Ajker Patrika

দল নির্বাচনে জিতলেও জার্মানির চ্যান্সেলর হওয়ার লড়াইয়ে ব্যর্থ মের্ৎস

অনলাইন ডেস্ক
জার্মানির নির্বাচনজয়ী নেতা ফ্রেডেরিখ মের্ৎস। ছবি: এএফপি
জার্মানির নির্বাচনজয়ী নেতা ফ্রেডেরিখ মের্ৎস। ছবি: এএফপি

জার্মানির সর্বশেষ জাতীয় নির্বাচনে সবচেয়ে বেশি আসন পেয়েছে রক্ষণশীল নেতা ফ্রেডরিখ মের্ৎসের নেতৃত্বাধীন ক্রিশ্চিয়ান ডেমোক্রেটিক ইউনিয়ন (সিডিইউ) ও ক্রিশ্চিয়ান সোশ্যালিস্ট পার্টির (এসপিইউ) জোট। তবে পার্লামেন্টে চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন তিনি। প্রথম দফার ভোটে তিনি প্রয়োজনীয় সংখ্যক সমর্থন আদায়ে ব্যর্থ হয়েছেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, জার্মানির রক্ষণশীল নেতা ফ্রেডরিখ মের্ৎস চ্যান্সেলর হওয়ার জন্য প্রয়োজনীয় পার্লামেন্টারি ভোট পেতে ব্যর্থ হয়েছেন। আজ মঙ্গলবার এই বিষয়ে জার্মান পার্লামেন্টে প্রথম দফার ভোট হয়। এটি ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির রাজনীতিতে এক বড় ধাক্কা ও নতুন করে অনিশ্চয়তা তৈরি করেছে।

উনসত্তর বছর বয়সী মের্ৎস তাঁর সিডিইউ-সিএসইউ জোটকে ফেব্রুয়ারির ফেডারেল নির্বাচনে বিজয়ের পথে নেতৃত্ব দেন। এরপর তিনি মধ্য-বামপন্থী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এসপিডি) সঙ্গে জোট গঠনে চুক্তি স্বাক্ষর করেন। কিন্তু পার্লামেন্ট বুন্দেসট্যাগের নিম্নকক্ষে অনুষ্ঠিত গোপন ভোটে তিনি মাত্র ৩১০টি ভোট পান, যা নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থেকে ছয়টি কম। এর মানে অন্তত ১৮ জন জোট এমপি তাঁকে সমর্থন দেননি।

যদিও এটি বড় কোনো ধাক্কা নয়, তবে মের্ৎসের প্রথম দফায় সমর্থন পেতে ব্যর্থ হওয়া দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী জার্মানিতে প্রথম ঘটনা। বিশ্বজুড়ে অস্থিরতার মধ্যে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দেওয়া এক নেতার জন্য এটি এক বিব্রতকর পরিস্থিতি। প্রথম দফায় ভোট পেতে ব্যর্থ হওয়ায় নতুন চ্যান্সেলর হিসেবে আগামীকাল বুধবার ফ্রান্স ও পোল্যান্ডে তাঁর পরিকল্পিত সফর নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

বুন্দেসট্যাগের প্রেসিডেন্ট জুলিয়া ক্লোয়েকলার জানান, ৯ জন আইনপ্রণেতা ভোটদানে বিরত ছিলেন এবং ৩০৭ জন মের্ৎসের বিপক্ষে ভোট দেন। তিনি দৃশ্যত হতবাক হয়েই সহকর্মীদের সঙ্গে আলোচনা করতে উঠে দাঁড়ান। দলের অভ্যন্তরীণ সূত্রগুলো সোমবার আস্থা প্রকাশ করেছিল যে, তিনি সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাবেন। ক্লোয়েকলার অধিবেশন মুলতবি ঘোষণা করেছেন।

লন্ডনের বেরেনবার্গের প্রধান অর্থনীতিবিদ হোলগার শ্মিইডিং বলেন, ‘এটি একটি উল্লেখযোগ্য নেতিবাচক ঘটনা। তিনি সম্ভবত এখনো নির্বাচিত হবেন, তবে এটি দেখায় যে জোট ঐক্যবদ্ধ নয় এবং এই বিষয়টি তাঁর প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়ন করার ক্ষমতাকে দুর্বল করতে পারে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত