Ajker Patrika

নেপালে ৫ মার্চের নির্বাচনে জেন-জিরা কি ভোট দিতে পারবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সেতুপতি
ছবি: সেতুপতি

অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতা গ্রহণের ছয় মাসের মধ্যেই ২০২৬ সালের ৫ মার্চ অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে নেপালের জাতীয় নির্বাচন। বুধবার (১৭ সেপ্টেম্বর) দেশটির সংবাদমাধ্যম ‘সেতুপতি’ জানিয়েছে, প্রতিনিধি সভার ওই নির্বাচনে শুধুমাত্র তাদেরই ভোটাধিকার থাকবে, যাদের নাম গত ১২ সেপ্টেম্বরের মধ্যে ভোটার তালিকায় নিবন্ধিত হয়েছে।

নেপালের ২০১৬ সালের ভোটার তালিকা আইনে বলা আছে, নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হওয়ার পর নতুন ভোটার নিবন্ধন বন্ধ হয়ে যায়। তাই ইতিমধ্যেই ঘোষিত এই নির্বাচনের জন্য নতুন কোনো ভোটারের নাম অন্তর্ভুক্ত করা যাবে না।

তবে একটি বিশেষ ব্যতিক্রমও আছে। কেউ যদি নাগরিকত্ব গ্রহণের সময় ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করে থাকেন এবং আগামী নির্বাচনের আগের দিন অর্থাৎ ৪ মার্চ ২০২৬ তারিখে ১৮ বছর পূর্ণ করেন, তাহলে তিনিও ভোট দেওয়ার যোগ্য হবেন। উদাহরণস্বরূপ—২০২৪ সালের ৪ মার্চ ১৬ বছরে পা রেখেছিলেন এমন কোনো ছেলে বা মেয়ে যদি তখনই তার নাগরিকত্ব গ্রহণ করে ভোটার তালিকায় নাম নিবন্ধন করে থাকেন, তবে ৫ মার্চ ২০২৬-এ ১৮ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি ভোট দিতে পারবেন। এ ক্ষেত্রে নাগরিকত্ব নেওয়ার পর কেউ যদি ভোটার তালিকায় নাম না লিখে থাকেন, তাহলে তাঁর ভোট দেওয়ার সুযোগ থাকবে না।

সংবাদমাধ্যমটি জানিয়েছে, নেপালের প্রশাসনের অনেক দপ্তরই নাগরিকত্ব প্রদানের সময়ই মানুষকে ভোটার তালিকায় নাম অন্তর্ভুক্ত করতে উৎসাহিত করে। নির্বাচনের সময় ছাড়া সারা বছরই এই নিবন্ধন প্রক্রিয়া চলতে থাকে।

দেশটির নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী—২০২৫ সালের ১৩ এপ্রিল পর্যন্ত নিবন্ধিত ভোটারের সংখ্যা ১ কোটি ৮১ লাখ ৪৮ হাজার ৬৫৪ জন। গত প্রতিনিধি সভার নির্বাচনের তুলনায় যেখানে ১ লাখ ৬০ হাজার ৫৪ জন বেশি। ২০২২ সালের নির্বাচনে ভোটার ছিল ১ কোটি ৭৯ লাখ ৮৮ হাজার ৫৭০ জন। সেই বছরের ৪ আগস্ট নির্বাচনের দিন ঘোষণা হলে নতুন নিবন্ধন বন্ধ হয়েছিল, তবে ১৯ নভেম্বরের মধ্যে যারা ১৮ বছরে পৌঁছেছিলেন, তাঁরা ২০ নভেম্বরের নির্বাচনে ভোট দিতে পেরেছিলেন।

কমিশনের হিসেবে, ডিসেম্বর ২০২২ থেকে এপ্রিল ২০২৫ পর্যন্ত ২৮ মাসে প্রায় ১ লাখ ৬০ হাজার নতুন ভোটার যুক্ত হয়েছে, অর্থাৎ গড়ে প্রতি মাসে প্রায় ৫ হাজার ৭০০ জন। এ হিসাবে এপ্রিল থেকে ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আরও প্রায় ২৮ হাজার নতুন ভোটার যুক্ত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ফলে আগামী নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা দাঁড়াতে পারে প্রায় ১ কোটি ৮১ লাখ ৭৬ হাজার। তবে চূড়ান্ত সংখ্যা এখনো নিশ্চিত নয়। কমিশন অবশ্য শিগগিরই ভোটার তালিকা সংশোধনের জন্য দাবি-আপত্তির সুযোগ দেবে। এ সময় মৃত ব্যক্তির নাম বা দ্বৈত নামগুলো বাদ দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, গত ৮ ও ৯ সেপ্টেম্বরের বিক্ষোভের পর নেপালের জেন-জি তরুণদের প্রস্তাবে সাবেক প্রধান বিচারপতি সুশীলা কার্কিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। শপথ নেওয়ার পর তিনি মন্ত্রিসভা বৈঠকে প্রতিনিধি সভা ভেঙে দিয়ে ২০২৬ সালের ৫ মার্চ নির্বাচন অনুষ্ঠানের সুপারিশ করেন।

কিন্তু হঠাৎ নির্বাচনের কারণে যারা সরকার পরিবর্তনে বড় ভূমিকা রাখলেন, নেপালের সেই তরুণদের অনেকেই ভোটার তালিকায় নাম লেখাতে পারেননি। তাই আবারও ভোটার নিবন্ধন চালুর দাবি উঠেছে। কিন্তু আইন অনুযায়ী, নির্বাচনের পর নতুন নাম যুক্ত করা যাবে না। এ জন্য সরকার চাইলে অধ্যাদেশ জারি করতে পারে। নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিশেষ পরিস্থিতিতে কমিশনারদের মধ্যে আলোচনা সাপেক্ষে এই বিষয়ে নতুন সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

বাংলাদেশসহ ৫ প্রতিবেশীকেই নিরাপত্তার জন্য হুমকি মনে করছে ভারত

পাসপোর্ট ছাড়াই ফ্লাইটে ক্যাপ্টেন মুনতাসির, জেদ্দায় আটক

হইচই ফেলেছে ন্যানো ব্যানানা, চ্যাটজিপিটিকে টপকাল জেমিনি

বিজিবির একজন আর্মি অফিসারকে এখনো গ্রেপ্তার করা হচ্ছে না: নাহিদ

জুলাই সনদ কার্যকরে সংবিধান আদেশ জারি ও বৈধতায় গণভোটের সুপারিশ আইন বিশেষজ্ঞদের

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত