দুই ভাই-বোনের কেউ একজন হারিয়ে গিয়েছিলেন এমন নয়। তারপরও দূরত্ব আর জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ৪৫ বছর দেখা হয়নি টনি ব্যাকেট ও মেরি ডানস্ট্যানের। অথচ শৈশবে তাঁরা কত কাছেরই না ছিলেন!
অবশেষে এক আবেগঘন পরিবেশে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডে দেখা হলো বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী মেরি এবং ৬৯ বয়সী টনির। দেখা হতেই অশ্রুসিক্ত হয়ে তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন। ১৯৭৯ সালে একে অপরের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সময় মেরি ছিলেন ২৭ বছরের তরুণী আর টনি ২৪ বছরের যুবক। মূলত বিয়ে করার পর মেরি তাঁর স্বামীকে নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানেই স্থায়ী হয়েছিলেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একসঙ্গে দারুণ শৈশব কাটানো টনি এবং মেরি সম্প্রতি নিজেদের জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। গত বছর মারা গেছেন টনির স্ত্রী আর ২০২১ সালে মারা গিয়েছিলেন মেরির স্বামী। স্বামীকে হারানোর পরই ভাইয়ের জন্য মন কেঁদে উঠেছিল মেরির। ইংল্যান্ডে ভাইয়ের কাছে ফিরে আসার জন্য অর্থ জমাতে শুরু করেছিলেন তিনি। আর স্ত্রীকে হারিয়ে টনিও তাঁর বোনের দেখা পেতে ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
নিউইয়র্ক পোস্টকে টনি বলেন, ‘আমাদের একটি দারুণ শৈশব ছিল। ছেলেবেলায় আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম। তারপরও কত দীর্ঘ সময় কেটে গেছে। বোনের মুখোমুখি হয়ে একেবারে নার্ভাস হয়ে গেছি।’
টনি জানান, তাঁর বাবা ছিলেন খামারের পশুপালক। আর তাঁর বোন মেরি নার্স হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সে সময় একটি হাসপাতালে ছোটখাটো কাজ করতেন টনি নিজেও।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেওয়া মেরির দেশান্তরী হয়ে যাওয়া নিয়ে কোনো আফসোস নেই। তবে স্বীকার করেছেন, বিদেশে থেকে তিনি তাঁর পরিবারকে খুব মিস করেছেন, বিশেষ করে টনিকে। তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দিন টম অ্যান্ড জেরির মতো লড়াই করেছি। কিন্তু একটি দৃঢ় বন্ধন ছিল আমাদের।’
দীর্ঘ সময় দেখা না হওয়ার জন্য দুজনেরই কিছু যুক্তিসংগত কারণ ছিল। আর্থিক টানাপোড়েন ছিল টনির। তাই বহুবার পরিকল্পনা করেও তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারেননি। আর মেরির অর্থকষ্ট তো ছিলই পাশাপাশি তাঁর স্বামী ছিলেন ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত মানুষকে ফেলে কীভাবে তিনি ইংল্যান্ডে আসবেন!
শৈশবে মেরি যে খামারবাড়ি দেখতেন, সেই বাড়িটির এখন অনেক কিছু বদলে গেছে। বাড়িটি এখন শহরের প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বদলে গেছে আরও অনেক কিছুই। তবে টনি এবং মেরির মধ্যে বন্ধন দৃঢ়ই রয়ে গেছে।
টনি ও মেরির দেখা হওয়ার গল্পটি আরও কয়েকটি সাম্প্রতিক পুনর্মিলনের ঘটনাকে সামনে টেনে আনে। গত ফেব্রুয়ারিতেই জন্মের সময় আলাদা হয়ে যাওয়া যমজ দুই বোন ডিএনএ পরীক্ষার কল্যাণে এক হয়েছেন ৮১ বছর পর। একইভাবে ২০২২ সালে ৫৫ বছর পর দেখা হয়েছিল ডায়ান ওয়ার্ড এবং মেরি ম্যাকলাফলিন নামে আরও দুই বোনের।
দুই ভাই-বোনের কেউ একজন হারিয়ে গিয়েছিলেন এমন নয়। তারপরও দূরত্ব আর জীবনের কঠিন বাস্তবতায় ৪৫ বছর দেখা হয়নি টনি ব্যাকেট ও মেরি ডানস্ট্যানের। অথচ শৈশবে তাঁরা কত কাছেরই না ছিলেন!
