লিঙ্গ-ভিত্তিক নির্যাতন থেকে বাঁচাতে আফগান নারীদের জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে তালেবান কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোনো নারীর কোনো পুরুষ আত্মীয় না থাকে কিংবা পুরুষ আত্মীয়রা যদি জীবনের ঝুঁকিতে থাকে তবে এ ধরনের নারীদের জেলে পাঠাচ্ছে তালেবান।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—যেভাবে কাবুলের গৃহহীন এবং মাদকাসক্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হয় ঠিক সেভাবেই নিরাপত্তার জন্য আটক করা হচ্ছে আফগান নারীদের।
২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের আগে আফগানিস্তানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ২৩টি নারী সুরক্ষা কেন্দ্র ছিল। লিঙ্গ-ভিত্তিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে অসংখ্য নারী এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতেন। তবে সেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর একটিও এখন আর চালু নেই।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশনকে তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারীদের সুরক্ষার জন্য আলাদা কোনো কেন্দ্র রাখার প্রয়োজন নেই। এ ধরনের কেন্দ্রকে ‘পশ্চিমা ধারণা’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়—কিছু ঘটনায় তালেবান কর্তৃপক্ষ পুরুষ আত্মীয়দের ডেকে শপথ কিংবা প্রতিশ্রুতিমূলক বিবৃতি নিচ্ছে এবং এসব বিবৃতিতে স্থানীয় নেতাদের সাক্ষী করা হচ্ছে।
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন এবং নারী অধিকার নিশ্চিত করতে আফগান সমস্যাগুলোকে কীভাবে সমাধান করা উচিত—গত অক্টোবরে এই বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিয় গুতেরেসের কাছে জানতে চেয়েছিল সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদ।
ইতিপূর্বে আফগান নারীদের পাঁচ শতাধিক সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে বিশেষ দূত রোজা ওতুনবায়েভা জাতিসংঘের নারী এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন অফিসকে সহায়তা করেছিলেন। রোজা জানান, দেশটির ৪৬ শতাংশ নারীকে তালেবান সরকারের জন্য যেকোনো ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকই জোর দিয়েছিলেন, তালেবানকে কোনো স্বীকৃতি দিলে তা নারীদের অধিকারের পরিমাপযোগ্য উন্নতির ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান সরকার দেশটির মেয়েদের পড়াশোনা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এমনকি কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে চলমান গৃহ-ভিত্তিক স্কুল প্রোগ্রামগুলোও প্রায় সময় বন্ধ করে দিচ্ছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। দেশটির ২৫ লাখ নারী ও কিশোরী বর্তমানে শিক্ষা-ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এসবেরই ধারাবাহিকতায় আফগান নারীদের শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য গত সপ্তাহে তালেবানের দুই সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। বর্তমানে কঠোর পোশাক নীতিমালা ছাড়াও ৭২ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করলে আফগান নারীদের সঙ্গে অবশ্যই একজন পুরুষ থাকার বিধান করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে একটি ডিক্রি জারির মাধ্যমে দেশটির সব বিউটিপার্লার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইউনেসকো বলছে, একজন নারী জন্ম নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটিতে নারী সাক্ষরতার হারও এখন তলানিতে।
লিঙ্গ-ভিত্তিক নির্যাতন থেকে বাঁচাতে আফগান নারীদের জেলে ঢুকিয়ে দিচ্ছে তালেবান কর্মকর্তারা। আজ বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে আমিরাত-ভিত্তিক দ্য ন্যাশনালের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যদি কোনো নারীর কোনো পুরুষ আত্মীয় না থাকে কিংবা পুরুষ আত্মীয়রা যদি জীবনের ঝুঁকিতে থাকে তবে এ ধরনের নারীদের জেলে পাঠাচ্ছে তালেবান।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়—যেভাবে কাবুলের গৃহহীন এবং মাদকাসক্ত মানুষদের কারাগারে পাঠানো হয় ঠিক সেভাবেই নিরাপত্তার জন্য আটক করা হচ্ছে আফগান নারীদের।
২০২১ সালে তালেবানরা ক্ষমতা দখলের আগে আফগানিস্তানে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাপনায় ২৩টি নারী সুরক্ষা কেন্দ্র ছিল। লিঙ্গ-ভিত্তিক নির্যাতন থেকে বাঁচতে অসংখ্য নারী এসব কেন্দ্রে আশ্রয় নিতেন। তবে সেই আশ্রয় কেন্দ্রগুলোর একটিও এখন আর চালু নেই।
আফগানিস্তানে নিযুক্ত জাতিসংঘের সহায়তা মিশনকে তালেবান প্রশাসনের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, নারীদের সুরক্ষার জন্য আলাদা কোনো কেন্দ্র রাখার প্রয়োজন নেই। এ ধরনের কেন্দ্রকে ‘পশ্চিমা ধারণা’ আখ্যা দিয়ে বাতিল করে দিয়েছে তারা।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়—কিছু ঘটনায় তালেবান কর্তৃপক্ষ পুরুষ আত্মীয়দের ডেকে শপথ কিংবা প্রতিশ্রুতিমূলক বিবৃতি নিচ্ছে এবং এসব বিবৃতিতে স্থানীয় নেতাদের সাক্ষী করা হচ্ছে।
একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক সরকার গঠন এবং নারী অধিকার নিশ্চিত করতে আফগান সমস্যাগুলোকে কীভাবে সমাধান করা উচিত—গত অক্টোবরে এই বিষয়ে জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্টনিয় গুতেরেসের কাছে জানতে চেয়েছিল সংস্থাটির নিরাপত্তা পরিষদ।
ইতিপূর্বে আফগান নারীদের পাঁচ শতাধিক সাক্ষাৎকারের ওপর ভিত্তি করে বিশেষ দূত রোজা ওতুনবায়েভা জাতিসংঘের নারী এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন অফিসকে সহায়তা করেছিলেন। রোজা জানান, দেশটির ৪৬ শতাংশ নারীকে তালেবান সরকারের জন্য যেকোনো ধরনের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতির বিরোধিতা করতে দেখা গেছে। এর মধ্যে অর্ধেকই জোর দিয়েছিলেন, তালেবানকে কোনো স্বীকৃতি দিলে তা নারীদের অধিকারের পরিমাপযোগ্য উন্নতির ওপর নির্ভরশীল হওয়া উচিত।
২০২১ সালে আফগানিস্তানের ক্ষমতা দখলের পর তালেবান সরকার দেশটির মেয়েদের পড়াশোনা ৬ষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত নির্ধারণ করে দিয়েছে। এমনকি কিছু আন্তর্জাতিক সংস্থার অধীনে চলমান গৃহ-ভিত্তিক স্কুল প্রোগ্রামগুলোও প্রায় সময় বন্ধ করে দিচ্ছে তালেবান কর্তৃপক্ষ। দেশটির ২৫ লাখ নারী ও কিশোরী বর্তমানে শিক্ষা-ব্যবস্থা থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
এসবেরই ধারাবাহিকতায় আফগান নারীদের শিক্ষায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির জন্য গত সপ্তাহে তালেবানের দুই সদস্যের ওপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে মার্কিন প্রশাসন। বর্তমানে কঠোর পোশাক নীতিমালা ছাড়াও ৭২ কিলোমিটারের বেশি ভ্রমণ করলে আফগান নারীদের সঙ্গে অবশ্যই একজন পুরুষ থাকার বিধান করা হয়েছে। গত জুলাই মাসে একটি ডিক্রি জারির মাধ্যমে দেশটির সব বিউটিপার্লার বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
ইউনেসকো বলছে, একজন নারী জন্ম নেওয়ার ক্ষেত্রে বিশ্বের সবচেয়ে খারাপ স্থানগুলোর মধ্যে রয়েছে আফগানিস্তান। দেশটিতে নারী সাক্ষরতার হারও এখন তলানিতে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছেন, ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলো ‘সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস’ করে দেওয়া হয়েছে। তবে এই দাবি সরাসরি প্রত্যাখ্যান করেছে ইরানি গণমাধ্যম ও স্থানীয় কর্মকর্তারা।
৭ মিনিট আগেযুক্তরাষ্ট্রের শান্তিপূর্ণ পারমাণবিক স্থাপনাগুলোর ওপর সামরিক হামলার প্রতিক্রিয়ায় হরমুজ প্রণালি বন্ধের প্রস্তাব পাস করেছে ইরানের পার্লামেন্ট। এই প্রস্তাবের ফলে বৈশ্বিক জ্বালানি সরবরাহে বড় ধরনের সংকট তৈরি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
১ ঘণ্টা আগেইরানে পরিচালিত মার্কিন বিমান হামলাকে ‘অসাধারণ এবং ব্যাপক সাফল্য’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী পিট হেগসেথ। তিনি জানিয়েছেন, এই হামলার মাধ্যমে ইরানের পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা ধ্বংস করা হয়েছে।
৩ ঘণ্টা আগেবিশ্ব রাজনীতির উত্তেজনার প্রেক্ষাপটে যুক্তরাষ্ট্রের বি-২ বোমারু বিমান এখন আলোচনার কেন্দ্রে। আকাশপথে নিঃশব্দ ও প্রায় অদৃশ্য এই যুদ্ধযান শুধু আধুনিক প্রযুক্তির বিস্ময় নয়, বরং এটি যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত শক্তির প্রতীক।
৩ ঘণ্টা আগে