দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে পদত্যাগ করেননি। ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্যের পক্ষ থেকে পদত্যাগের তীব্র চাপ এবং আসন্ন অভিশংসন ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দিলেন।
ইউন বলেন, সামরিক আইন জারি করার জন্য আইনগত এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়ানোর কোনো চেষ্টা তিনি করবেন না। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই হতাশা থেকে নেওয়া।’
গত বুধবার ভোরে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রত্যাহারের পর এটিই ছিল ইউনের প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য। আদেশ জারি করার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করেন প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্ট সামরিক ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এই আদেশের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পর আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
আজ জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ইউন বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং যেসব মানুষ এতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন, তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ এ সময় তিনি নত হয়ে জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আমার দলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করছি, যাতে তারা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে আমার মেয়াদ সম্পর্কিত বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
প্রেসিডেন্ট ইউনের পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান ডং-হুন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এখন আর জনগণের দায়িত্ব পালন করার অবস্থায় নেই এবং তাঁর পদত্যাগ এখন অনিবার্য।’
গতকাল শুক্রবার হান বলেছিলেন, ইউন দেশের জন্য হুমকি এবং তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তবে পিপিপি সদস্যরা পরবর্তীতে তাঁর অভিশংসনের আনুষ্ঠানিক বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, আজ হান প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, যদি ইউন পদত্যাগ করেন বা অভিশংসিত হন, তবে প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রেসিডেন্ট ইউন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হবেন।
আজ ইউনের অভিশংসনের জন্য প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রস্তাবের ওপর আইনপ্রণেতারা ভোট দেবেন।
প্রেসিডেন্ট ইউন গত মঙ্গলবার রাতে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে সামরিক বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ উৎখাত এবং বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাধা দূর করার জন্য জরুরি ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেন।
কিছু পিপিপি সদস্য ভোটের আগে ইউনকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, কারণ তাঁরা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাইয়ের অভিশংসনের পুনরাবৃত্তি চান না। সেই সময়, ক্ষমতার অপব্যবহারের কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভের ফলে পার্ক পদত্যাগ করেন। তাঁর পতনের ফলে দলটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এবং সাধারণ নির্বাচনে উদারপন্থীদের বিজয় ঘটে।
সেই বিক্ষোভের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মোমবাতি হাতে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে ইউনের অভিশংসনের দাবি জানায়। ভোটের আগে আজ আরও বড় বিক্ষোভ হতে পারে।
এদিকে পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর ইউন এবং সামরিক আইন আদেশে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যদের অধিকার আদায়ে বাধা দেওয়ার সম্ভাব্য অভিযোগ আনা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা দোষী সাব্যস্ত হলে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সামরিক আইন জারির জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে পদত্যাগ করেননি। ক্ষমতাসীন দলের কিছু সদস্যের পক্ষ থেকে পদত্যাগের তীব্র চাপ এবং আসন্ন অভিশংসন ভোটের কয়েক ঘণ্টা আগে আজ শনিবার প্রেসিডেন্ট এ ঘোষণা দিলেন।
ইউন বলেন, সামরিক আইন জারি করার জন্য আইনগত এবং রাজনৈতিক দায়িত্ব এড়ানোর কোনো চেষ্টা তিনি করবেন না। তিনি বলেন, ‘এই সিদ্ধান্ত ছিল একান্তই হতাশা থেকে নেওয়া।’
গত বুধবার ভোরে সামরিক আইন জারির কয়েক ঘণ্টার ব্যবধানে প্রত্যাহারের পর এটিই ছিল ইউনের প্রথম প্রকাশ্য বক্তব্য। আদেশ জারি করার মাত্র ছয় ঘণ্টার মধ্যেই তা প্রত্যাহার করেন প্রেসিডেন্ট। পার্লামেন্ট সামরিক ও পুলিশি বাধা উপেক্ষা করে এই আদেশের বিরুদ্ধে ভোট দেওয়ার পর আদেশ প্রত্যাহার করতে বাধ্য হন তিনি।
আজ জাতির উদ্দেশে এক টেলিভিশন বক্তৃতায় ইউন বলেন, ‘আমি খুবই দুঃখিত এবং যেসব মানুষ এতে বড় ধাক্কা খেয়েছেন, তাঁদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি।’ এ সময় তিনি নত হয়ে জাতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন করেন।
প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘আমি আমার দলের ওপর দায়িত্ব অর্পণ করছি, যাতে তারা ভবিষ্যতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল করার পদক্ষেপ নেয়। এর মধ্যে আমার মেয়াদ সম্পর্কিত বিষয়টিও অন্তর্ভুক্ত থাকবে।’
প্রেসিডেন্ট ইউনের পিপলস পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) নেতা হান ডং-হুন বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট এখন আর জনগণের দায়িত্ব পালন করার অবস্থায় নেই এবং তাঁর পদত্যাগ এখন অনিবার্য।’
গতকাল শুক্রবার হান বলেছিলেন, ইউন দেশের জন্য হুমকি এবং তাঁকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া প্রয়োজন। তবে পিপিপি সদস্যরা পরবর্তীতে তাঁর অভিশংসনের আনুষ্ঠানিক বিরোধিতা পুনর্ব্যক্ত করেন।
স্থানীয় ইয়োনহাপ নিউজ জানিয়েছে, আজ হান প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সুর সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে। সংবিধান অনুযায়ী, যদি ইউন পদত্যাগ করেন বা অভিশংসিত হন, তবে প্রধানমন্ত্রী, যিনি প্রেসিডেন্ট ইউন কর্তৃক নিয়োগপ্রাপ্ত, তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট হবেন।
আজ ইউনের অভিশংসনের জন্য প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্রেটিক পার্টির প্রস্তাবের ওপর আইনপ্রণেতারা ভোট দেবেন।
প্রেসিডেন্ট ইউন গত মঙ্গলবার রাতে সারা বিশ্বকে চমকে দিয়ে সামরিক বাহিনীকে ‘রাষ্ট্রবিরোধী শক্তি’ উৎখাত এবং বিরোধী রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বাধা দূর করার জন্য জরুরি ক্ষমতা দিয়ে অধ্যাদেশ জারি করেন।
কিছু পিপিপি সদস্য ভোটের আগে ইউনকে পদত্যাগ করতে বলেছেন, কারণ তাঁরা ২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট পার্ক গিউন-হাইয়ের অভিশংসনের পুনরাবৃত্তি চান না। সেই সময়, ক্ষমতার অপব্যবহারের কেলেঙ্কারির বিরুদ্ধে মোমবাতি জ্বালিয়ে বিক্ষোভের ফলে পার্ক পদত্যাগ করেন। তাঁর পতনের ফলে দলটি ভেঙে পড়ে এবং পরবর্তী প্রেসিডেন্ট এবং সাধারণ নির্বাচনে উদারপন্থীদের বিজয় ঘটে।
সেই বিক্ষোভের স্মৃতি মনে করিয়ে দিয়ে গতকাল শুক্রবার রাতে হাজার হাজার বিক্ষোভকারী মোমবাতি হাতে পার্লামেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে ইউনের অভিশংসনের দাবি জানায়। ভোটের আগে আজ আরও বড় বিক্ষোভ হতে পারে।
এদিকে পুলিশ এবং ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের দুর্নীতি তদন্ত দপ্তর ইউন এবং সামরিক আইন আদেশে জড়িত শীর্ষ কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তদন্ত শুরু করেছে।
কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ, ক্ষমতার অপব্যবহার এবং অন্যদের অধিকার আদায়ে বাধা দেওয়ার সম্ভাব্য অভিযোগ আনা হতে পারে। সংশ্লিষ্টরা দোষী সাব্যস্ত হলে বিদ্রোহে নেতৃত্ব দেওয়ার অপরাধে মৃত্যুদণ্ড বা যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হতে পারে।
পাকিস্তানের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন দেশটি গোয়েন্দা সংস্থা ইন্টার সার্ভিস ইন্টেলিজেন্সের (আইএসআই) বর্তমান মহাপরিচালক লেফটেন্যান্ট জেনারেল মুহাম্মদ অসিম মালিক। তিনি পাকিস্তানের দশম জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের খবরে এই তথ্য জানান
৩২ মিনিট আগেভারত ও পাকিস্তানের সেনাদের মধ্যে টানা সপ্তম দিনের মতো গোলাগুলি হয়েছে। স্থানীয় সময় গতকাল বুধবার গভীর রাতে কাশ্মীরে বিবদমান সীমান্তে এই গোলাগুলি হয়। এতে কেউ হতাহত হয়েছে কিনা জানা যায়নি। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
১ ঘণ্টা আগেকাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলার জেরে যুদ্ধের দ্বারপ্রান্তে এসে দাঁড়িয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার পারমাণবিক শক্তিধর দুই বৈরী প্রতিবেশী ভারত ও পাকিস্তান। সীমান্তের নিয়ন্ত্রণরেখায় (এলওসি) ছয় দিন ধরে উভয় পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি গুলির ঘটনা ঘটছে। সীমান্তে জোরদার করা হয়েছে সামরিক বাহিনীর উপস্থিতি। কূটনীতিক বহিষ্কারসহ...
৮ ঘণ্টা আগেইউক্রেন যুদ্ধে রাশিয়ার হয়ে লড়াইয়ের জন্য ১৫ হাজার সেনাসদস্য পাঠিয়েছে উত্তর কোরিয়া। তাঁদের মধ্যে এখন পর্যন্ত প্রায় ৬০০ জন নিহতের খবর পাওয়া গেছে। আহত হয়েছেন আরও ৪ সহস্রাধিক। সব মিলিয়ে মোট হতাহতের সংখ্যা ৪ হাজার ৭০০ ছাড়িয়ে গেছে। গতকাল বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনআইএসের এক গোপন...
৯ ঘণ্টা আগে