উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। তাই নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের দিকে দেশের কর্মকর্তাদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। আজ সোমবার দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল রোববার ক্ষমতাসীন দলের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারণ, এবারের উদ্যাপনে আতশবাজি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকলেও ছিল না কোনো সামরিক মহড়া। পারমাণবিক অস্ত্রের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় নাকাল হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। এর সঙ্গে অতি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক এক তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসে। সেখানে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্ব থেকে স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন হয় উত্তর কোরিয়া। এটি তীব্র খাদ্য সংকটের সৃষ্টি করে। এখন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় সংকট হলো ক্ষুধা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দলীয় ও সরকারি সভায় কিম উন বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সবার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ। তবে এর মধ্যেও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন চান না কিম।
দলের ভেতরে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে বিভাজন তৈরি হলেও বক্তব্য কিম এ নিয়ে কিছু বলেননি। শুধু বলেছেন, এমন দুর্যোগে অভাবনীয় চ্যালেঞ্জ জয়ের পথে এগিয়ে যেতে হলে একমাত্র রাস্তা হলো দলীয় ঐক্য। কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকারমূলক কোনো বিশেষ সুযোগ গ্রহণ না করে সর্বদা জনগণের স্বার্থেই কাজ করা উচিত।
রাষ্ট্রীয় ওই গণমাধ্যমে প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সব কর্মকর্তা কালো পোশাক পরিহিত। তেমন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতেও দেখা যায়নি তাঁদের। ছিল না মাস্ক বা করোনা থেকে বাঁচতে অন্য কোনো স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
দেশটি এখন পর্যন্ত কোন কোভিড আক্রান্ত রোগীর পাওয়ার কথা স্বীকার করেনি। তারপরও উত্তর কোরিয়া তার সীমান্তে কঠোর লকডাউন, চলাচলের বিধিনিষেধ এবং অন্যান্য ব্যবস্থা জারি রেখেছে। তাদের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা যায়, দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির তরুণেরা গালা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে এবং সবাই দেশের পূর্ববর্তী নেতাদের মূর্তিতে ফুল দিচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়াকে যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি জানালেও দেশটির মানবিক বিপর্যয়ের জন্য কিম প্রশাসনকেই দায়ী করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার কিমকে ‘অবৈধ শাসক’ উল্লেখ করে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, গণবিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি গড়ে তোলার কারণেই উত্তর কোরিয়ার মানুষ আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
উত্তর কোরিয়ার অর্থনীতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের সম্মুখীন। তাই নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়নের দিকে দেশের কর্মকর্তাদের নজর দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন দেশটির নেতা কিম জং উন। আজ সোমবার দেশটির ওয়ার্কার্স পার্টির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে তিনি এ কথা বলেন।
গতকাল রোববার ক্ষমতাসীন দলের ৭৬ তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী অনেকটাই অনাড়ম্বরভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে। কারণ, এবারের উদ্যাপনে আতশবাজি ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান থাকলেও ছিল না কোনো সামরিক মহড়া। পারমাণবিক অস্ত্রের কারণে দীর্ঘদিন ধরেই আন্তর্জাতিক নিষেধাজ্ঞায় নাকাল হয়ে পড়েছে দেশটির অর্থনীতি। এর সঙ্গে অতি বৃষ্টির ফলে সৃষ্ট বন্যা এতে নতুন মাত্রা যোগ করেছে।
জাতিসংঘের মানবাধিকার পরিস্থিতি বিষয়ক এক তদন্তকারী কর্মকর্তার প্রতিবেদন গত সপ্তাহে বার্তা সংস্থা রয়টার্সের হাতে আসে। সেখানে বলা হয়, কোভিড-১৯ মহামারিতে বিশ্ব থেকে স্বেচ্ছায় বিচ্ছিন্ন হয় উত্তর কোরিয়া। এটি তীব্র খাদ্য সংকটের সৃষ্টি করে। এখন উত্তর কোরিয়ার সবচেয়ে বড় সংকট হলো ক্ষুধা।
দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা কেসিএনএর এ সম্পর্কিত প্রতিবেদনে বলা হয়, সম্প্রতি দলীয় ও সরকারি সভায় কিম উন বলেছেন, দেশের পরিস্থিতি মোকাবিলা করে অর্থনীতি পুনরুদ্ধার সবার জন্য এক নতুন চ্যালেঞ্জ। তবে এর মধ্যেও পারমাণবিক অস্ত্র নিয়ে রাজনৈতিক বিভাজন চান না কিম।
দলের ভেতরে পারমাণবিক অস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে বিভাজন তৈরি হলেও বক্তব্য কিম এ নিয়ে কিছু বলেননি। শুধু বলেছেন, এমন দুর্যোগে অভাবনীয় চ্যালেঞ্জ জয়ের পথে এগিয়ে যেতে হলে একমাত্র রাস্তা হলো দলীয় ঐক্য। কর্মকর্তাদের অগ্রাধিকারমূলক কোনো বিশেষ সুযোগ গ্রহণ না করে সর্বদা জনগণের স্বার্থেই কাজ করা উচিত।
রাষ্ট্রীয় ওই গণমাধ্যমে প্রচারিত ওই অনুষ্ঠানে দেখা যায়, অনুষ্ঠানে যোগ দেওয়া সব কর্মকর্তা কালো পোশাক পরিহিত। তেমন শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখতেও দেখা যায়নি তাঁদের। ছিল না মাস্ক বা করোনা থেকে বাঁচতে অন্য কোনো স্বাস্থ্য সতর্কতামূলক ব্যবস্থা।
দেশটি এখন পর্যন্ত কোন কোভিড আক্রান্ত রোগীর পাওয়ার কথা স্বীকার করেনি। তারপরও উত্তর কোরিয়া তার সীমান্তে কঠোর লকডাউন, চলাচলের বিধিনিষেধ এবং অন্যান্য ব্যবস্থা জারি রেখেছে। তাদের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেখা যায়, দলটির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দেশটির তরুণেরা গালা অনুষ্ঠানে যোগ দিচ্ছে এবং সবাই দেশের পূর্ববর্তী নেতাদের মূর্তিতে ফুল দিচ্ছে।
অন্যদিকে উত্তর কোরিয়াকে যেকোনো আন্তর্জাতিক মানবিক সহায়তায় যুক্তরাষ্ট্র আপত্তি জানালেও দেশটির মানবিক বিপর্যয়ের জন্য কিম প্রশাসনকেই দায়ী করেছে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গত বৃহস্পতিবার কিমকে ‘অবৈধ শাসক’ উল্লেখ করে ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র নেড প্রাইস বলেন, গণবিধ্বংসী পারমাণবিক অস্ত্র এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি গড়ে তোলার কারণেই উত্তর কোরিয়ার মানুষ আজ অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন।
সম্প্রতি কুয়েতের প্রায় ৫০ হাজার মানুষের নাগরিকত্ব বাতিল করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রথম উপ-প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী শেখ ফাহাদ ইউসুফ সউদ আল সাবাহ। আল-কাবাস পত্রিকাকে তিনি জানান, কয়েকটি দেশের সঙ্গে সমন্বয়ের মাধ্যমে বহু ‘প্রতারক’ শনাক্ত করা হয়েছে।
২৮ মিনিট আগেমিছিলের অগ্রভাগে ছিলেন রাহুল গান্ধী, প্রিয়াঙ্কা গান্ধী; তৃণমূল কংগ্রেসের মহুয়া মৈত্র, সুস্মিতা দেব; সমাজবাদী পার্টির অখিলেশ যাদব; শিবসেনার সঞ্জয় রাউতসহ অন্যান্য দলের শীর্ষ নেতারা। তাঁদের হাতে ‘চুপি চুপি ভোটের কারচুপি?’ লেখা পোস্টার ছিল এবং তাঁরা ‘ভোট চুরি মানছি না, মানব না’ স্লোগান দিচ্ছিলেন।
৩০ মিনিট আগেভিয়েতনামের কৃষক নুয়েন থি হুয়ং। চিন্তায় ঠিকমতো ঘুমোতে পারছেন না। হাতছাড়া হতে যাচ্ছে তাঁর রুজি-রোজগারের একমাত্র উপায়। তাও আবার তাঁর নিজ দেশে ট্রাম্প পরিবারের সমর্থনে নির্মিত হতে যাওয়া একটি গলফ ক্লাবের জন্য। বিনিময়ে মিলবে মাত্র ৩ হাজার ২০০ মার্কিন ডলার এবং কয়েক মাসের জন্য চাল।
২ ঘণ্টা আগেপারমাণবিক হামলায় বেঁচে যাওয়া ব্যক্তিদের অনেকে ছিলেন অল্পবয়সী নারী, যাঁরা বোমা হামলার সময় গর্ভবতী বা সন্তান ধারণের উপযুক্ত বয়সে ছিলেন। কিন্তু তাঁদের শরীর থেকে সন্তানের শরীরে তেজস্ক্রিয়তা প্রবেশ করতে পারে, এই ভয়ে একপ্রকার ধ্বংসই হয়ে গেছে তাঁদের জীবন। চিকিৎসক, পরিচিতজন, বন্ধুবান্ধব এমনকি পরিবারের...
২ ঘণ্টা আগে