এশিয়ার হাতে গোনা কয়েকটি উন্নত দেশের সামনের সারিতে জাপান; কিন্তু দীর্ঘ তিন দশক ধরে আর্থ-সামাজিকসহ নানা কারণে দেশটিতে জন্মহার কেবলই হ্রাস পাচ্ছে। গত বছর জাপানে জন্মগ্রহণ করেছে ৮ লাখেরও কম সংখ্যক শিশু। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির এত নিম্নহার আগে কখনো দেখেনি জাপান।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন জাপান সরকার। জন্মহার বাড়াতে জনগণকে উৎসাহ প্রণোদনাও দিচ্ছে দেশটির সরকার। এর মধ্যে জাপানের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানিয়েছে, জাপানে বর্তমান বার্ষিক জন্মহার অব্যাহত থাকলে ২০০৫ সালে জন্ম নেওয়া নারীদের ৪২ শতাংশই হয়তো কখনো মা হবেন না। একই বছরে জন্ম নেওয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার আরও বেশি, শতকরা ৫০ ভাগ।
চলতি বছর এই নিয়ে তৃতীয়বার দেশের জন্মহার নিয়ে উদ্বেগ জানাল জাপানের সরকার। আজ বুধবার জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে জন্ম নেওয়া নারীদের ৪২ শতাংশই ভবিষ্যৎে মা হতে বেন না—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উন্নত জীবনযাত্রা হওয়ায় জাপানে সন্তান জন্মদান ও লালন-পালন খুবই ব্যয়বহুল। বিশ্বের যেসব দেশে সন্তান জন্ম ও তাকে বড় করে তোলার ব্যয় সবচেয়ে বেশি, সেসবের মধ্যে প্রথম সারিতে আছে জাপান।
দেশটির জনসংখ্যা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্তান জন্মদান ও পালনের ক্ষেত্রে জাপান বিশ্বের শীর্ষ তিনটি ব্যয়বহুল দেশের মধ্যে একটি। দেশটিতে প্রতি বছর জন্মহার কমতে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ এটি।
জাপানের সরকার অবশ্য দম্পতিদের জন্য সন্তান জন্ম ও লালন বাবদ আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। বর্তমানে প্রণোদনায় যে অর্থ দেওয়া হয়, সন্তান জন্মের পর হাসপাতালের বিল মেটাতেই তা শেষ হয়ে যায়। ফলে সীমিত আয়ের দম্পতিরা স্বাভাকিভাবেই এই প্রণোদনার ওপর নির্ভর করে সন্তান জন্মদানের ঝুঁকি নিতে চান না।
এদিকে একদিকে যেমন জন্মহার কমছে, তেমনি অপরদিকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, উন্নত পরিষেবা ও উন্নত চিকিৎসাসেবার কারণে গড়আয়ু বাড়ছে জাপানে। ফলে দেশটির জনবিন্যাসে বয়স্ক ও কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়া নারী-পুরুষদের সংখ্যা বাড়ছে, কমছে কর্মক্ষম তরুণ-তরুণীর সংখ্যা।
আরও কয়েক বছর যদি এই সংকট চলতে থাকে, তাহলে জাপানের সমাজে ভয়াবহ বিপর্যয় শুরু হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাপানের সমাজবিজ্ঞানীরা। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত জুন মাসে টোকিওতে একটি সরকারি ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘শিগগির যদি জন্মহারে বৃদ্ধি না ঘটে, সেক্ষেত্রে জনসংখ্যাজনিত কারণে ২০৩০ সাল থেকে সামাজিক বিপর্যয়ের অধ্যায়ে প্রবেশ করবে জাপান।’
এশিয়ার হাতে গোনা কয়েকটি উন্নত দেশের সামনের সারিতে জাপান; কিন্তু দীর্ঘ তিন দশক ধরে আর্থ-সামাজিকসহ নানা কারণে দেশটিতে জন্মহার কেবলই হ্রাস পাচ্ছে। গত বছর জাপানে জন্মগ্রহণ করেছে ৮ লাখেরও কম সংখ্যক শিশু। বার্ষিক জনসংখ্যা বৃদ্ধির এত নিম্নহার আগে কখনো দেখেনি জাপান।
বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন জাপান সরকার। জন্মহার বাড়াতে জনগণকে উৎসাহ প্রণোদনাও দিচ্ছে দেশটির সরকার। এর মধ্যে জাপানের সরকারি সংস্থা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব পপুলেশন অ্যান্ড সোশ্যাল সিকিউরিটি রিসার্চ সম্প্রতি এক সমীক্ষায় জানিয়েছে, জাপানে বর্তমান বার্ষিক জন্মহার অব্যাহত থাকলে ২০০৫ সালে জন্ম নেওয়া নারীদের ৪২ শতাংশই হয়তো কখনো মা হবেন না। একই বছরে জন্ম নেওয়া পুরুষদের ক্ষেত্রে এই হার আরও বেশি, শতকরা ৫০ ভাগ।
চলতি বছর এই নিয়ে তৃতীয়বার দেশের জন্মহার নিয়ে উদ্বেগ জানাল জাপানের সরকার। আজ বুধবার জাপানি সংবাদমাধ্যম নিক্কেই এশিয়া এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালে জন্ম নেওয়া নারীদের ৪২ শতাংশই ভবিষ্যৎে মা হতে বেন না—এমন আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।
উন্নত জীবনযাত্রা হওয়ায় জাপানে সন্তান জন্মদান ও লালন-পালন খুবই ব্যয়বহুল। বিশ্বের যেসব দেশে সন্তান জন্ম ও তাকে বড় করে তোলার ব্যয় সবচেয়ে বেশি, সেসবের মধ্যে প্রথম সারিতে আছে জাপান।
দেশটির জনসংখ্যা বিষয়ক গবেষণা সংস্থা ইউওয়া পপুলেশন রিসার্চের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্তান জন্মদান ও পালনের ক্ষেত্রে জাপান বিশ্বের শীর্ষ তিনটি ব্যয়বহুল দেশের মধ্যে একটি। দেশটিতে প্রতি বছর জন্মহার কমতে থাকার সবচেয়ে বড় কারণ এটি।
জাপানের সরকার অবশ্য দম্পতিদের জন্য সন্তান জন্ম ও লালন বাবদ আর্থিক প্রণোদনা দিচ্ছে, তবে তা যথেষ্ট নয়। বর্তমানে প্রণোদনায় যে অর্থ দেওয়া হয়, সন্তান জন্মের পর হাসপাতালের বিল মেটাতেই তা শেষ হয়ে যায়। ফলে সীমিত আয়ের দম্পতিরা স্বাভাকিভাবেই এই প্রণোদনার ওপর নির্ভর করে সন্তান জন্মদানের ঝুঁকি নিতে চান না।
এদিকে একদিকে যেমন জন্মহার কমছে, তেমনি অপরদিকে স্বাস্থ্যসম্মত জীবনযাপন, উন্নত পরিষেবা ও উন্নত চিকিৎসাসেবার কারণে গড়আয়ু বাড়ছে জাপানে। ফলে দেশটির জনবিন্যাসে বয়স্ক ও কর্মজীবন থেকে অবসর নেওয়া নারী-পুরুষদের সংখ্যা বাড়ছে, কমছে কর্মক্ষম তরুণ-তরুণীর সংখ্যা।
আরও কয়েক বছর যদি এই সংকট চলতে থাকে, তাহলে জাপানের সমাজে ভয়াবহ বিপর্যয় শুরু হবে বলে সতর্কবার্তা দিয়েছেন জাপানের সমাজবিজ্ঞানীরা। প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাও এ ব্যাপারে বেশ কয়েকবার প্রকাশ্যে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন।
গত জুন মাসে টোকিওতে একটি সরকারি ডে কেয়ার সেন্টার উদ্বোধনের অনুষ্ঠানে ফুমিও কিশিদা বলেন, ‘শিগগির যদি জন্মহারে বৃদ্ধি না ঘটে, সেক্ষেত্রে জনসংখ্যাজনিত কারণে ২০৩০ সাল থেকে সামাজিক বিপর্যয়ের অধ্যায়ে প্রবেশ করবে জাপান।’
ওয়াশিংটনে ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোয়ানের সঙ্গে বৈঠক করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বৈঠকে ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, তুরস্কের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা শিথিল করে দেশটির কাছে আবারও নিজেদের তৈরি উন্নত এফ-৩৫ যুদ্ধবিমান বিক্রির সুযোগ দেওয়া হতে পারে।
৬ ঘণ্টা আগেইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভের পাঁচ বছরের শিশু টিম হ্রিশচুক কল্পনাও করেনি, তার স্কুলজীবনের প্রথম দিনটি কাটাতে হবে ভূগর্ভস্থ আশ্রয়ে। ২ সেপ্টেম্বর সকালে যখন বিমান হামলার সাইরেন বাজল, তখন সে এবং তার সহপাঠীরা ক্লাসরুম ছেড়ে সোজা চলে যায় বাংকারে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রায় ৬০ বছর পর প্রথমবারের মতো জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে ভাষণ দিলেন সিরিয়ার কোনো নেতা। এ নেতা আর কেউ নন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট আহমদ আল-শারা। তাঁর এ যাত্রা এক অপ্রত্যাশিত মাইলফলক। একসময় আবু মোহাম্মদ আল-জোলানি নামে পরিচিত শারা ছিলেন সিরিয়ার আল-কায়েদা শাখার নেতা।
৭ ঘণ্টা আগেব্যবসার সংকট কাটিয়ে ওঠার লক্ষ্যে বড় ধরনের পদক্ষেপ নিচ্ছে কফি জায়ান্ট স্টারবাকস। কোম্পানিটি ঘোষণা দিয়েছে, তাদের কয়েক শ ক্যাফে বন্ধ করে দেওয়া হবে এবং সদর দপ্তরে নতুন করে ছাঁটাই করা হবে। এসব উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান সিইও ব্রায়ান নিকোলের নেতৃত্বে।
৮ ঘণ্টা আগে