Ajker Patrika

মায়ের ওষুধ কিনতে গিয়ে রুশ গোলায় প্রাণ গেল ভ্যালেরিয়ার

আপডেট : ১৩ মার্চ ২০২২, ১৬: ৩৪
মায়ের ওষুধ কিনতে গিয়ে রুশ গোলায় প্রাণ গেল ভ্যালেরিয়ার

ভ্যালেরিয়া মাকসেতস্কা, জীবন বাঁচানোর জন্য সবাই যখন দেশ ছাড়ছে, তখনো এক বুক আশা নিয়ে থেকে গেছেন যুদ্ধকবলিত কিয়েভে। পরিবার নিয়ে নিরাপদে দেশ ছাড়ার সুযোগ পেয়েও ফিরিয়ে দিয়েছেন সেই প্রস্তাব। ইউক্রেনে রুশ বাহিনীর হামলায় হতাহতদের সহযোগিতা করতে চেয়েছিলেন এই মানবাধিকারকর্মী। কিন্তু মায়ের জন্য ওষুধ আনতে গিয়ে রুশ সেনাদের ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলায় প্রাণ গেল ভ্যালেরিয়ার। একই সঙ্গে নিহত হয়েছেন তাঁর মা ও তাঁদের গাড়ির চালক। 

এনডিটিভি, ডেইলি মেইল, দ্য স্কটিশ সানসহ আন্তর্জাতিক বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে মর্মস্পর্শী এ ঘটনার খবর প্রকাশ পেয়েছে। এসব প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সম্প্রতি কিয়েভের কাছের একটি শহরে রাস্তায় হন্যে হয়ে অসুস্থ মায়ের জন্য ওষুধ খুঁজছিলেন মার্কিন সাহায্য সংস্থা ইউএস এইডের সহযোগী একটি সংস্থার কর্মী ভ্যালেরিয়া মাকসেতস্কা। এ সময় শহরটি থেকে কিয়েভের পশ্চিম দিকে যাচ্ছিল রুশ সেনাদের একটি গাড়িবহর। ভ্যালেরিয়াকে বহনকারী গাড়িটি লক্ষ্য করে হামলা চালায় রাশিয়ার সেনারা। ট্যাংক থেকে ছোড়া গোলায় ঘটনাস্থলেই প্রাণ হারান ভ্যালেরিয়া, তাঁর মা ইরিনা এবং তাঁদের গাড়ির চালক ইয়ারোস্লাভ। 

ভ্যালেরিয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক শহরেমর্মান্তিক এই ঘটনা নিশ্চিত করেছেন ইউএস এইডের প্রশাসক সামান্থা পাওয়ার। তিনি বলেন, নিজের ৩২তম জন্মদিনের মাত্র কয়েক দিন আগেই রুশ সেনাবাহিনীর হাতে প্রাণ হারালেন ভ্যালেরিয়া। সামান্থা আরও বলেন, এর আগে একবার দোনেৎস্কে গোলাগুলি থেকে বেঁচে যান ভ্যালেরিয়া। এরপর তিনি চলে আসেন রাজধানী কিয়েভে এবং কাজ শুরু করেন ইউএস এইডের সঙ্গে। তিনি ‘হৃদয়বান এক সাহসী নারী’ হিসেবে পরিচিত ছিলেন। 

ভ্যালেরিয়ার জন্ম ও বেড়ে ওঠা ইউক্রেনের দোনেৎস্ক শহরে। ২০১৪ সালে ক্রিমিয়ান উপদ্বীপে রাশিয়ার আক্রমণের পর থেকে একটি মানবাধিকার সংগঠনে কাজ করছিলেন ভ্যালেরিয়া। 

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত