এবং বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা থেকে এসেছে। এই ভ্যাকসিনের গবেষণায় ২ শতাংশেরও কম অর্থ এসেছে বেসরকারি শিল্প থেকে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি বৈঠকে বলেন, পুঁজিবাদ আর লোভের কারণেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি এতো দ্রুত তৈরি করা হয়। এই গবেষণার তথ্যটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
উল্লেখ্য, কোভিডের প্রথম কার্যকর ভ্যাকসিনটিই হলো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি কোভিশিল্ড।
গবেণায় বলা হচ্ছে, ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জনসন বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিনের গবেষণা চালিয়েছে। একই রকম ঘটনা ঘটেছে বিশ্বের বড় বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও। এই কোম্পানিগুলো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পেটেন্ট উন্মুক্তকরণের বিরোধিতা করে আসছে। কোম্পানিগুলো দাবি করছে, ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের মূল চালিকাশক্তি হলো মালিকানা স্বত্ব এবং মুনাফা।
এ নিয়ে অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ইউনিভার্সিটিজ অ্যালাইড ফর এসেনশিয়াল মেডিসিনস ইউকে-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের গবেষণা থেকে দেখা যায় জনগণে টাকা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আমাদের করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছে।
তবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে সে বিষয়ে গবেষণায় কিছু বলা হয়নি।
গবেষণাটির এখনও পিয়ার রিভিউ হয়নি। তবে এর প্রিপ্রিন্ট সংস্করণ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। সেটি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রথম মুখ খোলে। তখন থেকে শিল্পকারখানা থেকে ২ দশমিক ৮ শতাংশ তহবিল পেয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। যুক্তরাজ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে যুক্তরাজ্যে সরকার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ৩ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ডের বেশি তহবিল দেয়। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা মিলিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মোট অনুদান পেয়েছে ২২ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডের বেশি। দেশের বাইরে থেকে এতো বেশি অনুদান আর কখনো পায়নি অক্সফোর্ড।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল যে, কোনো ধরনের রয়্যালটি ছাড়াই উপযুক্ত সংস্থাগুলো এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। এটির দাম হবে খুবই কম অথবা নগণ্য পরিমান মুনাফা করার সুযোগ থাকবে। তবে ২০২০ সালের আগস্টে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আহ্বানে ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ লাইসেন্সিং চুক্তিতে যায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা তখন মহামারিকালে কোনো মুনাফা ছাড়াই ভ্যাকসিন বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই সঙ্গে তারা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।
তবে কোম্পানিটি টিকার মূল্য বৃদ্ধির অধিকার সংরক্ষিত রেখেছে। মহামারি শেষে যদি নিয়মিত বুস্টার ডোজ নেওয়ার দরকার পড়ে তখন তারা এই টিকার দাম ইচ্ছেমতো বাড়াতে পারবে।
যুক্তরাজ্যের অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় উদ্ভাবিত করোনার টিকা উৎপাদন ও বিপণনের লাইসেন্স পেয়েছে বহুজাতিক ওষুধ প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান অ্যাস্ট্রাজেনেকা। এই ভ্যাকসিনটির গবেষণার ৯৭ শতাংশ টাকাই এসেছে জনগণের দেওয়া ট্যাক্স অথবা দান থেকে। যুক্তরাজ্যের অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ইউনিভার্সিটিজ অ্যালায়েড ফর এসেনশিয়াল মেডিসিনস-এর একটি গবেষণায় এমন তথ্য বেরিয়ে এসেছে।
গবেষণায় বলা হয়, অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনের প্রাথমিক গবেষণার টাকা যুক্তরাজ্যের সরকার, ব্রিটিশ এবং আমেরিকান সায়েন্টিফিক ইনস্টিটিউট, দ্য ইউরোপিয়ান কমিশন এবং বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা থেকে এসেছে। এই ভ্যাকসিনের গবেষণায় ২ শতাংশেরও কম অর্থ এসেছে বেসরকারি শিল্প থেকে।
