Ajker Patrika

ইউক্রেনের ৩৫ হাজার শিশুর হদিস নেই, অনুমান মার্কিন বিশেষজ্ঞদের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৭ জুন ২০২৫, ১৮: ৩১
ইউক্রেন থেকে শিশুদের অপহরণ করে রুশ সৈন্যরা। ছবি: সংগৃহীত
ইউক্রেন থেকে শিশুদের অপহরণ করে রুশ সৈন্যরা। ছবি: সংগৃহীত

রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ চলছে প্রায় তিন বছর ধরে। এই যুদ্ধে এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের প্রায় ৩৫ হাজার শিশুর কোনো হদিস নেই। এ দাবি করেছে মার্কিন বিশেষজ্ঞদের একটি দল। তাঁদের ধারণা, এই ৩৫ হাজারেরও বেশি শিশুর এখনো রাশিয়া বা রুশ অধিকৃত অঞ্চলে আটকে রাখা হয়েছে। এদিকে শিশুদের পরিবারের সদস্যরা বলছেন, সন্তানদের উদ্ধারে তাঁরা মরিয়া হয়ে উঠেছেন। বাধ্য হচ্ছেন চরম ঝুঁকিপূর্ণ পদক্ষেপ নিতে।

২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে রাশিয়ার আগ্রাসন শুরু হয়। এ সময় ইউক্রেন থেকে শিশুদের অপহরণ করে রুশ সৈন্যরা। কখনো অনাথ আশ্রমগুলো থেকে, কখনো মৃত বাবা-মায়ের পাশ থেকে আবার কখনো পরিবারের কাছ থেকে ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে শিশুসন্তানকে।

এই জোরপূর্বক অপহরণ করে নেওয়া শিশুদের ফিরিয়ে দিতে অস্বীকৃতি জানিয়েছে রাশিয়া। চলতি মাসে তুরস্কে অনুষ্ঠিত যুদ্ধবিরতির আলোচনায় এক রুশ কর্মকর্তা অভিযোগ করেন, ইউক্রেন হারিয়ে যাওয়া শিশুদের নিয়ে নাটক করছে।

প্রায় ছয় মাস রাশিয়ার একটি ক্যাম্পে আটক থাকা দুই কিশোর ছেলেকে তাদের মা কীভাবে উদ্ধার করেছিলেন, সে নাটকীয় ঘটনা দ্য গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন।

২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের পূর্ব সীমান্তের খেরসন শহর দখল করে নেয়। সেই শহরের বাসিন্দা নাতালিয়াকে তাঁর এক প্রতিবেশী ছেলেদের রাশিয়ার সমুদ্রের তীরবর্তী রিসোর্টের শহর আনাপার একটি শিশুশিবিরে পাঠানোর পরামর্শ দিয়েছিলেন।

নাতালিয়া বলছিলেন, ‘২১ দিনের জন্য সেখানে থাকার কথা ছিল। কোনো খরচ দিতে হয়নি এর জন্য। কথা ছিল সফর শেষে তাঁর ছেলেরা খেরসনে ফিরে আসবে। ছেলেরাও শুনে আগ্রহী হয়েছিল। আর আমি যেতে অনুমতি দিয়েছিলাম, যা ছিল আমার জীবনের সবচেয়ে বড় ভুল।’

২০২২ সালের শেষের দিকে খেরসন মুক্ত করে ইউক্রেনের সেনারা। কিন্তু ফ্রন্টলাইনের অন্য পাশের ওই ক্যাম্পে এখনো নাতালিয়ার সন্তানরাসহ আরও কিছু শিশু রয়ে গিয়েছিল। রাশিয়া তাদের ফিরতে দিচ্ছিল না নিজ দেশে।

নাতালিয়া বলতে থাকেন, ‘ক্যাম্প কর্তৃপক্ষ আমার শারীরিক উপস্থিতি ছাড়া বাচ্চাদের ছাড়তে রাজি ছিল না। আমি কী করব বুঝতে পারছিলাম না।’

অবশেষে, ইউক্রেনের একটি সংস্থার সহায়তায় নাতালিয়া দুই ছেলের পাসপোর্ট ও জাতীয় পরিচয়পত্র সংগ্রহ করেন। এরপর তিনি একাই যাত্রা শুরু করেন। পাড়ি দেন সীমান্ত, পৌঁছান কৃষ্ণ সাগরের উত্তর উপকূলে রাশিয়ার আনাপা শহরে। পথে পার হতে হয় অসংখ্য সীমান্ত চৌকি, যেখানে বারবার রুশ সৈন্যদের জবাবদিহির মুখোমুখি হতে হয় তাঁকে। বারবার ব্যাখ্যা করতে হয় কেন তিনি রাশিয়ায় এসেছেন।

যুদ্ধের তুমুল গোলাগুলির মধ্যেই নাতালিয়া টানা ছয় দিন চলতে থাকেন ছেলেদের ফিরে পাওয়ার দৃঢ় মনোবলকে সঙ্গী করে। অবশেষে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে তাঁর যাত্রার ইতি হয়। কাছে পান দুই সন্তানকে।

স্মৃতিচারণ করে নাতালিয়া বলেন, ‘আমার মনের অবস্থা কেমন ছিল সেটা কল্পনাও করতে পারবেন না। আমার সন্তানেরাই আমার সবকিছু।’

রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাত শুরুর পর থেকে অপহরণ হওয়া বা রাশিয়ায় থাকা ইউক্রেনীয় শিশুদের ফিরিয়ে আনতে কাজ করছে ব্রিং কিডস ব্যাক নামের একটি সংগঠন। তাদের তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত মাত্র ১ হাজার ৩৬৬টি শিশু ইউক্রেনে ফিরে বা পালিয়ে আসতে সক্ষম হয়েছে।

এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের ইয়েল ইউনিভার্সিটির বিশেষজ্ঞদের একটি দল অনুমান করছে, রাশিয়া ও দেশটির অধিকৃত অঞ্চলগুলোতে প্রায় ৩৫ হাজার শিশু আটক থাকতে পারে।

আশঙ্কা রয়েছে, এর মধ্যে অনেক শিশুকে রুশ বাহিনী সামরিক প্রশিক্ষণ শিবিরে পাঠিয়েছে। আর কারও ঠাঁই হয়েছে সরকারি শিশু নিবাসে। আবার কারও নতুন জীবন শুরু হয়েছে রাশিয়ার কোনো পরিবারে সন্তান হিসেবে।

রুশ ডেটাবেস, সরকারি নথি, পারিবারিক সংযোগ এবং রুশ সাইট, সরকারি ভবন ও অন্যান্য উৎসের স্যাটেলাইট ইমেজ পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে হাজার হাজার শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করতে সক্ষম হয়েছেন ইয়েল ইউনিভার্সিটির গবেষকেরা।

এই গবেষণা দলের সদস্য ইয়েলের হিউম্যানিটারিয়ান রিসার্চ ল্যাবের নির্বাহী পরিচালক নাথানিয়েল রেমন্ড বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর সম্ভবত এটিই সবচেয়ে বড় শিশু অপহরণের ঘটনা। নাৎসিদের হাতে পোলিশ শিশুদের জার্মানিকরণের (Germanification) সঙ্গে এ ঘটনাকে তুলনা করা যায়।

সম্প্রতি উদ্ধার হওয়া ইউক্রেনীয় শিশুদের কাছ থেকে জানা যায়, রুশ আর্মি ক্যাম্পগুলোতে তাদের সামরিক প্রশিক্ষণ দেওয়া হতো। মাতৃভাষায় কথা বললে তাদের শাস্তি দেওয়া হতো।

উদ্ধার হওয়া একটি ৯ বছর বয়সী শিশু জানায়, ‘আমাদের রুশ জাতীয় সংগীত গাইতে হতো। রাশিয়ার পতাকা আঁকতে হতো।’

অপহৃত শিশুদের ফিরিয়ে আনার দাবিতে কাজ করা সংগঠন ইউক্রেনিয়ান চাইল্ড রাইটস নেটওয়ার্কের চেয়ারপারসন দারিয়া কাসিয়ানোভা বলেন, শিশুদের বোঝানো হতো, তারা যদি কথা না শোনে, তাহলে তাদের বাবা-মাকে এর জন্য ভুগতে হবে।

অ্যাকটিভিস্ট ও গবেষকদের মতে, ইউক্রেনীয় শিশুদের জোরপূর্বক স্থানান্তর ও অপহরণ নতুন কিছু নয়। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়া দখলের সময়ও তিনি একই ধরনের অপহরণ ও নির্বাসনের ঘটনা দেখেছেন বলে জানান কাসিয়ানোভা।

দোনেৎস্ক ও লুহানস্ক অঞ্চল থেকে তখন তিনি ৪০ হাজার মানুষকে সরিয়ে নিতে কাজ করেছিলেন, যার মধ্য ১২ হাজারই শিশু। কাসিয়ানোভা বলতে থাকেন, ‘আমার মেয়ের বয়স তখন ১১। সে ও তার বন্ধু পিছিয়ে পড়েছিল। তাদের তখন রুশ আর্মি ক্যাম্পে পাঠিয়ে দেওয়া হয়।’

অ্যাকটিভিস্টদের আশঙ্কা, অপহৃত অনেক শিশুই রাশিয়ার নতুন দত্তক আইনের কারণে ফিরিয়ে আনা সম্ভব হবে না। সেখানে সম্প্রতি আইনে পরিবর্তন এনে রুশ নাগরিকদের ইউক্রেনীয় শিশুদের দত্তক ও লালন-পালনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

কাসিয়ানোভা বলেন, ‘কখনো কখনো দেখা যায়, বাবা-মা ইউক্রেনে আর শিশু দখল করা অঞ্চলে। যদি সেই বাবা-মা মারা যান বা গ্রেপ্তার হন, তাহলে শিশুটি অনাথ হয়ে যাওয়ার ঝুঁকিতে পড়ে। তাকে অনাথ আশ্রমেও পাঠানো হতে পারে। আর যদি এটা হয়ে যায়, তাহলে সেই শিশুকে ফিরিয়ে আনা প্রায় অসম্ভব হয়ে যাবে। হারিয়ে যাবে তারা।’

ইয়েল ইউনিভার্সিটির অপহৃত শিশুদের ব্যাপারে তদন্ত করা দলের প্রধান নাথানিয়েল রেমন্ড বলেন, ‘এই শিশুদের জোরপূর্বক নির্বাসনের নথিভুক্ত করা জরুরি। এক জাতি বা দেশের শিশুকে নিয়ে অন্য জাতি বা দেশের অংশ করে তোলার চেষ্টা করা যুদ্ধাপরাধ।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতও (আইসিসি) এ বিষয়ে একমত। ২০২৩ সালের মার্চ মাসে তাঁরা রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং শিশু অধিকার কমিশনার মারিয়া লভোভা-বেলোভার বিরুদ্ধে ইউক্রেনীয় শিশুদের বেআইনিভাবে নির্বাসনের ‘যুদ্ধাপরাধের’ অভিযোগে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন।

এই শিশুদের ফিরিয়ে আনা এখন শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনের অন্যতম প্রধান দাবি। ইউক্রেনীয় দাতব্য সংস্থা হেল্পিং টু লিভের বিশেষজ্ঞ ক্সেনিয়া বলেন, ‘আমরা ভূখণ্ড নিয়ে আলোচনা করছি। কিন্তু আমাদের জনগণ, আমাদের শিশু, তারাই তো আমাদের ভূখণ্ড। আমরা তাদের কীভাবে ছেড়ে দিতে পারি?’

তিনি আরও বলেন, ‘তারা আমাদের সন্তান, ইউক্রেনের সন্তান। তাদের অবশ্যই ফিরিয়ে আনতে হবে। তাদের ওপর রাশিয়ার কোনো অধিকার নেই।’

এখন দর-কষাকষির হাতিয়ার হিসেবে এই শিশুদের ব্যবহার করা হচ্ছে বলে মনে করেন রেমন্ড। তিনি বলেন, রাশিয়ানরা যখন এই সংঘাত শুরু করেছিল, তারা ভেবেছিল দ্রুত জয় আসবে। তখন এই অপহরণ শুরু হয়েছিল শিশুদের ব্যবহার বা দখলে রাখার জন্য নয়, বরং ইউক্রেনকে ‘রুশীকরণ’ (Russification) করার জন্য।

রেমন্ডের মতে, ‘যখন যুদ্ধের পরিস্থিতি পাল্টে যেতে থাকল, তখন তারা কৌশল পাল্টে ফেলল। এখন এই শিশুদের জিম্মি করে আলোচনায় সুবিধা নিতে চায় রাশিয়া।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আইসিসের হামলার জবাব দেবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।

তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’

এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে নিহত ২, আহত ৮

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।

রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’

শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’

প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।

উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’

স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।

হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।

টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।

ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।

গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।

সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।

সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।

আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত