নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে দেশান্তরী হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। মিয়ানমার বা বাংলাদেশ—কোথাও নিরাপদ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা না দেখে তারা ঝুঁকিপূর্ণ উপায় বেছে নিচ্ছে বলে মানবাধিকার ও সাহায্য সংস্থাগুলো মনে করছে৷
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাস করছে৷
এই শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করে আরাকান প্রজেক্ট ৷ সংস্থাটির পরিচালক ক্রিস লেওয়া রয়টার্সকে বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও এসব নৌকায় যেতেন তরুণ পুরুষেরা। আজকাল গোটা পরিবার, বাবা-মা, সন্তান, এমনকি আত্মীয়রাও যাচ্ছে।’
সাধারণত বর্ষার শেষে অক্টোবর মাস থেকে নৌকায় চেপে এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় রওনা দিয়ে থাকে রোহিঙ্গারা ৷ এমন যাত্রায় নৌকায় ভিড় বেশি হওয়া, পর্যাপ্ত পানীয় জল না থাকা, নৌকা ডুবে যাওয়া বা মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ার মতো ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়৷
পরিসংখ্যানে প্রকৃত চিত্র
চলতি মাসে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ অঞ্চলে এসে পৌঁছেছে মোট ১ হাজার ৮৪ রোহিঙ্গা, যার মধ্যে ৩৬০টি শিশুসহ ২৯২ জন নারী ও ২৩৮ জন পুরুষ ছিলেন ৷ এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক তথ্য৷
এ বছর নৌকায় চেপে দেশ ছেড়েছে মোট ৩ হাজার ৫৭২ রোহিঙ্গা ৷ পরিসংখ্যান বলছে, এর ৩১ শতাংশই শিশু ৷
এ ছাড়া এ বছর মোট যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে নৌকায় যাত্রা শুরু করেছে, সেই সংখ্যারও ৬৫ শতাংশ যাত্রী শিশু ৷ এই সংখ্যা গত বছর ছিল ২৭ শতাংশ৷
২০২২ বছরটি নৌকাপথে রোহিঙ্গা যাত্রীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল ৷ মোট ৩ হাজার ৭০৫ যাত্রীর মধ্যে প্রায় ৭৫০ যাত্রীই ছিল শিশু৷
বাঁচার শেষ চেষ্টায়...
কক্সবাজারে কর্মরত বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নৌকাপথে শিশুদের যাওয়ার এই চল আগে ছিল না৷
তাঁর মতে, বাংলাদেশ বা মিয়ানমারে কোনো আশার আলো না দেখায় বাধ্য হয়ে নৌকার পথ বেছে নেয় রোহিঙ্গারা ৷ তিনি বলেন, যখন একটা গোটা গোষ্ঠী রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে, ফিরে যাবার কোনো উপায় দেখে না, বা যে দেশে আছে, তার সাথে ভালোভাবে মিশতে পারে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে৷
বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরগুলোতে জীবনযাপনের মান অনুন্নত হওয়ার ফলেও অনেক রোহিঙ্গা দেশ ছাড়তে উদ্যোগী হন বলে ত্রাণকর্মীদের মত।
রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য সাহায্যের অর্থের পরিমাণ এ বছর এক-তৃতীয়াংশ কমিয়েছে জাতিসংঘ। শিবিরের বাসিন্দা সন্তানের বাবা-মায়েরা তাই নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকছেন ৷ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ওই টাকা দিয়ে ডিমও কেনা যায় না৷
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাবার সম্ভাবনাও ক্ষীণ ৷ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবার কথা বললেও বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগোয়নি৷
কক্সবাজারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর মোহাম্মদ তাহের বলেন, এখন ফিরে যাবার কথা কেউ ভাবছে না৷ কেউ কেউ যেকোনো মূল্যে পালাতে প্রস্তুত ৷ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও অনেকে নৌকায় চেপে বিপদে ভরা সাগরের পথে রওনা দেন।
নৌকায় করে সাগর পাড়ি দিয়ে দেশান্তরী হওয়া রোহিঙ্গাদের মধ্যে শিশুদের সংখ্যা বাড়ছে। মিয়ানমার বা বাংলাদেশ—কোথাও নিরাপদ ভবিষ্যতের সম্ভাবনা না দেখে তারা ঝুঁকিপূর্ণ উপায় বেছে নিচ্ছে বলে মানবাধিকার ও সাহায্য সংস্থাগুলো মনে করছে৷
২০১৭ সালে মিয়ানমারে সামরিক বাহিনীর নৃশংসতা থেকে বাঁচতে রোহিঙ্গারা দেশ ছেড়ে পালিয়ে বাংলাদেশে আসে। ১০ লাখের বেশি রোহিঙ্গা কক্সবাজারের বিভিন্ন শরণার্থী শিবিরে বাস করছে৷
এই শরণার্থীদের সহায়তায় কাজ করে আরাকান প্রজেক্ট ৷ সংস্থাটির পরিচালক ক্রিস লেওয়া রয়টার্সকে বলেন, ‘কয়েক বছর আগেও এসব নৌকায় যেতেন তরুণ পুরুষেরা। আজকাল গোটা পরিবার, বাবা-মা, সন্তান, এমনকি আত্মীয়রাও যাচ্ছে।’
সাধারণত বর্ষার শেষে অক্টোবর মাস থেকে নৌকায় চেপে এই ঝুঁকিপূর্ণ যাত্রায় রওনা দিয়ে থাকে রোহিঙ্গারা ৷ এমন যাত্রায় নৌকায় ভিড় বেশি হওয়া, পর্যাপ্ত পানীয় জল না থাকা, নৌকা ডুবে যাওয়া বা মানব পাচারকারীদের খপ্পরে পড়ার মতো ঝুঁকির সম্মুখীন হতে হয়৷
পরিসংখ্যানে প্রকৃত চিত্র
চলতি মাসে ইন্দোনেশিয়ার আচেহ অঞ্চলে এসে পৌঁছেছে মোট ১ হাজার ৮৪ রোহিঙ্গা, যার মধ্যে ৩৬০টি শিশুসহ ২৯২ জন নারী ও ২৩৮ জন পুরুষ ছিলেন ৷ এই পরিসংখ্যান জানিয়েছে জাতিসংঘের শরণার্থী বিষয়ক তথ্য৷
এ বছর নৌকায় চেপে দেশ ছেড়েছে মোট ৩ হাজার ৫৭২ রোহিঙ্গা ৷ পরিসংখ্যান বলছে, এর ৩১ শতাংশই শিশু ৷
এ ছাড়া এ বছর মোট যত রোহিঙ্গা বাংলাদেশ থেকে নৌকায় যাত্রা শুরু করেছে, সেই সংখ্যারও ৬৫ শতাংশ যাত্রী শিশু ৷ এই সংখ্যা গত বছর ছিল ২৭ শতাংশ৷
২০২২ বছরটি নৌকাপথে রোহিঙ্গা যাত্রীদের জন্য বেশি ঝুঁকিপূর্ণ ছিল ৷ মোট ৩ হাজার ৭০৫ যাত্রীর মধ্যে প্রায় ৭৫০ যাত্রীই ছিল শিশু৷
বাঁচার শেষ চেষ্টায়...
কক্সবাজারে কর্মরত বাংলাদেশের শরণার্থী, ত্রাণ ও পুনর্বাসনবিষয়ক কমিশনার মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, নৌকাপথে শিশুদের যাওয়ার এই চল আগে ছিল না৷
তাঁর মতে, বাংলাদেশ বা মিয়ানমারে কোনো আশার আলো না দেখায় বাধ্য হয়ে নৌকার পথ বেছে নেয় রোহিঙ্গারা ৷ তিনি বলেন, যখন একটা গোটা গোষ্ঠী রাষ্ট্রহীন হয়ে পড়ে, ফিরে যাবার কোনো উপায় দেখে না, বা যে দেশে আছে, তার সাথে ভালোভাবে মিশতে পারে না, তখন স্বাভাবিকভাবেই তারা চিন্তিত হয়ে পড়ে পরবর্তী প্রজন্মের ভবিষ্যৎ নিয়ে৷
বাংলাদেশে শরণার্থী শিবিরগুলোতে জীবনযাপনের মান অনুন্নত হওয়ার ফলেও অনেক রোহিঙ্গা দেশ ছাড়তে উদ্যোগী হন বলে ত্রাণকর্মীদের মত।
রোহিঙ্গাদের জন্য বরাদ্দ খাদ্য সাহায্যের অর্থের পরিমাণ এ বছর এক-তৃতীয়াংশ কমিয়েছে জাতিসংঘ। শিবিরের বাসিন্দা সন্তানের বাবা-মায়েরা তাই নিজেরা আধপেটা খেয়ে থাকছেন ৷ মোহাম্মদ মিজানুর রহমান এ প্রসঙ্গে বলেন, ওই টাকা দিয়ে ডিমও কেনা যায় না৷
রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত যাবার সম্ভাবনাও ক্ষীণ ৷ কর্তৃপক্ষ একাধিকবার মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ফেরত পাঠাবার কথা বললেও বিষয়টি প্রাতিষ্ঠানিকভাবে এগোয়নি৷
কক্সবাজারের বাসিন্দা রোহিঙ্গা গোষ্ঠীর মোহাম্মদ তাহের বলেন, এখন ফিরে যাবার কথা কেউ ভাবছে না৷ কেউ কেউ যেকোনো মূল্যে পালাতে প্রস্তুত ৷ মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও অনেকে নৌকায় চেপে বিপদে ভরা সাগরের পথে রওনা দেন।
যুক্তরাজ্যের শিক্ষার্থীদের মধ্যে এ লেভেলে অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা বেছে নেওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এর পেছনে সোশ্যাল মিডিয়া ইনফ্লুয়েন্সারদের প্রভাবে বেড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে। সাম্প্রতিক এক জরিপ বলছে, দেশটির ইতিহাসে প্রথমবারের মতো এ লেভেলে শীর্ষ পাঁচ জনপ্রিয় বিষয়ের মধ্যে উঠে এসেছে ব্যাবসায় শিক্ষা।
২০ মিনিট আগেভারতের জম্মু ও কাশ্মীরে আকস্মিক ভারী বৃষ্টিপাত ও বন্যায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়াল ৫৬। এখনো নিখোঁজ রয়েছেন আরও অন্তত ৮০ জন। হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছে কর্তৃপক্ষ। হিমালয় সংলগ্ন এলাকায় এক সপ্তাহের মধ্যে এটি দ্বিতীয় ক্লাউডবার্স্টের ঘটনা।
১ ঘণ্টা আগেএক ফেডারেল এজেন্টের দিকে স্যান্ডউইচ ছুড়ে মারার অভিযোগে মার্কিন বিচার বিভাগের এক কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাজধানী ওয়াশিংটন ডিসিতে ‘অপরাধ দমনে জরুরি অবস্থা’ ঘোষণার পর সেখানে মোতায়েন করা হয়েছিল ওই এজেন্টকে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদন অনুযায়ী, শন চার
২ ঘণ্টা আগেহাইতির গ্যাংদের নিয়ন্ত্রণে এবার কাজ পাচ্ছে মার্কিন বেসরকারি নিরাপত্তা ঠিকাদারি সংস্থা। এরই মধ্যে একটি দীর্ঘমেয়াদি চুক্তি হয়েছে। এই সংস্থা সেখানে প্রবল ক্ষমতাধর গ্যাংগুলোকে নিয়ন্ত্রণ করবে এবং একই সঙ্গে কর আদায়ের দায়িত্বও পালন করবে।
২ ঘণ্টা আগে