Ajker Patrika

ইউক্রেন সংকট: আতঙ্ক তৈরি করবেন না, পশ্চিমাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি

আপডেট : ২৯ জানুয়ারি ২০২২, ০৩: ৩১
ইউক্রেন সংকট: আতঙ্ক তৈরি করবেন না, পশ্চিমাদের উদ্দেশে জেলেনস্কি

ইউক্রেনের সীমান্তে রুশ সেনা মোতায়েন নিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি না করার জন্য পশ্চিমাদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।   

জেলেনস্কি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আসন্ন আক্রমণের সতর্কতা ইউক্রেনের অর্থনীতিকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলেছে।’

গত বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন বলেছেন, তিনি বিশ্বাস করেন রাশিয়া তাঁর প্রতিবেশী দেশকে আগামী মাসে আক্রমণ করতে পারে।এদিকে জার্মানির বিদেশী গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য প্রস্তুত ছিল, তবে তা করবে কিনা তা এখনও সিদ্ধান্ত নেয়নি।’ ব্রুনো কাহল রয়টার্সকে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি যে হামলার সিদ্ধান্ত এখনও নেওয়া হয়নি।’

রাশিয়া জো বাইডেনের এমন কথা অস্বীকার করেছে। শুক্রবার রুশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছে, ‘মস্কো যুদ্ধ চায় না।’ 

সংবাদ সম্মেলনে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘রাজ্যের নেতাদের কাছে থেকে নানা সংকেত আসছে। তারা শুধু বলছে যে আগামীকাল যুদ্ধ হবে। এটি আতঙ্কের বিষয়, এটা আমাদের কত বড় ক্ষতির কারণ তা কি তারা জানেন?’’

ইউক্রেন থেকে যুক্তরাজ্য, ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং অস্ট্রেলিয়ার কূটনীতিকদের পরিবার প্রত্যাহারের সমালোচনা করে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি বলেছেন, এটি একটি ভুল ছিল।’ 

প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘দেশের অভ্যন্তরে পরিস্থিতি অস্থিতিশীল ইউক্রেনের জন্য বড় হুমকি।’

এদিকে শুক্রবার মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেন আক্রমণ করার জন্য যথেষ্ট সামরিক সক্ষমতা সংগ্রহ করেছে।’

অস্টিন বলেছেন, ইউক্রেনকে আরও অস্ত্র সরবরাহসহ আত্মরক্ষায় সকল ধরণের সহায়তা করতে যুক্তরাষ্ট্র প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। ’ 

‘সংঘাত অনিবার্য নয়। কূটনীতির জন্য এখনও সময় এবং স্থান আছে’, বলে মনে করেন অস্টিন।

ন্যাটো মহাসচিব জেনস স্টলটেনবার্গ বলেছেন, জোট তার কথা অনুসারে পূর্ব ইউরোপে তাদের উপস্থিতি বাড়াতে প্রস্তুত। তিনি বলেন,রাশিয়া হাজার হাজার সেনা ও ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের সীমান্তবর্তী বেলারুশে মোতায়েন করছে।

রাশিয়ার দাবি
১) ইউক্রেনকে ন্যাটোতে যোগদানে বাধা দিতে হবে

২) ন্যাটোর পূর্ব ইউরোপে সামরিক কার্যকলাপ বন্ধ করা। পোল্যান্ড এবং এস্তোনিয়া, লাটভিয়া এবং লিথুয়ানিয়ার বাল্টিক প্রজাতন্ত্র থেকে সৈন্য প্রত্যাহার করা উচিত।

৩) জোটের রাশিয়ার কাছাকাছি বা সীমান্তবর্তী দেশগুলিতে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন না করা। 

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ন্যাটো প্রতিক্রিয়া জানিয়েছিল যে ইউক্রেনের নিজস্ব মিত্র বেছে নেওয়ার অধিকার রয়েছে তবে ক্ষেপণাস্ত্র স্থাপন এবং অন্যান্য বিষয়ে রাশিয়াকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত