অনলাইন ডেস্ক
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি তুরস্কে ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় যোগ দেবেন শুধু যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে উপস্থিত থাকেন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলোচনার শর্ত আরও কঠোর করে তুললেন তিনি।
সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি শুধু পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী। রাশিয়ায় সবকিছু তাঁর হাতেই নির্ভর করে। তিনি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে আলোচনায় বসা অর্থহীন।’
জেলেনস্কি জানান, তুরস্কে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের একমাত্র লক্ষ্য হবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। অন্য কোনো ফল হলে সেটিকে ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় মিত্রদের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির শর্তে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। না হলে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে মস্কোকে।
এই প্রেক্ষাপটেই পুতিন তুরস্কে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি নিজে সেখানে যাবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি। রুশ সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘যখন প্রেসিডেন্ট (পুতিন) প্রয়োজন মনে করবেন, তখনই তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি প্রয়োজনে তুরস্কের আলোচনায় উপস্থিত হতে পারেন। যদিও তিনি এখন সৌদি আরব, আমিরাত ও কাতার সফরে রয়েছেন। তবে তুরস্কে উড়াল দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। হোয়াইট হাউসে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার অনেক সভা রয়েছে। তবে আমি ভাবছি সেখানে (তুরস্ক) যাওয়ার ব্যাপারে। যদি মনে হয় কিছু ফল আসতে পারে, তবে আমি যেতে পারি।’
এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ট্রাম্প যদি আসেন, তাহলে সেটি পুতিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাড়তি প্রভাব ফেলবে। ইউক্রেন এই বৈঠকে ট্রাম্পের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে।’
তবে ট্রাম্প যাবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে তুরস্কে থাকবেন বলে জানা গেছে, তবে ট্রাম্পের যাওয়া অনেকটাই নির্ভর করছে পুতিন যাবেন কি না তার ওপর।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সরাসরি কোনো বৈঠক হয়নি। এবার এই আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান উভয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আলোচনার আয়োজনে তাঁর পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার কথা জানিয়েছেন। গত রোববার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি ইস্তাম্বুলকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দেন। এর পরদিন সোমবার জেলেনস্কির সঙ্গে কথোপকথনে এরদোয়ান বলেন, ‘এই নতুন সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘যদি দ্রুত কোনো অগ্রগতি না হয়, তবে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস জানিয়েছেন, ট্রাম্প ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি রাশিয়া এই চুক্তি না মানে, তাহলে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।’
শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পুতিন আসবেন কি না, তা এখনো অজানা। তবে জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—শান্তি আলোচনার একমাত্র পথ সরাসরি পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি জানিয়েছেন, তিনি তুরস্কে ইউক্রেন-রাশিয়া শান্তি আলোচনায় যোগ দেবেন শুধু যদি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সেখানে উপস্থিত থাকেন। এই ঘোষণার মধ্য দিয়ে আলোচনার শর্ত আরও কঠোর করে তুললেন তিনি।
সিএনএনের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জেলেনস্কি বলেন, ‘আমি শুধু পুতিনের সঙ্গে সরাসরি কথা বলতে আগ্রহী। রাশিয়ায় সবকিছু তাঁর হাতেই নির্ভর করে। তিনি ছাড়া অন্য কারও সঙ্গে আলোচনায় বসা অর্থহীন।’
জেলেনস্কি জানান, তুরস্কে অনুষ্ঠেয় বৈঠকের একমাত্র লক্ষ্য হবে যুদ্ধবিরতি চুক্তি। অন্য কোনো ফল হলে সেটিকে ব্যর্থতা হিসেবে বিবেচনা করবেন তিনি।
উল্লেখ্য, ইউরোপীয় মিত্রদের পক্ষ থেকে রাশিয়াকে এক সপ্তাহের মধ্যে নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির শর্তে আলোচনায় বসার আহ্বান জানানো হয়েছিল। না হলে ব্যাপক নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়তে হবে মস্কোকে।
এই প্রেক্ষাপটেই পুতিন তুরস্কে সরাসরি আলোচনার প্রস্তাব দেন। তবে এখন পর্যন্ত তিনি নিজে সেখানে যাবেন কি না, তা স্পষ্ট করেননি। রুশ সরকারের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বলেছেন, ‘যখন প্রেসিডেন্ট (পুতিন) প্রয়োজন মনে করবেন, তখনই তাঁর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হবে।’
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, তিনি প্রয়োজনে তুরস্কের আলোচনায় উপস্থিত হতে পারেন। যদিও তিনি এখন সৌদি আরব, আমিরাত ও কাতার সফরে রয়েছেন। তবে তুরস্কে উড়াল দেওয়ার সম্ভাবনা উড়িয়ে দেননি। হোয়াইট হাউসে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘বৃহস্পতিবার আমার অনেক সভা রয়েছে। তবে আমি ভাবছি সেখানে (তুরস্ক) যাওয়ার ব্যাপারে। যদি মনে হয় কিছু ফল আসতে পারে, তবে আমি যেতে পারি।’
এ বিষয়ে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘ট্রাম্প যদি আসেন, তাহলে সেটি পুতিনের উপস্থিতি নিশ্চিত করতে বাড়তি প্রভাব ফেলবে। ইউক্রেন এই বৈঠকে ট্রাম্পের অংশগ্রহণকে অত্যন্ত গুরুত্বের সঙ্গে দেখবে।’
তবে ট্রাম্প যাবেন কি না, তা এখনো অনিশ্চিত। মার্কিন প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তারা এই সপ্তাহে তুরস্কে থাকবেন বলে জানা গেছে, তবে ট্রাম্পের যাওয়া অনেকটাই নির্ভর করছে পুতিন যাবেন কি না তার ওপর।
২০২২ সালে ইউক্রেনে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে দুই দেশের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে সরাসরি কোনো বৈঠক হয়নি। এবার এই আলোচনার মাধ্যমে একটি নতুন সুযোগ তৈরি হয়েছে বলে মনে করেন বিশ্লেষকেরা।
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট এরদোয়ান উভয় নেতার সঙ্গে কথা বলেছেন এবং আলোচনার আয়োজনে তাঁর পূর্ণ প্রস্তুতি থাকার কথা জানিয়েছেন। গত রোববার পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপে তিনি ইস্তাম্বুলকে সম্ভাব্য ভেন্যু হিসেবে প্রস্তাব দেন। এর পরদিন সোমবার জেলেনস্কির সঙ্গে কথোপকথনে এরদোয়ান বলেন, ‘এই নতুন সুযোগ যেন হাতছাড়া না হয়।’
এদিকে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও আগেই হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ‘যদি দ্রুত কোনো অগ্রগতি না হয়, তবে আমাদের নতুন করে ভাবতে হবে।’
ইউরোপীয় ইউনিয়নের নতুন চ্যান্সেলর ফ্রিডরিখ মের্ৎস জানিয়েছেন, ট্রাম্প ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান সমর্থন করেছেন। তিনি বলেন, ‘যদি রাশিয়া এই চুক্তি না মানে, তাহলে নতুন নিষেধাজ্ঞা জারি হবে।’
শেষ পর্যন্ত বৃহস্পতিবারের বৈঠকে পুতিন আসবেন কি না, তা এখনো অজানা। তবে জেলেনস্কি স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছেন—শান্তি আলোচনার একমাত্র পথ সরাসরি পুতিনের সঙ্গে মুখোমুখি বৈঠক।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সৌদি আরবের সঙ্গে আজ মঙ্গলবার (১৩ মে) একটি কৌশলগত অর্থনৈতিক চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার সমমূল্যের অস্ত্র চুক্তি।
৪ মিনিট আগে২০১৬ সালের অক্টোবরে প্যারিসে এক ভয়াবহ ডাকাতির শিকার হন মার্কিন রিয়েলিটি তারকা কিম কারদাশিয়ান। সেই ঘটনার বিচারে চলমান মামলায় আজ মঙ্গলবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে গিয়ে আবেগে ভেঙে পড়েন তিনি। আদালতে কিম জানান, ঘটনার সময় তিনি নিশ্চিত ছিলেন, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যা করা হবে।
১ ঘণ্টা আগেনির্দোষ হয়েও প্রায় চার দশক ধরে জেল খাটছেন পিটার সুলিভান। শেষ পর্যন্ত তিনি মুক্তি পেলেন। ধারণা করা হচ্ছে, ব্রিটেনের ইতিহাসে এটিই সবচেয়ে দীর্ঘতম ভুল রায়। ১৯৮৭ সালে ২১ বছর বয়সী ডায়ান সিনডালকে ধর্ষণ ও হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন সুলিভান।
২ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র ও সৌদি আরবের মধ্যে ইতিহাসের অন্যতম বড় প্রতিরক্ষা চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়েছে বলে ঘোষণা করেছে হোয়াইট হাউস। চুক্তির আওতায় যুক্তরাষ্ট্র সৌদি আরবকে আধুনিক যুদ্ধ সরঞ্জাম ও প্রযুক্তি সরবরাহ করবে, যার মূল্য প্রায় ১৪২ বিলিয়ন ডলার।
২ ঘণ্টা আগে