আজকের পত্রিকা ডেস্ক
অস্ট্রেলিয়ায় বড়দিন উদ্যাপিত হয় বছরে দুবার। একবার ডিসেম্বরের প্রচলিত দিনে, আরও একবার দেশটির শীতের মাস জুলাইয়ে। ‘ক্রিসমাস ইন জুলাই’ এখন শুধু একটি ট্রেন্ড নয়, এটি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিবিসি জানিয়েছে, বাড়তি একটি বড়দিন উদ্যাপনের রীতি অস্ট্রেলিয়ায় সূচনা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। সেবার প্রথমবারের মতো দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসের ব্লু মাউন্টেনস অঞ্চলের একটি হোটেলে এই বড়দিন উদ্যাপিত হয়।
শীতার্ত সেই রাতে প্রচুর বরফ ঝরছিল। ঠিক তখনই ‘মাউন্টেন হেরিটেজ’ নামের সেই হোটেলে প্রবেশ করেন ছয় আইরিশ ভ্রমণকারী। তাঁদের দেখে হোটেলের মালিক গ্যারি ক্রকেট ভাবলেন—এই লোকদের জন্য একটি শীতকালীন বড়দিন আয়োজন করলে কেমন হয়!
যেমন ভাবলেন গ্যারি, তেমনই হলো সেই রাতে। সাজানো হলো ক্রিসমাস ট্রি, করা হয় আলোকসজ্জা, রান্না করা হয় বিফ, টার্কি, পর্ক, কুমড়ার স্যুপ আর ব্রিটিশ ঐতিহ্যবাহী প্লাম পুডিং।
রাতটি পরিণত হয় এক দুর্দান্ত পার্টিতে, চলে ভোররাত ৩টা পর্যন্ত। এরপর প্রতিবছর হোটেলটিতে ‘জুলাই বড়দিন’ উদ্যাপন শুরু হয় এবং দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় সারা দেশে। এমনকি বিদেশ থেকেও অতিথিরা আসতে শুরু করেন।
আজকের দিনে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি শহরেই জুলাই মাসে মানুষ বড়দিনের মতো করে উৎসব করেন। রেস্তোরাঁগুলোতে পাওয়া যায় বিশেষ ‘ক্রিসমাস মেনু’, ঘরবাড়িও সাজান অসংখ্য মানুষ, কেউ আবার দেন উপহার। সান্তাও হাজির হন যথারীতি!
বিশেষ এই বড়দিন উপলক্ষে নিউক্যাসলের ৩৭ বছর বয়সী জোশুয়া বন্ধুদের জন্য প্রস্তুত করেন ছয় পদের রাতের খাবার। তিনি বলেন, ‘আমি তো চাই বছরে দশবার বড়দিন হোক!’
ফিলিপিনো-অস্ট্রেলিয়ান নিল ফ্যারো বলেন, ‘শীতের বড়দিন অনেক বেশি উৎসবমুখর মনে হয়। আর জুলাই মানেই শীতের মাঝামাঝি।’
শুধু এসবই নয়, বাড়তি বড়দিন উপলক্ষে সিডনির ঐতিহাসিক ‘দ্য রকস’ এলাকায় আয়োজন করা হয় দুই সপ্তাহব্যাপী ক্রিসমাস মার্কেট। ইউরোপীয় কাঠের কটেজ, নকল বরফ, গেজানো ওয়াইন আর গলানো র্যাকলেট চিজের গন্ধে ভেসে যায় সেই মার্কেট।
এমনকি কেএফসিও ‘ক্রিসমাস ইন জুলাই’-এর প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে আজকাল! তবে এই উৎসব প্রথম যিনি শুরু করেছিলেন, সেই গ্যারি ক্রকেট মনে করেন, আসল বিষয়টি হচ্ছে—বন্ধুত্ব, ভালোবাসা আর আন্তরিক মিলন। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের বড়দিনে থাকে শান্তি, শীতের উষ্ণতা ও প্রিয়জনদের সঙ্গে একান্ত মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ। ডিসেম্বরের বড়দিন যেমন দায়বদ্ধতায় জর্জরিত, জুলাইয়েরটা তেমন নয়।’
ব্যতিক্রমী এই উৎসব তাই অনেকের কাছে বাস্তব বড়দিন থেকেও প্রিয় হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ায় বড়দিন এখন শুধু ডিসেম্বরের নয়, জুলাইয়েরও।
অস্ট্রেলিয়ায় বড়দিন উদ্যাপিত হয় বছরে দুবার। একবার ডিসেম্বরের প্রচলিত দিনে, আরও একবার দেশটির শীতের মাস জুলাইয়ে। ‘ক্রিসমাস ইন জুলাই’ এখন শুধু একটি ট্রেন্ড নয়, এটি অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় ঐতিহ্যে পরিণত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বিবিসি জানিয়েছে, বাড়তি একটি বড়দিন উদ্যাপনের রীতি অস্ট্রেলিয়ায় সূচনা হয়েছিল ১৯৮০ সালে। সেবার প্রথমবারের মতো দেশটির নিউ সাউথ ওয়েলসের ব্লু মাউন্টেনস অঞ্চলের একটি হোটেলে এই বড়দিন উদ্যাপিত হয়।
শীতার্ত সেই রাতে প্রচুর বরফ ঝরছিল। ঠিক তখনই ‘মাউন্টেন হেরিটেজ’ নামের সেই হোটেলে প্রবেশ করেন ছয় আইরিশ ভ্রমণকারী। তাঁদের দেখে হোটেলের মালিক গ্যারি ক্রকেট ভাবলেন—এই লোকদের জন্য একটি শীতকালীন বড়দিন আয়োজন করলে কেমন হয়!
যেমন ভাবলেন গ্যারি, তেমনই হলো সেই রাতে। সাজানো হলো ক্রিসমাস ট্রি, করা হয় আলোকসজ্জা, রান্না করা হয় বিফ, টার্কি, পর্ক, কুমড়ার স্যুপ আর ব্রিটিশ ঐতিহ্যবাহী প্লাম পুডিং।
রাতটি পরিণত হয় এক দুর্দান্ত পার্টিতে, চলে ভোররাত ৩টা পর্যন্ত। এরপর প্রতিবছর হোটেলটিতে ‘জুলাই বড়দিন’ উদ্যাপন শুরু হয় এবং দ্রুত জনপ্রিয়তা পায় সারা দেশে। এমনকি বিদেশ থেকেও অতিথিরা আসতে শুরু করেন।
আজকের দিনে অস্ট্রেলিয়ার প্রতিটি শহরেই জুলাই মাসে মানুষ বড়দিনের মতো করে উৎসব করেন। রেস্তোরাঁগুলোতে পাওয়া যায় বিশেষ ‘ক্রিসমাস মেনু’, ঘরবাড়িও সাজান অসংখ্য মানুষ, কেউ আবার দেন উপহার। সান্তাও হাজির হন যথারীতি!
বিশেষ এই বড়দিন উপলক্ষে নিউক্যাসলের ৩৭ বছর বয়সী জোশুয়া বন্ধুদের জন্য প্রস্তুত করেন ছয় পদের রাতের খাবার। তিনি বলেন, ‘আমি তো চাই বছরে দশবার বড়দিন হোক!’
ফিলিপিনো-অস্ট্রেলিয়ান নিল ফ্যারো বলেন, ‘শীতের বড়দিন অনেক বেশি উৎসবমুখর মনে হয়। আর জুলাই মানেই শীতের মাঝামাঝি।’
শুধু এসবই নয়, বাড়তি বড়দিন উপলক্ষে সিডনির ঐতিহাসিক ‘দ্য রকস’ এলাকায় আয়োজন করা হয় দুই সপ্তাহব্যাপী ক্রিসমাস মার্কেট। ইউরোপীয় কাঠের কটেজ, নকল বরফ, গেজানো ওয়াইন আর গলানো র্যাকলেট চিজের গন্ধে ভেসে যায় সেই মার্কেট।
এমনকি কেএফসিও ‘ক্রিসমাস ইন জুলাই’-এর প্রচারণায় অংশ নিচ্ছে আজকাল! তবে এই উৎসব প্রথম যিনি শুরু করেছিলেন, সেই গ্যারি ক্রকেট মনে করেন, আসল বিষয়টি হচ্ছে—বন্ধুত্ব, ভালোবাসা আর আন্তরিক মিলন। তিনি বলেন, ‘জুলাইয়ের বড়দিনে থাকে শান্তি, শীতের উষ্ণতা ও প্রিয়জনদের সঙ্গে একান্ত মুহূর্ত কাটানোর সুযোগ। ডিসেম্বরের বড়দিন যেমন দায়বদ্ধতায় জর্জরিত, জুলাইয়েরটা তেমন নয়।’
ব্যতিক্রমী এই উৎসব তাই অনেকের কাছে বাস্তব বড়দিন থেকেও প্রিয় হয়ে উঠেছে। অস্ট্রেলিয়ায় বড়দিন এখন শুধু ডিসেম্বরের নয়, জুলাইয়েরও।
ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
১৬ মিনিট আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
৪০ মিনিট আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
২ ঘণ্টা আগেশচীন উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদের একটি মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে ছিলেন। পেটে চামচ ও টুথব্রাশ কীভাবে এল—জানতে চাইলে শচীন বলেন, ‘মাদকাসক্তি নিরাময় কেন্দ্রে রোগীদের সামান্য পরিমাণ খাবার দেওয়া হতো। ক্ষুধার চোটে ক্ষুব্ধ হয়ে স্তূপ করা বাসনকোসন থেকে চামচ চুরি করে খেতাম।’
৩ ঘণ্টা আগে