Ajker Patrika

আজকের পত্রিকা এক্সপ্লেইনার /আফগানিস্তান-পাকিস্তান সীমান্তে সংঘর্ষের নেপথ্যে কী, সর্বশেষ যা জানা গেল

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১২ অক্টোবর ২০২৫, ২০: ৫১
বেলুচিস্তানের চামান জেলার ইকরাম সীমান্তচৌকিতে পাকিস্তানি সেনাদের সতর্ক অবস্থান। ছবি: ইপিএ
বেলুচিস্তানের চামান জেলার ইকরাম সীমান্তচৌকিতে পাকিস্তানি সেনাদের সতর্ক অবস্থান। ছবি: ইপিএ

আফগানিস্তান ও পাকিস্তানের সীমান্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়েছে। উভয় দেশই দাবি করছে—তারা একে অপরের সীমান্তচৌকি দখল ও ধ্বংস করেছে। সাম্প্রতিক বছরগুলোর মধ্যে এটিই দুই দেশের মধ্যে সবচেয়ে ভয়াবহ সীমান্ত সংঘর্ষ বলে মনে করা হচ্ছে।

তালেবান সরকারের মুখপাত্র জাবিউল্লাহ মুজাহিদ জানিয়েছেন, গতকাল শনিবার রাতে পাকিস্তানি বাহিনীর হামলার প্রতিশোধ নিতে আফগান বাহিনীর পাল্টা আক্রমণে অন্তত ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছেন। এর ঠিক দুই দিন আগেই কাবুল ও পাকটিকা প্রদেশে বিমান হামলার ঘটনা ঘটেছিল।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী দাবি করেছে, তাদের ২৩ জন সেনা শহীদ হয়েছেন। তবে পাল্টা হামলায় ২০০ জন তালেবান ও সহযোগী যোদ্ধা নিহত হয়েছেন। পাকিস্তানের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আফগান বাহিনীর হামলাকে ‘অযৌক্তিক গোলাগুলি’ বলে অভিহিত করেছেন।

তালেবান সরকার পাকিস্তানকে সাম্প্রতিক বিস্ফোরণের জন্য দায়ী করেছে। তবে ইসলামাবাদ এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।

সম্পর্কের টানাপোড়েন

পাকিস্তান অতীতে তালেবানদের সমর্থন দিয়েছিল এবং ১৯৯৬–২০০১ সালে প্রথম তালেবান সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া তিনটি দেশের একটি ছিল। কিন্তু ২০২১ সালে তালেবান ক্ষমতায় ফেরার পর পাকিস্তানে তেহরিক-ই-তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) গোষ্ঠীর হামলা বেড়ে গেলে সম্পর্কের অবনতি ঘটে। ইসলামাবাদ অভিযোগ করছে, আফগানিস্তান টিটিপি যোদ্ধাদের আশ্রয় দিচ্ছে। তবে কাবুল বিষয়টি বরাবরই অস্বীকার করে আসছে।

সংঘর্ষে কী ঘটছে

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরা বলছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে আফগান বাহিনী পাকিস্তানের সীমান্তচৌকিতে হামলা চালায়। সংঘর্ষের স্থানগুলোর মধ্যে ছিল আঙুর আদা, বাজৌর, খুররম, দির, চিত্রাল (খাইবার পাখতুনখাওয়া প্রদেশ) ও বাহরাম চাহ (বেলুচিস্তান) অঞ্চল।

তালেবান মুখপাত্র মুজাহিদ জানান, আফগান বাহিনী ৫৮ জন পাকিস্তানি সেনাকে হত্যা করেছে। ২৫টি সেনা ফাঁড়ি দখল করেছে এবং ৩০ জন সেনাকে আহত করেছে। কাবুলে এক সংবাদ সম্মেলনে মুজাহিদ বলেন, আফগানিস্তানের সব সীমান্ত ও ডি ফ্যাক্টো লাইনের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। অবৈধ কার্যক্রম বহুলাংশে প্রতিরোধ করা হয়েছে।

আজ রোববার আফগানিস্তানের টোলোনিউজ চ্যানেল জানায়, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় কুনার প্রদেশের ২ হাজার ৬৪০ কিলোমিটার (১,৬৪০ মাইল) সীমান্তে (যা ঔপনিবেশিক আমলের ডুরান্ড লাইন নামেও পরিচিত) বেশ কয়েকটি এলাকায় ট্যাংক ও ভারী অস্ত্র মোতায়েন করছে।

অন্যদিকে পাকিস্তানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, এটি সীমান্ত অস্থিতিশীল করার নিন্দনীয় প্রচেষ্টা।

ইন্টার সার্ভিসেস পাবলিক রিলেশনস (আইএসপিআর) জানিয়েছে, তারা আত্মরক্ষার স্বার্থে পাল্টা হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকটি তালেবান ঘাঁটি ধ্বংস হয়েছে। এর পাশাপাশি তারা আফগান সীমান্তের অন্তত ২১টি সেনাচৌকি অস্থায়ীভাবে দখল করেছে। এ সংঘর্ষে ২৯ জন পাকিস্তানি সেনা আহত হন।

খুররম এলাকার স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ভারী গোলাবর্ষণ থেমে গেছে। তবে এখনো থেমে থেমে গুলিবিনিময় চলছে।

কীভাবে সংঘর্ষের সূত্রপাত

গত বৃহস্পতিবার কাবুলের দুটি স্থানে ও পাকটিকা প্রদেশের একটি বাজারে বিমান হামলার ঘটনা ঘটে। এরপরই তালেবান সরকার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘সার্বভৌমত্ব লঙ্ঘনের’ অভিযোগ তোলে। ইসলামাবাদ এ ঘটনার সঙ্গে তাদের সম্পৃক্ততার কথা সরাসরি অস্বীকার না করলেও তালেবান প্রশাসনকে টিটিপি নিয়ন্ত্রণে রাখার আহ্বান জানায়।

পাকিস্তানের একজন নিরাপত্তা কর্মকর্তা বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানান, কাবুলে এ বিমান হামলার লক্ষ্য ছিল টিটিপি নেতা নুর ওয়ালি মেহসুদ। তাদের কাছে তথ্য ছিল, নুর ওয়ালি হামলার সময় একটি গাড়িতে ছিলেন। আল-জাজিরা যাচাই করতে পারেনি, ওই হামলার পর টিটিপি নেতা নুর ওয়ালি মেহসুদ বেঁচে আছেন কি না।

প্রতিনিয়ত বাড়ছে সহিংসতা

ইসলামাবাদভিত্তিক থিংকট্যাংক সেন্টার ফর রিসার্চ অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজের (সিআরএসএস) তথ্য অনুযায়ী, চলতি বছরের প্রথম তিন প্রান্তিকে কমপক্ষে ২ হাজার ৪১৪ জন নিহত হওয়ার ঘটনা নথিভুক্ত করা হয়েছে।

গত মাসে প্রকাশিত তাদের সর্বশেষ প্রতিবেদনে সিআরএসএস বলেছে, বর্তমান প্রবণতা চলতে থাকলে ২০২৫ সালটি পাকিস্তানের জন্য সবচেয়ে রক্তক্ষয়ী বছর হতে পারে। গত বছর এ ধরনের হামলায় অন্তত ২ হাজার ৫৪৭ জন নিহত হয়েছিলেন।

বিশ্লেষকেরা বলছেন, টিটিপির সাম্প্রতিক হামলার প্রতিশোধ নিতেই পাকিস্তান আফগান ভূখণ্ডে হামলা চালিয়েছে। পেশোয়ারভিত্তিক নিরাপত্তা বিশ্লেষক মেহমুদ জান বাবর বলেন, তালেবান যদি টিটিপিকে নিয়ন্ত্রণে না রাখে, তাহলে পাকিস্তান সরাসরি তাদের ভূখণ্ডে হামলা চালাবে—এ বার্তাই দেওয়া হয়েছে। তবে তালেবানের ভেতরে টিটিপির প্রতি সহানুভূতি থাকায় কাবুল প্রশাসন সরাসরি পদক্ষেপ নিতে ভয় পাচ্ছে বলেও তিনি মনে করেন।

২০২২ সালের এপ্রিলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানকে ক্ষমতাচ্যুত করার পর থেকে এ ধরনের সশস্ত্র হামলা বেড়েছে। ইমরান খানের সরকার টিটিপিকে যুদ্ধবিরতি চুক্তিতে রাজি করাতে তালেবানকে যুক্ত করেছিল। যদিও ইমরান খানের মেয়াদেই যুদ্ধবিরতি চুক্তি ভেস্তে যায়, তবুও হামলার তীব্রতা কম ছিল।

সম্প্রতি ইসলামাবাদ আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা করায় সম্পর্ক আরও খারাপ হয়েছে। পাকিস্তান বলছে, টিটিপি যোদ্ধারা যেসব আস্তানা ব্যবহার করে, তারা সেগুলোকেই লক্ষ্যবস্তু করছে। কিন্তু তালেবান সরকারের দাবি, পাকিস্তানের এমন হামলায় তাদের ‘সার্বভৌমত্বের লঙ্ঘন’ হয়েছে।

এ ছাড়া পাকিস্তান হাজার হাজার আফগান শরণার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়ায় সম্পর্ক খারাপ হয়েছে। বহু দশকের সংঘাত থেকে পালিয়ে আসা কমপক্ষে ৩০ লাখ আফগান শরণার্থী পাকিস্তানে আশ্রয় নিয়েছিল।

গতকাল ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। ছবি: রয়টার্স
গতকাল ভারতের উত্তর প্রদেশের দেওবন্দে তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি। ছবি: রয়টার্স

দুই পক্ষের পাল্টাপাল্টি বক্তব্য

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ গতকাল রাতে আফগান হামলার নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘আমাদের সেনারা জবাব দিয়েছে এবং আফগান বাহিনীর একাধিক সীমান্তচৌকি ধ্বংস করেছে।’

স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মহসিন নকভি বলেছেন, আফগান বাহিনীর হামলা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও আন্তর্জাতিক আইনের স্পষ্ট লঙ্ঘন। তিনি এক্সে এক পোস্টে লেখেন, ‘আফগানিস্তান আগুন ও রক্তের খেলা খেলছে।’

অন্যদিকে আফগান প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র এনায়াতুল্লাহ খোয়ারাজমি বলেন, ‘আমাদের আক্রমণ ছিল পাল্টা প্রতিক্রিয়া এবং তা মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। পাকিস্তান যদি আবার আমাদের আকাশসীমা লঙ্ঘন করে, আমরা কঠোর জবাব দেব।’

আঞ্চলিক প্রতিক্রিয়া

ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্বাস আরাগচি ইতিমধ্যে উভয় পক্ষকে সংযমের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন, দুই দেশের স্থিতিশীলতা পুরো অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

এদিকে কাতার, সৌদি আরব ও চীনও সংলাপের মাধ্যমে উত্তেজনা প্রশমনের আহ্বান জানিয়েছে। সৌদি পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা দুই দেশকে সংযম ও সংলাপের আহ্বান জানাচ্ছি, যাতে আঞ্চলিক শান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় থাকে।’

ভারত এখনো এ সংঘর্ষের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি। আফগান পররাষ্ট্রমন্ত্রী আমির খান মুত্তাকি বর্তমানে ভারতে সফরে আছেন। বিশ্লেষকদের মতে, ভারতের এই কূটনৈতিক সম্পৃক্ততাও পাকিস্তানের উত্তেজনা বাড়ানোর একটি কারণ হতে পারে।

পরিস্থিতি কি আরও ভয়াবহ হবে?

পাকিস্তানের সাবেক রাষ্ট্রদূত আসিফ দুররানি আল-জাজিরাকে বলেন, সংঘাত আরও বড় আকারে গড়ানোর সম্ভাবনা খুব কম, কারণ, আফগানিস্তানের প্রচলিত যুদ্ধক্ষমতা পাকিস্তানের সঙ্গে তুলনীয় নয়।

কাবুলভিত্তিক বিশ্লেষক ইব্রাহিম বাহিস বলেন, উভয় দেশই এখন উত্তেজনা কমাতে আগ্রহী। পাকিস্তান ইতিমধ্যে অভ্যন্তরীণ সন্ত্রাসবাদ মোকাবিলায় ব্যস্ত আর আফগান সরকারও অভ্যন্তরীণ সমর্থন ধরে রাখতে চাইছে।

তবে দুররানি সতর্ক করে বলেন, যত দিন পর্যন্ত তালেবান সরকার টিটিপিকে আশ্রয় দেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করবে না, তত দিন দুই দেশের সম্পর্ক উত্তপ্তই থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় মার্কিন বাহিনীর ওপর আইসিসের হামলার জবাব দেবেন ট্রাম্প

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১০: ০৩
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ছবি: এএফপি

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, সিরিয়ায় সন্ত্রাসী গোষ্ঠী আইএসআইএস বা আইসিসের (দায়েশ) হামলার জবাব দেবেন তিনি। এক বার্তা ট্রাম্প এই অবস্থান ব্যক্ত করেন। স্থানীয় সময় গতকাল শনিবার সিরিয়ার পালমিরায় এই হামলায় দুই মার্কিন সেনা ও তাদের এক দোভাষী নিহত হয়।

তুরস্কের রাষ্ট্র পরিচালিত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির খবরে বলা হয়েছে—ট্রাম্প বলেছেন, ‘আমাদের সেনাদের ওপর আইএসআইএসের হামলার জবাব আমরা দেব। যদি মার্কিন বাহিনীর ওপর আবারও হামলা হয় সেটার জবাও আমরা দেব।’

এর আগে মার্কিন সশস্ত্র বাহিনীর মধ্যপ্রাচ্য অঞ্চলকেন্দ্রিক কমান্ড ইউএস সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম) জানায়, আইসিসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং তাদের এক দোভাষী নিহত হয়েছে। এ ছাড়া আরও তিনজন সেনা গুরুতর আহত হয়েছে। সেন্টকম আরও বলেছে, ‘বন্দুকধারীকে শনাক্ত করে তাকে হত্যা করা হয়েছে।’

এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল। সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এই ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়। সানা আরও জানায়, আহত ব্যক্তিদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শী জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন। আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুক্তরাষ্ট্রের ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গুলিতে নিহত ২, আহত ৮

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের আইভি লীগ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ব্রাউন ইউনিভার্সিটিতে গোলাগুলির ঘটনায় অন্তত ২ জন নিহত হয়েছেন। এই ঘটনায় আহত হয়েছেন আরও ৮ জন। স্থানীয় সময় শনিবার এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল–জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে ক্ষুদ্রতম অঙ্গরাজ্য রোড আইল্যান্ডের রাজধানী প্রভিডেন্সের মেয়র ব্রেট স্মাইলি নিশ্চিত করেছেন, ব্রাউন ইউনিভার্সিটির ক্যাম্পাসে সক্রিয় বন্দুকধারীর হামলায় দুজন নিহত এবং আরও আটজন গুরুতর আহত হয়েছেন।

যুক্তরাষ্ট্রের এই আইভি লীগ ক্যাম্পাসে শনিবার যখন গোলাগুলি শুরু হয়, তখন সেখানে পরীক্ষা চলছিল।

রোড আইল্যান্ড কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, সন্দেহভাজন ব্যক্তি এখনও পলাতক। তারা হামলাকারীকে কালো পোশাক পরিহিত পুরুষ হিসেবে শনাক্ত করেছেন, যিনি পায়ে হেঁটে ঘটনাস্থল ত্যাগ করেছেন। তারা আরও জানিয়েছেন, এখনও পর্যন্ত কোনো অস্ত্র উদ্ধার করা হয়নি।

এক সংবাদ সম্মেলনে স্মাইলি বলেন, স্থানীয় সময় বিকেল ৪ টা ৫ মিনিটের দিকে জরুরি সেবা প্রতিক্রিয়াকারীদের কাছে ৯১১ কল আসার পর বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোলাগুলির বিষয়টি জানতে পারে। স্মাইলি বলেন, ‘আমি নিশ্চিত করতে পারি যে, আজ বিকেলে দুইজন ব্যক্তি মারা গেছেন এবং আরও আটজন গুরুতর অবস্থায় রয়েছেন, যদিও তারা রোড আইল্যান্ড হাসপাতালে স্থিতিশীল আছেন।’

তিনি যোগ করেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা শুধুমাত্র এই আঘাত বা হতাহতের খবর জানি। তবে যেমনটি আমি উল্লেখ করেছি—এবং জনসাধারণকে মনে করিয়ে দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ—এই সংখ্যাগুলি পরিবর্তিত হতে পারে। আমরা এখনও প্রাথমিক পর্যায়ে আছি।’

চলমান তদন্তের ওপর জোর দিয়ে স্মাইলি নিহতদের পরিচয় জানাতে অস্বীকৃতি জানান।

বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা প্যাক্সটন এক লিখিত বিবৃতিতে বলেন, ‘এটি এমন একটি দিন যা আমরা আশা করেছিলাম যেন আমাদের সম্প্রদায়ে কখনও না আসে। এটি আমাদের সকলের জন্য গভীরভাবে হৃদয়বিদারক।’ তিনি ক্যাম্পাসের সবাইকে সতর্ক থাকার এবং লকডাউন প্রোটোকল মেনে চলার আহ্বান জানান। তিনি বলেন, ‘এর অর্থ হলো সমস্ত দরজা তালাবদ্ধ রাখা এবং ক্যাম্পাস জুড়ে কোনো চলাচল না করা নিশ্চিত করা।’

শনিবার স্থানীয় সময় আনুমানিক বিকেল ৪ টা ২২ মিনিটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রথম জরুরি সতর্কতা জারি করে জানায়, বারাস অ্যান্ড হলি ইঞ্জিনিয়ারিং ও ফিজিক্স ভবনের কাছে একজন বন্দুকধারী রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয় তাদের সতর্কবার্তায় বলে, ‘দরজা লক করুন, ফোন নীরব করুন এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত লুকিয়ে থাকুন।’

এতে আরও বলা হয়, ‘মনে রাখবেন—দৌড়ান, যদি আপনি আক্রান্ত স্থানে থাকেন তবে নিরাপদে সরে যান; লুকান, যদি সরে যাওয়া সম্ভব না হয় তবে আড়াল নিন; প্রতিরোধ করুন, শেষ অবলম্বন হিসেবে নিজেকে রক্ষা করার জন্য ব্যবস্থা নিন।’

প্রভিডেন্সের পুলিশ প্রধান টিমোথি ও’হারা জানান, ঘটনাস্থলে পৌঁছে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ভবনটিতে তল্লাশি চালায়। ও’হারা বলেন, ‘তারা ভবনটিতে পদ্ধতিগতভাবে তল্লাশি চালিয়েছে। তবে সে সময় কোনো সন্দেহভাজনকে খুঁজে পাওয়া যায়নি। তারা সেই ভবনটি খালি করতে সক্ষম হন এবং সেই ভবনের সমস্ত ছাত্রছাত্রী, শিক্ষক এবং কর্মীদের জন্য একটি নিরাপদ স্থান তৈরি করে দেন।’ তিনি আরও জানান, সন্দেহভাজন কীভাবে ভবনে প্রবেশ করেছিল তা এখনও স্পষ্ট নয়, তবে সে হোপ স্ট্রিট দিয়ে বেরিয়ে গিয়েছিল।

স্থানীয় সময় ৫ টা ২৭ মিনিটে ব্রাউন ইউনিভার্সিটি জানায়, গভর্নর স্ট্রিটের কাছে, ইঞ্জিনিয়ারিং এবং ফিজিক্স ল্যাব থেকে প্রায় দুটি ব্লক দূরে, গুলি চালানো হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনের আগে, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা কোনো সন্দেহভাজনকে আটক করেছে কিনা তা স্পষ্ট ছিল না, কারণ অনলাইনে পরস্পরবিরোধী প্রতিবেদন প্রচারিত হচ্ছিল।

উদাহরণস্বরূপ, বিশ্ববিদ্যালয়কে একটি প্রাথমিক ঘোষণা প্রত্যাহার করতে হয়েছিল যে, একজন সন্দেহভাজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা লিখেছিল, ’পুলিশের হেফাজতে কোনো সন্দেহভাজন নেই এবং তারা সন্দেহভাজনদের সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছে।’

স্থানীয় আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এখনও বিশ্ববিদ্যালয়ে রয়েছে এবং তাদের সাথে ফেডারেল ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (এফবিআই) এবং ব্যুরো অব অ্যালকোহল, টোব্যাকো, ফায়ারআর্মস অ্যান্ড এক্সপ্লোসিভস (এটিএফ) এর ফেডারেল এজেন্টরাও যোগ দিয়েছেন। ঘটনাটি বর্তমানে তদন্তাধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

গাজায় হামলা চালিয়ে হামাসের শীর্ষ কমান্ডারকে হত্যার দাবি ইসরায়েলের

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৯: ৪৯
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

ইসরায়েলি সামরিক বাহিনী দাবি করেছে, তারা গাজা সিটিতে চালানো এক হামলায় হামাসের জ্যেষ্ঠ কমান্ডার রায়েদ সাদকে হত্যা করেছে। তবে হামাস এখনো বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে।

গাজার স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের মতে, গতকাল শনিবারের এই হামলায় ৫ জন নিহত এবং কমপক্ষে ২৫ জন আহত হয়েছে।

হামাস কোনো বিবৃতিতে রায়েদ সাদের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেনি। তারা জানিয়েছে, গাজা সিটির বাইরে একটি বেসামরিক গাড়িতে আঘাত হানা হয়েছে এবং এটিকে অক্টোবরে কার্যকর হওয়া যুদ্ধবিরতির লঙ্ঘন বলে ঘোষণা করেছে।

টেলিগ্রামে পোস্ট করে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী অভিযোগ করেছে, এই কমান্ডার হামাসের সক্ষমতা পুনঃপ্রতিষ্ঠার জন্য কাজ করছিলেন, যা দুই বছরের বেশি সময় ধরে ইসরায়েলের গাজায় চালানো গণহত্যার কারণে মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ইসরায়েলি সেনাবাহিনী তাঁকে ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবরের ইসরায়েলে হামলার অন্যতম স্থপতি হিসেবে আখ্যা দিয়েছে।

যদি সাদ নিহত হন, তবে চলতি বছরের অক্টোবরে ভঙ্গুর যুদ্ধবিরতি চুক্তি কার্যকর হওয়ার পর থেকে এটি হবে হামাসের একজন সিনিয়র নেতাদের মধ্যে সর্বোচ্চ-পর্যায়ের হত্যাকাণ্ড। এক ইসরায়েলি প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা রয়টার্সকে জানিয়েছেন, সাদকে এই হামলায় লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল এবং তাকে হামাসের অস্ত্র উৎপাদনকারী বাহিনীর প্রধান হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন।

হামাসের সূত্রগুলো তাকে ইজ আল-দিন আল-হাদ্দাদের পরে এই গোষ্ঠীর সশস্ত্র শাখার দ্বিতীয়-কমান্ডার হিসেবেও বর্ণনা করেছে। সূত্রগুলো আরও জানিয়েছে, সাদ হামাসের গাজা সিটি ব্যাটালিয়নের প্রধান ছিলেন, যা গোষ্ঠীটির সবচেয়ে বড় এবং সবচেয়ে সুসজ্জিত ব্যাটালিয়নগুলোর মধ্যে একটি।

ফিলিস্তিনি ওয়াফা সংবাদ সংস্থা জানিয়েছে, একটি ইসরায়েলি ড্রোন গাজা শহরের পশ্চিমে নাবুলসি মোড়ে একটি গাড়িতে আঘাত হানে, যার ফলে হতাহতের ঘটনা ঘটে। সংস্থাটি নির্দিষ্ট সংখ্যার কথা জানায়নি এবং স্পষ্ট নয় যে এই হামলাটিই সেই হামলা কি না, যেখানে কথিত হামাসের সদস্য নিহত হয়েছিলেন।

গাজার কর্তৃপক্ষের মতে, অক্টোবরে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরায়েল প্রতিদিন গাজায় আক্রমণ চালিয়ে যাচ্ছে, যা প্রায় ৮০০ বার পৌঁছেছে এবং কমপক্ষে ৩৮৬ জনকে হত্যা করেছে, যা চুক্তির স্পষ্ট লঙ্ঘন। ইসরায়েল এখনো ছিটমহলটিতে বেশির ভাগ সাহায্যবাহী ট্রাকের প্রবেশ বন্ধ করে রেখেছে। শুক্রবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদ বিপুল সংখ্যাগরিষ্ঠতায় একটি প্রস্তাবের পক্ষে সমর্থন জানিয়েছে, যেখানে ইসরায়েলের প্রতি গাজা উপত্যকায় অবাধ মানবিক প্রবেশাধিকার উন্মুক্ত করা, জাতিসংঘের স্থাপনাগুলোতে হামলা বন্ধ করা এবং আন্তর্জাতিক আইন মেনে চলা, অর্থাৎ দখলদার শক্তি হিসেবে এর বাধ্যবাধকতাগুলো মেনে চলার দাবি জানানো হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিরিয়ায় আইএসের হামলায় দুই মার্কিন সেনা এবং এক দোভাষী নিহত

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি
সিরিয়ায় মার্কিন সেনা। ছবি: এএফপি

সিরিয়ার মধ্যাঞ্চলের পালমিরায় জঙ্গিগোষ্ঠী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) হামলায় দুজন মার্কিন সেনা এবং একজন মার্কিন বেসামরিক দোভাষী নিহত হয়েছেন। এতে আরও তিনজন আহত হন বলে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল কমান্ড (সেন্টকম)।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শনিবার এই হামলার ঘটনা ঘটে। এক বছর আগে সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর এটিই প্রথম কোনো হামলা, যাতে মার্কিন বাহিনীর প্রাণহানি ঘটল।

সেন্টকম সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে দেওয়া এক পোস্টে জানায়, হামলাকারীকে পাল্টা অভিযানে হত্যা করা হয়েছে। পেন্টাগনের নীতিমালা অনুযায়ী, নিকটাত্মীয়দের না জানানো পর্যন্ত নিহত সেনাদের পরিচয় প্রকাশ করা হবে না।

এ ঘটনার পর যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথ এক্সে দেওয়া পোস্টে বলেন, হামলাকারীকে ‘হত্যা করা হয়েছে’। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, ‘জেনে রাখুন, বিশ্বের যেকোনো প্রান্তে আমেরিকানদের ওপর হামলা হলে আমরা আপনাকে খুঁজে বের করব এবং হত্যা করব।’

এর আগে সিরিয়ার রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা সানা জানায়, পালমিরার কাছে হোমস প্রদেশে যৌথ টহলের সময় সিরীয় নিরাপত্তা বাহিনী ও মার্কিন সেনাদের লক্ষ্য করে গুলি চালানো হয়। ঘটনার পর দেইর আজ জোর-দামেস্ক মহাসড়কে সাময়িকভাবে যান চলাচল বন্ধ রাখা হয় এবং এলাকায় সামরিক বিমান টহল দেয়।

সানা আরও জানায়, আহতদের ইরাক সীমান্তের কাছে আল-তানফ ঘাঁটিতে মার্কিন হেলিকপ্টারে করে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

বার্তা সংস্থা এএফপিকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক সিরীয় সামরিক কর্মকর্তা জানান, পালমিরার একটি সিরীয় ঘাঁটিতে সিরীয় ও মার্কিন কর্মকর্তাদের মধ্যে বৈঠক চলাকালে গুলির ঘটনা ঘটে। শহরের এক প্রত্যক্ষদর্শীও জানান, তিনি ঘাঁটির ভেতর থেকে গুলির শব্দ শুনেছেন।

আইএসবিরোধী অভিযানের অংশ হিসেবে যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ এক দশক ধরে সিরিয়ার উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সেনা মোতায়েন রেখেছে। সেখানে কুর্দি নেতৃত্বাধীন বাহিনীকে সহায়তা দিচ্ছে ওয়াশিংটন।

২০১৫ সালে সিরিয়ায় সামরিক শক্তির চূড়ায় থাকা অবস্থায় আইএস পালমিরা দখল করে নেয়। প্রায় ১০ মাস পর শহরটি তাদের হাতছাড়া হয়। ওই সময় আইএস পালমিরার বহু প্রাচীন নিদর্শন ধ্বংস করে এবং কিছু স্থানে প্রকাশ্যে গণহত্যা চালায়। ২০১৮ সালে সিরিয়ায় আইএস পরাজিত হলেও তারা এখনো ভূখণ্ড নিয়ন্ত্রণ ছাড়াই বিচ্ছিন্ন হামলা চালিয়ে যাচ্ছে।

এদিকে ১৪ বছরের রক্তক্ষয়ী গৃহযুদ্ধের পর দেশ পুনর্গঠনের চেষ্টা চালালেও সিরিয়া এখনো নিরাপত্তা ও অর্থনৈতিক সংকটে রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত