৩৩ মাস ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের মন্ত্রণালয়, পার্লামেন্ট বা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে হামলা চালায়নি। তবে এবার দেশটির ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী’ অবকাঠামোগুলোতে ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউক্রেনের পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হতে পারে। বিমান প্রতিরক্ষার মাধ্যমে কিয়েভকে ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত—দাবি করা হলেও পুতিন বলেন, ওরেশনিককে আটকানো সম্ভব নয়।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের দিনিপ্রোতে প্রথমবারের মতো ওরেশনিক ব্যবহার করে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। এ হামলাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে অভিহিত করেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জানান, রাশিয়া ‘নতুন মাঝারি পাল্লার’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যার নাম ‘ওরেশনিক’। রুশ ভাষায় এর অর্থ ‘হ্যাজেল গাছ’। এই অস্ত্র প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই বলে দাবি করেন পুতিন।
কাজাখস্তানে এক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন বলেন, অবশ্যই আমরা পশ্চিমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় চালানো হামলার জবাব দেব। এ ক্ষেত্রে ওরেশনিক ব্যবহার করা হতে পারে, যেমনটা ২১ নভেম্বর করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনী ইউক্রেন ভূখণ্ডে হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু বাছাই করছে। হামলার লক্ষ্য হতে পারে সামরিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান বা মন্ত্রণালয়গুলো।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনের ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করে বলেন, এটি যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার উদ্যোগ।
জেলেনস্কি বলেন, পুতিন এ যুদ্ধের সমাপ্তি চান না। যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে অন্যদেরও প্রচেষ্টা করা থেকে বিরত রাখতে চান তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পুতিন ওরেশনিক চালাতে পারেন। তিনি এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চান যাতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তিনি যুদ্ধের সমাপ্তি না টানতে পারেন।
পুতিন বলেন, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এটি রাশিয়ার সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে পশ্চিমাদের ‘সরাসরি অংশগ্রহণ’। এর প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনে ওরেশনিক হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার হামলায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি একটি ঘৃণ্য পদক্ষেপ।
ইউক্রেন জানিয়েছে, গত ২১ নভেম্বর দিনিপ্রোতে আঘাত করা ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। এতে ছিল ডামি ওয়ারহেড, তাজা বিস্ফোরক ছিল না।
৩৩ মাস ধরে চলা যুদ্ধে রাশিয়া এখন পর্যন্ত ইউক্রেনের মন্ত্রণালয়, পার্লামেন্ট বা প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ে হামলা চালায়নি। তবে এবার দেশটির ‘সিদ্ধান্ত গ্রহণকারী’ অবকাঠামোগুলোতে ওরেশনিক হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালানোর হুমকি দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
রয়টার্সের এক প্রতিবেদনে জানা যায়, ইউক্রেনের পশ্চিমা ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় হামলার জবাবে এ হামলা চালানো হতে পারে। বিমান প্রতিরক্ষার মাধ্যমে কিয়েভকে ব্যাপকভাবে সুরক্ষিত—দাবি করা হলেও পুতিন বলেন, ওরেশনিককে আটকানো সম্ভব নয়।
গত সপ্তাহে ইউক্রেনের দিনিপ্রোতে প্রথমবারের মতো ওরেশনিক ব্যবহার করে হামলা চালায় রাশিয়া। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে বিস্ফোরণ ঘটতে থাকে। এ হামলাকে ‘অস্বাভাবিক’ বলে অভিহিত করেন স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শীরা। হামলার কয়েক ঘণ্টা পর পুতিন টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে জানান, রাশিয়া ‘নতুন মাঝারি পাল্লার’ ক্ষেপণাস্ত্র পরীক্ষা করেছে, যার নাম ‘ওরেশনিক’। রুশ ভাষায় এর অর্থ ‘হ্যাজেল গাছ’। এই অস্ত্র প্রতিরোধের কোনো উপায় নেই বলে দাবি করেন পুতিন।
কাজাখস্তানে এক শীর্ষ সম্মেলনে পুতিন বলেন, অবশ্যই আমরা পশ্চিমা দূরপাল্লার ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে রাশিয়ায় চালানো হামলার জবাব দেব। এ ক্ষেত্রে ওরেশনিক ব্যবহার করা হতে পারে, যেমনটা ২১ নভেম্বর করা হয়েছিল। বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় ও সামরিক বাহিনী ইউক্রেন ভূখণ্ডে হামলার জন্য লক্ষ্যবস্তু বাছাই করছে। হামলার লক্ষ্য হতে পারে সামরিক স্থাপনা, প্রতিরক্ষা ও শিল্প প্রতিষ্ঠান বা মন্ত্রণালয়গুলো।
এদিকে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি পুতিনের ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্র হামলার নিন্দা করে বলেন, এটি যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে ব্যাহত করার উদ্যোগ।
জেলেনস্কি বলেন, পুতিন এ যুদ্ধের সমাপ্তি চান না। যুদ্ধের সমাপ্তি টানতে অন্যদেরও প্রচেষ্টা করা থেকে বিরত রাখতে চান তিনি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করতে পুতিন ওরেশনিক চালাতে পারেন। তিনি এমন উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি করতে চান যাতে ট্রাম্পের প্রচেষ্টা ব্যর্থ হয়, তিনি যুদ্ধের সমাপ্তি না টানতে পারেন।
পুতিন বলেন, মার্কিন ক্ষেপণাস্ত্র এটিএসিএমএস ব্যবহার করে রাশিয়ায় হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন। এটি রাশিয়ার সঙ্গে সশস্ত্র সংঘর্ষে পশ্চিমাদের ‘সরাসরি অংশগ্রহণ’। এর প্রতিক্রিয়ায় ইউক্রেনে ওরেশনিক হামলা চালানো হয়েছে। এ প্রসঙ্গে জেলেনস্কি বলেন, রাশিয়ার হামলায় ১০ লাখেরও বেশি মানুষ বিদ্যুৎবিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এটি একটি ঘৃণ্য পদক্ষেপ।
ইউক্রেন জানিয়েছে, গত ২১ নভেম্বর দিনিপ্রোতে আঘাত করা ওরেশনিক ক্ষেপণাস্ত্রটির সর্বোচ্চ গতি ছিল প্রতি ঘণ্টায় ১৩ হাজার ৬০০ কিলোমিটার। এতে ছিল ডামি ওয়ারহেড, তাজা বিস্ফোরক ছিল না।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনায় মার্কিন হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়েছে রাশিয়া। যদিও ক্রেমলিন সরাসরি কোনো মন্তব্য করেনি, তবে রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই হামলাকে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘের সনদ লঙ্ঘনের শামিল বলে উল্লেখ করেছে।
৬ মিনিট আগেমার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইরানে হামলার সিদ্ধান্ত প্রায় চূড়ান্ত করে ফেলেছিলেন, এমন সময় তিনি তাঁর শীর্ষ কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন গণমাধ্যমকে জানাতে যে, তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দুই সপ্তাহ সময় নেবেন। এই নির্দেশনার পেছনের উদ্দেশ্য ছিল, প্রকৃত পরিকল্পনা গোপন রাখা।
৪৪ মিনিট আগেইরানের ফোরদো পরমাণু স্থাপনার মূল কার্যক্রম চলত পাহাড়ের ৮০ থেকে ৯০ মিটার নিচে। ইরানের কোম শহর থেকে ৩০ কিলোমিটার দূরে এই স্থাপনার অবস্থান। বলা হয়ে থাকে, ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণের মূল কার্যক্রম চলত এ কেন্দ্রে। এটি ছাড়াও শনিবার দিবাগত রাতে আরও দুটি পরমাণু স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে মার্কিন বাহিনী।
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র থেকে সরাসরি ইরানে গিয়ে হামলা চালাল বি-টু বোমারু বিমান। দেশটির মিজৌরি অঙ্গরাজ্যের ঘাঁটি থেকে উড্ডয়ন করে গত শনিবার দিবাগত রাতে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায় এই বিমান। এর মধ্য দিয়ে নতুন করে আলোচনায় এসেছে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক বহরে থাকা অন্যতম সেরা বোমারু বিমানটি।
৬ ঘণ্টা আগে