অবশেষে এক আবেগঘন পরিবেশে যুক্তরাজ্যের ইংল্যান্ডে দেখা হলো বর্তমানে ৭২ বছর বয়সী মেরি এবং ৬৯ বয়সী টনির। দেখা হতেই অশ্রুসিক্ত হয়ে তাঁরা একে অপরকে জড়িয়ে ধরেছেন। ১৯৭৯ সালে একে অপরের কাছ থেকে আলাদা হয়ে যাওয়ার সময় মেরি ছিলেন ২৭ বছরের তরুণী আর টনি ২৪ বছরের যুবক। মূলত বিয়ে করার পর মেরি তাঁর স্বামীকে নিয়ে ইংল্যান্ড থেকে চলে গিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ায়। সেখানেই স্থায়ী হয়েছিলেন।
নিউইয়র্ক পোস্টের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, একসঙ্গে দারুণ শৈশব কাটানো টনি এবং মেরি সম্প্রতি নিজেদের জীবনসঙ্গীকে হারিয়েছেন। গত বছর মারা গেছেন টনির স্ত্রী আর ২০২১ সালে মারা গিয়েছিলেন মেরির স্বামী। স্বামীকে হারানোর পরই ভাইয়ের জন্য মন কেঁদে উঠেছিল মেরির। ইংল্যান্ডে ভাইয়ের কাছে ফিরে আসার জন্য অর্থ জমাতে শুরু করেছিলেন তিনি। আর স্ত্রীকে হারিয়ে টনিও তাঁর বোনের দেখা পেতে ব্যাকুল হয়ে পড়েন।
নিউইয়র্ক পোস্টকে টনি বলেন, ‘আমাদের একটি দারুণ শৈশব ছিল। ছেলেবেলায় আমরা খুব কাছাকাছি ছিলাম। তারপরও কত দীর্ঘ সময় কেটে গেছে। বোনের মুখোমুখি হয়ে একেবারে নার্ভাস হয়ে গেছি।’
টনি জানান, তাঁর বাবা ছিলেন খামারের পশুপালক। আর তাঁর বোন মেরি নার্স হিসেবে প্রশিক্ষণ নিয়েছিলেন। সে সময় একটি হাসপাতালে ছোটখাটো কাজ করতেন টনি নিজেও।
অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডে জীবনের দীর্ঘ সময় কাটিয়ে দেওয়া মেরির দেশান্তরী হয়ে যাওয়া নিয়ে কোনো আফসোস নেই। তবে স্বীকার করেছেন, বিদেশে থেকে তিনি তাঁর পরিবারকে খুব মিস করেছেন, বিশেষ করে টনিকে। তিনি বলেন, ‘আমরা সারা দিন টম অ্যান্ড জেরির মতো লড়াই করেছি। কিন্তু একটি দৃঢ় বন্ধন ছিল আমাদের।’
দীর্ঘ সময় দেখা না হওয়ার জন্য দুজনেরই কিছু যুক্তিসংগত কারণ ছিল। আর্থিক টানাপোড়েন ছিল টনির। তাই বহুবার পরিকল্পনা করেও তিনি অস্ট্রেলিয়ায় যেতে পারেননি। আর মেরির অর্থকষ্ট তো ছিলই পাশাপাশি তাঁর স্বামী ছিলেন ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। এ ধরনের রোগে আক্রান্ত মানুষকে ফেলে কীভাবে তিনি ইংল্যান্ডে আসবেন!
শৈশবে মেরি যে খামারবাড়ি দেখতেন, সেই বাড়িটির এখন অনেক কিছু বদলে গেছে। বাড়িটি এখন শহরের প্রধান সড়কের সঙ্গে যুক্ত হয়েছে। বদলে গেছে আরও অনেক কিছুই। তবে টনি এবং মেরির মধ্যে বন্ধন দৃঢ়ই রয়ে গেছে।
টনি ও মেরির দেখা হওয়ার গল্পটি আরও কয়েকটি সাম্প্রতিক পুনর্মিলনের ঘটনাকে সামনে টেনে আনে। গত ফেব্রুয়ারিতেই জন্মের সময় আলাদা হয়ে যাওয়া যমজ দুই বোন ডিএনএ পরীক্ষার কল্যাণে এক হয়েছেন ৮১ বছর পর। একইভাবে ২০২২ সালে ৫৫ বছর পর দেখা হয়েছিল ডায়ান ওয়ার্ড এবং মেরি ম্যাকলাফলিন নামে আরও দুই বোনের।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, রাশিয়ার দখলে থাকা ইউক্রেনের কিছু এলাকা ফেরত আনার চেষ্টা করবেন তিনি। আগামী শুক্রবার আলাস্কায় রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে তাঁর বৈঠক হওয়ার কথা। এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেছেন, ‘রাশিয়া ইউক্রেনের মূল ভূমির বড় অংশ দখল করেছে।
১ ঘণ্টা আগেনিউইয়র্কের লং আইল্যান্ডের পূর্ব প্রান্তে অবস্থিত মনটক এলাকাটি একসময় ছিল শান্তশিষ্ট ছেলেদের একটি গ্রাম। এখন অবশ্য তা রূপ নিয়েছে বিলাসবহুল ছুটি কাটানোর কেন্দ্রস্থলে। সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের ভিড় এবং জমজমাট রাতের জীবন এলাকাটির পুরোনো চেহারা দ্রুত বদলে দিচ্ছে।
২ ঘণ্টা আগেএভারেস্টের ভিড় কমাতে নেপাল সরকার দেশটির পশ্চিমাঞ্চলের দুর্গম ও অনাবিষ্কৃত আরও ৯৭টি শৃঙ্গ পর্বতারোহীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, নতুন উদ্যোগের ফলে এভারেস্টের ওপর চাপ কমবে এবং পর্যটন থেকে আয় দূরবর্তী দরিদ্র অঞ্চলেও পৌঁছাবে।
৩ ঘণ্টা আগেরাজধানী ওয়াশিংটন ডিসি থেকে গৃহহীন মানুষদের উচ্ছেদ করতে কঠোর পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। প্রতিরক্ষা বিভাগের এক কর্মকর্তার বরাতে জানা গেছে, আজ সোমবার (১১ আগস্ট) রাজধানীতে কয়েক শ ন্যাশনাল গার্ড সদস্য মোতায়েনের প্রস্তুতি নিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের সেনাবাহিনী।
৫ ঘণ্টা আগে