সম্প্রতি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন একটি বৈঠকে বলেন, পুঁজিবাদ আর লোভের কারণেই অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকার ভ্যাকসিনটি এতো দ্রুত তৈরি করা হয়। এই গবেষণার তথ্যটি ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যকে মিথ্যা প্রমাণ করবে বলেই মনে করছেন গবেষকরা।
উল্লেখ্য, কোভিডের প্রথম কার্যকর ভ্যাকসিনটিই হলো অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষকদের তৈরি কোভিশিল্ড।
গবেণায় বলা হচ্ছে, ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানি জনসন বেসরকারিভাবে ভ্যাকসিনের গবেষণা চালিয়েছে। একই রকম ঘটনা ঘটেছে বিশ্বের বড় বড় ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রেও। এই কোম্পানিগুলো করোনাভাইরাসের ভ্যাকসিনের পেটেন্ট উন্মুক্তকরণের বিরোধিতা করে আসছে। কোম্পানিগুলো দাবি করছে, ভ্যাকসিন উদ্ভাবনের মূল চালিকাশক্তি হলো মালিকানা স্বত্ব এবং মুনাফা।
এ নিয়ে অ্যাডভোকেসি গ্রুপ ইউনিভার্সিটিজ অ্যালাইড ফর এসেনশিয়াল মেডিসিনস ইউকে-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, আমাদের গবেষণা থেকে দেখা যায় জনগণে টাকা এবং আন্তর্জাতিক সহযোগিতা আমাদের করোনার ভ্যাকসিন দিয়েছে।
তবে অক্সফোর্ডের ভ্যাকসিন তৈরি করতে কত টাকা খরচ হয়েছে সে বিষয়ে গবেষণায় কিছু বলা হয়নি।
গবেষণাটির এখনও পিয়ার রিভিউ হয়নি। তবে এর প্রিপ্রিন্ট সংস্করণ অনলাইনে প্রকাশিত হয়েছে। সেটি নিয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন করেছে ব্রিটিশ সংবাদ মাধ্যম দ্য গার্ডিয়ান।
২০১৯ সালের ৩১ ডিসেম্বর চীনের উহানে কর্তৃপক্ষ করোনাভাইরাসের বিষয়ে প্রথম মুখ খোলে। তখন থেকে শিল্পকারখানা থেকে ২ দশমিক ৮ শতাংশ তহবিল পেয়েছে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি। যুক্তরাজ্যে গত বছরের জানুয়ারিতে করোনার সংক্রমণ শুরু হলে যুক্তরাজ্যে সরকার ভ্যাকসিন তৈরির জন্য ৩ কোটি ৩০ লাখ পাউন্ডের বেশি তহবিল দেয়। অবশ্য ইউরোপীয় ইউনিয়ন, বিভিন্ন দাতব্য সংস্থা মিলিয়ে অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয় মোট অনুদান পেয়েছে ২২ কোটি ৮০ লাখ পাউন্ডের বেশি। দেশের বাইরে থেকে এতো বেশি অনুদান আর কখনো পায়নি অক্সফোর্ড।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের পক্ষ থেকে প্রথমে বলা হয়েছিল যে, কোনো ধরনের রয়্যালটি ছাড়াই উপযুক্ত সংস্থাগুলো এই ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। এটির দাম হবে খুবই কম অথবা নগণ্য পরিমান মুনাফা করার সুযোগ থাকবে। তবে ২০২০ সালের আগস্টে বিল অ্যান্ড মেলিন্ডা গেটস ফাউন্ডেশনের আহ্বানে ব্রিটিশ-সুইডিশ কোম্পানি অ্যাস্ট্রাজেনেকার সঙ্গে এক্সক্লুসিভ লাইসেন্সিং চুক্তিতে যায় অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটি।
অ্যাস্ট্রাজেনেকা তখন মহামারিকালে কোনো মুনাফা ছাড়াই ভ্যাকসিন বিক্রির প্রতিশ্রুতি দেয়। সেই সঙ্গে তারা ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটসহ বেশ কয়েকটি বৃহৎ ওষুধ প্রস্তুতকারক কোম্পানির সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হয়।
তবে কোম্পানিটি টিকার মূল্য বৃদ্ধির অধিকার সংরক্ষিত রেখেছে। মহামারি শেষে যদি নিয়মিত বুস্টার ডোজ নেওয়ার দরকার পড়ে তখন তারা এই টিকার দাম ইচ্ছেমতো বাড়াতে পারবে।
যুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
২৮ মিনিট আগেইরানে পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলাকে ‘অসাধারণ এবং ব্যাপক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেবিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আকাশপথে নিঃশব্দ ও প্রায় অদৃশ্য এই যুদ্ধযান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
২ ঘণ্টা আগেইরানে থাকা ‘বন্ধুদের’ তথ্যের অবিচ্ছিন্ন প্রবাহ নিশ্চিত করতে আগামী কয়েক সপ্তাহের জন্য দেশটিতে স্টারলিংক ইন্টারনেট সেবা বিনা মূল্যে চালু করার জন্য স্পেসএক্সের প্রধান নির্বাহী ইলন মাস্ককে আহ্বান জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত রিচার্ড গ্রেনেল।
৩ ঘণ্টা আগে