
অ্যালেক্সি নাভালনি নিকট অতীতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন। সেই নাভালনি দেশটির উত্তর মেরুতে অবস্থিত কারাগারে মারা গেছেন আজ শুক্রবার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকে ভাবছেন, নাভালনিও হয়তো পুতিনের অন্য শত্রুদের মতোই রহস্যময় পরিণতি বরণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশ কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নাভালনি হাঁটাহাঁটির পর অসুস্থতা বোধ করেন এবং একটু পরই জ্ঞান হারান। দ্রুত চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স দলকে ডাকা হয়। তাঁর জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’
এখন পর্যন্ত নাভালনির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। রুশ সরকারও সেভাবে মুখ খুলছে না। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক নেতাই নাভালনির মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না। রাশিয়ার এক নির্বাসিত লেখক নাভালনির মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, নাভালনি পুতিনের নির্মমতার শিকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়া দায়ী।
এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে তোলা হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নাকি তিনিও পুতিনের অন্যান্য শত্রুর মতোই রহস্যজনকভাবে চিরপ্রস্থান করলেন।
নাভালনি ছাড়াও আরও অনেকে পুতিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেননি, এমনকি তাঁদের অনেকেরই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নাভালনি সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন।
অ্যালেক্সি নাভালনি ছাড়াও পুতিনের যেসব প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সময় রহস্যজনক করুণ পরিণতি বরণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন, ভ্লাদিমির কারামুরজা, আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো, আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি, ভিক্তর ইউশচেঙ্কো এবং আনা পলিৎকোভস্কায়া উল্লেখযোগ্য। তাঁদের পরিণতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
অ্যালেক্সি নাভালনি
নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ইউলিয়া, মেয়ের নাম দারিয়া এবং ছেলের নাম জাহার। নাভালনি ১৯৭৬ সালে মস্কোর নিকটবর্তী শহর বায়তনে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চশিক্ষা নেন অর্থনীতি ও আইন বিষয়ে। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া’।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগঠন করেছেন।
নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচন করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।
এরপর ২০২০ সালের আগস্টে একটি সফরে নাভালনির খাবারের বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তাঁর খাবারে সামরিক নার্ভ এজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নাভালনি অভিযোগ করেন, এই বিষয়টির সঙ্গে পুতিন জড়িত। তবে ক্রেমলিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সংস্থা ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হয় গত বছরের ২৪ আগস্ট। একসময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেশ আস্থাভাজন ছিলেন প্রিগোঝিন। কিন্তু গত বছরের ২৩ ও ২৪ জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পুতিনের চক্ষুশূল হন তিনি। তখন পুতিন প্রিগোঝিনকে কিছু না বললেও বিদ্রোহকে ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরুর উদ্যোগ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
যাহোক, পুতিন সে সময় প্রিগোঝিনকে ক্ষমা করে দিলেও বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি অনেক জল্পনাকল্পনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে অনেকে তখন ভেবেছেন, হয়তো পুতিনের রোষের কারণেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হলো। বিষয়টি যদিও স্পষ্ট নয়, তবে অমূলকও নয়। কারণ, এর আগেও পুতিনের অনেক ‘প্রতিপক্ষই’ অস্বাভাবিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন, নয়তো অন্য কোনোভাবে মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত হয়েছেন।
ভ্লাদিমির কারামুরজা
রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং অধিকারকর্মী ভ্লাদিমির কারামুরজা পুতিনবিরোধী মুখ বলে পরিচিত। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। পরে অবশ্য জার্মানির একটি গবেষণাগারে কারামুরজার শরীরের নমুনায় উচ্চ মাত্রার পারদ, তামা, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মস্কো এই ঘটনাও নিজেদের সংযোগ অস্বীকার করে।
সের্গেই স্ক্রিপাল
সের্গেই স্ক্রিপাল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ডবল এজেন্ট ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি রাশিয়ার গোয়েন্দা তথ্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাচার করা শুরু করেন। পরে ২০১৮ সালের মার্চে ব্রিটেনের স্যালিসবারি শহরে একটি শপিং সেন্টারের বাইরে একটি বেঞ্চে স্ক্রিপাল এবং তাঁর কন্যা ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানান, ওই দুজনকেই নভিচক বিষ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীর গবেষকেরা ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-এর দশকে এই বিষ আবিষ্কার করেন। পরে এই বিষের প্রভাব কাটিয়ে স্ক্রিপাল ও ইউলিয়া—দুজনেই বেঁচে যান।
আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো
একসময় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি ও দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো। পরে এই বাহিনীগুলোর অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ১৯৯৮ সালে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান ছিলেন।
এই অবস্থায় লিৎভিনেঙ্কোকে চিরতরে সরিয়ে দিতে ২০০৬ সালে কেজিবির দুই গোয়েন্দাকে যুক্তরাজ্যে পাঠান পুতিন। তাঁদেরই একজন ছিলেন আন্দ্রেই লুগোভই। লিৎভিনেঙ্কোর সঙ্গে লন্ডনের মিলেনিয়াম হোটেলে সাক্ষাৎ করে তাঁর চায়ের কাপে শক্তিশালী তেজস্ক্রিয় ধাতু ‘পোলোনিয়াম’ ঢেলে দিয়েছিলেন লুগোভই। মারাত্মক ওই তেজস্ক্রিয়তায় ২৩ দিন ভুগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন লিৎভিনেঙ্কো। তবে মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই রাসায়নিক হামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে গিয়েছিলেন তিনি।
আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি
রাশিয়া থেকে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করেছিলেন পেরিপিলিচনি। এরপর প্রাণভয়ে তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পরে ব্রিটেনেই নিবাস গড়েন। তিন বছর পর ২০১২ সালের নভেম্বরের এক সকালে জগিং করার জন্য বের হওয়ার পর বাড়ির মূল ফটকের সামনে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
পেরিপিলিচনির মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশ এমন বিষয় প্রমাণের অভাবে উড়িয়ে দেয়। তবে তাঁর পেটে জেলসেমিয়াম উদ্ভিদ থেকে তৈরি একটি বিরল এবং মারাত্মক বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগের দিন পেরিপিলিচনি বড় এক বাটি ঐতিহ্যবাহী রুশ খাবার এবং স্যুপ খেয়েছিলেন।
এই মৃত্যুর পর সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে উঠলেও মস্কো অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ এবং দেশটির তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা। ২০০৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। তিনি সেই নির্বাচনে মস্কোপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের মদতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ইউশচেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক নৈশভোজের সময় তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল। এরপর পরীক্ষায় তাঁর শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি ডাইঅক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই বিষক্রিয়ার ফলে তাঁর মুখমণ্ডল ও শরীর বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এবং পরে বেশ কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করে স্বাভাবিক হন তিনি।
ইউক্রেনে সংঘটিত কমলা বিপ্লবের সময় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথমে ভিক্তর ইয়ানুকোভিচকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইউশচেঙ্কো বিপুল ভোটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
অ্যানা পলিতকোভস্কায়া
মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক অ্যানা পলিতকোভস্কায়াকে ২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলি করার ঠিক আগে অ্যানা স্থানীয় সুপারমার্কেট থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। অ্যানার মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব জোর গলায় আওয়াজ তোলে রাশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে।

অ্যালেক্সি নাভালনি নিকট অতীতে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সবচেয়ে বড় প্রতিপক্ষ ছিলেন। সেই নাভালনি দেশটির উত্তর মেরুতে অবস্থিত কারাগারে মারা গেছেন আজ শুক্রবার। কিন্তু তাঁর মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। অনেকে ভাবছেন, নাভালনিও হয়তো পুতিনের অন্য শত্রুদের মতোই রহস্যময় পরিণতি বরণ করেছেন।
বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, রুশ কারা কর্তৃপক্ষ এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘নাভালনি হাঁটাহাঁটির পর অসুস্থতা বোধ করেন এবং একটু পরই জ্ঞান হারান। দ্রুত চিকিৎসক ও অ্যাম্বুলেন্স দলকে ডাকা হয়। তাঁর জ্ঞান ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করা হলেও তা ব্যর্থ হয়। পরে চিকিৎসকেরা তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন। তাঁর মৃত্যুর কারণ জানতে তদন্ত চলছে।’
এখন পর্যন্ত নাভালনির মৃত্যুর কারণ নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। রুশ সরকারও সেভাবে মুখ খুলছে না। পশ্চিমা বিশ্বের অনেক নেতাই নাভালনির মৃত্যুকে স্বাভাবিক বলে মনে করছেন না। রাশিয়ার এক নির্বাসিত লেখক নাভালনির মৃত্যুকে ‘হত্যা’ বলে অভিহিত করেছেন। মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস বলেছেন, নাভালনি পুতিনের নির্মমতার শিকার। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন বলেছেন, নাভালনির মৃত্যুর জন্য রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়া দায়ী।
এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে তোলা হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না। নাকি তিনিও পুতিনের অন্যান্য শত্রুর মতোই রহস্যজনকভাবে চিরপ্রস্থান করলেন।
নাভালনি ছাড়াও আরও অনেকে পুতিনের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলার চেষ্টা করেছেন। কিন্তু তাঁরা কেউই স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেননি, এমনকি তাঁদের অনেকেরই রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নাভালনি সেই তালিকায় সর্বশেষ সংযোজন।
অ্যালেক্সি নাভালনি ছাড়াও পুতিনের যেসব প্রতিপক্ষ বিভিন্ন সময় রহস্যজনক করুণ পরিণতি বরণ করেছেন, তাঁদের মধ্যে ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন, ভ্লাদিমির কারামুরজা, আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো, আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি, ভিক্তর ইউশচেঙ্কো এবং আনা পলিৎকোভস্কায়া উল্লেখযোগ্য। তাঁদের পরিণতি সংক্ষেপে তুলে ধরা হলো:
অ্যালেক্সি নাভালনি
নাভালনির বয়স হয়েছিল মাত্র ৪৭ বছর। তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়ে রেখে গেছেন। তাঁর স্ত্রীর নাম ইউলিয়া, মেয়ের নাম দারিয়া এবং ছেলের নাম জাহার। নাভালনি ১৯৭৬ সালে মস্কোর নিকটবর্তী শহর বায়তনে জন্মগ্রহণ করেন। উচ্চশিক্ষা নেন অর্থনীতি ও আইন বিষয়ে। তিনি সক্রিয় রাজনীতি শুরু করেন ২০০৮ সালে এবং ২০১১ সালে দুর্নীতিবিরোধী মঞ্চ এফবিকে গঠন করেন। তাঁর রাজনৈতিক স্লোগান ছিল ‘আগামীর বিস্ময় রাশিয়া’।
রাজনৈতিক জীবনে নাভালনি পুতিনের কট্টর সমালোচক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। বিশেষ করে রাশিয়ার দুর্নীতি ও কর্তৃত্ববাদী শাসনব্যবস্থার কড়া সমালোচক ছিলেন তিনি। রাশিয়ায় তিনি কয়েক যুগ ধরেই বিদ্যমান সরকার ও শাসনব্যবস্থার বিরুদ্ধে কথা বলে আসছিলেন। দেশজুড়ে এ নিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আন্দোলন সংগঠন করেছেন।
নাভালনি ২০১৭ সালে রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী দিমিত্রি মেদভেদেভের বিলাসবহুল জীবনযাপনের বিষয়টি উন্মোচন করেন। এমনকি বিষয়টি নিয়ে সরকারবিরোধী আন্দোলনও গড়ে তোলেন তিনি। পরে ২০১৮ সালে নাভালনি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে পুতিনের বিপক্ষে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার চেষ্টা করেন, কিন্তু তাঁর প্রার্থিতা বাতিল করা হয় ২০১৪ সালের একটি অভিযোগ সামনে এনে।
এরপর ২০২০ সালের আগস্টে একটি সফরে নাভালনির খাবারের বিষ মিশিয়ে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সে সময় তাঁর খাবারে সামরিক নার্ভ এজেন্ট মিশিয়ে দেওয়া হয়েছিল। পরে নাভালনি অভিযোগ করেন, এই বিষয়টির সঙ্গে পুতিন জড়িত। তবে ক্রেমলিন এই অভিযোগ অস্বীকার করে।
রাশিয়ার এই নেতাকে ২০২১ সালের শুরুর দিকেই গ্রেপ্তার করা হয় ২০১৪ সালে করা একটি অর্থ আত্মসাৎ মামলায়। দ্রুতই বিচারের মাধ্যমে তাঁকে আড়াই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। পরে আদালত অবমাননার অভিযোগে তাঁকে আরও ৯ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। ২০২১ সালের আগস্টে চরমপন্থার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নাভালনিকে আরও ১৯ বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
