ইউক্রেনের টেলিযোগাযোগ খাতের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান কিয়েভস্টারের সিস্টেমের ভেতরে দীর্ঘ কয়েক মাস ঘাপটি মেরে ছিল রুশ হ্যাকাররা। এই সময়ে রুশ হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানটির পুরো সিস্টেমই ধসিয়ে দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির সাইবার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। তাঁর মতে, রুশ হ্যাকারদের এই আক্রমণ কেবল ইউক্রেন নয়, পশ্চিমা বিশ্বের জন্যও অনেক বড় একটি সতর্কবার্তা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার (এসবিইউ) সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক শাখার প্রধান ইলিয়া ভিতিয়াক বলেছেন, রুশ হ্যাকারদের হামলায় কিয়েভস্টারের সেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। কিয়েভস্টারের প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক রয়েছে।
রুশ হ্যাকারদের এই হামলাকে ইলিয়া ভিতিয়াক ‘বিপর্যয়কর’ ও ‘বিধ্বংসী’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, এ ধরনের হামলা মূলত প্রতিপক্ষের ওপর মনস্তাত্ত্বিক হামলা ও ব্যাপক আকারে তথ্য সংগ্রহের জন্য করা হয়। তিনি বলেন, ‘এই হামলা একটি বড় ধরনের সতর্কবার্তা। তবে এই সতর্কবার্তা কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, পুরো পশ্চিমা বিশ্বের জন্য। এর মাধ্যমে এটি বোঝা গেছে, কেউই আসলে নাগালের বাইরে নয়।’
এই সময় ইউক্রেনীয় এই গোয়েন্দাপ্রধান জানান, কিয়েভস্টার ইউক্রেনের অন্যতম ধনী টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ২ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়া মানে অনেকটা ইউক্রেনের নিরাপত্তাই ঝুঁকির মুখে পড়া। ইলিয়া ভিতিয়াক আরও জানান, কিয়েভস্টার সাইবার নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।
ভিতিয়াক আরও জানান, রুশ হ্যাকারদের হামলায় কিয়েভস্টারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হাজারো ভার্চুয়াল সার্ভারসহ বিভিন্ন প্রাইভেট কম্পিউটার সার্ভারের তথ্য চিরতরে মুছে গেছে। তিনি এ সময় বলেন, এটিই সম্ভবত বিশ্বের প্রথম সাইবার আক্রমণ যার ফলে একটি টেলিকম কোম্পানির মূলভিত্তিই ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকেই রুশ হ্যাকাররা কিয়েভস্টারের সিস্টেমে লুকিয়ে বা ঘাপটি মেরে ছিল বলে জানান ভিতিয়াক। এই সময়টাতে তারা কিয়েভস্টারের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল এবং সম্ভবত এই পরিস্থিতি চলেছে গত নভেম্বর পর্যন্ত। তাঁর সংস্থার গোয়েন্দা মূল্যায়ন বলছে, রুশ হ্যাকাররা ইউক্রেনীয় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নিয়েছে। ব্যবহারকরীর লোকেশন, ব্যক্তিগত বার্তা পড়া এমনকি ব্যবহারকারীর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণও তারা নিয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কিয়েভস্টারের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটি এসবিইউয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর পাননি। এসবিইউ কিয়েভস্টারকে সিস্টেম ফেরত পেতে সহায়তা করছে বলেও জানান ভিতিয়াক।
ইউক্রেনের টেলিযোগাযোগ খাতের অন্যতম বড় প্রতিষ্ঠান কিয়েভস্টারের সিস্টেমের ভেতরে দীর্ঘ কয়েক মাস ঘাপটি মেরে ছিল রুশ হ্যাকাররা। এই সময়ে রুশ হ্যাকাররা প্রতিষ্ঠানটির পুরো সিস্টেমই ধসিয়ে দিয়েছে। এমনটাই জানিয়েছেন দেশটির সাইবার গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান। তাঁর মতে, রুশ হ্যাকারদের এই আক্রমণ কেবল ইউক্রেন নয়, পশ্চিমা বিশ্বের জন্যও অনেক বড় একটি সতর্কবার্তা। বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইউক্রেনের গোয়েন্দা সংস্থার (এসবিইউ) সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক শাখার প্রধান ইলিয়া ভিতিয়াক বলেছেন, রুশ হ্যাকারদের হামলায় কিয়েভস্টারের সেবা ব্যাপকভাবে ব্যাহত হয়েছে। কিয়েভস্টারের প্রায় ২ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহক রয়েছে।
রুশ হ্যাকারদের এই হামলাকে ইলিয়া ভিতিয়াক ‘বিপর্যয়কর’ ও ‘বিধ্বংসী’ বলে অভিহিত করেছেন। তাঁর মতে, এ ধরনের হামলা মূলত প্রতিপক্ষের ওপর মনস্তাত্ত্বিক হামলা ও ব্যাপক আকারে তথ্য সংগ্রহের জন্য করা হয়। তিনি বলেন, ‘এই হামলা একটি বড় ধরনের সতর্কবার্তা। তবে এই সতর্কবার্তা কেবল ইউক্রেনের জন্য নয়, পুরো পশ্চিমা বিশ্বের জন্য। এর মাধ্যমে এটি বোঝা গেছে, কেউই আসলে নাগালের বাইরে নয়।’
এই সময় ইউক্রেনীয় এই গোয়েন্দাপ্রধান জানান, কিয়েভস্টার ইউক্রেনের অন্যতম ধনী টেলিকম সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান। এই প্রতিষ্ঠানের ২ কোটি ৪০ লাখ গ্রাহকের নিরাপত্তা ঝুঁকির মুখে পড়া মানে অনেকটা ইউক্রেনের নিরাপত্তাই ঝুঁকির মুখে পড়া। ইলিয়া ভিতিয়াক আরও জানান, কিয়েভস্টার সাইবার নিরাপত্তা খাতে ব্যাপক বিনিয়োগ করেছে।
ভিতিয়াক আরও জানান, রুশ হ্যাকারদের হামলায় কিয়েভস্টারের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। বিশেষ করে হাজারো ভার্চুয়াল সার্ভারসহ বিভিন্ন প্রাইভেট কম্পিউটার সার্ভারের তথ্য চিরতরে মুছে গেছে। তিনি এ সময় বলেন, এটিই সম্ভবত বিশ্বের প্রথম সাইবার আক্রমণ যার ফলে একটি টেলিকম কোম্পানির মূলভিত্তিই ধ্বংস হয়ে গেছে।
গত বছর অর্থাৎ ২০২৩ সালের মার্চ মাস থেকেই রুশ হ্যাকাররা কিয়েভস্টারের সিস্টেমে লুকিয়ে বা ঘাপটি মেরে ছিল বলে জানান ভিতিয়াক। এই সময়টাতে তারা কিয়েভস্টারের পুরো নিয়ন্ত্রণ নিজেদের হাতে তুলে নিয়েছিল এবং সম্ভবত এই পরিস্থিতি চলেছে গত নভেম্বর পর্যন্ত। তাঁর সংস্থার গোয়েন্দা মূল্যায়ন বলছে, রুশ হ্যাকাররা ইউক্রেনীয় ব্যবহারকারীদের ব্যক্তিগত তথ্যও হাতিয়ে নিয়েছে। ব্যবহারকরীর লোকেশন, ব্যক্তিগত বার্তা পড়া এমনকি ব্যবহারকারীর টেলিগ্রাম অ্যাকাউন্টের নিয়ন্ত্রণও তারা নিয়েছিল।
ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে কিয়েভস্টারের এক মুখপাত্র বলেছেন, প্রতিষ্ঠানটি এসবিইউয়ের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে ক্ষয়ক্ষতি কাটিয়ে উঠতে। তিনি জানান, এখন পর্যন্ত তাঁরা কোনো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য ফাঁস হওয়ার খবর পাননি। এসবিইউ কিয়েভস্টারকে সিস্টেম ফেরত পেতে সহায়তা করছে বলেও জানান ভিতিয়াক।
লোহিত সাগরে মার্কিন রণতরীতে তাৎক্ষণিকভাবে হামলা চালানোর হুঁশিয়ারি দিয়েছে ইয়েমেনে ইরান সমর্থিত সশস্ত্র গোষ্ঠী হুতি। মধ্যপ্রাচ্যের সংবাদমাধ্যম প্রেস টিভির এক প্রতিবেদনে হুতি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারির বরাত দিয়ে বলা হয়েছে, জায়নবাদী শত্রুর পক্ষে মার্কিন আগ্রাসন উপেক্ষা করার মতো নয়।
১১ মিনিট আগেচলমান সংঘাতে প্রাণনাশের আশঙ্কায় সম্ভাব্য তিনজন উত্তরসূরির নাম ঘোষণা করেছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। যে কোনো সময় গুপ্তহত্যার শিকার হতে পারেন, এমন শঙ্কায় বর্তমানে বাঙ্কারে অবস্থান করছেন তিনি। অবস্থান গোপন রাখতে মোবাইল ফোনসহ যেকোনো ডিভাইস ব্যবহার থেকে বিরত থাকছেন।
২৬ মিনিট আগেইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু একে অপরের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন। উভয় নেতাই এই অভিযানকে ঐতিহাসিক এবং ইসরায়েলের নিরাপত্তার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ বলে বর্ণনা করেছেন।
৩৪ মিনিট আগেইরানের প্রধান তিনটি পারমাণবিক স্থাপনা ফোরদো, নাতানজ ও ইস্পাহানে হামলা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, তিনটি স্থাপনাই ‘শেষ’ করে দেওয়া হয়েছে। মধ্যপ্রাচ্যে ইসরায়েলের হুমকি দূর করা হয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে