অনলাইন ডেস্ক
পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই ঋণ অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ঋণ অনুমোদিত হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আজ শনিবার ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘যখন আইএমএফ পাকিস্তানকে ‘পুরস্কৃত’ করছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে ভাবে যে এই উপমহাদেশের চলমান উত্তেজনা দ্রুতই কমে আসবে। আইএমএফের পুরস্কার ব্যবহার করে তারা পুন্ছ, রাজৌরি, উরি, তাংধারসহ আরও অনেক জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।’
এর আগে শুক্রবার আইএমএফ জানায়, সম্প্রসারিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) ব্যবস্থার অধীনে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির প্রাথমিক পর্যালোচনা শেষ করে তাদের নির্বাহী বোর্ড ১ বিলিয়ন ডলার তৎক্ষণাৎ পাকিস্তানকে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এই ব্যবস্থার অধীনে অর্থসংকটে থাকা পাকিস্তানের জন্য মোট অর্থছাড়ের পরিমাণ প্রায় ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এমন সময় এই ঋণ অনুমোদিত হলো, যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ভারতে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসৌস’ শুরু করেছে। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য ৩৭ মাসব্যাপী ইএফএফ ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অনুমোদিত হয়। এর লক্ষ্য হলো সহনশীলতা গড়ে তোলা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। এতে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আইএমএফ জানিয়েছে, আরএসএফ পাকিস্তানকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে।
অন্যদিকে গত শুক্রবার ভারত আইএমএফের পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টিতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। তবে দেশটির এই দাবি তেমন গুরুত্ব পায়নি। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে এই ঋণের ‘অপব্যবহারের’ সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া প্রসঙ্গে আইএমএফ বৈঠকে ভোটদানে বিরত থাকার পর এক বিবৃতিতে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, আইএমএফের দীর্ঘদিনের ঋণগ্রহীতা পাকিস্তানের ঋণ শোধ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের রেকর্ড খুবই দুর্বল। ১৯৮৯ সাল থেকে গত ৩৫ বছরে পাকিস্তান ২৮ বছরেই আইএমএফ থেকে অর্থছাড় পেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ৫ বছরে, ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪টি আইএমএফ কর্মসূচি হয়েছে। যদি আগের কর্মসূচিগুলো সফলভাবে একটি স্থিতিশীল আর্থিক নীতি পরিবেশ তৈরি করতে পারত, তবে পাকিস্তানকে আরেকটি বেইলআউট কর্মসূচির জন্য তহবিলের কাছে যেতে হতো না।’
ভারত বলছে, পাকিস্তানের এমন রেকর্ড প্রশ্ন তোলে—এটি আইএমএফ কর্মসূচির নকশার কার্যকারিতার সমস্যা, নাকি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কর্মসূচির ‘পর্যবেক্ষণ বা বাস্তবায়ন’ যথাযথভাবে না হওয়ার ফল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক বিষয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গভীর হস্তক্ষেপ নীতিগত বিচ্যুতি এবং সংস্কার প্রত্যাহারের উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এখন একটি বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও, সেনাবাহিনী অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অতিরিক্ত ভূমিকা পালন করছে এবং অর্থনীতিতেও তাদের প্রভাব গভীরভাবে রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এরপর আবার পাল্টা হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। আর এর মাঝেই আইএমএফের ঋণ তহবিল ঘোষণা পরিস্থিতিতে আরও জটিলতায় ফেলে দিয়েছে।
পাকিস্তানকে ১ বিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন দেওয়ায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ওমর আবদুল্লাহ। ভারতের সঙ্গে চলমান উত্তেজনার মধ্যে এই ঋণ অনুমোদন নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তিনি।
ঋণ অনুমোদিত হওয়া নিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে আজ শনিবার ওমর আবদুল্লাহ বলেন, ‘যখন আইএমএফ পাকিস্তানকে ‘পুরস্কৃত’ করছে, তখন আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কীভাবে ভাবে যে এই উপমহাদেশের চলমান উত্তেজনা দ্রুতই কমে আসবে। আইএমএফের পুরস্কার ব্যবহার করে তারা পুন্ছ, রাজৌরি, উরি, তাংধারসহ আরও অনেক জায়গায় ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে।’
এর আগে শুক্রবার আইএমএফ জানায়, সম্প্রসারিত তহবিল সুবিধা (ইএফএফ) ব্যবস্থার অধীনে পাকিস্তানের অর্থনৈতিক সংস্কার কর্মসূচির প্রাথমিক পর্যালোচনা শেষ করে তাদের নির্বাহী বোর্ড ১ বিলিয়ন ডলার তৎক্ষণাৎ পাকিস্তানকে দেওয়ার প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে। এই ব্যবস্থার অধীনে অর্থসংকটে থাকা পাকিস্তানের জন্য মোট অর্থছাড়ের পরিমাণ প্রায় ২.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছেছে।
এমন সময় এই ঋণ অনুমোদিত হলো, যখন পাকিস্তানি সামরিক বাহিনী ভারতে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসৌস’ শুরু করেছে। ড্রোন ও ক্ষেপণাস্ত্র নিয়ে ভারতের পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর এবং সামরিক স্থাপনা লক্ষ্য করে হামলা চালাচ্ছে।
ওয়াশিংটনভিত্তিক বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থা আইএমএফ এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, পাকিস্তানের জন্য ৩৭ মাসব্যাপী ইএফএফ ২০২৪ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর অনুমোদিত হয়। এর লক্ষ্য হলো সহনশীলতা গড়ে তোলা এবং টেকসই প্রবৃদ্ধি নিশ্চিত করা। এতে আর্থিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করা হয়েছে।
আইএমএফ জানিয়েছে, আরএসএফ পাকিস্তানকে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি কমানো এবং অর্থনৈতিক ও জলবায়ু সহনশীলতা গড়ে তোলার প্রচেষ্টায় সহায়তা করবে।
অন্যদিকে গত শুক্রবার ভারত আইএমএফের পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়ার বিষয়টিতে তীব্র আপত্তি জানিয়েছিল। তবে দেশটির এই দাবি তেমন গুরুত্ব পায়নি। ভারতের অভিযোগ, পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় সীমান্তে সন্ত্রাসবাদে এই ঋণের ‘অপব্যবহারের’ সম্ভাবনা রয়েছে।
পাকিস্তানকে ঋণ দেওয়া প্রসঙ্গে আইএমএফ বৈঠকে ভোটদানে বিরত থাকার পর এক বিবৃতিতে ভারতের অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে বলা হয়, আইএমএফের দীর্ঘদিনের ঋণগ্রহীতা পাকিস্তানের ঋণ শোধ ও কর্মসূচি বাস্তবায়নের রেকর্ড খুবই দুর্বল। ১৯৮৯ সাল থেকে গত ৩৫ বছরে পাকিস্তান ২৮ বছরেই আইএমএফ থেকে অর্থছাড় পেয়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘গত ৫ বছরে, ২০১৯ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ৪টি আইএমএফ কর্মসূচি হয়েছে। যদি আগের কর্মসূচিগুলো সফলভাবে একটি স্থিতিশীল আর্থিক নীতি পরিবেশ তৈরি করতে পারত, তবে পাকিস্তানকে আরেকটি বেইলআউট কর্মসূচির জন্য তহবিলের কাছে যেতে হতো না।’
ভারত বলছে, পাকিস্তানের এমন রেকর্ড প্রশ্ন তোলে—এটি আইএমএফ কর্মসূচির নকশার কার্যকারিতার সমস্যা, নাকি পাকিস্তানের পক্ষ থেকে কর্মসূচির ‘পর্যবেক্ষণ বা বাস্তবায়ন’ যথাযথভাবে না হওয়ার ফল।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অর্থনৈতিক বিষয়ে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর গভীর হস্তক্ষেপ নীতিগত বিচ্যুতি এবং সংস্কার প্রত্যাহারের উল্লেখযোগ্য ঝুঁকি সৃষ্টি করে। এখন একটি বেসামরিক সরকার ক্ষমতায় থাকলেও, সেনাবাহিনী অভ্যন্তরীণ রাজনীতিতে অতিরিক্ত ভূমিকা পালন করছে এবং অর্থনীতিতেও তাদের প্রভাব গভীরভাবে রয়ে গেছে।
উল্লেখ্য, গত মাসে জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে সন্ত্রাসী হামলার পর ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা তীব্র আকার ধারণ করেছে। ওই হামলায় ২৬ জন নিহত হয়। এরপর আবার পাল্টা হামলা শুরু করেছে পাকিস্তান। আর এর মাঝেই আইএমএফের ঋণ তহবিল ঘোষণা পরিস্থিতিতে আরও জটিলতায় ফেলে দিয়েছে।
ভারতের ‘অপারেশন সিন্দুর’ এর জবাবে ‘অপারেশন বুনইয়ানুম মারসৌস’ ঘোষণা করেছে পাকিস্তান। একের পর এক হামলা-পাল্টা হামলায় সীমান্তে বাড়ছে উত্তেজনা। এ অবস্থায় উত্তর ও পশ্চিম ভারতের ৩২টি বিমানবন্দরে বেসামরিক বিমান চলাচল আগামী বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পর্যন্ত স্থগিত করেছে বেসামরিক বিমান চলাচল মহাপরিদপ্তর (ডিজিসিএ)।
৩ ঘণ্টা আগেযুদ্ধের উত্তেজনা বাড়তে থাকায় সেনাপ্রধানের ক্ষমতা বাড়িয়ে দিয়েছে ভারত সরকার। গতকাল ৬ মে জারি করা এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, টেরিটোরিয়াল আর্মি বিধিমালা, ১৯৪৮-এর ৩৩ নম্বর ধারা অনুযায়ী সেনাপ্রধানকে টেরিটোরিয়াল আর্মির প্রতিটি কর্মকর্তা ও সদস্যকে প্রয়োজন অনুযায়ী নির্দেশ দেওয়ার ক্ষমতা দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার...
৫ ঘণ্টা আগেভারত-নিয়ন্ত্রিত জম্মু ও কাশ্মীরের পেহেলগামে গত ২২ এপ্রিলের হামলায় ২৬ জন বেসামরিক লোক নিহত হওয়ার পর থেকে, ভারত ও পাকিস্তান একে অপরের বিরুদ্ধে ক্ষেপণাস্ত্র, ড্রোন, কূটনীতি এবং তথ্য ব্যবহার করে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু তারা দ্রুত একটি পূর্ণাঙ্গ সামরিক সংঘাতের দিকে ধাবিত হওয়ায়...
৮ ঘণ্টা আগেকোরআনের প্রেক্ষাপটে, এই শব্দটি ইসলামের অনুসারীদের ঐক্য ও শক্তি বোঝাতে ব্যবহৃত হয়, যারা আল্লাহর পথে লড়াই করছে।
৮ ঘণ্টা আগে