১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে যায় চীন। মূলত এরপর থেকেই দেশটিকে আগ্রাসী হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সমাজতান্ত্রিক চীনকে বিশ্বস্ত বন্ধু ভাবতে পারেনি পুঁজিবাদী মার্কিনরা। এর সঙ্গে ক্রমেই জড়িয়ে যায় নানা ভূরাজনৈতিক উপাদান।
তবে এই দুই দেশের সম্পর্কের মোড় ঘুরে যায় ১৯৭০-এর দশকে। ১৯৭১ সালে ৩১তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয় জাপানের নাগোয়াতে। সেখানে যোগ দেওয়া মার্কিন টেবিল টেনিস দলকে আমন্ত্রণ জানায় চীন। ১৯৪৯ সালের পর কোনো মার্কিন প্রতিনিধির এটাই প্রথম চীন সফর। সেই ঐতিহাসিক সফরের পর চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়। সেই সফরে মুখোমুখি হন মার্কিন টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন গ্লেন কাওয়ান আর চীনা চ্যাম্পিয়ন ঝুয়াং জেদং। এর জেরেই ১৯৭২ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে আসেন। এরপরই সিনো-মার্কিন বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এই ঘটনা পরবর্তীতে ‘ পিংপং কূটনীতি’ হিসেবে খ্যাত হয়।
গত ১০ এপ্রিল পিংপং কূটনীতির ৫০ বছর উদযাপিত হলো। এই উপলক্ষে সাংহাইতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
একটি ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের একটি বিশেষ তাৎপর্য এই পিংপং কূটনীতি।
ছোট বলই বড় বলকে সরিয়ে দেয়; চীনের লোকজন পিংপং কূটনীতি নিয়ে এমনটিই বলে থাকেন। ১৯৭১ সালে টেবিল টেনিসের ছোট্ট বলই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের দেয়াল সরাতে বড় অবদান রেখেছিল। সেই ঘটনার ৫০ বছর পরও যেন দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে নড়ছে একটি ছোট্ট বল।
মাও সে তুংয়ের চীন অবশ্য সম্পর্ক উন্নয়নে সব সময় খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। মাও-এর চীনের নীতিই হলো, ‘আগে বন্ধুত্ব, পরে প্রতিযোগিতা’। এই নীতিতেই এখনো বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এশিয়ার এ অর্থনৈতিক জায়ান্ট।
১৯৭১ সালের মার্চের শেষ দিকে ঝুয়াং জেদং ও চীনের দল জাপানে বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়। খেলা চলাকালে একদিন মার্কিন টেবিল টেনিস তারকা গ্লেন কাওয়ান তাদের জন্য নির্ধারিত বাসটি মিস করেন। পরে তিনি চীনা দলের বাসে উঠে পড়েন। ওই বাসে সবাই তাকে তাচ্ছিল্য দেখাতে থাকে। কিন্তু ঝুয়াং জেদং ছিলেন আলাদা। তিনি কাওয়ানকে স্বাগত জানান । এখান থেকেই পিংপং কূটনীতির শুরু। পরে মার্কিন খেলোয়াড়দের আমন্ত্রণ জানায় চীন।
এভাবেই খেলাধুলার মাধ্যমে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের মধ্যে স্থাপিত হয়েছিল একটি অনন্য যোগসূত্র। এক সপ্তাহ স্থায়ী সেই সফরে বিখ্যাত মার্কিন খেলোয়াড় গ্লেন কাওয়ান মুখোমুখি হন তিনবারের বিশ্বসেরা ঝুয়াং জেদংয়ের। অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সেই প্রীতি ম্যাচের সূত্র ধরেই ১৯৭২-এ প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চীন সফরে আসেন রিচার্ড নিক্সন।
এ নিয়ে চীনের দলের তৎকালীন কোচ ইন্টারন্যাশনাল টেবিল টেনিস ফাউন্ডেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জু ইয়িনশেং বলেন, ঝুয়াং তখন সঠিক সময়ে সঠিক কাজটিই করেছিলেন।
টেবিল টেনিস বিশ্বকাপের সাবেক প্রধান আম্পায়ার এবং সাংহাই জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুন কিলিনের স্মৃতির পাতায় এখনও উজ্জ্বল চীন-যুক্তরাষ্ট্রের টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের সেই প্রীতি ম্যাচটি ।
৭১ বছর বয়সী সান বলেন, পিংপং কূটনীতি চীনের সকল জনগণকে উজ্জীবিত করেছিল । এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নে বড় অবদান রেখেছে।
১৯৭২ সালের চীনের টেবিল টেনিস দল আবার যুক্তরাষ্ট্র যায়। এভাবে এই দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে।
বিশ্বে টেবিল টেনিস খেলায় শীর্ষে চীন। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো টেবিল টেনিস খেলা অন্তর্ভুক্ত হয়। এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে টেবিল টেনিসের ৩২টি স্বর্ণপদকের মধ্যে ২৮টিই চীনের।
শুধু যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিতে টেবিল টেনিস প্রভাব ফেলেছে তা নয়। টেবিল টেনিসের কোর্টেও এর প্রভাব রয়েছে। ২০১৯ সালের বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত টেবিল টেনিস বিশ্বকাপে চীনের দলের চারজন সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্যদের সঙ্গে যৌথভাবে অনুশীলন করতে দেখা যায়।
বর্তমানে পিংপং কূটনীতির ব্যাপক প্রসার হয়েছে। চীন শুধু বিশ্ব টেবিল টেনিসে তাদের আধিপত্য নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এই দক্ষতাকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মাধ্যমে সম্পর্কোন্নয়নে ব্যবহার করছে চীন। এরই ধারবাহিকতায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে পাপুয়া নিউগিনিতে টেবিল টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে দেয় চীনা টেবিল টেনিস কলেজ। এর পরের বছর প্যাসিফিক গেমসে পাপুয়া নিউগিনি রৌপ্য পদক পায়। তাঁদের ইতিহাসে তখন সেটিই ছিল সর্বোচ্চ অর্জন।
বর্তমান বিশ্ব অর্ধশতক আগের বিশ্বের চেয়ে অনেক বদলে গেছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি দেখিয়ে দিচ্ছে পরাস্পরিক সহযোগিতা কতোটা জরুরি।
একটি ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেরি সিওরোস্লান বলেন, পিংপং কূটনীতি নিয়ে তিনি তরুণ বয়সে জেনেছেন এবং উত্তরাধিকারসূত্রে সেই ধারাবাহিকরা রক্ষা করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত শনিবার ১০ এপ্রিল পিংপং কূটনীতির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন হয়। যেখানে চীন এবং আমেরিকান টেবিল টেনিস প্রেমীদের চারটি দল অংশ নেয়। এই দলের সদস্য ছিলেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সাংহাই ক্যাম্পাসের উপচার্য জেফ্রি লেম্যান। ১৯৭২ সালে স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রীতি ম্যাচটিও তিনি দেখেছেন।
এ নিয়ে লেম্যান বলেন, অবশ্যই সেটি একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ওই দুই খেলোয়াড় ইতিহাসই বদলে দিয়েছিলেন!
১৯৫০ সালে কোরিয়া যুদ্ধে জড়িয়ে যায় চীন। মূলত এরপর থেকেই দেশটিকে আগ্রাসী হিসেবে বিবেচনা করতে শুরু করে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া সমাজতান্ত্রিক চীনকে বিশ্বস্ত বন্ধু ভাবতে পারেনি পুঁজিবাদী মার্কিনরা। এর সঙ্গে ক্রমেই জড়িয়ে যায় নানা ভূরাজনৈতিক উপাদান।
তবে এই দুই দেশের সম্পর্কের মোড় ঘুরে যায় ১৯৭০-এর দশকে। ১৯৭১ সালে ৩১তম বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপ অনুষ্ঠিত হয় জাপানের নাগোয়াতে। সেখানে যোগ দেওয়া মার্কিন টেবিল টেনিস দলকে আমন্ত্রণ জানায় চীন। ১৯৪৯ সালের পর কোনো মার্কিন প্রতিনিধির এটাই প্রথম চীন সফর। সেই ঐতিহাসিক সফরের পর চীন-মার্কিন সম্পর্কের ক্ষেত্রে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়। সেই সফরে মুখোমুখি হন মার্কিন টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়ন গ্লেন কাওয়ান আর চীনা চ্যাম্পিয়ন ঝুয়াং জেদং। এর জেরেই ১৯৭২ সালের জুলাইয়ে তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট রিচার্ড নিক্সন চীন সফরে আসেন। এরপরই সিনো-মার্কিন বাণিজ্যিক ও কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপিত হয়। এই ঘটনা পরবর্তীতে ‘ পিংপং কূটনীতি’ হিসেবে খ্যাত হয়।
গত ১০ এপ্রিল পিংপং কূটনীতির ৫০ বছর উদযাপিত হলো। এই উপলক্ষে সাংহাইতে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
একটি ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রে চীনা রাষ্ট্রদূত চুই তিয়ানকাই বলেন, চীন-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের একটি বিশেষ তাৎপর্য এই পিংপং কূটনীতি।
ছোট বলই বড় বলকে সরিয়ে দেয়; চীনের লোকজন পিংপং কূটনীতি নিয়ে এমনটিই বলে থাকেন। ১৯৭১ সালে টেবিল টেনিসের ছোট্ট বলই চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সম্পর্কের দেয়াল সরাতে বড় অবদান রেখেছিল। সেই ঘটনার ৫০ বছর পরও যেন দুই দেশের সম্পর্কোন্নয়নে নড়ছে একটি ছোট্ট বল।
মাও সে তুংয়ের চীন অবশ্য সম্পর্ক উন্নয়নে সব সময় খেলাধুলাকে গুরুত্ব দিয়ে এসেছে। মাও-এর চীনের নীতিই হলো, ‘আগে বন্ধুত্ব, পরে প্রতিযোগিতা’। এই নীতিতেই এখনো বিশ্ব দাপিয়ে বেড়াচ্ছে এশিয়ার এ অর্থনৈতিক জায়ান্ট।
১৯৭১ সালের মার্চের শেষ দিকে ঝুয়াং জেদং ও চীনের দল জাপানে বিশ্ব টেবিল টেনিস চ্যাম্পিয়নশিপে অংশ নেয়। খেলা চলাকালে একদিন মার্কিন টেবিল টেনিস তারকা গ্লেন কাওয়ান তাদের জন্য নির্ধারিত বাসটি মিস করেন। পরে তিনি চীনা দলের বাসে উঠে পড়েন। ওই বাসে সবাই তাকে তাচ্ছিল্য দেখাতে থাকে। কিন্তু ঝুয়াং জেদং ছিলেন আলাদা। তিনি কাওয়ানকে স্বাগত জানান । এখান থেকেই পিংপং কূটনীতির শুরু। পরে মার্কিন খেলোয়াড়দের আমন্ত্রণ জানায় চীন।
এভাবেই খেলাধুলার মাধ্যমে প্রাচ্য আর পাশ্চাত্যের মধ্যে স্থাপিত হয়েছিল একটি অনন্য যোগসূত্র। এক সপ্তাহ স্থায়ী সেই সফরে বিখ্যাত মার্কিন খেলোয়াড় গ্লেন কাওয়ান মুখোমুখি হন তিনবারের বিশ্বসেরা ঝুয়াং জেদংয়ের। অত্যন্ত হৃদ্যতাপূর্ণ সেই প্রীতি ম্যাচের সূত্র ধরেই ১৯৭২-এ প্রথম মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে চীন সফরে আসেন রিচার্ড নিক্সন।
এ নিয়ে চীনের দলের তৎকালীন কোচ ইন্টারন্যাশনাল টেবিল টেনিস ফাউন্ডেশনের বর্তমান প্রেসিডেন্ট জু ইয়িনশেং বলেন, ঝুয়াং তখন সঠিক সময়ে সঠিক কাজটিই করেছিলেন।
টেবিল টেনিস বিশ্বকাপের সাবেক প্রধান আম্পায়ার এবং সাংহাই জিয়াওটং বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক সুন কিলিনের স্মৃতির পাতায় এখনও উজ্জ্বল চীন-যুক্তরাষ্ট্রের টেবিল টেনিস খেলোয়াড়দের সেই প্রীতি ম্যাচটি ।
৭১ বছর বয়সী সান বলেন, পিংপং কূটনীতি চীনের সকল জনগণকে উজ্জীবিত করেছিল । এটি চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্কোন্নয়নে বড় অবদান রেখেছে।
১৯৭২ সালের চীনের টেবিল টেনিস দল আবার যুক্তরাষ্ট্র যায়। এভাবে এই দুই দেশের সম্পর্কের বরফ গলতে শুরু করে।
বিশ্বে টেবিল টেনিস খেলায় শীর্ষে চীন। ১৯৮৮ সালের অলিম্পিকে প্রথমবারের মতো টেবিল টেনিস খেলা অন্তর্ভুক্ত হয়। এখন পর্যন্ত অলিম্পিকে টেবিল টেনিসের ৩২টি স্বর্ণপদকের মধ্যে ২৮টিই চীনের।
শুধু যে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনীতিতে টেবিল টেনিস প্রভাব ফেলেছে তা নয়। টেবিল টেনিসের কোর্টেও এর প্রভাব রয়েছে। ২০১৯ সালের বুদাপেস্টে অনুষ্ঠিত টেবিল টেনিস বিশ্বকাপে চীনের দলের চারজন সদস্যকে যুক্তরাষ্ট্র দলের সদস্যদের সঙ্গে যৌথভাবে অনুশীলন করতে দেখা যায়।
বর্তমানে পিংপং কূটনীতির ব্যাপক প্রসার হয়েছে। চীন শুধু বিশ্ব টেবিল টেনিসে তাদের আধিপত্য নিয়ে সন্তুষ্ট নয়। এই দক্ষতাকে বিভিন্ন দেশের সঙ্গে মাধ্যমে সম্পর্কোন্নয়নে ব্যবহার করছে চীন। এরই ধারবাহিকতায় ২০১৮ সালের নভেম্বরে পাপুয়া নিউগিনিতে টেবিল টেনিস প্রশিক্ষণ কেন্দ্র করে দেয় চীনা টেবিল টেনিস কলেজ। এর পরের বছর প্যাসিফিক গেমসে পাপুয়া নিউগিনি রৌপ্য পদক পায়। তাঁদের ইতিহাসে তখন সেটিই ছিল সর্বোচ্চ অর্জন।
বর্তমান বিশ্ব অর্ধশতক আগের বিশ্বের চেয়ে অনেক বদলে গেছে। বিশেষ করে করোনাভাইরাসের বৈশ্বিক মহামারি দেখিয়ে দিচ্ছে পরাস্পরিক সহযোগিতা কতোটা জরুরি।
একটি ভিডিও বার্তায় যুক্তরাষ্ট্রের টেবিল টেনিস ফেডারেশনের সাবেক প্রেসিডেন্ট শেরি সিওরোস্লান বলেন, পিংপং কূটনীতি নিয়ে তিনি তরুণ বয়সে জেনেছেন এবং উত্তরাধিকারসূত্রে সেই ধারাবাহিকরা রক্ষা করে যাওয়ার চেষ্টা করছেন।
গত শনিবার ১০ এপ্রিল পিংপং কূটনীতির সুবর্ণ জয়ন্তী উপলক্ষে একটি প্রীতি ম্যাচের আয়োজন হয়। যেখানে চীন এবং আমেরিকান টেবিল টেনিস প্রেমীদের চারটি দল অংশ নেয়। এই দলের সদস্য ছিলেন নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির সাংহাই ক্যাম্পাসের উপচার্য জেফ্রি লেম্যান। ১৯৭২ সালে স্কুলের ছাত্র থাকা অবস্থায় চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সেই প্রীতি ম্যাচটিও তিনি দেখেছেন।
এ নিয়ে লেম্যান বলেন, অবশ্যই সেটি একটি টার্নিং পয়েন্ট ছিল। ওই দুই খেলোয়াড় ইতিহাসই বদলে দিয়েছিলেন!
ওয়াশিংটনের হোয়াইট হাউসে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে। জেলেনস্কি হোয়াইট হাউসের উত্তর প্রবেশপথে পৌঁছালে ট্রাম্প তাঁকে করমর্দন করে ও হাসি দিয়ে স্বাগত জানান।
২ ঘণ্টা আগেএক অদ্ভুত পদক্ষেপের কারণে আবারও আলোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে রুশ বাহিনী। ইউক্রেনের জাপোরিঝিয়া অঞ্চলের মালা টকমাচকা এলাকায় হামলা চালানোর সময় দখল করা একটি মার্কিন সাঁজোয়া যানে তারা রাশিয়ার পতাকার পাশে আমেরিকার পতাকাও উড়িয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেস্থানীয় সময় বেলা ১টা ১৫ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত ১১টা ১৫ মিনিট) এই বৈঠক শুরু হওয়ার কথা রয়েছে। বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কিসহ প্রায় সব ইউরোপীয় নেতা হোয়াইট হাউসে এসে পৌঁছেছেন।
৩ ঘণ্টা আগেট্রাম্প-পুতিন বৈঠকের মাত্র তিন দিন পরে পুতিন ফোন করলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে। জানালেন, বৈঠকের আগে তাঁর দেওয়া পরামর্শ কতটা কাজে লেগেছে। মোদির উত্তরও ছিল কূটনৈতিক—ভারত এখনো বিশ্বাস করে আলোচনার পথেই শান্তি সম্ভব। কিন্তু এর বাইরেও রয়েছে শক্ত বার্তা। রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যত স্বীকার
৪ ঘণ্টা আগে