আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাশিয়া–যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ অংশীদারত্ব পুনর্গঠন, রাশিয়াকে পুনরায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা এবং ইউক্রেনকে সীমিত শর্তে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান। তাঁর প্রস্তাবে ইউক্রেনকে স্থায়ীভাবে ন্যাটো বহির্ভূত রাখার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইউরোপীয় প্রস্তাবের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। ইউরোপীয় দেশগুলো বলেছে—ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাবে কি পাবে না, সেই সিদ্ধান্ত শুধু এই জোটের অভ্যন্তরীণ ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। কোনো বাইরের চাপের ওপর তা নির্ভর করবে না।
দুই প্রস্তাবের সবচেয়ে বড় অমিল দেখা গেছে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ট্রাম্পের নথিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে—ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে বাস্তবিকভাবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও তা মেনে নেবে। এ ছাড়া খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার নিয়ন্ত্রণ রেখা ‘ফ্রিজ’ করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এর বিপরীতে, ইউরোপীয় প্রস্তাবে ভূখণ্ডের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ কার্যকর হওয়ার পরই আলোচনা এবং এই আলোচনার সূচনা হবে বর্তমান নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে—এ ক্ষেত্রে আগাম কোনো স্বীকৃতি নয়।
নিরাপত্তা কাঠামো নিয়েও দুই প্রস্তাবে বড় ফারাক রয়েছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ৬ লাখে সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে এবং ন্যাটোর কার্যক্রম থেকে ইউক্রেনকে দূরে রাখার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে ঠিক উল্টো। তাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী—ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী বা প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর কোনো সীমা আরোপ করা যাবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের অধীনে একটি আর্টিক্যাল-৫ এর মতো বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা গ্যারান্টি থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটিতে মিত্রদেশগুলোর সৈন্য মোতায়েনেরও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয়েও অমিল স্পষ্ট। ট্রাম্পের প্রস্তাবে রয়েছে রাশিয়ার জব্দ তহবিলের বড় অংশ দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে ব্যবহার এবং রাশিয়াকে ধাপে ধাপে জি-৮-এ ফেরানো। ইউরোপীয় পরিকল্পনা বলছে—রাশিয়া ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পদ মুক্ত হবে না এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও হবে সীমিত ও ধীরে ধীরে।
ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে বড় ধরনের অবকাঠামো ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রধান বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লাভের শর্তও রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের পরিকল্পনা বলছে—ইউক্রেনের পুনর্গঠন হবে রাশিয়ার দায় স্বীকার ও ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে, কোনো রাজনৈতিক শর্ত ছাড়াই।
তবে মানবাধিকার ও মানবিক ইস্যুতে উভয় নথিতেই কিছু মিল রয়েছে। যেমন—বন্দী বিনিময়, অপহৃত শিশুদের ফেরত পাঠানো, যুদ্ধাহতদের সহযোগিতা। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় এসবকে বড় কাঠামোর উপ-উপাদান হিসেবে দেখা হয়েছে। ইউরোপীয় প্রস্তাবে এগুলো শর্তবিহীন ও অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি রাখা হয়েছে।
মোটকথা—ট্রাম্পের ২৮ দফায় যুদ্ধ থামাতে সমঝোতা ও ভূখণ্ড ছাড়ের বিনিময়ে নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে রাশিয়া বড় সুবিধা পাবে। আর ইউরোপীয় ২৪ দফায় জোর দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, ন্যাটো–ইইউ সদস্যপদ এবং আক্রমণকারী রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার ওপর শর্ত আরোপের ওপর। ফলে দুই প্রস্তাবের মধ্যে মতপার্থক্য এতটাই মৌলিক যে, বাস্তবে কোনটি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে—তা নিয়েই এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাশিয়া–যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ অংশীদারত্ব পুনর্গঠন, রাশিয়াকে পুনরায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা এবং ইউক্রেনকে সীমিত শর্তে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান। তাঁর প্রস্তাবে ইউক্রেনকে স্থায়ীভাবে ন্যাটো বহির্ভূত রাখার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইউরোপীয় প্রস্তাবের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। ইউরোপীয় দেশগুলো বলেছে—ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাবে কি পাবে না, সেই সিদ্ধান্ত শুধু এই জোটের অভ্যন্তরীণ ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। কোনো বাইরের চাপের ওপর তা নির্ভর করবে না।
দুই প্রস্তাবের সবচেয়ে বড় অমিল দেখা গেছে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ট্রাম্পের নথিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে—ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে বাস্তবিকভাবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও তা মেনে নেবে। এ ছাড়া খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার নিয়ন্ত্রণ রেখা ‘ফ্রিজ’ করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এর বিপরীতে, ইউরোপীয় প্রস্তাবে ভূখণ্ডের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ কার্যকর হওয়ার পরই আলোচনা এবং এই আলোচনার সূচনা হবে বর্তমান নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে—এ ক্ষেত্রে আগাম কোনো স্বীকৃতি নয়।
নিরাপত্তা কাঠামো নিয়েও দুই প্রস্তাবে বড় ফারাক রয়েছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ৬ লাখে সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে এবং ন্যাটোর কার্যক্রম থেকে ইউক্রেনকে দূরে রাখার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে ঠিক উল্টো। তাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী—ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী বা প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর কোনো সীমা আরোপ করা যাবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের অধীনে একটি আর্টিক্যাল-৫ এর মতো বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা গ্যারান্টি থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটিতে মিত্রদেশগুলোর সৈন্য মোতায়েনেরও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয়েও অমিল স্পষ্ট। ট্রাম্পের প্রস্তাবে রয়েছে রাশিয়ার জব্দ তহবিলের বড় অংশ দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে ব্যবহার এবং রাশিয়াকে ধাপে ধাপে জি-৮-এ ফেরানো। ইউরোপীয় পরিকল্পনা বলছে—রাশিয়া ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পদ মুক্ত হবে না এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও হবে সীমিত ও ধীরে ধীরে।
ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে বড় ধরনের অবকাঠামো ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রধান বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লাভের শর্তও রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের পরিকল্পনা বলছে—ইউক্রেনের পুনর্গঠন হবে রাশিয়ার দায় স্বীকার ও ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে, কোনো রাজনৈতিক শর্ত ছাড়াই।
তবে মানবাধিকার ও মানবিক ইস্যুতে উভয় নথিতেই কিছু মিল রয়েছে। যেমন—বন্দী বিনিময়, অপহৃত শিশুদের ফেরত পাঠানো, যুদ্ধাহতদের সহযোগিতা। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় এসবকে বড় কাঠামোর উপ-উপাদান হিসেবে দেখা হয়েছে। ইউরোপীয় প্রস্তাবে এগুলো শর্তবিহীন ও অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি রাখা হয়েছে।
মোটকথা—ট্রাম্পের ২৮ দফায় যুদ্ধ থামাতে সমঝোতা ও ভূখণ্ড ছাড়ের বিনিময়ে নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে রাশিয়া বড় সুবিধা পাবে। আর ইউরোপীয় ২৪ দফায় জোর দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, ন্যাটো–ইইউ সদস্যপদ এবং আক্রমণকারী রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার ওপর শর্ত আরোপের ওপর। ফলে দুই প্রস্তাবের মধ্যে মতপার্থক্য এতটাই মৌলিক যে, বাস্তবে কোনটি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে—তা নিয়েই এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।
আজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাশিয়া–যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ অংশীদারত্ব পুনর্গঠন, রাশিয়াকে পুনরায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা এবং ইউক্রেনকে সীমিত শর্তে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান। তাঁর প্রস্তাবে ইউক্রেনকে স্থায়ীভাবে ন্যাটো বহির্ভূত রাখার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইউরোপীয় প্রস্তাবের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। ইউরোপীয় দেশগুলো বলেছে—ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাবে কি পাবে না, সেই সিদ্ধান্ত শুধু এই জোটের অভ্যন্তরীণ ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। কোনো বাইরের চাপের ওপর তা নির্ভর করবে না।
দুই প্রস্তাবের সবচেয়ে বড় অমিল দেখা গেছে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ট্রাম্পের নথিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে—ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে বাস্তবিকভাবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও তা মেনে নেবে। এ ছাড়া খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার নিয়ন্ত্রণ রেখা ‘ফ্রিজ’ করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এর বিপরীতে, ইউরোপীয় প্রস্তাবে ভূখণ্ডের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ কার্যকর হওয়ার পরই আলোচনা এবং এই আলোচনার সূচনা হবে বর্তমান নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে—এ ক্ষেত্রে আগাম কোনো স্বীকৃতি নয়।
নিরাপত্তা কাঠামো নিয়েও দুই প্রস্তাবে বড় ফারাক রয়েছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ৬ লাখে সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে এবং ন্যাটোর কার্যক্রম থেকে ইউক্রেনকে দূরে রাখার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে ঠিক উল্টো। তাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী—ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী বা প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর কোনো সীমা আরোপ করা যাবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের অধীনে একটি আর্টিক্যাল-৫ এর মতো বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা গ্যারান্টি থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটিতে মিত্রদেশগুলোর সৈন্য মোতায়েনেরও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয়েও অমিল স্পষ্ট। ট্রাম্পের প্রস্তাবে রয়েছে রাশিয়ার জব্দ তহবিলের বড় অংশ দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে ব্যবহার এবং রাশিয়াকে ধাপে ধাপে জি-৮-এ ফেরানো। ইউরোপীয় পরিকল্পনা বলছে—রাশিয়া ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পদ মুক্ত হবে না এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও হবে সীমিত ও ধীরে ধীরে।
ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে বড় ধরনের অবকাঠামো ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রধান বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লাভের শর্তও রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের পরিকল্পনা বলছে—ইউক্রেনের পুনর্গঠন হবে রাশিয়ার দায় স্বীকার ও ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে, কোনো রাজনৈতিক শর্ত ছাড়াই।
তবে মানবাধিকার ও মানবিক ইস্যুতে উভয় নথিতেই কিছু মিল রয়েছে। যেমন—বন্দী বিনিময়, অপহৃত শিশুদের ফেরত পাঠানো, যুদ্ধাহতদের সহযোগিতা। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় এসবকে বড় কাঠামোর উপ-উপাদান হিসেবে দেখা হয়েছে। ইউরোপীয় প্রস্তাবে এগুলো শর্তবিহীন ও অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি রাখা হয়েছে।
মোটকথা—ট্রাম্পের ২৮ দফায় যুদ্ধ থামাতে সমঝোতা ও ভূখণ্ড ছাড়ের বিনিময়ে নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে রাশিয়া বড় সুবিধা পাবে। আর ইউরোপীয় ২৪ দফায় জোর দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, ন্যাটো–ইইউ সদস্যপদ এবং আক্রমণকারী রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার ওপর শর্ত আরোপের ওপর। ফলে দুই প্রস্তাবের মধ্যে মতপার্থক্য এতটাই মৌলিক যে, বাস্তবে কোনটি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে—তা নিয়েই এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য রয়েছে।
ট্রাম্পের প্রস্তাবের কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে রাশিয়া–যুক্তরাষ্ট্রের যৌথ অংশীদারত্ব পুনর্গঠন, রাশিয়াকে পুনরায় বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ফিরিয়ে আনা এবং ইউক্রেনকে সীমিত শর্তে নিরাপত্তা নিশ্চয়তা প্রদান। তাঁর প্রস্তাবে ইউক্রেনকে স্থায়ীভাবে ন্যাটো বহির্ভূত রাখার কথা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, যা ইউরোপীয় প্রস্তাবের সঙ্গে সরাসরি সাংঘর্ষিক। ইউরোপীয় দেশগুলো বলেছে—ইউক্রেন ন্যাটো সদস্যপদ পাবে কি পাবে না, সেই সিদ্ধান্ত শুধু এই জোটের অভ্যন্তরীণ ঐকমত্যের ওপর নির্ভরশীল। কোনো বাইরের চাপের ওপর তা নির্ভর করবে না।
দুই প্রস্তাবের সবচেয়ে বড় অমিল দেখা গেছে, ইউক্রেনের ভূখণ্ডের ভবিষ্যৎ নিয়ে। ট্রাম্পের নথিতে স্পষ্ট বলা হয়েছে—ক্রিমিয়া, দোনেৎস্ক ও লুহানস্ককে বাস্তবিকভাবে রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণাধীন অঞ্চল হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে, এমনকি যুক্তরাষ্ট্রও তা মেনে নেবে। এ ছাড়া খেরসন ও জাপোরিঝঝিয়ার নিয়ন্ত্রণ রেখা ‘ফ্রিজ’ করার কথাও উল্লেখ রয়েছে। এর বিপরীতে, ইউরোপীয় প্রস্তাবে ভূখণ্ডের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হয়নি। তাদের মতে, যুদ্ধবিরতি সম্পূর্ণ কার্যকর হওয়ার পরই আলোচনা এবং এই আলোচনার সূচনা হবে বর্তমান নিয়ন্ত্রণরেখা থেকে—এ ক্ষেত্রে আগাম কোনো স্বীকৃতি নয়।
নিরাপত্তা কাঠামো নিয়েও দুই প্রস্তাবে বড় ফারাক রয়েছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনা ইউক্রেনের সেনাবাহিনীকে ৬ লাখে সীমাবদ্ধ করার প্রস্তাব রয়েছে এবং ন্যাটোর কার্যক্রম থেকে ইউক্রেনকে দূরে রাখার শর্ত আরোপ করা হয়েছে। তবে ইউরোপীয় দেশগুলো বলছে ঠিক উল্টো। তাদের প্রস্তাবনা অনুযায়ী—ইউক্রেনের প্রতিরক্ষা বাহিনী বা প্রতিরক্ষা শিল্পের ওপর কোনো সীমা আরোপ করা যাবে না, বরং যুক্তরাষ্ট্রসহ মিত্রদের অধীনে একটি আর্টিক্যাল-৫ এর মতো বাধ্যতামূলক নিরাপত্তা গ্যারান্টি থাকতে হবে। এ ক্ষেত্রে ইউক্রেনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে দেশটিতে মিত্রদেশগুলোর সৈন্য মোতায়েনেরও শর্ত দেওয়া হয়েছে।
অর্থনৈতিক বিষয়েও অমিল স্পষ্ট। ট্রাম্পের প্রস্তাবে রয়েছে রাশিয়ার জব্দ তহবিলের বড় অংশ দুই দেশের যৌথ বিনিয়োগ প্রকল্পে ব্যবহার এবং রাশিয়াকে ধাপে ধাপে জি-৮-এ ফেরানো। ইউরোপীয় পরিকল্পনা বলছে—রাশিয়া ক্ষতিপূরণ না দেওয়া পর্যন্ত সম্পদ মুক্ত হবে না এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারও হবে সীমিত ও ধীরে ধীরে।
ইউক্রেনের ভবিষ্যৎ উন্নয়ন নিয়ে ট্রাম্পের প্রস্তাবে বড় ধরনের অবকাঠামো ও প্রযুক্তি-ভিত্তিক উন্নয়ন পরিকল্পনা রয়েছে, যেখানে প্রধান বিনিয়োগকারী হিসেবে যুক্তরাষ্ট্রের লাভের শর্তও রয়েছে। অন্যদিকে ইউরোপের পরিকল্পনা বলছে—ইউক্রেনের পুনর্গঠন হবে রাশিয়ার দায় স্বীকার ও ক্ষতিপূরণের ভিত্তিতে, কোনো রাজনৈতিক শর্ত ছাড়াই।
তবে মানবাধিকার ও মানবিক ইস্যুতে উভয় নথিতেই কিছু মিল রয়েছে। যেমন—বন্দী বিনিময়, অপহৃত শিশুদের ফেরত পাঠানো, যুদ্ধাহতদের সহযোগিতা। তবে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় এসবকে বড় কাঠামোর উপ-উপাদান হিসেবে দেখা হয়েছে। ইউরোপীয় প্রস্তাবে এগুলো শর্তবিহীন ও অবিলম্বে কার্যকর করার দাবি রাখা হয়েছে।
মোটকথা—ট্রাম্পের ২৮ দফায় যুদ্ধ থামাতে সমঝোতা ও ভূখণ্ড ছাড়ের বিনিময়ে নিরাপত্তা কাঠামো তৈরি করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে, যেখানে রাশিয়া বড় সুবিধা পাবে। আর ইউরোপীয় ২৪ দফায় জোর দেওয়া হয়েছে, ইউক্রেনের সার্বভৌমত্ব, ন্যাটো–ইইউ সদস্যপদ এবং আক্রমণকারী রাষ্ট্র হিসেবে রাশিয়ার ওপর শর্ত আরোপের ওপর। ফলে দুই প্রস্তাবের মধ্যে মতপার্থক্য এতটাই মৌলিক যে, বাস্তবে কোনটি আলোচনার ভিত্তি হতে পারে—তা নিয়েই এখন আন্তর্জাতিক অঙ্গনে নতুন বিতর্ক শুরু হয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’
এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’
এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য...
২১ দিন আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।
রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।
এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’
তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’
চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’
শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’
এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’
প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।
স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।
উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’
স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য...
২১ দিন আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।
হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।
টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।
যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।
হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।
ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।
গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য...
২১ দিন আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
১০ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।
সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।
এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’
এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।
সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।
আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।
২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।
এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

ইউক্রেন যুদ্ধের ভবিষ্যৎ নির্ধারণে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ২৮ দফা প্রস্তাবের বিপরীতে এবার ২৪ দফার একটি প্রস্তাব দিয়েছে ইউরোপের দেশগুলো। দুটি প্রস্তাবেই যুদ্ধবিরতি ও দীর্ঘমেয়াদি নিরাপত্তা কাঠামো তৈরির কথা বলা হলেও দৃষ্টিভঙ্গি ও অগ্রাধিকারগত বিষয়ে এই দুটির মধ্যে রয়েছে মৌলিক পার্থক্য...
২১ দিন আগে
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।
১ ঘণ্টা আগে
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে
ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।
২ ঘণ্টা আগে