অনলাইন ডেস্ক
রাশিয়ায় নিজেকে যিশুখ্রিষ্টের অবতার দাবি করা এক ধর্মগুরুকে গত সোমবার ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অনুসারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া, অবৈধভাবে বিদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন করায় ‘যিশু’ নামে আরেক ব্যক্তিতে জরিমানা করেছে আরেক রুশ আদালত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ৬৪ বছর বয়সী সের্গেই তোরপ অনুসারীদের কাছে ‘ভিসারিওন’ নামে পরিচিত। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের বছর অর্থাৎ, ১৯৯১ সালে সাইবেরিয়ার ক্রাসনোইয়ার্স্ক অঞ্চলের একটি দুর্গম এলাকায় ‘চার্চ অব দ্য লাস্ট টেস্টামেন্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন।
সাবেক এই ট্রাফিক পুলিশ নিজেকে ঈশ্বরের বাণী প্রচারের জন্য যিশুখ্রিষ্টের ‘পুনর্জন্ম’ নেওয়া ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতেন। দারিদ্র্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে জর্জরিত সে সময় হাজারো মানুষ তাঁর অনুসারী হন। অনেকে এসে বসবাস শুরু করেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘আবোদ অব ডন’ বা ‘সান সিটি’ নামে পরিচিত বসতিতে।
দীর্ঘ চুল ও দাড়িওয়ালা এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু অনুসারীদের মাংস, মদ ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে, গালিগালাজ না করতে এবং অর্থ ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিতেন। তাঁর সম্মানে নিয়মিত প্রার্থনা করত অনুসারীরা এবং পাহাড়ের চূড়ায় থাকা তাঁর বিশাল বাসভবনের দিকে তাকিয়ে থাকত।
রাশিয়ার তদন্ত সংস্থা অভিযোগ করেছে, তোরপ ও তাঁর দুই সহযোগী মানসিক চাপ দিয়ে অনুসারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন এবং তাঁদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি করেছেন। গত সোমবার সাইবেরিয়ার নভোসিবির্স্ক শহরের আদালত তোরপ ও ভ্লাদিমির ভেদেরনিকভকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে ১২ বছরের এবং ভাদিম রেদকিনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের মানসিক ক্ষতির জন্য ৪ কোটি রুবল (প্রায় ৫ লাখ ১১ হাজার ৫০০ ডলার) ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়।
২০২০ সালে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি (সাবেক সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির উত্তরসূরি) হেলিকপ্টার অভিযানে তোরপ ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, এই তিনজন ১৬ জনের মানসিক ক্ষতি, ছয়জনের গুরুতর শারীরিক ক্ষতি এবং একজনের মাঝারি মাত্রার শারীরিক ক্ষতি করেছেন। ভেদেরনিকভের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও ছিল।
এর আগেও অবশ্য তোরপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। তবে ২০১৭ সালে বিবিসির এক প্রামাণ্যচিত্রে তোরপ সাক্ষাৎকারে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যায়, অনুসারীদের কন্যাদের এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছিল যাতে তারা ‘যোগ্য পুরুষদের ভবিষ্যৎ স্ত্রী’ হতে পারে।
এদিকে, আরটির খবরে বলা হয়েছে—কাজানের একটি আদালত আরেক ‘যিশুখ্রিষ্টকে’ অর্থদণ্ড দিয়েছেন। শহরটি অবৈধভাবে বিদেশিদের নিবন্ধন করানোর অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি নিজের ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে একসঙ্গে ৪৫ জন বিদেশি নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে তাদের নিবন্ধন করিয়েছিলেন।
৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি আদালতের নথিতে ‘যিশু পেত্রোভিচ খ্রিষ্ট’ নামে পরিচিত। তদন্তে জানা যায়, তিনি প্রত্যেকের কাছ থেকে নিবন্ধনের জন্য ২ হাজার রুবল (প্রায় ২৫ ডলার) করে নিয়েছিলেন। আদালত তাঁকে ১৩ হাজার রুবল (১৬৩ ডলার) জরিমানা করেছে।
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন অভিবাসন আইন স্বাক্ষর করেন। এতে জরিমানা ও শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়, যাতে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যিশুখ্রিষ্টের আসল জন্মনাম কেউ জানে না। সংখ্যাতত্ত্বের প্রতি তাঁর বিশেষ আসক্তি থাকায় কয়েক বছর আগে তিনি নিজের নাম ও পদবি বদলে ফেলেন, শুধু আসল পিতৃনাম ‘পেত্রোভিচ’ রেখে দেন।
২০২৫ সালের বসন্তে মামলার শুনানি শুরুর কথা থাকলেও তথাকথিত ‘যিশু’ একাধিকবার আদালতে হাজির না হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এ বছরের এপ্রিলে আদালত তাঁকে জোরপূর্বক হাজির করার নির্দেশ দেয়। এর আগেই, গত মে মাসে মস্কোর জেলা আদালত একই ধরনের অভিযোগে তাকে ৬০ হাজার রুবল (৭৫৫ ডলার) জরিমানা করেছিল।
রাশিয়ায় নিজেকে যিশুখ্রিষ্টের অবতার দাবি করা এক ধর্মগুরুকে গত সোমবার ১২ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত। তাঁর বিরুদ্ধে অনুসারীদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষতি এবং অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। এ ছাড়া, অবৈধভাবে বিদেশি নাগরিকদের নিবন্ধন করায় ‘যিশু’ নামে আরেক ব্যক্তিতে জরিমানা করেছে আরেক রুশ আদালত। বার্তা সংস্থা রয়টার্স ও রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির পৃথক প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
প্রতিবেদন অনুসারে, ৬৪ বছর বয়সী সের্গেই তোরপ অনুসারীদের কাছে ‘ভিসারিওন’ নামে পরিচিত। তিনি সোভিয়েত ইউনিয়ন ভাঙনের বছর অর্থাৎ, ১৯৯১ সালে সাইবেরিয়ার ক্রাসনোইয়ার্স্ক অঞ্চলের একটি দুর্গম এলাকায় ‘চার্চ অব দ্য লাস্ট টেস্টামেন্ট’ প্রতিষ্ঠা করেন।
সাবেক এই ট্রাফিক পুলিশ নিজেকে ঈশ্বরের বাণী প্রচারের জন্য যিশুখ্রিষ্টের ‘পুনর্জন্ম’ নেওয়া ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিতেন। দারিদ্র্য ও আইনশৃঙ্খলার অবনতিতে জর্জরিত সে সময় হাজারো মানুষ তাঁর অনুসারী হন। অনেকে এসে বসবাস শুরু করেন তাঁর প্রতিষ্ঠিত ‘আবোদ অব ডন’ বা ‘সান সিটি’ নামে পরিচিত বসতিতে।
দীর্ঘ চুল ও দাড়িওয়ালা এই স্বঘোষিত ধর্মগুরু অনুসারীদের মাংস, মদ ও ধূমপান থেকে বিরত থাকতে, গালিগালাজ না করতে এবং অর্থ ব্যবহার বন্ধ করতে নির্দেশ দিতেন। তাঁর সম্মানে নিয়মিত প্রার্থনা করত অনুসারীরা এবং পাহাড়ের চূড়ায় থাকা তাঁর বিশাল বাসভবনের দিকে তাকিয়ে থাকত।
রাশিয়ার তদন্ত সংস্থা অভিযোগ করেছে, তোরপ ও তাঁর দুই সহযোগী মানসিক চাপ দিয়ে অনুসারীদের কাছ থেকে অর্থ আদায় করতেন এবং তাঁদের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের গুরুতর ক্ষতি করেছেন। গত সোমবার সাইবেরিয়ার নভোসিবির্স্ক শহরের আদালত তোরপ ও ভ্লাদিমির ভেদেরনিকভকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তাবিশিষ্ট কারাগারে ১২ বছরের এবং ভাদিম রেদকিনকে ১১ বছরের কারাদণ্ড দেয়। পাশাপাশি ভুক্তভোগীদের মানসিক ক্ষতির জন্য ৪ কোটি রুবল (প্রায় ৫ লাখ ১১ হাজার ৫০০ ডলার) ক্ষতিপূরণের আদেশ দেওয়া হয়।
২০২০ সালে রুশ গোয়েন্দা সংস্থা এফএসবি (সাবেক সোভিয়েত গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবির উত্তরসূরি) হেলিকপ্টার অভিযানে তোরপ ও তাঁর সহযোগীদের গ্রেপ্তার করে। রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, এই তিনজন ১৬ জনের মানসিক ক্ষতি, ছয়জনের গুরুতর শারীরিক ক্ষতি এবং একজনের মাঝারি মাত্রার শারীরিক ক্ষতি করেছেন। ভেদেরনিকভের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগও ছিল।
এর আগেও অবশ্য তোরপের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ ওঠে। তবে ২০১৭ সালে বিবিসির এক প্রামাণ্যচিত্রে তোরপ সাক্ষাৎকারে সব অভিযোগ অস্বীকার করেন। ওই প্রামাণ্যচিত্রে দেখা যায়, অনুসারীদের কন্যাদের এমনভাবে শিক্ষা দেওয়া হচ্ছিল যাতে তারা ‘যোগ্য পুরুষদের ভবিষ্যৎ স্ত্রী’ হতে পারে।
এদিকে, আরটির খবরে বলা হয়েছে—কাজানের একটি আদালত আরেক ‘যিশুখ্রিষ্টকে’ অর্থদণ্ড দিয়েছেন। শহরটি অবৈধভাবে বিদেশিদের নিবন্ধন করানোর অভিযোগে ওই ব্যক্তিকে জরিমানা করা হয়েছে। তিনি নিজের ছোট্ট অ্যাপার্টমেন্টে একসঙ্গে ৪৫ জন বিদেশি নাগরিককে আশ্রয় দিয়েছিলেন এবং ভুল তথ্য দিয়ে তাদের নিবন্ধন করিয়েছিলেন।
৪৫ বছর বয়সী ওই ব্যক্তি আদালতের নথিতে ‘যিশু পেত্রোভিচ খ্রিষ্ট’ নামে পরিচিত। তদন্তে জানা যায়, তিনি প্রত্যেকের কাছ থেকে নিবন্ধনের জন্য ২ হাজার রুবল (প্রায় ২৫ ডলার) করে নিয়েছিলেন। আদালত তাঁকে ১৩ হাজার রুবল (১৬৩ ডলার) জরিমানা করেছে।
গত মাসে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন নতুন অভিবাসন আইন স্বাক্ষর করেন। এতে জরিমানা ও শাস্তির পরিমাণ বাড়ানো হয়, যাতে অবৈধ অভিবাসন নিয়ন্ত্রণ আরও কঠোর হয়। তদন্ত কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, যিশুখ্রিষ্টের আসল জন্মনাম কেউ জানে না। সংখ্যাতত্ত্বের প্রতি তাঁর বিশেষ আসক্তি থাকায় কয়েক বছর আগে তিনি নিজের নাম ও পদবি বদলে ফেলেন, শুধু আসল পিতৃনাম ‘পেত্রোভিচ’ রেখে দেন।
২০২৫ সালের বসন্তে মামলার শুনানি শুরুর কথা থাকলেও তথাকথিত ‘যিশু’ একাধিকবার আদালতে হাজির না হওয়ায় তা পিছিয়ে যায়। এ বছরের এপ্রিলে আদালত তাঁকে জোরপূর্বক হাজির করার নির্দেশ দেয়। এর আগেই, গত মে মাসে মস্কোর জেলা আদালত একই ধরনের অভিযোগে তাকে ৬০ হাজার রুবল (৭৫৫ ডলার) জরিমানা করেছিল।
ভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২২ মিনিট আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
১ ঘণ্টা আগেস্ত্রীকে নিয়ে গ্রামের দিকে যাচ্ছিলেন স্বামী। পথিমধ্যে মর্মান্তিক সড়ক দুর্ঘটনায় প্রাণ হারান স্ত্রী। দিশেহারা স্বামী আশপাশে মানুষের কাছে সাহায্য চেয়েছিলেন, কিন্তু ভারী বৃষ্টি ও প্রতিকূল আবহাওয়ার কারণে কেউ এগিয়ে আসেনি।
১ ঘণ্টা আগেদক্ষিণ কোরিয়ার সেনাবাহিনীর জনবল গত ৬ বছরে উল্লেখযোগ্যভাবে কমেছে। বর্তমানে দেশটির সেনাসদস্য প্রায় ৪ লাখ ৫০ হাজার, যা ২০১৮ সালের তুলনায় প্রায় ২০ শতাংশ কম। আর এই লোকবল কমার কারণ, দেশটিতে জন্মহার হ্রাস পাওয়ায় জনসংখ্যার হ্রাস। খবর বিবিসির।
১ ঘণ্টা আগে