আজকের পত্রিকা ডেস্ক
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে ভারত ও চীনের মধ্যে একধরনের ‘ব্রোমান্স’ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সম্পর্ক কত দিন টিকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারত ও চীন, দুই পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বী হঠাৎ করে একে অপরের কাছাকাছি আসছে। এর মূল কারণ হলো ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতবিরোধী বাণিজ্যনীতি। চীনের ওপর ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের নানান নিষেধাজ্ঞা আছে। সম্প্রতি ভারতের ওপর একের পর এক শুল্ক ও জরিমানা চাপানোয় দিল্লি-বেইজিং একে অপরের দিকে ঝুঁকছে।
তবে ভারতের মনে রাখতে হবে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা জটিল হতে পারে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা ভারত এখনো ভুলে যায়নি, যখন ‘হিন্দি-চীনি ভাই ভাই’ স্লোগান ব্যর্থ হয়েছিল। এমনকি সাম্প্রতিক সময়েও, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে স্বাগত জানান, তখনো চীনা সৈন্যরা লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। এ ছাড়া, চীন পাকিস্তানকে যে নতুন অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তা ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় যাচাই করে দেখেছে চীন।
চেন্নাইয়ের গ্রেট লেকস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সহকারী অধ্যাপক চন্দ্রিকা রাঘবেন্দ্র বলেন, ‘ভারত-চীনের বাণিজ্য দড়ির ওপর হাঁটার মতো। একদিকে কম খরচে পণ্য সরবরাহ চেইনকে মসৃণ করার প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে যদি সম্পর্ক খারাপ হয়, তাহলে নির্ভরতার ঝুঁকি অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়।’
অনেকে মনে করেন, এটি চীনের মহান সামরিক কৌশলী সান তজুর সেই বিখ্যাত উক্তিরই আধুনিক সংস্করণ—‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’। ভারত ও চীনের এই সম্পর্ক ট্রাম্পের আমেরিকার প্রতি তাদের তীব্র অসন্তোষের ফল। তবে ভারতের জন্য এটি একটি কৌশলগত সুযোগ, যেখানে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি থেকে দূরে থাকার পর এটি চীন ও রাশিয়ার মতো ওয়াশিংটনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরির সুযোগ নিতে পারে।
এই নতুন সম্পর্কের কারণ কেবল কূটনীতি বা ভূ-রাজনীতি নয়, বরং বাস্তব বাণিজ্যের অর্থনৈতিক প্রভাবও এর সঙ্গে জড়িত। ভারতের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধির ওপর এর বাস্তব প্রভাব রয়েছে। ভারত নিজেকে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দেখতে পাচ্ছে—একদিকে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য, যা দীর্ঘ মেয়াদে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জিডিপিতে কয়েক শতাংশ যোগ করে, অন্যদিকে চীনের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যা সহজে ছিন্ন করা সম্ভব নয়।
হিমাচল প্রদেশের শুলিনী বিজনেস স্কুলের সভাপতি মুনিশ সাহরাওয়াত বলেন, ‘চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। সস্তা চীনা পণ্য মূল শিল্পে চাপ কমাতে সাহায্য করলেও এটি ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিকে আরও গভীর করে এবং মূল সরবরাহ চেইনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।’
এদিকে, ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর ট্রাম্পের মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ভারতের বাণিজ্যের জন্য বিকল্প বাজার খোঁজা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কি করবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের জন্য সর্বোত্তম উপায় হলো এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করা। এর মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে পারবে যে, তারা চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না। একই সঙ্গে, অভ্যন্তরীণভাবে আরও অর্থনৈতিক সংস্কার করার জন্য এই সংকটকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রসঙ্গত, দুই বা ততোধিক পুরুষের মধ্যে গভীর, আবেগপূর্ণ ও অ-যৌন সম্পর্ক, যা প্রচলিত বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ এবং এতে উচ্চ স্তরের মানসিক অন্তরঙ্গতা বিদ্যমান সাধারণত এ ধরনের সম্পর্ককেই ‘ব্রোমান্স’ বলা হয়। এটি ‘ব্রাদার’ (ভাই) ও ‘রোমান্স’ (প্রেম)-এর মিশ্রণে তৈরি একটি শব্দ, যা পুরুষদের মধ্যে একটি বিশেষ বন্ধন বোঝায়।
১৯৯০-এর দশকে ‘ব্রোমান্স’ শব্দটির প্রথম ব্যবহার হয় বিগ ব্রাদার স্কেটবোর্ড ম্যাগাজিনে। তবে শব্দটির নির্দিষ্ট উদ্ভাবক এবং সঠিক প্রথম ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক আছে। বিশ্ব রাজনীতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জো বাইডেনের সম্পর্ক বর্ণনা করতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র: দ্য উইক (ইন্ডিয়া)
ডোনাল্ড ট্রাম্পের নীতির কারণে ভারত ও চীনের মধ্যে একধরনের ‘ব্রোমান্স’ শুরু হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে এই সম্পর্ক কত দিন টিকবে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। ভারত ও চীন, দুই পুরোনো প্রতিদ্বন্দ্বী হঠাৎ করে একে অপরের কাছাকাছি আসছে। এর মূল কারণ হলো ওয়াশিংটনে ট্রাম্প প্রশাসনের ভারতবিরোধী বাণিজ্যনীতি। চীনের ওপর ইতিমধ্যেই ট্রাম্পের নানান নিষেধাজ্ঞা আছে। সম্প্রতি ভারতের ওপর একের পর এক শুল্ক ও জরিমানা চাপানোয় দিল্লি-বেইজিং একে অপরের দিকে ঝুঁকছে।
তবে ভারতের মনে রাখতে হবে, চীনের সঙ্গে সম্পর্ক কতটা জটিল হতে পারে। ১৯৬২ সালের যুদ্ধের কথা ভারত এখনো ভুলে যায়নি, যখন ‘হিন্দি-চীনি ভাই ভাই’ স্লোগান ব্যর্থ হয়েছিল। এমনকি সাম্প্রতিক সময়েও, যখন প্রধানমন্ত্রী মোদি চীনের প্রেসিডেন্ট সি চিন পিংকে স্বাগত জানান, তখনো চীনা সৈন্যরা লাদাখে ভারতীয় ভূখণ্ডে প্রবেশ করেছিল। এ ছাড়া, চীন পাকিস্তানকে যে নতুন অস্ত্র সরবরাহ করেছে, তা ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষের সময় যাচাই করে দেখেছে চীন।
চেন্নাইয়ের গ্রেট লেকস ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্টের অর্থনীতি ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্যের সহকারী অধ্যাপক চন্দ্রিকা রাঘবেন্দ্র বলেন, ‘ভারত-চীনের বাণিজ্য দড়ির ওপর হাঁটার মতো। একদিকে কম খরচে পণ্য সরবরাহ চেইনকে মসৃণ করার প্রতিশ্রুতি, অন্যদিকে যদি সম্পর্ক খারাপ হয়, তাহলে নির্ভরতার ঝুঁকি অর্থনীতিকে দুর্বল করে দেয়।’
অনেকে মনে করেন, এটি চীনের মহান সামরিক কৌশলী সান তজুর সেই বিখ্যাত উক্তিরই আধুনিক সংস্করণ—‘শত্রুর শত্রু আমার বন্ধু’। ভারত ও চীনের এই সম্পর্ক ট্রাম্পের আমেরিকার প্রতি তাদের তীব্র অসন্তোষের ফল। তবে ভারতের জন্য এটি একটি কৌশলগত সুযোগ, যেখানে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য চুক্তি থেকে দূরে থাকার পর এটি চীন ও রাশিয়ার মতো ওয়াশিংটনের প্রতিদ্বন্দ্বীদের সঙ্গে নতুন সম্পর্ক তৈরির সুযোগ নিতে পারে।
এই নতুন সম্পর্কের কারণ কেবল কূটনীতি বা ভূ-রাজনীতি নয়, বরং বাস্তব বাণিজ্যের অর্থনৈতিক প্রভাবও এর সঙ্গে জড়িত। ভারতের অর্থনীতি ও প্রবৃদ্ধির ওপর এর বাস্তব প্রভাব রয়েছে। ভারত নিজেকে এক কঠিন পরিস্থিতির মধ্যে দেখতে পাচ্ছে—একদিকে আমেরিকার সঙ্গে বাণিজ্য, যা দীর্ঘ মেয়াদে সরাসরি ও পরোক্ষভাবে জিডিপিতে কয়েক শতাংশ যোগ করে, অন্যদিকে চীনের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের বাণিজ্যিক সম্পর্ক, যা সহজে ছিন্ন করা সম্ভব নয়।
হিমাচল প্রদেশের শুলিনী বিজনেস স্কুলের সভাপতি মুনিশ সাহরাওয়াত বলেন, ‘চীনের সঙ্গে ভারতের বাণিজ্যিক সম্পর্ক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক। সস্তা চীনা পণ্য মূল শিল্পে চাপ কমাতে সাহায্য করলেও এটি ভারতের বাণিজ্য ঘাটতিকে আরও গভীর করে এবং মূল সরবরাহ চেইনকে ঝুঁকির মুখে ফেলে।’
এদিকে, ভারতীয় রপ্তানি পণ্যের ওপর ট্রাম্পের মোট ৫০ শতাংশ শুল্ক আরোপের পর ভারতের বাণিজ্যের জন্য বিকল্প বাজার খোঁজা জরুরি হয়ে পড়েছে। এই পরিস্থিতিতে ভারত কি করবে? বিশেষজ্ঞদের মতে, ভারতের জন্য সর্বোত্তম উপায় হলো এই পরিস্থিতিকে কাজে লাগিয়ে চীনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নত করা। এর মাধ্যমে তারা যুক্তরাষ্ট্রকে বোঝাতে পারবে যে, তারা চাপের মুখে নতি স্বীকার করবে না। একই সঙ্গে, অভ্যন্তরীণভাবে আরও অর্থনৈতিক সংস্কার করার জন্য এই সংকটকে কাজে লাগাতে হবে।
প্রসঙ্গত, দুই বা ততোধিক পুরুষের মধ্যে গভীর, আবেগপূর্ণ ও অ-যৌন সম্পর্ক, যা প্রচলিত বন্ধুত্বের চেয়েও বেশি ঘনিষ্ঠ এবং এতে উচ্চ স্তরের মানসিক অন্তরঙ্গতা বিদ্যমান সাধারণত এ ধরনের সম্পর্ককেই ‘ব্রোমান্স’ বলা হয়। এটি ‘ব্রাদার’ (ভাই) ও ‘রোমান্স’ (প্রেম)-এর মিশ্রণে তৈরি একটি শব্দ, যা পুরুষদের মধ্যে একটি বিশেষ বন্ধন বোঝায়।
১৯৯০-এর দশকে ‘ব্রোমান্স’ শব্দটির প্রথম ব্যবহার হয় বিগ ব্রাদার স্কেটবোর্ড ম্যাগাজিনে। তবে শব্দটির নির্দিষ্ট উদ্ভাবক এবং সঠিক প্রথম ব্যবহার নিয়ে বিতর্ক আছে। বিশ্ব রাজনীতিতে সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা ও জো বাইডেনের সম্পর্ক বর্ণনা করতে এই শব্দটি ব্যবহার করা হয়।
তথ্যসূত্র: দ্য উইক (ইন্ডিয়া)
আটক ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা পরিচয়পত্র থেকে জানা গেছে তিনি বাংলাদেশ পুলিশে কর্মরত। পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া নেই এমন একটি অংশ দিয়ে তিনি ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করছিলেন।
৩ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্র যখন পাকিস্তানের সঙ্গে সম্পর্ক আরও ঘনিষ্ঠ করছে, তখন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র অতীত ইতিহাস ভুলে যাচ্ছে। তিনি মনে করিয়ে দেন, আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার প্রতিষ্ঠাতাপ্রধান ওসামা বিন লাদেনকে ২০১১ সালে পাকিস্তানের সামরিক শহর অ্যাবোটাবাদে খুঁজে পাওয়া
৬ ঘণ্টা আগেযুক্তরাষ্ট্রে ডাক পরিষেবা সাময়িকভাবে বন্ধ করার ঘোষণা দিয়েছে ভারতের ডাক বিভাগ। ২৫ আগস্ট থেকে এই সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। যুক্তরাষ্ট্রের নতুন শুল্কনীতির কারণে এমন পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে বলে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে ভারতীয় ডাক বিভাগ।
৬ ঘণ্টা আগেইরান বিভিন্ন দেশে অস্ত্র উৎপাদন কারখানা গড়ে তুলেছে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদে। তবে এসব দেশের নাম এখনই প্রকাশ করবেন না বলে তিনি স্পষ্ট করেছেন। স্থানীয় সময় গতকাল শুক্রবার রাতে রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘আমরা কয়েকটি দেশে অস্ত্র কারখানা তৈরি করেছি।
৯ ঘণ্টা আগে