ইয়েভজেনি প্রিগোঝিন
রাশিয়ার ভাড়াটে যোদ্ধা সংস্থা ভাগনারের প্রধান ইয়েভজেনি প্রিগোঝিনকে বহনকারী বিমান বিধ্বস্ত হয় গত বছরের ২৪ আগস্ট। একসময় রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের বেশ আস্থাভাজন ছিলেন প্রিগোঝিন। কিন্তু গত বছরের ২৩ ও ২৪ জুন রাশিয়ার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করে পুতিনের চক্ষুশূল হন তিনি। তখন পুতিন প্রিগোঝিনকে কিছু না বললেও বিদ্রোহকে ‘গৃহযুদ্ধ’ শুরুর উদ্যোগ’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন।
যাহোক, পুতিন সে সময় প্রিগোঝিনকে ক্ষমা করে দিলেও বিমান দুর্ঘটনায় তাঁর মৃত্যুর বিষয়টি অনেক জল্পনাকল্পনার জন্ম দেয়। বিশেষ করে অনেকে তখন ভেবেছেন, হয়তো পুতিনের রোষের কারণেই দুর্ঘটনায় প্রাণ হারাতে হলো। বিষয়টি যদিও স্পষ্ট নয়, তবে অমূলকও নয়। কারণ, এর আগেও পুতিনের অনেক ‘প্রতিপক্ষই’ অস্বাভাবিকভাবে প্রাণ হারিয়েছেন, নয়তো অন্য কোনোভাবে মৃত্যুর কাছাকাছি উপনীত হয়েছেন।
ভ্লাদিমির কারামুরজা
রাশিয়ার বিরোধী রাজনীতিবিদ এবং অধিকারকর্মী ভ্লাদিমির কারামুরজা পুতিনবিরোধী মুখ বলে পরিচিত। তিনি দাবি করেছিলেন, তাঁকে ২০১৫ ও ২০১৭ সালে বিষ প্রয়োগ করে হত্যার চেষ্টা হয়েছে। পরে অবশ্য জার্মানির একটি গবেষণাগারে কারামুরজার শরীরের নমুনায় উচ্চ মাত্রার পারদ, তামা, ম্যাঙ্গানিজ এবং জিংকের উপস্থিতির প্রমাণ পাওয়া যায়। তবে মস্কো এই ঘটনাও নিজেদের সংযোগ অস্বীকার করে।
সের্গেই স্ক্রিপাল
সের্গেই স্ক্রিপাল রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থার ডবল এজেন্ট ছিলেন। একপর্যায়ে তিনি রাশিয়ার গোয়েন্দা তথ্য ব্রিটিশ গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাচার করা শুরু করেন। পরে ২০১৮ সালের মার্চে ব্রিটেনের স্যালিসবারি শহরে একটি শপিং সেন্টারের বাইরে একটি বেঞ্চে স্ক্রিপাল এবং তাঁর কন্যা ইউলিয়াকে অচেতন অবস্থায় পাওয়া যায়।
আশঙ্কাজনক অবস্থায় তাঁদের হাসপাতালে নেওয়া হয়। ব্রিটিশ কর্মকর্তারা জানান, ওই দুজনকেই নভিচক বিষ দেওয়া হয়েছিল। উল্লেখ্য, সোভিয়েত ইউনিয়নের সামরিক বাহিনীর গবেষকেরা ১৯৭০ থেকে ১৯৮০-এর দশকে এই বিষ আবিষ্কার করেন। পরে এই বিষের প্রভাব কাটিয়ে স্ক্রিপাল ও ইউলিয়া—দুজনেই বেঁচে যান।
আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো
একসময় রুশ গোয়েন্দা সংস্থা কেজিবি ও দেশটির কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা ছিলেন আলেক্সান্ডার লিৎভিনেঙ্কো। পরে এই বাহিনীগুলোর অভ্যন্তরীণ দুর্নীতি নিয়ে প্রতিবাদ করলে ১৯৯৮ সালে বহিষ্কার করা হয় তাঁকে। রাশিয়ার বর্তমান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন তখন কেন্দ্রীয় নিরাপত্তা সংস্থার প্রধান ছিলেন।
এই অবস্থায় লিৎভিনেঙ্কোকে চিরতরে সরিয়ে দিতে ২০০৬ সালে কেজিবির দুই গোয়েন্দাকে যুক্তরাজ্যে পাঠান পুতিন। তাঁদেরই একজন ছিলেন আন্দ্রেই লুগোভই। লিৎভিনেঙ্কোর সঙ্গে লন্ডনের মিলেনিয়াম হোটেলে সাক্ষাৎ করে তাঁর চায়ের কাপে শক্তিশালী তেজস্ক্রিয় ধাতু ‘পোলোনিয়াম’ ঢেলে দিয়েছিলেন লুগোভই। মারাত্মক ওই তেজস্ক্রিয়তায় ২৩ দিন ভুগে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছিলেন লিৎভিনেঙ্কো। তবে মৃত্যুর আগে হাসপাতালের বিছানায় শুয়েই রাসায়নিক হামলার রহস্য উদ্ঘাটন করে গিয়েছিলেন তিনি।
আলেক্সান্ডার পেরিপিলিচনি
রাশিয়া থেকে অর্থ পাচারের একটি মামলায় ২০০৯ সালে সুইজারল্যান্ডের কর্তৃপক্ষকে সহায়তা করেছিলেন পেরিপিলিচনি। এরপর প্রাণভয়ে তিনি ব্রিটেনে রাজনৈতিক আশ্রয় প্রার্থনা করেন। পরে ব্রিটেনেই নিবাস গড়েন। তিন বছর পর ২০১২ সালের নভেম্বরের এক সকালে জগিং করার জন্য বের হওয়ার পর বাড়ির মূল ফটকের সামনে তাঁর মরদেহ পাওয়া যায়।
পেরিপিলিচনির মৃত্যুকে হত্যাকাণ্ড বলে ধারণা করা হয়েছিল। কিন্তু ব্রিটিশ পুলিশ এমন বিষয় প্রমাণের অভাবে উড়িয়ে দেয়। তবে তাঁর পেটে জেলসেমিয়াম উদ্ভিদ থেকে তৈরি একটি বিরল এবং মারাত্মক বিষের উপস্থিতি পাওয়া যায়। মৃত্যুর আগের দিন পেরিপিলিচনি বড় এক বাটি ঐতিহ্যবাহী রুশ খাবার এবং স্যুপ খেয়েছিলেন।
এই মৃত্যুর পর সন্দেহের তির রাশিয়ার দিকে উঠলেও মস্কো অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো
ভিক্তর ইউশচেঙ্কো ইউক্রেনীয় রাজনীতিবিদ এবং দেশটির তৎকালীন বিরোধীদলীয় নেতা। ২০০৪ সালে দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচারণার সময় তাঁর শরীরে বিষ প্রয়োগ করা হয়। তিনি সেই নির্বাচনে মস্কোপন্থী প্রধানমন্ত্রী ভিক্তর ইয়ানুকোভিচের বিরুদ্ধে পশ্চিমাদের মদতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন।
ইউশচেঙ্কো জানিয়েছিলেন, ইউক্রেনের নিরাপত্তা কর্মকর্তাদের সঙ্গে এক নৈশভোজের সময় তাঁর খাবারে বিষ মেশানো হয়েছিল। এরপর পরীক্ষায় তাঁর শরীরে স্বাভাবিকের চেয়ে ১ হাজার গুণ বেশি ডাইঅক্সিনের উপস্থিতি পাওয়া যায়। এই বিষক্রিয়ার ফলে তাঁর মুখমণ্ডল ও শরীর বিকৃত হয়ে গিয়েছিল এবং পরে বেশ কয়েক দফা অস্ত্রোপচার করে স্বাভাবিক হন তিনি।
ইউক্রেনে সংঘটিত কমলা বিপ্লবের সময় অনুষ্ঠিত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে প্রথমে ভিক্তর ইয়ানুকোভিচকে জয়ী ঘোষণা করা হয়। কিন্তু পরে দেশটির সুপ্রিম কোর্ট সেই ফলাফল বাতিল ঘোষণা করেন। পরে দ্বিতীয় দফায় অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ইউশচেঙ্কো বিপুল ভোটে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন।
অ্যানা পলিতকোভস্কায়া
মানবাধিকারকর্মী ও সাংবাদিক অ্যানা পলিতকোভস্কায়াকে ২০০৬ সালের ৭ অক্টোবর তাঁর ফ্ল্যাটের সামনে গুলি করে হত্যা করা হয়। গুলি করার ঠিক আগে অ্যানা স্থানীয় সুপারমার্কেট থেকে বাসায় ফিরেছিলেন। অ্যানার মৃত্যুতে পশ্চিমা বিশ্ব জোর গলায় আওয়াজ তোলে রাশিয়ার মানবাধিকার পরিস্থিতি এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিয়ে।

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
২৬ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা—যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’—এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্রবাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা কেবল পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও দেওয়া হয়েছে।
পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম জিও নিউজের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ আজারবাইজান থেকে ভার্চুয়ালি মন্ত্রিসভা বৈঠক পরিচালনা করে ২৭তম সংবিধান সংশোধনী খসড়ায় অনুমোদন দেন। এরপরই বিলটি সিনেটে উত্থাপন করা হয় এবং তা পাঠানো হয় আইন ও বিচারবিষয়ক স্থায়ী কমিটিতে।
আইনমন্ত্রী আজম নাজির তারার বিলটি উপস্থাপন করেন। তিনি বলেন, ২৭তম সংশোধনী আসলে ২০০৬ সালে পাকিস্তান মুসলিম লীগ (নওয়াজ) ও পাকিস্তান পিপলস পার্টির মধ্যে স্বাক্ষরিত ‘চার্টার অব ডেমোক্রেসির’ অংশ। কিন্তু ১৮তম সংশোধনীর সময় তা সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয়নি।
সংশোধনী প্রস্তাব অনুযায়ী, সংবিধানের ২৪৩ ধারা—যেখানে বলা হয়েছে ‘সশস্ত্র বাহিনীর নিয়ন্ত্রণ ও কমান্ড ফেডারেল সরকারের হাতে থাকবে’ এবং ‘সশস্ত্র বাহিনীর সর্বাধিনায়ক হবেন রাষ্ট্রপতি’—এ কিছু পরিবর্তন আনা হবে। খসড়া অনুযায়ী, সশস্ত্রবাহিনীর ‘চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটি’ (CJCSC) পদটি বাতিল করে নতুন একটি পদ তৈরি করা হবে ‘চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস।’
এ ছাড়া বিলটিতে বলা হয়েছে, সেনা কর্মকর্তা বা বিমান ও নৌবাহিনীর জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তাদের দেওয়া সম্মানসূচক উপাধি—যেমন ফিল্ড মার্শাল, মার্শাল অব দ্য এয়ার ফোর্স ও অ্যাডমিরাল অব দ্য ফ্লিট—আজীবন বহাল থাকবে। আইনমন্ত্রী বলেন, এসব উপাধি বাতিল করার ক্ষমতা কেবল পার্লামেন্টের হাতে থাকবে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেসের সুপারিশে পাকিস্তান সেনাবাহিনী থেকে একজন কর্মকর্তাকে ন্যাশনাল স্ট্র্যাটেজিক কমান্ডার হিসেবে নিয়োগ দেবেন।
সংশোধনীর আরেকটি বড় প্রস্তাব হলো, একটি নতুন আদালত গঠন—ফেডারেল কনস্টিটিউশনাল কোর্ট। এই আদালত প্রতিষ্ঠিত হলে সুপ্রিম কোর্টের কিছু ক্ষমতা কমে যাবে। খসড়ায় বলা হয়েছে, সংবিধানের কিছু বিশেষ এখতিয়ার সুপ্রিম কোর্ট থেকে সরিয়ে নতুন ফেডারেল সংবিধান আদালতে স্থানান্তর করা হবে।
বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন। পাশাপাশি নতুন আদালতে বিচারপতির সংখ্যা নির্ধারণের ক্ষমতা থাকবে পার্লামেন্টের হাতে। প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ফেডারেল সংবিধান আদালতে দেশের সব প্রদেশের সমান প্রতিনিধিত্ব থাকবে। এই আদালতের প্রধান বিচারপতির মেয়াদ হবে তিন বছর।
২৭তম সংবিধান সংশোধনীর প্রধান বিষয়গুলো

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে। নতুন করে কিছু লাশ উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারও নতুন হত্যাকাণ্ডের খবর মিলেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘হলুদ রেখা’ পেরিয়ে সেনাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ‘হলুদ রেখা’ হচ্ছে সেই সীমারেখা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে রাজি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও আরেক ফিলিস্তিনি ওই রেখা পেরিয়ে তাদের সেনাদের ওপর ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা এখনো সীমারেখার কাছে যাওয়া সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। পরিবারগুলো এতে হতাহত হচ্ছে। গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) রাফাহ সীমান্ত আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো যায়। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি রোগী রাফাহ হয়ে মিসর ও অন্যান্য দেশে গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে আরও প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘রাফাহ সীমান্ত গাজার চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ ও রোগীদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। জরুরি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মিসর এখনো অন্যতম প্রধান গন্তব্য।’
এদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান ও দখলদার ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা অব্যাহত আছে। অভিযোগ উঠেছে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চলছে। শনিবার নাবলুসের দক্ষিণে বেইতা শহরে অলিভ তুলতে যাওয়া ফিলিস্তিনি কৃষক, কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় একদল ইসরায়েলি বসতকারী।
ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্যবিরোধী কর্মী জোনাথন পোলাক আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জলপাই তুলতে গিয়েছিলেন। তখন ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতকারী লাঠি নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে এসে তাদের দিকে বিশাল পাথর ছুড়ে মারে। পোলাক আরও বলেন, ‘ওরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আমরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিই।’
জোনাথন পোলাক জানান, হামলায় অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে, যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাংবাদিক গুরুতরভাবে মার খেয়েছেন, আর ৭০ বছর বয়সী এক কর্মীর গাল ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, হামলায় পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন—রানিন সাওয়াফতে, মোহাম্মদ আল-আত্রাশ, লুয়াই সাঈদ, নাসের ইশতাইয়েহ ও নাঈল বুয়াইতেল। সংগঠনটি হামলাটিকে ‘সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের দুই কর্মী—একজন সাংবাদিক ও তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই হামলায় আহত হয়েছেন।

হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬৯ হাজার ১৬৯ জনে। নতুন করে কিছু লাশ উদ্ধার ও পরিচয় শনাক্ত হওয়ায় এই সংখ্যা বেড়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বলেছে, যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর গত এক মাসে ইসরায়েলি হামলায় আরও ২৪০ জনের বেশি ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে। শনিবারও নতুন হত্যাকাণ্ডের খবর মিলেছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, গাজার উত্তরাঞ্চলে ‘হলুদ রেখা’ পেরিয়ে সেনাদের কাছে পৌঁছে যাওয়া এক ফিলিস্তিনিকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে।
এই ‘হলুদ রেখা’ হচ্ছে সেই সীমারেখা, যেখানে যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী ইসরায়েলি বাহিনী পিছু হটতে রাজি হয়েছিল। ইসরায়েলি বাহিনী জানিয়েছে, গাজার দক্ষিণাঞ্চলেও আরেক ফিলিস্তিনি ওই রেখা পেরিয়ে তাদের সেনাদের ওপর ‘তাৎক্ষণিক হুমকি’ তৈরি করায় তাকেও হত্যা করা হয়েছে।
ইসরায়েলি সেনারা এখনো সীমারেখার কাছে যাওয়া সাধারণ মানুষকে লক্ষ্য করে গুলি চালাচ্ছে। পরিবারগুলো এতে হতাহত হচ্ছে। গাজার খান ইউনিস শহরে ইসরায়েলি বাহিনীর ফেলে যাওয়া বিস্ফোরক বিস্ফোরিত হয়ে এক ফিলিস্তিনি শিশুর মৃত্যু হয় বলে জানিয়েছে নাসের হাসপাতাল।
এদিকে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) রাফাহ সীমান্ত আবার খুলে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে, যাতে আহত ও অসুস্থদের চিকিৎসার জন্য বাইরে পাঠানো যায়। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত প্রায় ৪ হাজার ফিলিস্তিনি রোগী রাফাহ হয়ে মিসর ও অন্যান্য দেশে গেছেন চিকিৎসার জন্য। তবে আরও প্রায় ১৬ হাজার ৫০০ রোগী চিকিৎসার অপেক্ষায় আছে।
সংস্থাটি বলেছে, ‘রাফাহ সীমান্ত গাজার চিকিৎসা সরবরাহ প্রবেশ ও রোগীদের বেরিয়ে যাওয়ার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পথ। জরুরি চিকিৎসা নেওয়ার জন্য মিসর এখনো অন্যতম প্রধান গন্তব্য।’
এদিকে দখলকৃত পশ্চিম তীরে ইসরায়েলি সেনাদের অভিযান ও দখলদার ইসরায়েলি বসতকারীদের হামলা অব্যাহত আছে। অভিযোগ উঠেছে, ফিলিস্তিনিদের ভূমি দখল করে অবৈধ ইসরায়েলি বসতি সম্প্রসারণের উদ্দেশ্যেই এসব হামলা চলছে। শনিবার নাবলুসের দক্ষিণে বেইতা শহরে অলিভ তুলতে যাওয়া ফিলিস্তিনি কৃষক, কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা চালায় একদল ইসরায়েলি বসতকারী।
ইসরায়েলি বর্ণবৈষম্যবিরোধী কর্মী জোনাথন পোলাক আল জাজিরাকে বলেন, তিনি ফিলিস্তিনিদের সঙ্গে জলপাই তুলতে গিয়েছিলেন। তখন ডজনখানেক মুখোশধারী ইসরায়েলি বসতকারী লাঠি নিয়ে পাহাড় থেকে নেমে এসে তাদের দিকে বিশাল পাথর ছুড়ে মারে। পোলাক আরও বলেন, ‘ওরা পাথর ছুড়তে শুরু করলে আমরা প্রাণ বাঁচাতে দৌড় দিই।’
জোনাথন পোলাক জানান, হামলায় অন্তত ডজনখানেক মানুষ আহত হয়েছে, যাদের চিকিৎসা নিতে হয়েছে। আহত ব্যক্তিদের মধ্যে একজন সাংবাদিক গুরুতরভাবে মার খেয়েছেন, আর ৭০ বছর বয়সী এক কর্মীর গাল ও চোয়ালের হাড় ভেঙে গেছে।
ফিলিস্তিনি সাংবাদিক ইউনিয়ন জানিয়েছে, হামলায় পাঁচ সাংবাদিক আহত হয়েছেন—রানিন সাওয়াফতে, মোহাম্মদ আল-আত্রাশ, লুয়াই সাঈদ, নাসের ইশতাইয়েহ ও নাঈল বুয়াইতেল। সংগঠনটি হামলাটিকে ‘সাংবাদিকদের হত্যার উদ্দেশ্যে চালানো যুদ্ধাপরাধ’ বলে অভিহিত করেছে। রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের দুই কর্মী—একজন সাংবাদিক ও তার সঙ্গে থাকা নিরাপত্তা উপদেষ্টা এই হামলায় আহত হয়েছেন।

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
২৬ মিনিট আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
লাভরভ বলেন, ‘৫ নভেম্বর নিরাপত্তা পরিষদের বৈঠকে প্রেসিডেন্ট পুতিন যে নির্দেশ দিয়েছেন, তা বাস্তবায়নের কাজ চলছে। ফলাফল সম্পর্কে জনসাধারণকে পরে জানানো হবে।’
তাসের প্রতিবেদনে বলা হয়, পুতিনের এই নির্দেশ যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাম্প্রতিক ঘোষণার পর আসে। গত সপ্তাহে ট্রাম্প হঠাৎ ঘোষণা দেন, যুক্তরাষ্ট্র আবারও পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষা শুরু করবে।
লাভরভ আরও জানান, রাশিয়া এখন পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ট্রাম্পের এই নির্দেশনা নিয়ে কোনো আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা পায়নি।
গত কয়েক সপ্তাহে রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক মারাত্মকভাবে খারাপ হয়েছে। নির্বাচনের আগে ট্রাম্প এক দিনে ইউক্রেন যুদ্ধ থামাবেন। কিন্তু প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী ফলাফল না আসায় তিনি পুতিনের কর্মকাণ্ডে বারবার হতাশ হয়েছেন। এর ফলে সম্প্রতি পুতিনের সঙ্গে নির্ধারিত একটি বৈঠক বাতিল করেছেন এবং জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর প্রথমবারের মতো রাশিয়ার ওপর নতুন নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
২৬ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত
১১ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনে যোগ দেবে না যুক্তরাষ্ট্র। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গদের ওপর নির্যাতন-নিপীড়ন ও গণহত্যা চলছে। এসব বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত যুক্তরাষ্ট্রের কোনো সরকারি প্রতিনিধি দক্ষিণ আফ্রিকায় যাবেন না।
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প তাঁর সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম ট্রুথ সোশ্যালে লিখেছেন, ‘দক্ষিণ আফ্রিকায় জি-২০ সম্মেলন আয়োজন করা লজ্জাজনক। আফ্রিকানরা সেখানে বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গদের হত্যা করছে, তাদের জমি ও খামার জোর করে দখল করছে। যত দিন সেখানে এ ধরনের মানবাধিকার লঙ্ঘন চলবে, তত দিন পর্যন্ত কোনো মার্কিন প্রতিনিধি সেখানে যাবে না।’
তবে দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যুক্তরাষ্ট্রের এই সিদ্ধান্তকে দুঃখজনক বলে উল্লেখ করেছে। তারা এক বিবৃতিতে বলেছে, আফ্রিকানারদের (দক্ষিণ আফ্রিকায় বসতি স্থাপনকারী ডাচ, ফরাসি ও জার্মান বংশোদ্ভূত শ্বেতাঙ্গ) একচেটিয়া শ্বেতাঙ্গ জনগোষ্ঠী হিসেবে চিত্রিত করা ইতিহাস বিকৃতি। পাশাপাশি, এই সম্প্রদায় নিপীড়নের শিকার—এমন দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন।
এর আগে ট্রাম্প বলেছিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার জি-২০-এ থাকা উচিত নয় এবং তিনি নিজে না গিয়ে ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভান্সকে পাঠাবেন। তবে এখন হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র থেকে কোনো কর্মকর্তাই এই সম্মেলনে অংশ নেবেন না।
প্রসঙ্গত, চলতি মাসের শেষের দিকে জোহানেসবার্গে জি-২০ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিবছর জি-২০ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে একটি দেশ এই সম্মেলনের আয়োজক হয় এবং তারাই সম্মেলনের অ্যাজেন্ডা নির্ধারণ করে। এ বছর আয়োজক দক্ষিণ আফ্রিকা, পরের বছর যুক্তরাষ্ট্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার সরকার বলছে, তাদের দেশে ‘শ্বেতাঙ্গ গণহত্যা’ চলছে এমন দাবি ‘ভিত্তিহীন ও অবিশ্বস্ত সূত্রনির্ভর’। দেশটির কর্মকর্তারা উল্লেখ করেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্রের তথাকথিত শরণার্থী কর্মসূচি ঘোষণার পরও খুব অল্পসংখ্যক আফ্রিকান এই সুবিধার জন্য আবেদন করেছেন। এ থেকে বোঝা যায়, আমাদের দেশে শ্বেতাঙ্গরা নিরাপদে আছেন।’
প্রসঙ্গত, চলতি বছরের জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফেরার পর থেকে ট্রাম্প একাধিকবার দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে শ্বেতাঙ্গ সংখ্যালঘুদের ওপর বৈষম্য ও নির্যাতনের অভিযোগ তুলেছেন। গত মে মাসে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার প্রেসিডেন্ট সিরিল রামাফোসার সঙ্গে হোয়াইট হাউসে বৈঠকের সময়ও একই অভিযোগ করেন।
এরপর ট্রাম্প প্রশাসন দক্ষিণ আফ্রিকায় শ্বেতাঙ্গ আফ্রিকানারদের ‘গণহত্যার শিকার’ আখ্যা দিয়ে শরণার্থী মর্যাদা দেয়। গত সপ্তাহে হোয়াইট হাউস ঘোষণা করে, যুক্তরাষ্ট্রে শরণার্থী প্রবেশের সর্বোচ্চ সীমা ইতিহাসের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনা হবে এবং শ্বেতাঙ্গ দক্ষিণ আফ্রিকানদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।
এদিকে, দক্ষিণ আফ্রিকার একটি আদালত চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে ট্রাম্পের এই গণহত্যার দাবিকে ‘কল্পনাপ্রসূত ও প্রমাণহীন’ বলে খারিজ করে দেয়।
উল্লেখ্য, ১৯৯৯ সালে এশীয় অর্থনৈতিক সংকটের পর জি-২০ গঠিত হয়, যাতে বিশ্বের সবচেয়ে বড় অর্থনীতির দেশগুলোর প্রতিনিধিত্ব রয়েছে। এই গোষ্ঠীর সদস্যরা বিশ্বের মোট সম্পদের ৮৫ শতাংশেরও বেশি নিয়ন্ত্রণ করে। ২০০৮ সালে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক মন্দার সময় ‘আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতা জোরদার করার লক্ষ্য’ নিয়ে প্রথম জি-২০ নেতাদের সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বর্তমানে প্রতিবছর ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন বিশ্ব অর্থনীতি ও নানা বৈশ্বিক ইস্যুতে আলোচনা করতে এই সম্মেলনের আয়োজন করে।

এমনকি গতকাল বৃহস্পতিবার যখন নাভালনিকে আদালতে নেওয়া হয়, তখনো তিনি তাঁর স্বাস্থ্য নিয়ে কোনো অভিযোগ করেননি। খোদ রাশিয়ার রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে। আর এসব কারণেই এই আশঙ্কা ঘনীভূত হচ্ছে যে নাভালনি আসলেই স্বাভাবিক মৃত্যুবরণ করেছেন কি না এবং তিনিও কি পুতিনের অন
১৬ ফেব্রুয়ারি ২০২৪
পাকিস্তান সরকার দেশটির সংবিধানে ২৭তম সংশোধনী আনতে যাচ্ছে। এরই মধ্যে স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার দেশটির পার্লামেন্টের উচ্চকক্ষ সিনেটে এই বিষয়ক বিল উপস্থাপন করা হয়েছে। এতে দেশটির বিচারব্যবস্থা ও সামরিক কমান্ড কাঠামোয় বড় ধরনের পরিবর্তনের প্রস্তাব করা হয়েছে। একই সঙ্গে সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বৃদ্ধির প্রস্তাবও
২৬ মিনিট আগে
হামাস ও ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতি কার্যকর হওয়ার প্রায় এক মাস পরও গাজায় মৃত্যুর মিছিল থামছে না। ধ্বংসস্তূপের নিচ থেকে লাশ উদ্ধারের কাজ চলতে থাকায় নতুন করে নিহতের সংখ্যা বাড়ছে। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় গতকাল শনিবার জানিয়েছে, ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এ পর্যন্ত মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬
১ ঘণ্টা আগে
প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের নির্দেশে সম্ভাব্য পারমাণবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে কাজ চলছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী সের্গেই লাভরভ। শনিবার রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা তাস এ তথ্য জানিয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে