Ajker Patrika

মানব পাচারে দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তার

আপডেট : ২১ জানুয়ারি ২০২৪, ২২: ৫৭
মানব পাচারে দুই বাংলাদেশি ব্যবসায়ী, থাইল্যান্ডে গ্রেপ্তার

মানব পাচারের অভিযোগে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ডে দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গত বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ব্যুরোর কর্মকর্তারা ওই দুই বাংলাদেশিকে গ্রেপ্তারের তথ্য জানিয়েছেন। 

ব্যাংককভিত্তিক ইংরেজি সংবাদমাধ্যম খাওসোদের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশি পাচারকারী চক্রটিকে গ্রেপ্তারে দীর্ঘদিন ধরে চেষ্টা চালিয়ে আসছিল থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন ব্যুরো। ‘আশরাফ গ্যাং’ নামে পরিচিত অবৈধ অভিবাসী পাচারকারী চক্রটিকে শেষ পর্যন্ত গ্রেপ্তারে সক্ষম হয়েছে থাইল্যান্ডের আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। 

খাওসোদ বলছে, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা অভিযানে মানব পাচারকারী চক্রটির বাংলাদেশি দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাঁরা হলেন আশরাফ (৪৬) ও আবু (৪৭)। এই চক্রের মূল হোতা আশরাফ। আমদানি-রপ্তানি ব্যবসার আড়ালে তিনি মানব পাচার করতেন। 

থাইল্যান্ড ইমিগ্রেশন ব্যুরোর অপরাধ তদন্ত বিভাগের ডেপুটি কমান্ডার কর্নেল পানুপাকায়া জিত্প্রায়ুরাথি বলেন, গত বছরের জানুয়ারি ও মার্চ মাসে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা সোংখলা, পাত্তানি এবং নারাথিওয়াত প্রদেশে ৪১ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেন। অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশের অভিযোগে তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। সেই মামলার দীর্ঘ তদন্তে চক্রটির সদস্যদের শনাক্ত করে ইমিগ্রেশন বিভাগ। 

গত বছরের জানুয়ারি ও মার্চ মাসে ইমিগ্রেশন বিভাগের কর্মকর্তারা সোংখলা, পাত্তানি এবং নারাথিওয়াত প্রদেশে ৪১ বাংলাদেশি অভিবাসীকে গ্রেপ্তার করেন।

খাওসোদ বলছে, ওই সময় অবৈধভাবে থাইল্যান্ডে প্রবেশকারী বাংলাদেশিদের বিরুদ্ধে পাঁচটি মামলা হয়েছিল। এরপর চক্রটির অন্য সদস্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। অভিযানে আরও ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের মধ্যে ৮ জন থাই নাগরিক, একজন বাংলাদেশি এবং একজন পাকিস্তানি নাগরিক। 

মামলার তদন্তে দেখা যায়, ওই অভিবাসীরা সা কাইও প্রদেশে থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়ার সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অবৈধভাবে দেশটিতে প্রবেশ করেছিলেন। পরে তাঁরা একটি বাসে করে ব্যাংককে চলে যান। সেখানে পৌঁছানোর পর আশরাফের সহযোগী আবুর কাছে তাঁদের হস্তান্তর করা হয়। এরপর সেখান থেকে তাঁদের থাইল্যান্ডের নারাথিওয়াত প্রদেশের একটি সীমান্ত ক্রসিং দিয়ে অবৈধপথে মালয়েশিয়ায় পাঠানোর চেষ্টা করেন আবু। 

খাওসোদের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আশরাফ বাংলাদেশি ব্যবসায়ী। তিনি একটি আমদানি-রপ্তানি কোম্পানির মালিক। আশরাফের বিরুদ্ধে তদন্তে নেমে এসব তথ্য পান থাইল্যান্ডের ইমিগ্রেশন কর্মকর্তারা। প্রায় এক বছর ধরে বাংলাদেশি এই ব্যবসায়ীর বিরুদ্ধে তদন্ত চালিয়েছেন তাঁরা। 

কর্নেল পানুপাকায়া জিত্প্রায়ুরাথি বলেন, বাংলাদেশ ও কম্বোডিয়ার এজেন্টদের সহায়তায় অভিবাসীদের অবৈধ পথে থাইল্যান্ডে পৌঁছানোর ব্যবস্থা করেন আশরাফ। থাইল্যান্ডে অবৈধ পথে মানব পাচারের এই চক্র কয়েক বছরে ১১৭ মিলিয়ন থাই বাথ হাতিয়ে নিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

পেহেলগাম হামলা: ধরা খেয়ে গেল মোদির কাশ্মীর ন্যারেটিভ

বিবাহিতদের পুলিশ ক্যাডারে সুপারিশ না করার প্রস্তাব

ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা: বিমানবাহিনীকে সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিতে বললেন প্রধান উপদেষ্টা

সারজিসের সামনেই বগুড়ায় এনসিপি ও বৈষম্যবিরোধীদের মধ্যে হাতাহাতি-সংঘর্ষ

‘ঘুষের জন্য’ ৯১টি ফাইল আটকে রাখেন মাউশির ডিডি: দুদক

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত