অনলাইন ডেস্ক
মিয়ানমারের সাগাইন অঞ্চলে গত শুক্রবার যখন জুমার নামাজের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছিল, তখন শত শত মুসলমান মসজিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল দ্রুত। তারা রমজানের শেষ শুক্রবারের নামাজ আদায় করতে উৎসুক ছিল। কারণ, পবিত্র মাসের সমাপ্তি শেষে ঈদ উৎসবের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ছিল। কিন্তু তাদের আনন্দযাত্রা নিমেষেই পরিণত হয় শোকের মিছিলে।
সেদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে এক মারাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানে। তিনটি মসজিদ ধসে পড়ে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় মসজিদ মায়োমাও ছিল। এর ভেতরে প্রায় সবাই মারা যায়। জান্তা সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সেখানকার পাঁচটি মসজিদে থাকা পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা গেছে।
সাগাইন ও মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে সংঘটিত এই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার অব্যাহত রেখেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাগাইন বৌদ্ধপ্রধান অঞ্চল এবং এই অঞ্চল প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরগুলোর জন্য পরিচিত। তবে এই অঞ্চলের শহরগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মুসলিমের বসবাস আছে। দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং সোমবার জানিয়েছেন, মসজিদে নামাজ পড়ার সময় পাাঁচ শতাধিক মুসলমান নিহত হয়েছে।
সাগাইন অঞ্চলের প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, শহরের মসজিদগুলোর মধ্যে মায়োমা স্ট্রিটে অবস্থিত মসজিদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই সড়কের আরও অনেক বাড়িও ধসে পড়েছে। শত শত মানুষ এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে—কারও বাসা ভেঙে গেছে, কেউ আবার আফটারশকের ভয়ে ঘরে ফিরতে সাহস পাচ্ছে না। খাদ্যের সরবরাহও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
শুধু মায়োমাতেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে, আর মিয়োদাও ও মোইকিয়া মসজিদেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখান থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হচ্ছিল।
এদিকে, মিয়ানমারে গত শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানীর ৭০ শতাংশ ভবন। স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পানিই নেই, খাবার তো দূরের কথা। বিদ্যুৎ নেই। জ্বালানি, ওষুধ, আশ্রয়—এসব এখন বিলাসিতা।’
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়া দেশটিতে একের পর এক যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই আছে। গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর গৃহযুদ্ধের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার পর এই সংঘাত শুরু হয়।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (এনইউজি)। তবে এই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা রোববার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য একতরফা যুদ্ধবিরতি পালন করবে। তবে সেনা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ৩০ লাখের বেশি মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহে সেনাবাহিনী আগে থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। সমালোচকেরা বলছেন, সেনারা ত্রাণকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
মিয়ানমারের সাগাইন অঞ্চলে গত শুক্রবার যখন জুমার নামাজের আজানের ধ্বনি ভেসে আসছিল, তখন শত শত মুসলমান মসজিদের দিকে এগিয়ে যাচ্ছিল দ্রুত। তারা রমজানের শেষ শুক্রবারের নামাজ আদায় করতে উৎসুক ছিল। কারণ, পবিত্র মাসের সমাপ্তি শেষে ঈদ উৎসবের আর মাত্র কয়েক দিন বাকি ছিল। কিন্তু তাদের আনন্দযাত্রা নিমেষেই পরিণত হয় শোকের মিছিলে।
সেদিন স্থানীয় সময় দুপুর ১২টা ৫১ মিনিটে এক মারাত্মক ভূমিকম্প আঘাত হানে। তিনটি মসজিদ ধসে পড়ে। যার মধ্যে সবচেয়ে বড় মসজিদ মায়োমাও ছিল। এর ভেতরে প্রায় সবাই মারা যায়। জান্তা সরকারের দেওয়া তথ্য অনুসারে, সেখানকার পাঁচটি মসজিদে থাকা পাঁচ শতাধিক মানুষ মারা গেছে।
সাগাইন ও মিয়ানমারের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর মান্দালয়ের কাছে সংঘটিত এই ভূমিকম্পে ২ হাজার ৭০০ জনেরও বেশি মানুষ মারা গেছে। উদ্ধারকারীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মৃতদেহ উদ্ধার অব্যাহত রেখেছে। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
সাগাইন বৌদ্ধপ্রধান অঞ্চল এবং এই অঞ্চল প্রাচীন বৌদ্ধ মন্দিরগুলোর জন্য পরিচিত। তবে এই অঞ্চলের শহরগুলোতে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মুসলিমের বসবাস আছে। দেশটির জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং সোমবার জানিয়েছেন, মসজিদে নামাজ পড়ার সময় পাাঁচ শতাধিক মুসলমান নিহত হয়েছে।
সাগাইন অঞ্চলের প্রত্যক্ষদর্শীরা বিবিসিকে জানিয়েছেন, শহরের মসজিদগুলোর মধ্যে মায়োমা স্ট্রিটে অবস্থিত মসজিদের অবস্থা ছিল সবচেয়ে ভয়াবহ। ওই সড়কের আরও অনেক বাড়িও ধসে পড়েছে। শত শত মানুষ এখন রাস্তায় আশ্রয় নিয়েছে—কারও বাসা ভেঙে গেছে, কেউ আবার আফটারশকের ভয়ে ঘরে ফিরতে সাহস পাচ্ছে না। খাদ্যের সরবরাহও সংকটাপন্ন বলে জানা গেছে।
শুধু মায়োমাতেই ধ্বংসস্তূপের নিচে চাপা পড়ে ৬০ জনের বেশি মানুষ মারা গেছে, আর মিয়োদাও ও মোইকিয়া মসজিদেও বহু মানুষের মৃত্যু হয়েছে। মঙ্গলবার পর্যন্ত সেখান থেকে আরও মৃতদেহ উদ্ধার করা হচ্ছিল।
এদিকে, মিয়ানমারে গত শতাব্দীর সবচেয়ে শক্তিশালী এই ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২ হাজার ৭০০ ছাড়িয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে রাজধানীর ৭০ শতাংশ ভবন। স্থানীয় এক বাসিন্দা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘পানিই নেই, খাবার তো দূরের কথা। বিদ্যুৎ নেই। জ্বালানি, ওষুধ, আশ্রয়—এসব এখন বিলাসিতা।’
১৯৪৮ সালে ব্রিটিশ শাসন থেকে স্বাধীন হওয়া দেশটিতে একের পর এক যুদ্ধ ও প্রাকৃতিক দুর্যোগ লেগেই আছে। গত শুক্রবার ৭ দশমিক ৭ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর গৃহযুদ্ধের কারণে ত্রাণ কার্যক্রম এখন আরও কঠিন হয়ে পড়েছে। ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনাবাহিনী অং সান সু চির সরকারকে উৎখাত করে ক্ষমতা দখল করার পর এই সংঘাত শুরু হয়।
বার্তা সংস্থা এপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় ত্রাণ পৌঁছানোর ক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় বাধা হলো ‘ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট’ (এনইউজি)। তবে এই সশস্ত্র বিদ্রোহী গোষ্ঠী গতকাল শনিবার ঘোষণা দিয়েছে, তারা রোববার থেকে দুই সপ্তাহের জন্য একতরফা যুদ্ধবিরতি পালন করবে। তবে সেনা সরকারের পক্ষ থেকে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।
সংঘাতে বাস্তুচ্যুত ৩০ লাখের বেশি মানুষের জন্য ত্রাণ সরবরাহে সেনাবাহিনী আগে থেকেই কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করে রেখেছে। সমালোচকেরা বলছেন, সেনারা ত্রাণকে ‘অস্ত্র’ হিসেবে ব্যবহার করছে।
ইরানের শাহেদ ড্রোনের নকশা ব্যবহার করে এই ড্রোন উৎপাদনের জন্য বিশাল এক কারখানা নির্মাণ করেছে রাশিয়া। তাতারস্তান অঞ্চলের আলাবুগা শিল্প এলাকায় অবস্থিত এই কারখানা বর্তমানে রাশিয়ার সবচেয়ে বড় ড্রোন উৎপাদন কেন্দ্র।
৪ ঘণ্টা আগেইসরায়েলের নিরাপত্তা মন্ত্রিসভা গাজা সিটির নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পরিকল্পনা অনুমোদন করেছে। প্রায় দুই বছর ধরে চলমান যুদ্ধের মধ্যে এই সিদ্ধান্তের ফলে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক অভিযান আরও বিস্তৃত হবে। শুক্রবার এই সিদ্ধান্ত দেশি-বিদেশি মহলে নতুন করে তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে...
৬ ঘণ্টা আগেগাজায় চলমান যুদ্ধ, অর্থনৈতিক বিপর্যয় এবং খাদ্যসহ জরুরি পণ্যের তীব্র সংকটের মধ্যে সাধারণ মানুষের বেঁচে থাকার লড়াই আরও কঠিন হয়ে উঠেছে। ব্যাংকগুলো দীর্ঘদিন বন্ধ, স্থানীয় বাজারে ডিজিটাল লেনদেনও প্রায় অগ্রহণযোগ্য।
৬ ঘণ্টা আগেভারতীয় পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর সম্পর্কে টানাপোড়েন সৃষ্টি হয়েছে। এর মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ হয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির। আজ শুক্রবার (৮ আগস্ট) সাম্প্রতিক নানা বিষয়ে কথা হয় এই দুই নেতার।
৬ ঘণ্টা আগে