আর মাত্র কয়েক দিন পরেই রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছর পূর্ণ হবে। পশ্চিমা মিত্রদের ওপর নির্ভরশীল এবং রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর তুলনায় আকারে অনেক ছোট হওয়ায় ইউক্রেনের সেনারা যেন একপ্রকার খাবি খাচ্ছেন যুদ্ধক্ষেত্রে। ইউক্রেনীয় সাধারণ সেনা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইরত ইউক্রেনীয় একটি ইউনিট হলো ৫৯ পদাতিক ব্রিগেড। এই ব্রিগেডের একটি প্লাটুনের কমান্ডার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিপরীতে তাঁরা ক্রমেই অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং লোকসংকটে ভুগছেন। তাঁর ব্রিগেডের কয়েক হাজার সেনার মধ্যে বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়ছে মাত্র ৬০-৭০ শতাংশ। বাকিরা হয় নিহত হয়েছেন, আর নয়তো বয়সের কারণে কিংবা অন্যান্য কারণে অবসরে গিয়েছে।
রাশিয়ার তীব্র আক্রমণের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের মাটি যেন দেশটির সেনাদের কাছেই অপরিচিত হয়ে উঠেছে। প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রণাঙ্গনের অধিকাংশই এখন হয় জমে গিয়েছে, আর না হয় বৃষ্টি ও পানিতে থকথকে কাদায় পরিণত হয়েছে। যা সৈনিকদের স্বাস্থ্য ও মনোবলের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এ বিষয়ে ৫৯ পদাতিক ব্রিগেডের কোম্পানি কমান্ডার লিমুজিন বলেন, ‘রণক্ষেত্রের বর্তমান আবহাওয়া হলো—এই বৃষ্টি, এই তুষার। একটু শুকনো সময় গেলে আবারও বৃষ্টি, আবার তুষার। ফলে সেনারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আক্ষেপের বিষয় হলো, এই অসুস্থ সেনাদের পরিবর্তে কেউ আসবে—সেই সুযোগ নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো লোকবলের অভাব।’
রাশিয়া বর্তমানে পূর্বতন ইউক্রেনে মোট আয়তনের এক-পঞ্চমাংশ দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায়ও ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার সহায়তা চেয়েও না পেয়ে বর্তমানে গোলাবারুদ ও অস্ত্রের সংকটে ভুগছে। যা ইউক্রেনীয় সেনাদের মনোবলে আঘাত হানছে।
ইউক্রেনের ৫৯ ব্রিগেডের অপর এক কমান্ডার যাঁর নামে প্রথম অংশ রিওরি (ইংরেজি উচ্চারণে গ্রেগরি)। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার পাঁচ-সাতজন সেনার একেকটি দল আকস্মিকভাবে বারবার আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে নিরলসভাবে। এর ফলে তারা আমাদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারলেও তাদেরও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।’
ইউক্রেনীয় এই কমান্ডার আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমাদের অস্ত্রের মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় তিনি ইউক্রেন সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যদি তারা আরও গোলাবারুদ না আনে বা আমরা যে পুরোনো আমলের অস্ত্র ব্যবহার করছি; তা পরিবর্তন করার কোনো সম্ভাবনা না থাকে—তাহলে আপনিও বুঝতে পারছেন যে এর ফলাফল কী হবে।’
অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তার জন্য কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য প্রস্তাবিত ৬১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজ আটকে গেছে। কবে এই প্যাকেজ ছাড় হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় ইউক্রেনের অস্ত্র-গোলাবারুদের অভাব কীভাবে পূরণ হবে—সেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তার কোনো ইতিবাচক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
ইউক্রেনীয় সমর কর্মকর্তা বলছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে বর্তমানে আট লাখ সেনা আছেন। এর বিপরীতে গত বছরের ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত লড়াই করছিল ১ লাখ ৭০ হাজার রুশ সেনা। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেই সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিক কারণেই সংখ্যার দিক থেকেই ইউক্রেন পিছিয়ে পড়েছে।
কেবল সৈন্য সংখ্যা নয়, ইউক্রেনে ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাশিয়া এগিয়ে। যেখানে ২০২৪ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে প্রায় ১০৯ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ইউক্রেনের এর অর্ধেকেরও কম—মাত্র ৪৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ সেনা নিয়োগের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা-ও চলছে ঢিমেতেতালা।
সব মিলিয়ে নিরলস ও নির্দয় রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেন যেকোনো বিবেচনায় স্রেফ ছোট্ট একটি বামনে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা যদি এগিয়ে না আসে, তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে আভদিভকার মতো করে আরও অনেক শহরই রাশিয়ার দখলে চলে যাবে।
রয়টার্স থেকে সংক্ষেপিত
আর মাত্র কয়েক দিন পরেই রাশিয়ার ইউক্রেন আক্রমণের দুই বছর পূর্ণ হবে। পশ্চিমা মিত্রদের ওপর নির্ভরশীল এবং রাশিয়ার সশস্ত্র বাহিনীর তুলনায় আকারে অনেক ছোট হওয়ায় ইউক্রেনের সেনারা যেন একপ্রকার খাবি খাচ্ছেন যুদ্ধক্ষেত্রে। ইউক্রেনীয় সাধারণ সেনা ও কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলাপ করে এক বিশেষ প্রতিবেদনে এমনটাই জানিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াইরত ইউক্রেনীয় একটি ইউনিট হলো ৫৯ পদাতিক ব্রিগেড। এই ব্রিগেডের একটি প্লাটুনের কমান্ডার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানিয়েছেন, রাশিয়ার বিপরীতে তাঁরা ক্রমেই অস্ত্র, গোলাবারুদ এবং লোকসংকটে ভুগছেন। তাঁর ব্রিগেডের কয়েক হাজার সেনার মধ্যে বর্তমানে যুদ্ধক্ষেত্রে লড়ছে মাত্র ৬০-৭০ শতাংশ। বাকিরা হয় নিহত হয়েছেন, আর নয়তো বয়সের কারণে কিংবা অন্যান্য কারণে অবসরে গিয়েছে।
রাশিয়ার তীব্র আক্রমণের পাশাপাশি সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনের মাটি যেন দেশটির সেনাদের কাছেই অপরিচিত হয়ে উঠেছে। প্রায় এক হাজার কিলোমিটার দীর্ঘ রণাঙ্গনের অধিকাংশই এখন হয় জমে গিয়েছে, আর না হয় বৃষ্টি ও পানিতে থকথকে কাদায় পরিণত হয়েছে। যা সৈনিকদের স্বাস্থ্য ও মনোবলের ওপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলেছে।
এ বিষয়ে ৫৯ পদাতিক ব্রিগেডের কোম্পানি কমান্ডার লিমুজিন বলেন, ‘রণক্ষেত্রের বর্তমান আবহাওয়া হলো—এই বৃষ্টি, এই তুষার। একটু শুকনো সময় গেলে আবারও বৃষ্টি, আবার তুষার। ফলে সেনারা অসুস্থ হয়ে পড়ছে। আক্ষেপের বিষয় হলো, এই অসুস্থ সেনাদের পরিবর্তে কেউ আসবে—সেই সুযোগ নেই। আমাদের সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো লোকবলের অভাব।’
রাশিয়া বর্তমানে পূর্বতন ইউক্রেনে মোট আয়তনের এক-পঞ্চমাংশ দখল করে নিয়েছে। এ অবস্থায়ও ইউক্রেনীয়রা রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই করে যাচ্ছেন। কিন্তু ইউক্রেন তার পশ্চিমা মিত্রদের কাছে বারবার সহায়তা চেয়েও না পেয়ে বর্তমানে গোলাবারুদ ও অস্ত্রের সংকটে ভুগছে। যা ইউক্রেনীয় সেনাদের মনোবলে আঘাত হানছে।
ইউক্রেনের ৫৯ ব্রিগেডের অপর এক কমান্ডার যাঁর নামে প্রথম অংশ রিওরি (ইংরেজি উচ্চারণে গ্রেগরি)। তিনি বলেন, ‘রাশিয়ার পাঁচ-সাতজন সেনার একেকটি দল আকস্মিকভাবে বারবার আমাদের ওপর আক্রমণ চালাচ্ছে নিরলসভাবে। এর ফলে তারা আমাদের ওপর চাপ তৈরি করতে পারলেও তাদেরও ক্ষয়ক্ষতি হচ্ছে।’
ইউক্রেনীয় এই কমান্ডার আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমাদের অস্ত্রের মজুত ফুরিয়ে যাচ্ছে।’ এ সময় তিনি ইউক্রেন সরকারের প্রতি ইঙ্গিত করে বলেন, ‘যদি তারা আরও গোলাবারুদ না আনে বা আমরা যে পুরোনো আমলের অস্ত্র ব্যবহার করছি; তা পরিবর্তন করার কোনো সম্ভাবনা না থাকে—তাহলে আপনিও বুঝতে পারছেন যে এর ফলাফল কী হবে।’
অস্ত্র ও আর্থিক সহায়তার জন্য কিয়েভের সবচেয়ে বড় দাতা যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু দেশটির অভ্যন্তরীণ রাজনীতির কারণে ইউক্রেনকে দেওয়ার জন্য প্রস্তাবিত ৬১ বিলিয়ন ডলার সহায়তা প্যাকেজ আটকে গেছে। কবে এই প্যাকেজ ছাড় হবে, তারও কোনো নিশ্চয়তা নেই। এই অবস্থায় ইউক্রেনের অস্ত্র-গোলাবারুদের অভাব কীভাবে পূরণ হবে—সেই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। এমনকি ইউরোপীয় ইউনিয়ন ৫০ বিলিয়ন ডলারের বেশি সহায়তা প্যাকেজ ঘোষণা করলেও তার কোনো ইতিবাচক সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না।
ইউক্রেনীয় সমর কর্মকর্তা বলছেন, ইউক্রেনের সেনাবাহিনীতে বর্তমানে আট লাখ সেনা আছেন। এর বিপরীতে গত বছরের ডিসেম্বরের আগ পর্যন্ত লড়াই করছিল ১ লাখ ৭০ হাজার রুশ সেনা। তবে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেই সৈন্য সংখ্যা বাড়িয়ে ১০ লাখ ৩০ হাজার করার নির্দেশ দিয়েছেন। ফলে স্বাভাবিক কারণেই সংখ্যার দিক থেকেই ইউক্রেন পিছিয়ে পড়েছে।
কেবল সৈন্য সংখ্যা নয়, ইউক্রেনে ব্যয়ের ক্ষেত্রে রাশিয়া এগিয়ে। যেখানে ২০২৪ সালে রাশিয়ার ইউক্রেন যুদ্ধের জন্য বরাদ্দ দিয়েছে প্রায় ১০৯ বিলিয়ন ডলার। সেখানে ইউক্রেনের এর অর্ধেকেরও কম—মাত্র ৪৩ দশমিক ৮ বিলিয়ন ডলার। একই সঙ্গে ইউক্রেনের সাড়ে চার লাখ থেকে পাঁচ লাখ সেনা নিয়োগের যে উদ্যোগ নিয়েছে, তা-ও চলছে ঢিমেতেতালা।
সব মিলিয়ে নিরলস ও নির্দয় রাশিয়ার বিপরীতে ইউক্রেন যেকোনো বিবেচনায় স্রেফ ছোট্ট একটি বামনে পরিণত হয়েছে। এ অবস্থায় ইউক্রেনের পশ্চিমা মিত্ররা যদি এগিয়ে না আসে, তবে এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে আভদিভকার মতো করে আরও অনেক শহরই রাশিয়ার দখলে চলে যাবে।
রয়টার্স থেকে সংক্ষেপিত
কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৮ ঘণ্টা আগেপাকিস্তানের আকাশসীমা বন্ধের ঘটনায় চরম আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে ভারতের বিমান সংস্থাগুলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম পিটিআই বলছে, এ ঘটনায় দেশটির এয়ারলাইনসগুলোর বাড়তি খরচ মাসে ৩০৭ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যেতে পারে।
৮ ঘণ্টা আগেভারতের সঙ্গে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার মধ্যেই পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার বলেছেন, পাকিস্তান কোনো উত্তেজনা বাড়ানোর পদক্ষেপ নেবে না, তবে ভারত উসকানি দিলে তার দাঁতভাঙা জবাব দেবে।
১০ ঘণ্টা আগে